![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিজ নেম ইজ - পোলা, দেশী পোলা ; ম্যান উইথ এ ডাবল-ও লাইসেন্স ; টানে সবাইকে, বাঁধনে জড়ায় না
বেলর ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পল ফ্রয়েস একটা পেপার লিখেছেন
Forced Secularization in Soviet Russia:
Why an Atheistic Monopoly Failed
এটা তার অনুবাদ:
কেন রাশিয়ানদের জোরপূর্বক নাস্তিক বানানোর মনোপলি ব্যার্থ হয়েছিল
A philosophy whose principle is so incommensurate with our most intimate feelings as to deny
them all relevancy in universal affairs, as to annihilate their motives at one blow, will be even
more unpopular than pessimism—that is why materialism will always fail of universal adoption.
—William James
(এমন একটা দর্শন যার মূল যুক্তিগুলো এতটাই খেলো যে, সেটা বিশ্বসৃষ্টি সংক্রান্ত আমাদের সবচেয়ে অন্তর্নিহিত অনুভুতিকে নাকচ করে দেয়, সেটা হতাশাবাদ থেকেও বেশি ঘৃণিত হবে, এজন্যই বস্তুবাদ সবসময়েই সার্বজনীনভাবে অজনপ্রিয়)
নাস্তিকেরা ৭০ বছর ধরে সোভিয়েত রাশিয়াতে ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কম্যুনিস্ট পার্টি গীর্জা, মসজিদ, মন্দির ধ্বংস করেছে, ধর্মগুরুদের খুন করেছে, ধর্মবিরোধী প্রপাগান্ডা দিয়ে স্কুল কলেজ ভরিয়ে দিয়েছে। এরা "বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা" নামে একটা অলটারনেটিভ ধর্মবিশ্বাস চালু করতে চেয়েছিল, সেখানে ছিল নাস্তিক আচার, নাস্তিক প্রচার, ও বিশ্ব পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা। কিন্তু শেষমেষ, সোভিয়েত নাগরিকদের মেজরিটি তাদের পুরানো ধর্মবিশ্বাস অটুট রেখেছে, এবং তরুন যুবক যাদের জন্ম হয়েছিল এই নাস্তিক যুগে, তারা কম্যুনিস্টদের পতনের পরে ধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এই প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে, কেন নাস্তিকরা একটা চরম স্বৈরাচারী সরকারে সাহায্য পাবার পরেও রাশিয়াকে পুরাপুরি ধর্মহীন করতে পারে নি
সব গবেষনাতেই দেখা গেছে, সোভিয়েত কম্যুনিস্টরা বিশ্বাস করতো তাদের মতবাদের সাথে ধর্মীয় মতবাদের প্রচুর মিল রয়েছে (see Berdyaev [1931] 1966; Berlin 1996; Kaariainen 1989; McDaniel 1996; Zaehner 1986). বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা, সায়েন্টিফিক এথেইজম, যা ছিল কম্যুনিস্ট পার্টির অফিসিয়াল বিশ্বদর্ষন, তাতে মানুষের বেঁচে থাকার মূল্যবোধ, মরালিটি আইন এবং নাস্তিক আচার অনুষ্ঠান দিয়ে সেটাকে একটা ধর্মীয় আভরন দেয়া হয়েছিল। বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা গঠনের সাথে সাথে সোভিয়েত কর্মকর্তারা সেটাকে প্রচার ও প্রসারের জন্য উঠেপরে লেগেছিলেন। মাঠে, ঘাটে, স্কুলে, টিভিতে সিনেমাতে, পুস্তকে, পোস্টারে, আর্ট কালচার এমনকি উৎসব ও ছুটির দিনগুলোকেও নাস্তিকময় করা হয়েছিল। যারা যারা নাস্তিকতাতে সায় দিত, তাদের জন্য সাপ্তাহিক মিটিং এর ব্যবস্থা ছিল, রবিবারের চার্চের বদলে ওখানে যেত নাস্তিকরা। সবচেয়ে বড় সংগঠনের নাম ছিল সংঘর্ষবাদী নাস্তিক দল(League of Militant