নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

দাদুভাই

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

দাদুভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ চত্বর বনাম আওয়ামীলীগ, বিএনপি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

রাহুল সাংকৃত্যায়নের ঐতিহাসিক উপন্যাস ভোলগা টু গঙ্গার একটা ঘটনা মনে আছে, বাদশা আকবর একদিন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। পথিমধ্যে তিনি দেখেন, তার উজির একটা গাধাকে গোসল করাচ্ছে, বাদশা কারণ জিজ্ঙাস করলে, উজির উ্ত্তর দিলেন, এ গাধাকে ঘোড়া বানানো হবে। একটা গাধাকে কখনো ঘোড়া বানান সম্ভব না, আবার গাধাকে দিয়ে কখনো ঘোড়ার কাজ করানো সম্ভব না, এটাই সত্য কথা। আমাদের দেশের রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আমার আগের এক লেখাটাতেও উদাহরনটা দিয়েছিলাম। বারবার এ উদাহরনটাই মনে পড়ে যায়। দেশের আশা-হতাশা নিয়ে আলোচনা করলে কি দেখা যায়। আমাদের দেশে কোন গনতান্ত্রিক সরকারকে পরপর দুবার ক্ষমতায় দেখিনি। দেখব বলে আশাও করা যায়না। এটার কারনটা নিয়ে বিশ্লেষনের দরকার হবে না। সহজে বলা যায়, জনগন আসলে এদের কারো প্রতি আস্তা রাখতে পারেনি। আমরা শুধু ক্ষমতার বদলই দেখলাম, আমাদের ভাগ্য বদল আজও আমরা দেখিনি। অনেকে বলবেন দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটার সাথে আমি একমত না হয়েও পারিনা। দেশের রিকসা চালকরা এখন সিএনজি চালায়। দরিদ্র মহিলাদের গার্মেন্টস সেক্টরে কাজের সুযোগ হয়েছে। খড়ের ঘর এখন বিল্ডিং উঠেছে। ছেলে মেয়েরা এখন স্কুলে যায়। মুলত এসবের একটাও আমাদের কোন সরকারের তেমন একটা অবদান আছে বলে মনে হয়না। যা উন্নয়ন দেখলাম, তার বেশীরভাগ বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে বা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় হয়েছে। যে খড়ের ঘরে এখন বিল্ডিং আছে, খবর নিয়ে দেখেন সেই ঘরের অন্তত একজন বিদেশে আছে। আমরা যে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি বা যে আশার বানী আমাদের শুনিয়ে সরকার ক্ষমতায় আসে। সে আশা আশাতেই থেকে যায়। আগের সরকারের ব্যপারে আলোচনা করতে চাচ্ছি না। কি হয়নি তাদের আমলে। সন্ত্রাসের ইতিহাস তৈরী হয়েছিল, দেশব্যপী ৬৫ জেলায় একযোগে বোমা হামলা। বিরোধী দলের উপর গ্রেনেড হামলা সহ অনেক বিরোধী দলীয় এমপি, মস্ত্রীকে জীবন দিতে হয়। হাওয়া ভবন কেন্দ্রীক দূর্নীতি ছিল সর্বোচ্চ্ , বস্তি থেকে উঠে এসে রাতারাতি হয়ে উঠে কোটিপতি। সরকারী চাকরিতে রাজণীতি। এ সরকারের আমলে আমরা কি দেখলাম। গত সরকারের আমরের ছেড়ে একটুও কম হয়েছে বলে মনে হয়না। সারা দেশে ছাত্রলীগ সন্ত্রাস। সাধারন মানুষকে কুপিয়ে মারা। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস। সারা দেশে মানুষ গুম, র্যাবের বেপরোয়া ক্রসপায়ার দেখলাম। জীবনের নিরাপত্তা নাই। খুন, ধর্ষন সহ কি হয় নাই। শেয়ার বাজার ধস, বিদেশে টাকা পাচার, এরকম হাজারো ঘটনা আমরা দেখলাম কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন স্বতস্পূত আন্দোলন আমরা দেখিনি। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে একটা আন্দোলনেও সফল হযেছে বলে মনেপড়ে না। শুধু সংবাদ সম্মেলন করে বলা হল হরতাল সফল। এটার কারন নিয়ে বেশী একটা বলার দরকার নাই। আমরা আগের আমলে তাদের সব কর্মকান্ড দেখেছি।

এরা জনগনের অধিকার নিয়ে আন্দোলন না করে, নিজের বাড়ি রক্ষা, ছেলে রক্ষার আন্দোলন করল। বিস্বজীতকে নিয়ে মাঠে নামলে অন্তত জনগনকে মাঠে পাওয়া যেত।

জনগনের মাঠে না নামার কারন, এদের সবই মানুষ দেখেছে। তাদের প্রতি আর ভরসা নাই। যারা তৃতীয় শক্তির কথা বলেন বা যারা তৃতীয় শক্তি হিসাবে দাবী করেন, এরা আসলে দুর্নীতির টাকার ভাগ না পেয়ে নতুন দল গঠন করেন। আজকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইনি তারপরও না বলে পারিনি। আজ আলোচনার বিষয় দেশের গনআন্দোলন শাহবাগ চত্বর। কসাই কাদেরের ফাসি নিয়ে এ আন্দোলন শুরু হলেও দেশের পাড়া মহল্লা সব জায়গায় এক সুর এক দাবী সব রাজাকারের ফঁাসি । দেশের সব শ্রেণীর মানুষ আজ তরুনদের সাথে একাত্ব। আওয়ামীলীগ এ আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা দিলেও শাহবাগে অপহূত হতে হয় তাদের প্রথম শ্রেনীর নেতাদের। মূলত এদের প্রতি তরুন প্রজন্মের বিশ্বাস নেই। তারাইতো আইন করল। তাহলে এ আইনে ফাঁকটা কারা রাখল, সেটাই প্রশ্ন। এদের সবই মানুষের জানা। বিএনপি এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক। তারা হা বা না কোন কিছুতেই নেই। শেষ পর্যন্ত সমর্থন দেয়া আবার বিশেষ শর্ত দেয়া। এসব করে তরুন প্রজন্ম থেকে এরা দূরে সরে গেল। বিএপির একটা সুযোগ ছিল ভন্ড প্রতারক জামাতকে জেয়ে পেলে দিয়ে তরুনদের সাথে একত্বতা ঘোষনা করা। বিএনপি আংশীক সমর্থন দিয়ে বলতেছে সরকারের নানা কুকর্মের জন্যও যেন তরুনরা আন্দোলন করে। তবে আপনাদের দরকার কি। প্রধান বিরোধী দল হয়ে ঘরে বসে বসে টিভি দেখেন এটাই আপনাদের দায়িত্ব। বিএনপি একদিকে বলে এ বিচার তারাও চায়। ক্ষমতায় গেলে তারা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। বলি আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান, এদের মন্ত্রী বানিয়েছেন এরপর কি বিচার করবেন। সেটা তরুন প্রজন্ম বুঝতে পারে। এখন সময় এসেছে আমাদের একত্ব হওয়ার। কারা এলো বা কারা আসলো না এসবের ভাবার দরকার নাই। এসব ভন্ড রাজণীতিবীদদের দরকার নাই। তরুন প্রজন্ম আজ জেগেছে। সারা বাংলা আজ তাদের সাথে জেগেছে। আজ আর কোন অপরাজনীতি না, বাংলার মাটিতে কুখ্যাত রাজাকারদের সঠিক বিচার হবে এটাই বিশ্বাস ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.