| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিষ্কার বলে দিয়েছে বিভিন্ন আদান প্রদান সোনা রূপা এবং খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে করতে হবে। কাগজের মুদ্রার ব্যবহার করা যাবে এরকম ইঙ্গিতও কোথাও পাওয়া যায় না।
#ফিদিয়া – “নির্দিষ্ট কয়েক দিন (রোজা)। তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর যাদের জন্য তা কষ্টকর হবে, তাদের কর্তব্য ফিদয়া- একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা। অতএব যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সৎকাজ করবে, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে। আর সিয়াম পালন তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান।” [সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৪]।
কুরআনের এরকম স্পষ্ট আদেশের পর নগদ অর্থ দিয়ে ফিদিয়া আদায় করা জায়েয নয়। والله أعلم )
বরং খাদ্য দিয়ে ফিদিয়া আদায় করা ফরয।
❑ বিবাহের দেনমোহর – হযরত ফাতেমা রাঃ এর মোহর ছিল ৫০০ দিরহাম।
❑ যাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদ ৫২.৫ তোলা রূপা বা ৭.৫ তোলা স্বর্ণ।
❑ ফেতরা – গম, আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনির।
কাগজের মুদ্রার কথা কোথাও নেই। বরং সতর্কবাণী এসেছে। কাগজের মুদ্রাকে রিবার বাষ্প ও রিবার ধুলা বলা হয়েছে।
প্রকৃত মুদ্রা হলো তাই যার ভেতরে আল্লাহ্ তায়ালা অন্তর্নিহিত মূল্য (স্বর্ণ- রৌপ্য মুদ্রা) রেখেছেন। তাই সেগুলো দিয়ে লেনদেন করা উচিৎ।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, ইসলামের আধুনিক ভার্সনে বা আধুনিক আলেমদের কল্যাণে সোনা রূপা এবং খাদ্যদ্রব্য হয়ে যায় টাকা, রূপী, রিয়েল, রিংগিত, ডলার ইতাদি। সকল নবী রাসূলদের সুন্নতী মুদ্রাব্যবস্থাকে ইহুদী খ্রিস্টানদের আবিষ্কৃত নিয়ম দ্বারা প্রতিস্থাপনের দায় ইসলামিক লেখক, স্কলার ও বক্তৃতা দানকারীরা কিভাবে এড়াবেন?
যে স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা কয়েক হাজার বৎসর মানবজাতি কোন রকম সমস্যা ছাড়া ব্যবহার করল বিংশ শতাব্দীতে এসে তা অচল হয়ে গেল এবং কাগজের মুদ্রার এক নতুন মতাদর্শ গড়ে উঠল সেটা কি স্বাভাবিক?
কিছুতেই স্বাভাবিক নয়, বরং সীমা ছাড়িয়ে গেছে....
.
LastEraAnalysis
©somewhere in net ltd.