Atheists) , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যারা নাম পালটে জ্ঞান পরিষদ(Knowledge Society) নাম নিয়েছিল। সবদিক থেকে নাস্তিকতা থেকে রেহাই পাবার কোনই উপায় ছিল না সোভিয়েত নাগরিকের। নাস্তিক প্রোপাগান্ডা, আচার অনুষ্ঠানের সাথে সাথে ধর্মীয় গোস্ঠীগুলোকে নীপিড়ন হত্যা গুম করে একটা ধর্মহীন নাস্তিক চার্চের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যার সাথে যে কোন দেশের ধর্মীয় মনোপলির তুলনা দেয়া যায়। কিন্ত এত কিছুর পরেও, আস্তিকতার, ঈশ্বরে বিশ্বাসের একটা রেশ থেকে গিয়েছিল সোভিয়েত নাগরিকদের মাঝে। এবং রাশিয়া কম্যুনিস্ট শাসনমুক্ত হবার পরে প্রকাশ্যে নিজেদের নাস্তিক ঘোষনাকারীদের সংখ্যা গিয়ে দাড়ায় শূন্যে। কেমন করে একটা মতবাদ, যেটার পিছনে এত বড় সরকারী সাপোর্ট ছিল, মানুষজনকে আকর্ষন করতে পারলো না?? কারন,
বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা, সায়েন্টিফিক এথেইজম, সরকারের দমনমূলক নীতি ও মতবাদটার মধ্যেকার বিশাল ফাকফোকরের জন্য জনপ্রিয় হতে পারেনি
এই প্রবন্ধে আমি সোভিয়েত ইউনিয়নে বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার চরম ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে আমি মনোপলি ধর্ম নিয়ে কনসেপ্টকে ব্যাখ্যা করবো। তারপর সোভিয়েত রাশিয়ার ধর্মীয় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বলবো, যেখানে অর্থডক্স চার্চকে দূর্বল করে বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতাকে রাষ্ট্রিয়ভাবে সবল করা হয়েছিল। এইসব কারণের প্রেক্ষিতে ধরে নেয়া যায় যে খুব সহজেই সমাজকে ধর্মহীন করা যাবে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার পিছনের শক্তি ছিল রাষ্ট্রের দমন, এটা কোন জনপ্রিয় মতবাদ ছিল না। এরজন্য বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা, সায়েন্টিফিক এথেইজম, রাশানদের কোনই অনুপ্রানিত করেনি, বরং সোভিয়েত সরকারের বানানো বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার চার্চ তাদেরকে হতাশাবাদী করেছে। প্রবন্ধের মূল আলোচনার বিষয় হবে কেন সোভিয়েত নাস্তিকেরা রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সোভিয়েত রাশিয়াকে ধর্মহীন সমাজে রূপান্তরিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইনিশিয়াল(প্রাথমিক) কন্সেপ্টসমূহ
গবেষনায় দেখা গেছে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সদস্যসংখ্যা ও অংশগ্রহন রাষ্ট্রের ধর্মীয় আইনের উপর নির্ভরশীল (see Chaves and Cann 1992; Finke and Stark 1992; Gill 1998;
Iannaccone 1991; Stark and Iannaccone 1994; Stark and McCann 1993)। একটা রাষ্ট্র ধর্মীয় মতবাদের প্রসারকে বেশ কিছু উপায়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। প্রথমত, তারা কর ও খাজনার আইন, ভূমি আইন ও ফৌজদারী বা দেওয়ানী আইন করে একটা বিশেষ ধর্মকে সুবিধা দিতে পারে, ফলে তাদের সেই ধর্মের মতবাদ প্রচার সহজতর হয়। দ্বিতীয়ত, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো রাষ্ট্রের থেকে সরাসরি আর্থিক সাহায্য পেতে পারে। সর্বশেষে, রাষ্ট্র কিছু কিছু চিহ্নিত ধর্মকে আইন করে নিষিদ্ধ করতে পারে, তাদের নেতাদেরকে জেল-জরিমানা এবং ধর্মীয়গুরুদেরকে হত্যাও করতে পারে। এই ক্ষেত্রে, এইসব আইনকে সরাসরি দমননীতি বলেই অভিহিত করা যায়।
