নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে চাইলেই আমি সমস্ত ঘৃণাকে দুমড়ে মুচড়ে একাকার করে দিতে পারি।কিন্তু এক গুচ্ছ গোলাপ মর্ত্য, পাতাল কিংবা স্বর্গ কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না!

মহিউদ্দীন রুবেল ডেল্টা

মহিউদ্দীন রুবেল ডেল্টা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গন্তব্য যখন লাদাখ! (পর্ব :২)

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৮



মি. শর্মা আমার পাশে বসে আমাকে জিগ্যেস করল যে কোন প্রদেশ থেকে এসেছি।আমি বললাম আমি ভারতীয় নই। সে তো বিশ্বাসই করবে না যে আমি এক শান্তশিষ্ট বাংলাদেশি ভদ্রলোক! তাকে পাসপোর্ট দেখিয়ে তবে রেহাই।


আমি জানালার পাশে বসে কিছু ছবি তুলছি আর রোথাং পাসের অপেক্ষায় আছি। আমি যে স্থান বা বস্তুর ছবি তুলি, মি. শর্মাও তার ছবি তুলবে।থাক সে, যে যার মত ছবি তুলুক না আর কিছু করুক তাতে আমার কি! রবি ঠাকুরের গানের মত, "তোরা যে যাই বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।" আমি আছি বরফের স্বপ্নে!

মানালি শহর থেকে যে সাদা তুষারাবৃত পর্বতগুলো দেখা যায়, লোকদের মুখে শুনেছিলাম ওখানেই রোথাং পাস। রোথান এ সারাবছরই হিমবাহ বা Glaciers এর সাক্ষাত মেলে। আমার মত যারা এই নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় বেড়ে উঠা তাদের কাছে তুষারপাত আর হিমবাহ উপভোগ করাটা কিন্তু কম রাজকীয় নয়। ছোটবেলা থেকেই আমার কাছে তাই তুষারপাত আর হিমবাহ উপভোগ বলতে গেলে একটা বড় ধরণের ফ্যান্টাসি।


রোথাং পাস পৌছানোর আগে বাস গ্রাম্য এক রেস্টুরেন্টে থামল। ঘড়ির কাটাতে তখন বেলা ১১ টা ৩৫। আমি ভাবলাম দুপুরের খাবার সেরে নেই। রেস্টুরেন্টে গিয়ে কি খাব তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। হিমাচল প্রদেশের লোকেরা শতকরা ৮০-৯০ ভাগই Vegetarian বা নিরামিষাশী। আর আমাদের বাংলাদেশে খাবারের মেন্যুতে আমিষ নেই ব্যাপারটা শাস্তির শামিল যেমনটা করা হয় ইশকুল-পড়ুয়া বাচ্চাদের সাথে। পড়া পারো নাই, এখন থেকে তোমার খেলাধুলা বন্ধ! চকলেট -আইসক্রিমও বাদ!

ভাগ্যক্রমে এখানে নন-ভেজ মেন্যু আছে। যতটা না এই ব্যাপারে খুশি হয়েছিলাম যে ফ্রাইড রাইস উইথ চিকেন খাব, ততটা কষ্ট সুদসমেত ভোজন গ্রহণ করার সময় পেলাম। জীবনে এত বাজে ফ্রাইড রাইস খাই নি আমি।আর এখানে চিকেন কই? আমি চিকেন খুঁজতে গিয়ে পুরোই ফেলুদা হয়ে গেলাম।রহস্য উন্মোচন করব তবেই না আমার উদ্বার হবে। শেষমেশ এই সিদ্বান্তে উপনীত হলাম যে, ফ্রাইড রাইস উইথ চিকেনে চিকেনই থাকতে হবে এমনটা নয়। চিকেন ছাড়াও ফ্রাইড রাইস উইথ চিকেন সম্ভব! আমার ১৪০ রূপী জলে গেল। এদিকে আমার জল তেষ্টাও পেল। একটা কোমল পানীয় কিনলাম ও তৃষ্ণা নিবারণ করলাম।

