নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌরভ আহমেদ

সৌরভ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেনো ইহুদিরা এত ক্ষমতাধর এবং তার প্রকৃত কারন কি।।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১১

কেনো ইহুদিরা এত ক্ষমতাধর এবং তার প্রকৃত কারন কি।।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সর্ব প্রকার ক্ষমতার মালিক। তিনিই মানুষকে ক্ষমতা বা রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের কাছে ওয়াদা করেছেন, যদি মুমিনরা কিছু কাজ/গুণাবলি অর্জন করতে পারে তাহলে এই বিশ্বের ক্ষমতা মুমিনদের হাতে দিয়ে দিবেন। (রেফারেন্স আন-নূর: ৫৫ এবং সূরা আম্বিয়া:১০৫)
কিন্তু আজ আমরা মুসলিমরা সেই গুনাবলি থেকে দূরে সরে গিয়েছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইহুদিরা সেই গুনগুলি নিজেদের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে, এন্ড দ্যাটস হোয়াই তাদের হাতেই এখন বিশ্বের চাবিকাঠি। তো সেগুলো কি...

ইহুদিরা ইসরায়েলে ১৯৫০ সালে তাদের সংবিধানের ‘Law Of Return' নামক ধারাটি নিয়ে আসে। এই ধারাটির খাশ বাংলা অর্থ হলো— একজন ইহুদির বাচ্চা দুনিয়ার যে প্রান্তেই জন্মাক না কেনো, ভূমিষ্ট হওয়া মাত্রই সে ইসরায়েলের ও নাগরিক। কারো পূর্বপুরুষদের (দাদা/দাদি/নানা/নানি) কেউ যদি ইহুদি থেকে থাকে তাহলে সেও Law of Return এর মাধ্যমে ইহুদিদের ফান্ড থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আর ভাতা (আমরা যেটাকে জাকাত বলি) পাবে।
এবার একটু চিন্তা করেন তো, ইহুদিরা এই ‘Law Of Return' নামক ধারা দিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে কি পরিমাণ ইস্পাত দৃঢ় ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করেছে। অথচ এই একই কথা কি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কুরআনে বলেন নাই যে, মুমিনরা পরস্পরের ভাই-ভাই এবং নবিজী ﷺ কি বলেননি সকল মুসলিম একটা দেহের মতো।
❑ ইহুদিরাই পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সুদের কারবার প্রতিষ্টা করে। এভাবে তারা পৃথিবীতে আরেক ফাসাদ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু মুসা আঃ আসার পর অর্থনৈতিক কাঠামো ন্যায়সংগত করতে আল্লাহর দেওয়া বিধান চালু করেন। এই আইন ৫০ বছর স্থায়ী ছিল; যাকে বলা হয় 'The Year of Jubilee'। মুসা আঃ এর ইন্তেকালের পর ইহুদিরা আবার পুনরায় বিশ্বব্যাপী সুদের কারবার চালু করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ইহুদিরা ‘Law of Stranger' নামে নতুন একটি আইন তৈরি করে। এ আইন অনুযায়ী জ্যান্টাইলদের মানে যারা ইহুদি না এমন সকল মানুষের সাথে অর্থনৈতি লেনদেন সুদের মাধ্যমে হবে কিন্তু নিজ ধর্মের মানুষদের মাঝে কখনোই সুদের কারবার করা যাবে না।
❑ ইহুদিরা ঐতিহাসিকভাবেই শিক্ষামুখী জ্ঞানমুখী। ইহুদিরা সবচেয়ে বড় বেঈমান জাতী হলেও জ্ঞানের সাথে বেইমানি করা, ধান্দাবাজি করা ইহুদিদের রক্তে নেই। ইহুদি ধর্মের বংশদ্ভুত দেড়শোর বেশি বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছে এজন্যই। প্রত্যেকটা ইহুদি ১৮+ হলেই বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। ২০ বছর হলেই প্রায় সবাই বিয়ে করে ফেলে। এবং তারা সর্বক্ষেত্রেই চোখ বন্ধ করে তাদের ধর্মীয় বিধান মেনে চলে (যাকে আমরা ধর্মান্ধতা বলি)।
❑ এবার আপনি ইতিহাসের পাতায় একটু চোখ বুলিয়ে নিন। আমরা মুসলিমরা যতদিন পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, জ্ঞানে পারদর্শী ছিলাম, আল্লাহর দেওয়া হালাল জীবন ব্যাবস্থার মধ্যে ছিলাম, যতদিন পর্যন্ত আমরা ধর্মান্ধ ছিলাম ততোদিন পর্যন্তই এই বিশ্বের শাসন ক্ষমতা আমাদের পায়ের নিচে ছিলো। অথচ এখন আমরা ওদের আদর্শ গ্রহণ করে পথের ফকির আর ওরা আমাদের আদর্শ নিয়ে পৃথিবীর বাদশা বনে গিয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.