রাষ্ট্রের সমর্থনে একটিমাত্র ধর্ম থাকলে সেটাকে বলে "ধর্মীয় মনোপলি" Iannaccone (1991), এক্ষেত্রে একটা ধর্মীয় গোত্র একটা দেশ বা স্থানকে এতটাই প্রচ্ছন্ন প্রভাবে রাখে যে দ্বিতীয় কোন ধর্মের সাথে ঐ স্থানের নিবাসীদের কোন পরিচয় হতে দেয়া হয় না। ধর্মীয় আইনের শিথিলতার উপরে করা গবেষনায় ইউরোপ(Stark and Iannaccone 1994), লাতিন আমেরিকা (Gill 1998) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Iannaccone, Finke, and Stark 1997) ডাটা প্রমান করে যে ধর্মীয় আইনে শিথিলতার সুযোগ পেলে নতুন নতুন ধর্মীয় মতবাদ এবং সংখ্যালঘু ধর্মের উৎপত্তি ঘটে। এইসব গবেষনার ভিত্তিতে গবেষক Stark and Finke (2000:284) এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, "একটা একক ধর্মের কোন একটা রাষ্ট্রের ধর্মীয় অর্থনীতিকে কুক্ষিগত করার ক্ষমতা, সেই রাষ্ট্রের ধর্মীয় অর্থনীতির উপর চালানো দমনীয় নিয়ন্ত্রন নীতির উপরে নির্ভরশীল
ধর্মীয় অর্থনীতির উপর নিয়ন্ত্রন নীতি না থাকলে, অথবা ধর্মপালনে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকলে, ধর্মীয় বাজার খুবই প্রতিযোগিতামূলক হবে, কারন সেক্ষেত্রে প্রচুর ধর্মীয় মতবাদের প্রচার ও প্রসার চলবে। যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় বাজার এর উদাহরণ, যেখানে ধর্মীয় মতবাদের উথ্থান পতন ঘটে সেই ধর্মের অনুসারীদের প্রচার ও প্রসারের সাফল্যতার উপর। এই প্রেক্ষাপটে, সবচেয়ে কার্যক্ষম ধর্মীয় প্রতিযোগিতার কারণে, কোন একটা মতবাদ আমেরিকার ধর্মীয় বাজারকে কুক্ষিগত করতে পারেনি, এবং প্রতিদিনই নতুন নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রস্ফুটিত এবং মহীরুহে পরিনত হচ্ছে (Finke and Stark 1992).
বিপরীত দিকে, ধর্মীয় মনোপলিসমূহ জনগনের জনপ্রিয়তার চাইতে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার উপর বেশি নির্ভর করে, সেকারণে একটা রাষ্ট্রের প্বষ্ঠপোষকতা পাওয়া ধর্মীয় মতবাদ জনগনের কাছে তাদের মতবাদ পৌছানোর জন্য অতটা কষ্ট করে না। গবেষক Gill (1998:68) এভাবে বুঝিয়েছেন, "যদিও মনোপলি এই নিশ্চয়তা দেয় যে সেই ধর্মের গ্রাহকরা অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে পারবে না, ধর্মীয় গুরুদের অবহেলা ও উন্নাসিকতা সাধারন ধর্মঅনুসারকদের সেই ধর্মের সনৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, ফলে ধর্মের মতবাদটি অজনপ্রিয় এবং ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন কমে যায়।" রাশান সাম্রাজ্যে ঠিক এটাই ঘটেছিল, ১৭২১ থেকে ১৯১৭ পর্যন্ত রাশান অর্থডক্স(মৌলবাদী) চার্চ রাশান জার সম্রাটের আজ্ঞাবাহী ছিল (Ramet 1998:229)। এই রাষ্ট্র সমর্থিত ধর্মীয় মনোপলি সবদিক দিয়ে সরকারের একটা শাখা হিসাবেই গন্য হতো, এবং নতুন ধর্মানুসারী পাবার জন্য তাদের কোনই কার্যক্রম ছিল না। এবং পশ্চিম ও পূর্ব ইউরোপের উনিশ শতকের দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে রাশানদের চার্চগমনের হারও মারাত্মকভাবে সে সময় কম ছিল। (Iannaccone 2002).