বাস চলছে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে।চারপাশে পাহাড় আর পাহাড়। কোন কোন পাহাড়ে জমে আছে হিমবাহ। কোন পাহাড় আবার চিরসবুজ।রাস্তার অনেক জায়গায়ই দেখলাম পাহাড়ের উপর থেকে হিমবাহ গলে রাস্তার বক্ষকে একটু ঠান্ডা পানির শীতলতা দান করছে। বেলা দুটোয় রোথাং পাসে পৌছালাম। রোথাং পাসেই প্রথম প্রাকৃতিক বরফের দর্শন পেলাম। আমার বিমুগ্ধতা দেখে মি. শর্মা কিছুতা ইতস্ততবোধ করল আর প্রশ্ন করল, "আপনাদের ওখানে কি বরফের পাহাড় নেই? বাংলাদেশ কি ভারতের মতই? "
" আমাদের ওখানে পাহাড় আছে তবে তাতে বরফের অস্তিত্ব নেই। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে যদি ভারতের সাথে তুলনা করি তবে বলব ভারতের পাঁচ প্রদেশের সৌন্দর্য আপনি আমাদের এক বাংলাদেশেই উপভোগ করতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম,ত্রিপুরা, মেঘালয় আর মিজোরাম তার সৌন্দর্য বাংলাদেশের সাথে ভাগ করে নিয়েছে।"

আমি উত্তর দিয়ে আবার রোথাংয়ের সৌন্দর্য উপভোগে রত হলাম। রোথাং পাস ( Rohtang pass) হলো হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় পীর পাঞ্জাল রেঞ্জে অবস্থিত একটি উচ্চ গিরিপথ (৩৯৭৮ মিটার বা ১৩০৫০ ফুট) যা মানালি থেকে ৫১ কি.মি উত্তরে অবস্থিত। এটি কুল্লু ভেলিকে হিমাচল প্রদেশের লাহল-স্পিতি ভেলির সাথে সংযোজিত করেছে।রোথাং ভটি( লাদাখের একটি উপভাষা) ভাষা থেকে আগত যার মানে হলো মৃতস্তুপ ; পায়ে হেঁটে খারাপ আবহাওয়ায় এই গিরিপথ পারি দিতে গিয়ে প্রাচীন সময়ে অনেকেই মৃত্যুর শিকার হয়েছিল বলেই এর এমন নাম।ভারতীয় সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম সরবাহে এই গিরিপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধের সরঞ্জাম ও রসদ সরবরাহেও এই গিরিপথ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম ও রসদ সরবরাহকারী যানবাহন , পর্যটকবাহী অতিরিক্ত যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের দরুন রোথাং পাসে প্রায়ই দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে।

রোথাং পাস তেমন কোন যানজট ছাড়াই পার হলাম কিন্তু ঝামেলায় পড়লাম তখন যখন জওয়ানরা ককসার (koksar) গ্রাম থেকে ৫-৭ কি.মি পিছনে বিরাট একটা পাথরে বিস্ফারণ ঘটাল। এই বিস্ফারণের দরুণ রাস্তায় বড় বড় পাথর খণ্ড বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে রইল আর তা সরাতেই আড়াই ঘন্টা সময় লেগে গেল। ফলে আমাদের বাস ট্রাফিকজ্যামের প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারলো না!

এই ট্রাফিকজ্যাম সাপে বরে পর্যবসিত হলো অনেক বাস-আরোহীর জন্য।শীতল আবহাওয়ার জন্য প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন সাধারণ সময়ের চেয়ে দেড়-দুগুণ বেড়ে যায়।পর্বতের আশেপাশে যে যার মত করে প্রকৃতিকে উষ্ণ জল দান করল। আমি সেই সময় রাস্তার পাশের পাহাড়গুলিতে হলুদ রংগের পাহাড়ি ফুলের সাথে চোখাচোখি খেলা আরম্ভ করলাম। হিমবাহ গলে যে জল প্রবাহিত হচ্ছে তাতে চোখ-মুখ ধুঁয়ে নিলাম। বলে রাখা ভাল যে, মানালি থেকে কিলং যাওয়ার পথে আমি যে পরিমাণ ধূলোবালি মেখেছি আর খেয়েছি, তাতে করে আমি এক সপ্তাহ অন্য কিছু না খেয়ে থাকতে পারতাম! এই শীতল জলের উদ্দেশ্যে কয়েকটা বাক্য না বললেই নয়,

