নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নব্বই দশকের এসএসসি / এইচএসসি

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯

এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বেড়িয়েছে। পত্রিকার প্রথম পাতা ভাল রেজাল্ট করা ছাত্রীদের (ছাত্রদের নয়) হাস্যমুখের ছবিতে ভরপুর। ফেসবুকও পিছিয়ে নেই। এ প্লাস পাওয়া ছাত্রছাত্রিদের ছবিতে ভরপুর ফেসবুকের নিউজফিড। যাই হোক এই যুগের এ প্লাস বা জিপিএ ৫ এর নিয়ন কানুন আসলে ঠিক বুঝি না। তবে পরিচিত অপরিচিত সবার ছেলেমেয়েকেই শুনি যে এ প্লাস পেয়েছে। তাই আসলে মেধা যাচাইটা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আমরা যারা নব্বই দশকের ছাত্রছাত্রী ছিলাম ,আমাদের সিস্টেম ছিল ভিন্ন। এসএসসি / এইচএসসি পরীক্ষায় রেজাল্ট হত তিনটি বিভাজনে- ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশন ও থার্ড ডিভিশন। ৬০০ মার্কের উপরে পেলেই ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়া যেত। ৭৫০ এর ওপড় পেলে স্টার মার্ক্স। এছাড়া বিভাগ ভিত্তিক মেধা তালিকায় (প্রথম বিশজন) স্থান পাওয়াদের বলা হত স্ট্যন্ড করেছে।সেই সময়ে চারটি বিভাগ ছিল দেশে। ঢাকা , চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও বরিশাল। রেজাল্ট বের হবার পর চারটি বিভাগের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান পাওয়া ছাত্র/ ছাত্রীর গর্বিত মা বাবার মাঝখানে বসে হাস্যমুখের ছবিতে জ্বলজ্বল করত পত্রিকার প্রথম পাতা। এছাড়াও মেধা তালিকায় স্থান পাওয়াদের (প্রথম বিশ জন) নামও পত্রিকার প্রথম পাতায় ঠাই পেত।স্কুলগুলোর অবস্থান নির্নয় হত ছাত্র ছাত্রীদের পাশের হার, ফার্স্ট ডিভিশন এবং স্টার পাওয়া সংখ্যার ওপড় ভিত্তি করে।আমাদের সময়ের এই সিস্টেমে মেধা যাচাইয়ের প্রক্রিয়াটা ছিল খুব ক্লিয়ার।প্রত্যেকেই খুব ভালভাবে বুঝে নিতে পারত যার যার অবস্থান। আজকের যুগে গনহারে এ প্লাস পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা বা তাদের মা বাবারা বুঝে নিতে পারে না ঠিক কোথায় তাদের অবস্থান।

পৃথীবির আর সব দেশে শিক্ষাব্যবস্থাকে দিন দিন উন্নত ও যুগোপযুগী করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। আর আমাদের দেশে পাবলিক পরীক্ষাগুলো দিনকে দিন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।প্রশ্ন ফাশ এখন একটা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিনত হয়েছে। দেশে যার এখন একটু সামর্থও আছে সেও এখন চেষ্টা করে ছেলেমেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে। চাহিদার কারনে দিন দিন বাড়ছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সংখ্যা এবং এর ব্যায়। আমাদের সময়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ছিল গুটিকয়েক। তখনকার সময়ে পাবলিক পরীক্ষাগুলো অত্যন্ত মানসম্পন্ন হবার কারনে ইংলিশ মিডিয়ামে কেউ সন্তানদের পাঠাতো না। শহড়ের নামকরা স্কুলগুলোতে সন্তানদের ভর্তি করানোর জন্য বরং অভিভাবকেরা প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যেত।

চোখের সামনে শিক্ষাব্যবস্থার এই অধঃপতন দেখতে বড় কষ্ট হয়।



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আসলে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ক্ষমতায় যারা থাকে তারা শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এবং পাশের হার বৃদ্ধিতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। পাশের হার বৃদ্ধি করার জন্য পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের উচ্চ পর্যায় থেকে অনেক সময় উদারতা হওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেয়া হয় শুনেছি।