নাস্তিকরা ক্ষমতায় আসার পরে, ধর্মীয় আইনগুলো পুরোপুরি ভাবে পাল্টে দেয়া হয়, রাশান অর্থডক্স(মৌলবাদী) চার্চ কে সহায়তাকারী আইন পাল্টে পুরোপুরি ভাবে ধর্মদমনকারী আইনের প্রচলন করা হয়। ধর্মকে সরিয়ে ফেলার জন্য সোভিয়েত সরকার একটা সরকারী নাস্তিক প্রতিযোগিকে সমর্থন শুরু করে। এভাবঐ "বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা" রাশিয়ার নতুন ধর্মীয় মনোপলিতে পরিনত হয়। যদিও নতুন ধর্মীয় মনোপলি "বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা" পুরাতন মনোপলিকে কখনোই পুরোপুরিভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারেনি।
সোভিয়েত রাশিয়ার ধর্মীয় অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট
বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়া বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার মতবাদ প্রচারের জন্য একটা আদর্শস্থান ছিল। রাশান বিপ্লবের আগেভাগে বেশিরভাগ জনগন রাশান রাজনীতি এবং সংস্কৃতিক কৃষ্টি ও কালচার নিয়ে হতাশায় ভুগছিল, অনেকেই সমাজতন্ত্রবাদীদের প্রতিজ্ঞিত সোসালিস্ট ইটোপিয়াতে বিশ্বাস করেছিল।
বাস্তবে রাশান কম্যুনিস্টরা সোভিয়েট ইউনিয়নের বাইরের অনেক দেশ ও জাতির লোকজনকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিল যে "তাদের কাছে আধুনিক জীবনযাত্রার একটা নতুন ও কার্যকরী সংজ্ঞা রয়েছে" (McDaniel 1996:14)। কাকতালীয়ভাবে, সেই সময়ে রাশিয়ার মুখ্যধর্মীয় ব্যবস্থায় ছিল একটা দূর্বল অথচ সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্র সমর্থিত রাশান অর্থডক্স চার্চ। কম্যুনিস্টরা ক্ষমতায় আসার পরে চার্চ ওদের অধীনসম্পত্তিতে পরিনত হয়। Sabrina Ramet (1998:229) থেকে আমরা নীচের উক্তিটি পাই :
"রাশান অর্থডক্স চার্চ সম্পূর্ণভাবে সোভিয়েত রাষ্ট্রের অধীনস্থ এবং রাষ্ট্র পরিচালিত ছিল, চার্চের সকল পত্রপত্রিকা প্রকাশের আগে কেজিবির অনুমোদন নিতে হতো, চার্চের পাদ্রীদের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং পদাবনতিও হতো কেজিবির তত্ত্বাবধায়নে। চার্চে সেমিনারি (মাদ্রাসা) শিক্ষা কার্যক্রম ছিল রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রনে। ধর্মগুরু ও পাদ্রীদের মধ্যে অনেকেই কেজিবির এজেন্ট ছিল, রাশান অর্থডক্স চার্চ এর সর্বোচ্চ ধর্মগুরুকে স্বদেশে ও বিদেশে সোভিয়েত সরকারের অনুকুলে বক্তব্য রাখতে বাধ্য করা হতো "
কিছু কিছু উচ্চাভিলাষী পাদ্রী আবার এককাঠি এগিয়ে সরাসরি নাস্তিকদের মুখপাত্রে পরিবর্তিত হয়, অনেকটা একধর্মের পাদ্রী থেকে অন্য ধর্মের পুরুত হওয়ার মতো (Ramet 1998:230)। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথমদিকে বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা কিছুটা সফলতা পেয়েছিল। এমেলিয়ান ইয়ারোস্লাভস্কি, Emelian Yaroslavsky, যে মিলিট্যান্ট নাস্তিক সংঘের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, বলেছেন যে, আগেরকার সকল ধর্মহীনতা আন্দোলন সফল হয়নি কারণ সেইসব আন্দোলনের পদক্ষেপগুলি যথাযথভাবে বৈজ্ঞানিক ছিল না। ইয়ারোস্লাভস্কি মনে করতেন সোভিয়েত ধর্মহীনতার প্রচেষ্টা পুরাতন বিফলতাকে কাটিয়ে উঠতে পারবে, কারন সোভিয়েত নাস্তিকতাই হল সহি বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতা।
