![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছরের ছয় মাস রাইটিং ব্লকে ভোগা গড়পড়তা বাঙালী ।
জুলাই ২০১৪,
কলেজ জীবনের শুরু । আনুষ্ঠানিক ভাবে। নাকের নিচে হালকা গোফের রেখা নয় । আমরা শেভ করা পোলাপান। তাই অন্তত বাইরের লুক দেখে চেনার উপায় ছিলো না । এরা নিউ নিউ কলেজে আসছে । বিশাল বড় কলেজ। একটা মসজিদ । একটা বাসস্ট্যান্ড একটা সাইকেল স্ট্যান্ড । বিশাল মাঠ । দুইটা পুকুর । তিনটা হোস্টেল । ৫১ একর জায়গা ।
কলেজে শুরুটা আমাদের কাছে গর্বের ছিলো না । দেবেন্দ্র । ধুর..... লাইফ শেষ । এখানেই শেষ । ইটের টুকরোয় ক্ষোভ ঝেড়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি । দায়সারা কলেজ ড্রেস তৈরি করেছি । তারপর? পুরো দুইটা বছর কেটে গেছে কলেজের পিছনেই ।
বাবা বলেছিলো,"দেখিস তোদের এই হাইস্কুল গার্লস স্কুলের কোনো খোজই থাকবে না একদিন ।" সেদিন হেসেছিলাম । লল নাকি ! এমজিএইচএস কে ছাড়া মানিকগঞ্জ? এটা কখনো সম্ভব? আমরা থাকি এইখানে যুগ পার হয়া গেলো আর আমাদের হঠিয়ে বাইরের পোলাপান? হুর....
হ্যা । আজ আমরা টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে আসলাম । শেষ । দেবেন্দ্রকে বিদায় জানানোর পালা এখন । সবাই স্ট্যাটাস দিচ্ছি লাভ ইউ দেবেন্দ্র কলেজ মিস ইউ । অদ্ভুদ একটা বন্ধন । দেবেন্দ্র আমাদের বেধে ফেলেছে । সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সবুজ গেটটায় যে আকর্ষন এতদিন ছিলো ঠিক সেই আকর্ষন ওই চাদ তারায় পাচ্ছি । অথচ যে চাদ তারাটা দেখলে বেশি না এক বছর আগে নিজেকে রাজাকার মনে হত । পাকিস্তানের পতাকার অংশ ।
হ্যা । বাবার কথা ফলে গেছে । এখন আর হাইস্কুলের দম্ভ নেই । কেউ এসে আমাদের জায়গা দখল করে নি । আমরা আসলে নিজেদের চিনেছি । বড় হতে শিখেছি । ওই দুইশ জনের হাইস্কুল নয় দুই সহস্রের দেবেন্দ্র । ওরা আমাদেরই । ছিল আছে থাকবে ।
আসলে দেবেন্দ্র কলেজ এমন একটা যায়গা যার কথা লিখতে বসলে মহাকাব্য হয়ে যাবে । আজ এই পর্যন্তই পরে আরো বলব না হয় ।।
পুনশ্চঃ খুব লিখতে ইচ্ছে করছিলো তাই এই দুর্দিনে লিখে ফেললাম । মাইগ্রেন আমার জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তুলেছে । ব্যাথাটা দিন দিন সহ্য সীমা অতিক্রম করছে ।।
.
সায়ানাইড সাকিব
২৩শে নভেম্বর,২০১৫ খ্রী.
__________________________
৯ই অগ্রহায়ণ,১৪২২ বঙ.
©somewhere in net ltd.