নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ,আমি গর্বিত এবং দৃঢ় চিত্তে ভীষণ উচ্ছ্বাসিত, স্বপ্নীল সোঁনার বাংলার বিশ্বে মাথা উঁচু, আপনা পূর্ণতা নিয়ে।
গৃহকর্মী নামে মহিলা শ্রমিক নিয়োগ নিমিত্তে,যে সকল মুসলিম আইকন দেশ সূমহ, বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র হিসাবে সহযোগিতার কথাবলে,এ দেশ হতে মহিলা শ্রমিক নিচ্ছে ও নতুন করে চাহিদা পাঠাচ্ছে। মূলত ঐ সকল দেশে আমাদের নারী শ্রমিকদের শ্রমের বাস্তবচিত্র ধরণ শতভাগ ভিন্ন!
বিদেশের মাটিতে পা দেওয়ার সাথেসাথে তারা চলে যাচ্ছে স্ব-স্ব এজেন্সি হাতে। এজেন্সি গুলোর কাছে সেই দেশের বিত্তশালী নাগরিকগন পূর্বেই তাদের চাহিদাপত্র দিয়ে রাখেন এবং পছন্দমত নারীশ্রমিক তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, হাটবাজার বসিয়ে রীতিমত দরদাম হাঁকিয়ে, অর্থের বিনিময়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যা সেই দেশের ঐতিহাসিক কাল হতে চলে আসা, ইসলাম অনুমোদিত যৌনদাসী প্রথার প্রকৃত চিত্রপট।
এই যৌনদাসীদের ক্ষেত্রে নতুন করে শুধু সাথে নির্দিষ্ট মাসিক বেতন প্রদান যোগ হয়েছে। মালিক তার ক্রয়কৃত নারী শ্রমিক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে, দিনরাত বিরতিহীন অমানবিক কাজ করাচ্ছে,রান্না, পরিবেশন,পরিষ্কারকরণ এবং পরিবারের সব সদস্যদের দেহমর্দন। সকল কাজ শেষে ক্লান্ত একটু অবসর যখন,তখনি শুরু হচ্ছে ভয়াবহ যৌন নির্যাতন,পরিবারের মা বাবা, ছেলে মেয়ে সকল সদস্যের সামনে কর্তাব্যক্তি নির্দয় ঝাঁপিয়ে পরছে, তারপর ঢুকছে ছেলে!
এমনি করে প্রতিদিন সিরিয়ালে চলছে ভয়াবহ হিংস্র যৌন উল্লাস!!বাড়ির কাজে পান থেকে চুন খসলে কিংবা যৌনকর্মে আপত্তি জানালেই,কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই শুরু হয়, বিশেষ ছড়ি দিয়ে বেদম নির্দয় প্রহার,একটানা চলতে থাকা এলোপাথাড়ি অসহ্য এই বেত্রাঘাত হতে বাঁচতে, গগন বিদারী চিৎকারে গৃহকর্মী দৌড়ে ছুটে যায় পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে,কিন্তু বেচারার এই মরণ অর্তনাদ কারো মনপাথর গলাতে পারে না,প্রাসাদ গলিয়ে সে নিত্যকান্না বাতাসে ভেসে যাওয় অসম্ভব! আর যৌনদাসীর জন্য সে দেশের আইন এই কান্না সমর্থন করে না।
সুতারাং ইচ্ছে করলেই ফোনে দেশে জানানো,পলায়ন,চাকুরী ইস্তফা কিংবা আইনের সাহায্য অসম্ভব!যেখানে আবার আমাদের দূতাবাস নির্লজ্জ অন্ধ কালা। মুসলিম মানবতার আদর্শ ধারণ,বাহন করা দেশ গুলিতে দীর্ঘদিন হতে চলে আসা এই নির্মমতা,এই অসহায়া গুমোট চিৎকার,আধুনিকপ্রযুক্তির ছোঁয়াতে অবশেষে বাংলার বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে। স্বপ্নীল জীবনের টানে প্রাপ্তি এমন নির্মম মৃত্যু আর বুকফাটা অর্তনাদ। সত্যিই আমরা বড়ই ব্যথাহত।এই ঘৃণ্যতম অমানবিক হিংস্রতার বিরুদ্ধে এদেশের ঈমানীদল গুলির এখন পর্যন্ত কোনই প্রতিবাদ লক্ষনীয় নয়?মানবাধিকার সংস্থা অথবা মঞ্চে মিডিয়ার সামনে চেতনার গলাবাজ, সুশীলবদের ও দায়সারা মানববন্ধন, মায়াকান্না বরাবর থেমে আছে! বিষয়টি আমাদের জাগ্রত স্বত্বার জন্য স্পর্শকাতর!
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: জেনে বুঝে নয়,বিদেশ মানেই অতি অল্পে অধিক অর্জন! তাই দেশের কর্ম বর্জন। পুরোনো বাঙালী রোগ
ধন্যবাদ
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
নুরহোসেন নুর বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে মহিলা শ্রমিকদের পাঠানো বন্ধ হোক,
অন্তত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে না।
আরবীরা প্রাচীন যুগ থেকেই বর্বর,
দরকার নেই আমাদের মানবতার।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: যথাযত বলেছেন ভাই,
অসংখ্য ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: যৌনদাসীর মত ব্যবহার করা হচ্ছে।
এখনই বাংলাদেশী নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ হোক।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।
বন্ধ সমাধান হতে পারে না,
কর্ম পরি্বেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চত করতে হবে,
তারপর পাঠানো হোক।
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৮
আহা রুবন বলেছেন: সরকার সৌদিতে নারীদের গমন পুরোপুরি বন্ধ না করলে কিছুই করার নেই। মেয়েরা লোভে পড়ে এবং পবিত্র ভূমিতে পা রাখতে পারবে সেই ধর্মীয় আবেগের কারণে সৌদিতে যেতে উৎসাহিত হয়।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার কেন সৌদিকে ধমক দিচ্ছে না?? কেন জানতে চাচ্ছে না তারা কেন আমাদের দেসের নারীদের অত্যাচার করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দেশে কি কর্মসংস্থান নেই ?
নাকি দেশে কাজে অনীহা ?
সর্বোপরি চিন্তা ভাবনার সময় এসেছে। এই রীতি বহুকাল ধরে চলেছে। ভালো পোস্ট দিয়েছেন।