there can be no doubt that the fact that the new state of the USSR led by the Communist Party, with a program
permeated by the spirit of militant atheism, gives the reason why this state is successfully surmounting the great
difficulties that stand in its way—that neither “heavenly powers” not the exhortations of all the priests in all the
world can prevent its attaining its aims it has set itself. (Yaroslavsky 1934:59)
(এটা সন্দেহাতীত যে নয়া সমাজতানত্রিক সোভিয়েত রাশিয়ার উগ্রবাদী নাস্তিকতার কারণেই দেশটা ধর্মহীন হইতেছে, কোন বেহেস্তী ক্ষমতা অথবা পাদ্রীদের জোরাজুরি দিয়ে এই ধর্মহীনতা ঠেকানো যাবে না - ইয়ারোস্লাভস্কি)
সোভিয়েত সরকারে সহায়তায় উগ্রবাদী নাস্তিকেরা দেশটাকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে পুরাপুরি ধর্মহীন করার যুদ্ধে নামে। উগ্রবাদী নাস্তিক সংঘ (মিলিট্যান্ট এথিস্ট) এর হিসাব মতে ১৯২৬ থেকে তাদের সদস্যসংখ্যা বেড়েই চলেছিল (টেবিল ১)
১৯৩২ সালের দিকে নাস্তিক সংঘের ৫৬ লক্ষ সদস্য ছিল বলে দাবী করা হয়। এই সদস্যসংখ্যা একটু সন্দেহজনক কারণ কম্যুনিস্ট পার্টির মেম্বার তখন ছিল ১৮ লাখ। একটা উগ্র নাস্তিকবাদী ফট করে কম্যুনিস্টদের তিনগুন সদস্য যোগার করাটা সন্দেহজনক ডাটা। যাইহোক, ১৯৩১ সালে নাস্তিক সংঘ আবিষ্কার করে যে অর্ধেক সদস্যই লেলিনগ্রাদ আর মস্কোর অধিবাসী (Kolarz 1962:11), এজন্য এই শহরের বাইরে "নাস্তিক সেল " গঠন করার জন্য নাস্তিক সংঘ মরিয়া হয়ে ওঠে, যাতে করে গ্রাম্য নাগরিকরাও বৈজ্ঞানিক নাস্তিকতার শিক্ষালাভ করে।
What parishes are for the Church the cells were to be for the League of Militant Atheists, only cells were to
outnumber the parishes at the ratio of sixty to one or so. The Five Year Plan of anti-religious propaganda which
was adopted in 1932 and was to run until 1937 provided for the organization of 400,000 cells in town alone; not
less than one cell was to be founded in each factory, government office and school. In addition, 600,000 cells were
to be founded in the countryside, one cell in every inhabited locality, collective farm and machine tractor station.
(Kolarz 1962:11)
ACTIVE ATHEISTS AND PARTY MEMBERS
Official Atheist Communist Party
Year OrganizationMembers Full Members
League of Godless
1926 87,000 639,652
1929 500,000 1,090,508
1932 5,670,000 1,769,773
1941 3,500,000 2,490,479
Knowledge Society
1947 1,414 4,774,886
1950 130,000 5,510,787
1958 800,000 7,296,599
1963 1,200,000 9,581,149
1967 1,800,000 12,135,103
1970 2,500,000 13,395,253
Sources: League of Godless (Pospielovsky 1987:60–61); Knowledge
Society (Powell 1975:50); Communist Party (Scherer 1984:30–31).