যতদিন আমাদের দেশে নোংরা রাজনীতির চর্চা চলবে ততদিন শুধু শিক্ষা ব্যবস্থা নয় সকল ব্যবস্থাই অধঃপতনের দিকে যাবে।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরোপুরি একমত আপনার সঙ্গে। কিন্তু আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে এর বিরুদ্ধে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীকে। এই দুই শ্রেনীর মানুষের মুল লক্ষ্যই হচ্ছে , সন্তানদের ভাল শিক্ষা দিয়ে সমাজে তাদের ভাল ভাবে প্রতিষ্ঠা করা। তাদের এই মৌলিক অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

মেমননীয় বলেছেন: বর্তমান গ্রেডিং সিস্টেম বুঝি না। তাই আমি আমার মত সিস্টেম করে নিয়েছি।

গোর্ডেন A+ মানে নব্বই দশকের স্টার।
A মানে নব্বই দশকের প্রথম বিভাগ।
A- মানে নব্বই দশকের দ্বিতীয় বিভাগ।
B মানে নব্বই দশকের তৃতীয় বিভাগ।

বাকী গুলা ফেল!

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল বলেছেন । তবে মেধা তালিকাতো দেখি না। স্ট্যান্ড করারা কই?

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: শিক্ষার জন্য যদি উন্নয়ন না থাকে তাহলে i am golden A+ হয়ে থাকতে হবে আজীবন। আর এ দায় শিক্ষা ব্যবস্থাপকদেরকে নিতে হবে সবার আগে।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ছাত্র ছাত্রিদের নিয়ে ট্রল করা হয়। তাদের এই অবস্থার জন্যতো তারা দায়ী নয় কোনভাবেই।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

মো: রাকবিুল ইসলাম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার চোখে কি দেশে কোন কাজই ভাল না??? সব ই খারাপ ??? অন্তত একটা ভাল দিক নিয়ে লিখুন (৯০ দশকের চেয়ে)

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ নিয়ে লেখার জন্যতো আপনারা আছেনই

৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সময় লেখা পড়া খুব সুন্দর ছিল।
এযুগের এমবিএ করা একটা ছেলে একটা ইংরেজীতে দরখাস্ত লিখতে পারে না।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্যাঙ্গের ছাতার মত গাদা গাদা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো শিক্ষা ব্যবস্থা অধঃপতনের আরেকটা কারন। নর্থ সাইথ দিয়ে শুরু এই অধঃপতনের

৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

মেমননীয় বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল বলেছেন। তবে মেধা তালিকাতো দেখি না। স্ট্যান্ড করারা কই?

আছে, গোর্ডেন A+ এর মাঝেই আছে।
এখন আর মেধাতালিকা করা হয়না তাই লিস্টে দেইনি নি।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: জেলা ভিত্তিক মেধা তালিকা সিস্টেম উঠিয়ে দেয়ার হঠকারী সিদ্ধান্তটা কোন সালে হয়েছে জানেন কি?

৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

রেযা খান বলেছেন: আমি তখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি, স্কুল থেকে মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ায় দুই বছর পিছিয়ে ছিলাম। তাই কথাগুলো মনে আছে এখনও। আমার একজন জ্যেঠা ছিলেন, তিনি আশি দশকের আগের মেট্রিক পাশ। অথচ তিনি যখন ইংরেজী পড়াতেন, হা করে থাকিয়ে থাকতাম। মনে হতো কোন ইংরেজ এসে পাঠদান করছে। অথচ আমরা এখন মাস্টার্স শেষ করেও ইংরেজীতে কথা বলতে পারি না। যদি পড়ালেখার মান এতো উন্নত হয়, তাহলে এই অবস্থা কেন। বলতে পারি, অবকাঠামোগত উনয়ন হয়েছে, মানুষ আগে গাছ তলায় গিয়ে পড়তো, শিক্ষকগণ অবসরে গেলে বগলের নিচে একটা ছাতা আর একটা হারিকেন পেতো। আর এখন মোটা অংকের সম্মানী পায়। গুণগত উন্নয়ন হয়নি বলতে পারি নির্দ্বিধায়।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: অত আগের কথা নাহয় বাদই দিলাম। আমাদের সময়েও শিক্ষকেরা সাদা পাঞ্জাবী এবং শিক্ষিকরা সুতী সাড়ি পড়ে চক দিয়ে ব্ল্যকবোর্ডে পড়াতেন। এখনও তাদের কথা মনে পড়লে শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে যায়। আর এখন চকচকে দালান, ঝকঝকে পোষাক পরা আধুনিক শিক্ষক শিক্ষিকা, ক্লাসে ক্লাসে হোয়াইট বোড ,কম্পিউটার । অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে যদি শিক্ষার মানটাও উর্ধগতির হত তাহলে আর আজ আমরা এত পিছিয়ে পড়া দেশ হতাম না।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের সময় অংক বাদে অন্য বিষয়ে ৮০% নম্বর তোলা খুবই কঠিন ছিল, আর এখন যদু মধু কদুও সহজেইA+পেয়ে যায়।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: সেটাই। আমাদের সময়ে লেটার মার্ক পাওয়াটার অনেক মুল্য ছিল। আর এখন শুনি সবাই এ প্লাস। এ/ বি পাইতে আর কারোকে শুনি না।

১০| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

সমুদ্রচারী বলেছেন: এখনতো পিএসসি,জেএসসি পরীক্ষা বের করে ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে তার থেকে আগে বের হয়ে আসা দরকার ।আমরা শৈশবে যেভাবে খেলাধুলা করে বেড়ে উঠেছি সেটা পড়ালেখা, টিউশনের চাপে এখনকার বাচ্চারা কল্পনাও করতে পারে না।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: শিক্ষার মান উন্নয়ন না করে শিক্ষা নিয়ে এক্সপেরিমেন্টই এখন বেশী গুরুত্বপুর্ন।যারা এইসব এক্সপেরিমেন্ট করছে খোজ নিলে দেখবেন তাদের সন্তানেরা এই সিস্টেমে পড়ালেখা করছে না।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জিপিএ নিয়ে আমার ভাবনা
জিপিএ ভাবনা (কবিতা)

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছড়ার মধ্য দিয়ে দারুনভাবে সত্যটাকে তুলে ধরেছেন।

১২| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২০

সুমন কর বলেছেন: সহমত। তখনকার নিয়মই ভালো ছিল এবং আগের নিয়ম চালু করলে ১০% ও পাশ করবে কিনা সন্দেহ !! আগে গণিতে একটা চিহ্ন ভুল করলে ছয়ে শূন্য দেয়া হতো। আর এখন ছয়ে ছয় !! আমরা তা ভাবতেই পারিনি।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: শিক্ষার মুল উদ্দেশ্যটাই বদলে গেছে এই দশকে। এখন শিক্ষার মান নির্ধারিত হয় পাশের হারের ওপড়!!!

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

আচ্ছা পরীক্ষার পাসের হারে কোটি পদ্ধতি চালু করলে কেমন হয়। ধরুন, গোল্ডেন এ+ ,এ+ কতজন পাবে আগে থেকে নির্ধারণ করা হবে। যেমন, ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠনের জন্য ৬০% । বাকী ৪০% সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য। থেকে
এতে করে মনে হয় শিক্ষার মান এবং উদ্দেশ্য দুটোই হাসিল হবে।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল বলেছেন :)

১৪| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তখন মাত্র ১ নম্বরের জন্য কেউ প্রথম বা কেউ দ্বিতীয় হত। এটা নিয়ে তখন সমালোচনা ছিল। আর এই ২০ জন মেধাবীই শেষ কথা নয়। এরাই সর্বশ্রেষ্ঠ নয়। তাই এই অসুস্থ ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্য বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রেড সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দেশটা তো বাংলাদেশ। ভালো যে কোন কিছুর বারোটা না বাজালে যে চলে না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.