"একটা নদী আছে আমার,
যার ঠিকানা -
বুকের মধ্যকার
সেই নদীর সাথেই চলে চড়ুইভাতি আমার, আমার এই নদীর সাথে গোপন মিলন,
এই নদীর অববাহিকায় আমার চলন,
যেমনটা রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়ের ধরণ,
তবে-
আমাদের এই সম্পর্কের কথা-
প্রকাশ্যে স্বীকার বারণ।
কেন যে বারণ-
আমরা খুঁজতে যাই না তার কারণ।"

পাহাড়ের হিমবাহ থেকে কতই না নদীর জন্ম হয়েছে। কারো কারো ব্যপ্তি ক্ষুদ্র বলে তাকে হয়তো নদীর মর্যাদা দেয়া হয় না। আমাদের বুকের মধ্য দিয়েও তো কত নদী বয়ে যায়, যার খবর আমরা ব্যতীত আর কেই বা জানে!

ককসারে যখন পৌছালাম তখন বেলা সাড়ে ৩ টা বাজে। প্রথমে ককসারে অবস্থিত বিদেশী পর্যটকদের নিবন্ধন আফিসে গেলাম। ওখানে গিয়ে নাম,পাসপোর্ট নম্বর, ভিসা নম্বর আর গন্তব্যস্থান নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করলাম। আমার সাথে আরো চারজন বিদেশি ছিল। যাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি, এক রাশিয়ান দম্পতি আর একজন ব্রিটিশ তরুণী ছিল।

নিবন্ধন শেষে পেট মহাশয় সিগনাল দিল যে, "কিছু খেয়ে নে ব্যাটা।" ককসার গ্রামে ৪-৫ টা ছোট ছোট হোটেল আছে। আমি এক হোটেলে ঢুকলাম মোমো খাব বলে। ১০টা মোমো সম্বলিত একপ্লেট মোমো আসল। মোমো যেমনই হোক না কেন আমি এই প্রত্যন্ত গ্রামে হোটেল থাকাকেই বড় একটা ব্যাপার হিসেবে দেখছি। আমি যখন হোটেলওয়াকে মোমোর দাম জিগ্যেস করলাম সে বললো, "একশ রূপি।"

আমি দাম দিয়ে বের হওয়ার পূর্বে পানি যখন পান করব, আমার মেজাজ তখন সপ্তম আসমানে! হোটেলের এক কোণে হিমাচল ট্যুরিজম কর্তৃক খাবারের দাম সম্বলিত একটা মেন্যু কার্ড সংযুক্ত দেখলাম। য়াতে স্পষ্ট করে লেখা যে হাফ প্লেট (৫টা) মাটন মোমোর দাম ৪০ রূপি আর ফুল প্লেট (১০টা) মাটন মোমোর দাম আশি রূপি। আমি সংগে সংগে হোটেলের রান্নাঘরে ঢুকে হোটেলওয়াকে বললাম, "আপকি ম্যাহমান হ্যায় হাম অর আপ হামারি সাথ এয়সা কাম কারতে হ্যায়! আপকো তো পুলিস ম্যায় দে না চাহিয়ে। (আমরা আপনার অতিথি অথচ আপনি আমাদের সাথে এমন কাজ করেন! আপনাকে তো পুলিশে দেয়া উচিত।)"
আমার কথা শুনার সংগে সংগে হোটেলওয়ালা আমাকে ২০ রূপি চুপচাপ ফেরত দিল। তার মুখে কে যেন এসে কাল চুন লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল তখন। আমি কিছু একটা বলতে যাব তার পূর্বেই হোটেলে বসা একজন গ্রাম্যলোক বললেন, "স্যার, উনসে ভুল হোয়ি হ্যায়। মাফ কার দিজে। (স্যার, উনার ভুল হয়ে গেছে।উনাকে মাফ করে দিন।)