সব মিলায় দশলাখ শাখা গঠন করতে চেয়েছিল ইয়ারোস্লাভস্কি, কিন্তু সেচ্ছাসেবকে ঘাটতি পরায় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। নাস্তিক সংঘের পাচশালা পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এতকিছুর পরেও ইয়ারোস্লাভস্কি ১৯৩৭ এর সোভিয়েত আদমশুমারীতে একটা ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন ঢুকিয়ে দেয়। কিনতু এর ফলাফল হিসাবে নাস্তিক সংঘ ১৯৪১ এ ভেঙে যায়, এবং পরবর্তী সোভিয়েত আদমশুমারীতে নাগরিকের ধর্ম নিয়ে কোনই প্রশ্ন ছিল না। যদিও ১৯৩৭ এর সোভিয়েত আদমশুমারীর ফলাফল সহজলভ্য নয়, সোভিয়েত দলিলপত্র অনুযায়ী ৫৬% নাগরিক নিজেদেরকে আস্তিক হিসেবে পরিচয় দেয় (Corley 1996:76; Fletcher 1981:211)। ইয়ারোস্লাভস্কির ভুল অনুমান ছিল দুই তৃতীয়াংশ আস্তিকেরা গ্রামে বাস করে (Pospielovsky 1987:65)। দলিলে দেখা যায় ১৯০০ সালের ১০০% আস্তিকতা থেকে কিছুটা হলেও নাস্তিকের হার বেড়েছিল, কিন্তু স্টালিন আর ইয়ারোস্লাভস্কির মতে নাস্তিক বৃদ্ধির হার সন্তুষ্টিকর ছিল না, (Pospielovsky 1987:65)
শুমারীর ফলাফল সন্তুষ্টিজনক ছিল না, কারণ কম্যুনিস্টরা ভেবেছিল লোকজন দলে দলে নাস্তিক হবে। প্রকৃতপক্ষে, লোকজন বাহ্যিক ধর্মপালন করা কমিয়ে দিলেও সেই পরিমানে নাস্তিক হয়ে যায়নি।
১৯০০ সালের দিকে, অর্থডক্স ছাড়া বাকি খ্রিস্টান গ্রুপগুলির মুরিদ সংখ্যা ছিল জনসংখ্যার ১০%(Barrett, Kurian, and Johnson 2001)। ব্যাপ্টিস্ট, এভান্জেলিকাল, ফ্লাগেলান্টস, মেননাইট, ওল্ড বিলিভার, পেন্টাকস্টাল ও টলস্টয়ানরা ছিল এইসব গ্রুপের মধ্যে অন্যতম (Corley 1996)। শতকের মাঝামাঝি সময়ের দিকে সোভিয়েত ধর্মের প্রেক্ষাপটে, হিন্দু হরেকৃষ্ণ, জেহোভা উইটনেস, সেভেন্থ ডে এডভেন্টিস্ট এবং অন্যান্য নয়ানয়া ধর্ম অনুপ্রবেশ করে। ডাটা দেখলে বোঝা যায় (টেবিল ২), একই সাথে অর্থডক্স ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা কমার সাথে সাথে প্রটেস্টান্ট ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল। ১৯০০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে নন-অর্থডক্স খ্রিস্টানদের (ক্যাথলিক ছাড়া) সংখ্যা সোভিয়েত জনগনের জনসংখ্যার ১১% থেকে ৩১% এ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
ছোট ছোট মিশনারী গ্রুপগুলো কমিউনিজমের সময়ে অনুসারী বাড়াতে পেরেছিল, কারণ ওরা সরকারে ভ্রুকুটি থেকে নিজেদের বাচানোর সাথে সাথে চুপেসারে অনুসারী যোগাড় করেছিল। বিপ্লবের আগে, রাশান সাম্রাজ্যের সরকার অর্থডক্স ছাড়া বাদবাকি সব ধর্ম বাতিল ঘোষনা করেছিল (Corley 1996)। ক্ষুদ্র ধর্মীয় গ্রুপগুলো রাশিয়ার এই দমন নীতির সাথে আগেই পরিচিত ছিল, এজন্য কম্যুনিস্ট বিপ্লবের পরেও তাদের লুকিয়ে লুকিয়ে অনুসারী বাড়াতে সমস্যা হয় নি।
