![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে গত ১৬ এপ্রিল রামুর ১ হাজার ৭৮৮ দশমিক ৯৮ একর ভূমিকে সংরক্ষিত বনভূমির আওতামুক্ত করে আদেশ জারি করেছে।
এই ভূমি প্রায় দেড় হাজার ফুটবল মাঠের সমান।
বিধি লঙ্ঘন করে সেনানিবাস স্থাপনের জন্য ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিধিমালা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনভূমি বরাদ্দ দেয়ার বিধান না থাকলেও রামুতে স্থায়ী সেনানিবাস করতে সেনাবাহিনীকে বনভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে মন্ত্রীর কিছু করার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যখন চাহিদা দেয়া হয় তখন আমাদের পক্ষে বরাদ্দ না দিয়ে উপায় থাকে না। আইন না থাকলেও তো অনেক কিছুই হচ্ছে।”
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, “তফসিলভুক্ত সংরক্ষিত/রক্ষিত বন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থায়ী সেনানিবাস স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হবে এবং সে লক্ষ্যে যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদন পাওয়া গেছে।”
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “রামুতে সংরক্ষিত বনভূমি সেনাবাহিনীকে বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের (মন্ত্রণালয়) কোনো ভূমিকা নেই। আমরা শুধু জমি বরাদ্দ দিয়ে আদেশ জারি করেছি।”
সেনাবাহিনীকে ওই বনভূমি বরাদ্দ দিয়ে বন মন্ত্রণালয় বলছে, বন আইন ১৯২৭ (১৯২৭ সনের ১৬নং আইন) (২০০০ সালে সংশোধিত) এর ২৭ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার তিনটি মৌজার ওই বনভূমিকে সংরক্ষিত/রক্ষিত বনভূমির আওতামুক্ত করেছে।
১৯০৭ সালের ২৫ মে , ১৯৩০ সালের ১২ জুলাই এবং ১৯৩৫ সালের ১১ জুন প্রজ্ঞাপন দিয়ে রামুর তিনটি মৌজার জমিকে রক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্মিত বৌদ্ধ বিহার উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রামুতে একটি স্থায়ী সেনা ক্যাম্প নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
সেনানিবাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া বনভূমির মধ্যে ১ হাজার ১৮০ একর রামুর রাজারকুল মৌজার, ২৬৪ দশমিক ৫৫ একর খুনিয়াপালং মৌজার এবং ৩৪৪ দশমিক ৪৩ একর উমাখালী মৌজার।
এরমধ্যে রাজারকুল মৌজার এক হাজার ১৮০ একর এবং খুনিয়াপালং মৌজার ২৬৪ দশমিক ৫৫ একর বনভূমি সংরক্ষিত। আর উমাখালী মৌজার ৩৪৪ দশমিক ৪৩ একর বনভূমি রক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত ছিল।
এই তিনটি মৌজার সংরক্ষিত বনভূমিতে পাহাড়, ছড়া, টিলা, পুকুর এবং গাছপালা রয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
জমির চৌহদ্দির বর্ণনায় আদেশে বলা হয়েছে, উত্তর- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের নারিকেল বীজ বাগান, রাজারকুল রিজার্ভ এবং উমাখালী রক্ষিত বন।
দক্ষিণ- দারিয়াদীঘি রিজার্ভ এবং খুনিয়াপালং জোত ভূমি।
পূর্ব- আরাকান সড়ক এবং তৎপূর্বে কক্সবাজার বোটানিক্যাল গার্ডেন (রাম কোর্ট রিজার্ভ) এবং পশ্চিম- দক্ষিণ মিঠাছড়ি রক্ষিত বন এবং তৎপূর্বে কক্সবাজার-টেকনাফ লিংক রোড।
কবে থেকে স্থায়ী সেনানিবাস স্থাপনের কাজ শুরু হবে- জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, রামুতে ২৪ পদাতিক ডিভিশন কাজ করলেও তাদের যতটুকু অবকাঠামোগত সুবিধা থাকার কথা ছিল সেখানে তা নেই। তাই সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা সম্বলিত স্থায়ী সেনানিবাস স্থাপন করা হবে।
সূত্র - বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
চাপাবাজী বলেছেন: দেশ ও দশের স্বার্থে প্রয়োজনে সরকার যে কোন স্থানে সেনা ঘাটি তৈরী করতে পারে ।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: তার চেয়ে বড় কথা হল, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আনতে এই সেনাবাহিনী নিজেদের অস্তিত্বকে আজ হুমকীর মুখে ফেলেছে। এই সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সেনাবাহিনীকে তার উপযুক্ত প্রতিদান দেওয়া
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫০
অরণ্যতা বলেছেন: তাতে সমস্যা কি?
দেশের খুটি মজবুত হোক আপনি কি চান না?
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: সেনাবাহিনী দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। দেশের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য সেইখানে একটি একটি সেনা নিবাস স্থাপন করা হবে। তাই এতে আমি দেশের কিছু দেখি না