আমি কথা আর না বাড়িয়ে বাসে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ পর বাস চলতে শুরু করল। এখন কিছুটা সমতল রাস্তা দিয়ে বাস চলছে। ছোট পাহাড়ি নদী তার পাশ দিয়ে গর্জন দিয়ে বুঝাচ্ছে, "চুপ থাক আর আমার সৌন্দর্য উপভোগ কর! " এখানে রাস্তার আশে পাশে কিছু সবজি ক্ষেত দেখতে পেলাম। মূলত পাহাড়ি এলাকায় চাষাবাদ খুবই কষ্টকর। এজন্যই এখানে ফসলের ক্ষেত খুব কম। যাও আছে তাও নদীর কাছাকাছি। টমেটো, বাঁধাকপি আর সরিষার ক্ষেতই বেশি ছিল।

দেখতে দেখতে কখন যে কেইলংয়ে পৌছে গেলাম তা ঠিক পেলাম বাস কন্ডাকটরের সংকেতের মধ্য দিয়ে। কেইলংই শেষ বাস স্টপেজ। তাই সকল যাত্রী নেমে গেল। তখন ঘড়িতে সাতটা বাজে।

মানালি বাস স্ট্যান্ডে কানাডা প্রবাসী এক ষাটোর্ধ পাঞ্জাবি বুড়ো চাচার সংগে আমার পরিচয় হয়েছিল। তার টুটাফুটা ইংরেজিতে আমি অতীষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম। উনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। উনি আর উনার সহধর্মিণী ছেলের কাছে কানাডায় থাকেন। ছুটিতে উনি একাকী লাদাখ ঘুরতে এসেছেন। ভারতের অমৃতসরে তার আদি নিবাস। এই পাঞ্জাবী চাচার সাথেই (দাদু বললেও ভুল হবে না।) আমি কেইলংয়ে বাসের টিকিট কাউন্টারে গেলাম লেহ যাওয়ার টিকিট কাটতে। পাঞ্জাবি চাচা দুটো টিকিট কাটলেন ৯৮০ রূপি দিয়ে। বাস ছাড়বে ভোর ৫ টা বাজে।

এখন আমাদের মাথায় চিন্তা - কোথায় থাকব আমরা! বাস স্ট্যান্ড গিয়ে দেখলাম দৈনিক ১০০ রুপি/পার পার্সন করে গেস্ট হাউজ ভাড়া পাওয়া যায়। যাতে ৬ টা করে খাট আছে আর রয়েছে টিভি। যার মানে আপনাকে আপনিসহ আরো পাঁচজনের সাথে রুম ভাগাভাগি করে থাকতে হবে। রুম ভাগাভাগি করে থাকতে আমার সমস্যা নেই। সমস্যা হলো এখানে লকার নেই। আমার দামি জিনিসপত্রসমূহ আমি কার ভরসায় রাখব এখানে! তাই গেস্ট হাউজের আইডিয়াটা আমাদের দুজনের কারোরই পছন্দ হলো না।
কয়েকটা হোটেল দেখার পর অবশেষে আমরা উঠলাম হোটেল স্নোল্যান্ডে। ভাড়া ৫০০ রূপি। মন্দ না রুমটা।হোটেলে জিনিসপত্র রেখে আমি আর পাঞ্জাবি চাচা বের হলাম নৈশভোজ করতে।পাঞ্জাবি চাচা ঢুকলেন হোটেল স্নোল্যান্ডের রেস্টুরেন্টে। আমি উনাকে বললাম যে, "আমি বাহিরে সাইট সিয়িং করে আশে পাশের কোন একটা হোটেল থেকে খেয়ে নেব।"