সফল গ্রুপগুলো একে অন্যের কাছ থেকে অনুসারী বাড়ানোর টেকনিকগুলো রপ্ত করতো। সোভিয়েত প্রবাসী একজন মেননাইট পাদ্রী আরেক ইভান্জেলিকাল পাদ্রীর টেকনিক সম্পর্কে লিখেছেন
"ধর্মপ্রচার করা বড়ই অসম্ভব ছিল কারণ ধর্মযাজকের ঐ এলাকায় রেজিস্টার করার নিয়ম ছিল। এটাকে পাশ কাটানোর জন্য একজন অতিথি হিসাবে ধর্মযাজককে তার অনুসারীরে কোন অনুষ্ঠানে কিছু বলতে বলতেন, এই সুযোগে পাদ্রী যীশুর বাণী প্রচার করতো। জন্মদিন, গানের অনুষ্ঠানকে ধর্মপ্রার্থনা সভায় রূপান্তরিত করা হতো। একটা খ্রিস্টান বিয়েতে কৌশলে নাস্তিকদের দাওয়াত দিয়ে ধর্মের দাওয়াত দেয়া হতো। নাস্তিকরাও মদ না খেয়ে আনন্দ করার শিক্ষা পেয়ে খুশীই হতো। বিশেষ করে কেউ মারা গেলে যাজক চেষ্টা করতেন মৃত্যু নিয়ে বিশেষ করে কিছু বলতে যাতে জীবিতরাও ধর্মের সুশীতল ছায়াতে আসতে উৎসাহ পায়। (Sawatsky 1984:2)"
সোভিয়েত নাস্তিকরা এইসময়ে ধর্মের প্রচার ও প্রভাব বৃদ্ধি টের পেয়েছিল, কিন্তু তারা এটাকে গ্রাম্য লোকজনের কুশিক্ষার বহিপ্রকাশ বলে তাচ্ছিল্য করতো। Barmenkov (1984:112) বলেন
" গ্রাম ও শহরের পেটিবুরজোয়ারা ধর্মের শান্তিবাদী সহমর্মী শিক্ষার প্রতি আকর্ষন বোধ করতো। এবং এসময়ে ধার্মিকের পরিমান বিশেষ বৃদ্ধি না পেলেও অর্থডক্স চার্চের অনুসারীদের অন্য ধর্মের অনুসারী হওয়ার পরিমান বেড়ে গিয়েছিল"
এজন্য, নাস্তিকেরা ভাবতো, অর্থডক্স চার্চের অনুসারীরা যেহেতু কমছে, এটার মানে হচ্ছে নাস্তিকদের প্রপাগান্ডা সফল। ক্ষুদ্র ধর্মীয় গ্রুপগুলাকে নাস্তিকরা আস্তিকতার শেষনিশ্বাস বলে উপহাস করতো এবং সেগুলো এমনিতেই নিশ্চিহ্ন হবে বলে মনে করত। এজন্যই এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপগুলো সোভিয়েত ধর্মহীনতার যাতাকল থেকে রেহাই পায়। মজার বিষয় হলো, কম্যুনিস্ট পার্টি নাস্তিকতার বদলে ধর্মীয় বহুলভ্যতার সূচনা করে সোভিয়েত ইউনিয়নে। অর্থডক্স চার্চের অনুসারীদেরকে অত্যাচার করে ক্ষুদ্র ধর্মীয় গ্রুপগুলাতে অনুসারী বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত চলতে থাকে। সত্য ঘটনা হলো, কম্যুনিজমের শেষভাগে নয়া ধর্মের যে পুনবিস্ফোরন হয়, সেটার মূল কারণ হলো অর্থডক্স চার্চের অনুসারীদেরকে অত্যাচার করে ক্ষুদ্র ধর্মীয় গ্রুপগুলাতে অনুসারী বাড়িয়ে দেয়া (Greeley 1994).
(বাকিটা পরের পর্বে)
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:০৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩০
দেশী পোলা বলেছেন: ধন্যবাদ, কেমন আছেন?
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:১৩
যোগী বলেছেন:
আরে দেশী পোলা মামা তুমি ফিরা আইছো, পুরাই টাস্কি!
চোখে ভুল দেখতাছিনাতো।
তা তুমি মামা কেমন আছো? কবে ছাড়া পাইলা?
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩০
দেশী পোলা বলেছেন: নাহ, ভুল দেখোনি
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ফিরে আসায় স্বাগতম।
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লষনধর্মী পোষ্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাশীয়ার এই চরম বাস্তবতার পরও বাংলাদেশে নব্য নাস্তিক নামধারীরা সেই অপচেষ্টাই আবারও করতে চায়!!!!
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: কিন্তু চাইনিজরা পারছে ক্যামনে জানি। ওদের বেশিরভাগই এখন নাস্তিক। নতুন ২-৩ প্রজন্মের কথা বলতেছি আরকি।
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
দেশী পোলা বলেছেন: চাইনীজরা বেশীর ভাগ নাস্তিক নয়, বেশির ভাগ কনফুসিয়াজম, বৌদ্ধ বা তাওইজম এ বিশ্বাস করে, মাইনরিটি ধর্মের মধ্যে ইসলাম ও এনিমিজম,লোকধর্ম টাইপের ধর্মও আছে
নয়া নয়া ধর্ম যেমন ফালুন দাফা ও প্রোটেস্টান্ট অফশুট গুলাকে চীন সরকার বিশ্বাস করে না। এজন্য ওদের উপর নীপিড়ন চলছে
en.wikipedia.org/wiki/Religion_in_China
৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: উইকির তথ্য ঠিক না। আমি নিজে অনেকদিন ছিলাম, আমি জানি। ওদের দেশে সরকারীভাবে বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বাবা মাও নিজের সন্তানকে কোন ধর্ম পালনের জন্য জোর করতে পারেনা আইন অনুযায়ী। আর যেহেতু সেই সময়টাই বিশ্বাস শক্ত হবার সময়, তাই তাদের মধ্যে ধর্মীয় কোন বিশ্বাসই নাই এখন।
আমি নিজে অনেককে জিজ্ঞেস করছি। বলছে, বৌদ্ধ, কিন্তু বিশ্বাস করেনা। মাও আসার পর ধর্ম চীন থাইকা পালাইছে। যারা মানে তারা আগের প্রজন্মের, এই প্রজন্ম প্রায় পুরাই নাস্তিক।
যেমন, আমার সাথে ৪ জন দোভাষী কাজ করছিলো, এদের সবাই নাস্তিক ছিলো।
১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০৭
দেশী পোলা বলেছেন: আপনার জ্ঞানে ঘাটতি আছে, যেটার জন্য অনেক কিছু সেই দেশে অনেকদিন থেকেও আপনি ঠিক বুঝতে পারেন নি
এ বিষয়ে অনেক গবেষনা আছে, উইকিপিডিয়া থেকেই রেফারেন্স পাবেন
আপনার মেধাতে কুলোলে কিছু বইপত্রও পড়তে পারেন
একটার লিনক দিলাম
Religion in China
Survival and Revival under Communist Rule
Fenggang Yang
http://ukcatalogue.oup.com/product/9780199735648.do
৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
নীল জানালা বলেছেন: আরে...দেশী দেখা যায়!!!! দেশীরে দেইখা লগিন কর্লাম।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:১০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ভাল লাগল
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাশিয়ায় কেহ কোনদিন দাবী করেনি যে, সে নাস্তিক।