কেইলংকে শহর বললে ভুল হবে। এ যেন শহরের চেয়ে অনেক ছিমছিমে আর গ্রামের চেয়ে একটু বেশি গোছানো। এক ঘন্টা কেইলং ঘুরে আমার ক্ষুধা লেগে গেল। বাস স্ট্যান্ডের পাশেই দেখলাম এক নেপালি দিদির হোটেল। আমি যখন ঢুকলাম তখন উনি বাজার থেকে কিনে আনা আচার বৈয়ামে ভরছিল। আমাকে দেখা মাত্র জিগ্যেস করলেন যে আমি কি খাব। উনি এও বলে দিলেন যে এখন অনেক রাত হয়েছে। তাই ভেজ থালি ছাড়া কিছু নেই। আমি বললাম যে যা আছে আমায় তা দিলেই হবে। উনি ১৫ মিনিটের মধ্যে আমায় খাবার বানিয়ে দিলেন। খাবার সব গরম গরম। ভেজ থালিতে ছিল চাউয়াল (ভারতের অনেক প্রদেশে ভাতকে চাউয়াল বলা হয়।),চাপাতি (রুটি),রাজমা, পালং শাক। নেপালি দিদির খাবার খুব মজাদার ছিল। দামও কম। মাত্র ৬০ রূপি। দিদির রাজমা এতটাই মজাদার ছিল যে আমি আরো এক বাটি রাজমা খেলাম। এই অতিরিক্ত এক বাটি রাজমার জন্য আমাকে ২০ রূপি দিতে হলো, যা দিতে আমার মনে কোন দ্বিধা ছিল না।

খাবার শেষ করে রাত সাড়ে ন'টার দিকে আমি হোটেলে পৌছালাম। হোটেলে গিয়ে দেখি পাঞ্জাবি চাচা শুয়ে আছে। আমি দরজায় টোকা দিতেই উনি খুলে দিলেন আর বললেন যে, " আমার রুমে কেউ কথা বললে কিংবা বাতি জ্বালিয়ে রাখলে আমি ঘুমাতে পারি না।তাই তোমার দরকার হলে তুমি হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে গিয়ে মোবাইল টিপো! "

আমি দেরি না করে আমার প্যান্ট বদল করে স্নানকক্ষে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমুতে এলাম। ভোর চারটে বাজে উঠতে হবে আমাকে। তাই এলার্ম দিয়ে মোবাইল আর ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ দিয়ে ঘুমুতে গেলাম। বিছানায় শরীর লাগতেই বিছানা হলো ঘুমের গালিচা!কাল রাত পোহানের অনেক আগেই আমাদের লেহের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে!





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

সারাফাত রাজ বলেছেন: আপনার ভ্রমণ কাহিনী লেখার ধরণ ইন্ডিয়ান বাঙালিদের মতো। :)
আপনি আর আমি মনে হয় কিলং এ একই হোটেলের খাবার খেয়েছি। অবশ্য উনি নেপালি ছিলেন কিনা আমি জানি না।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩২

মহিউদ্দীন রুবেল ডেল্টা বলেছেন: আপনার ব্লগটি আমি পড়েছিলাম। আমারতো খুব মজার লেগেছে আপনার লাদাখ ভ্রমণের কাহিনী। আমার লিখা ভারতীয় বাংগালিদের মত!

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

জিএমফাহিম বলেছেন: ভাল ছিল। আরও লাগবে। ক্ষুধা মিটে নাই।

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

মহিউদ্দীন রুবেল ডেল্টা বলেছেন: অপেক্ষায় থাকুন। চেষ্টা করব।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভালই লাগছে আপনার সাথে ঘুরতে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মহিউদ্দীন রুবেল ডেল্টা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া।সংগে থাকুন। ☺

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

নিলয় নীল বলেছেন: কিছু বলার নাই

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:১৯

মহিউদ্দীন রুবেল ডেল্টা বলেছেন: বুঝলাম না।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.