![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি করোনা রুগিদের সংস্পর্শে আসে। করোনার প্রাথমিক লক্ষন যেহেতু জ্বর, সর্দি কাশি, তাই যাদেরই এখন এই লক্ষন দেখা দিচ্ছে তারা সবাই দৌড়ে ডাক্তারদের কাছে চলে যাচ্ছে। এমতবস্থায় হাসপাতালে কর্মরত সবারই বিড়াট এক ঝুকির মধ্যে পড়ার সম্ভবনা তৈরী হয়েছে বর্তমান সময়ে। এই কারনেই বিদেশের হাসপাতালে জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের আলাদা জায়গায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালে কর্মরত সবাই এখন স্পেশাল পোষাক পড়ে কাজ করছে।
গতকাল এক নিকট আত্মীয়ের সাথে কথা বললাম যিনি বাংলাদেশে একটি সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার হিসেবে কর্মরত। করোনা মোকাবেলায় কি ধরনের ব্যবস্থা তার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন যে আউটডোরে সব ধরনের রুগীই আসে। জ্বর, কাশির রোগীদের আলাদা করা হয় না। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্সরা স্রেফ মাস্ক পড়ে কাজ করছে। তাদের হাসপাতালে করোনা টেস্ট এর কীট নাই। কবে আসবে জানা নেই। আপাতত সবাইকেই অন্য সময়ে যে ধরনের চিকিৎসা দেয়া হত, এখনও তাই দেয়া হচ্ছে। শুধু বিদেশ ফেরত রোগী শুনলে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্ত কেউ যদি তথ্য গোপন করে মিথ্যাও বলে তবে সেটা যাচাই এর কোন উপায় নাই। এসব শুনে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে সেই আত্মীয়কে বললাম যে ছুটি নিয়ে যেন বাড়ীতে বসে থাকে। প্রত্তুত্তরে তিনি বললেন যে ডাক্তারদের সকল প্রকার ছুটি এখন বাতিল করা হয়েছে। আল্লাহর ওপড় ভরসা করে তারা সবাই এখন কাজে যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বারবার বলছে যে করোনা মোকাবেলার জন্য মূলত চারটি দিকে নজর রাখা দরকার- কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও চিকিৎসা। ।করোনা ভয়াবহ সংক্রামক রোগ হলেও এটা কন্ট্রোল করার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হচ্ছে তা এমন কিছু রকেট সাইন্স বা ব্যায়বহুল ব্যবস্থা নয়। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা ও কঠোর বাস্তবায়ন।সবচেয়ে আগে আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়কে বুঝতে হবে যে , যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা অসুস্থ হলে ম্যাসাকার পরিস্থিতি হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করতে পারলে রোগী কার কাছে যাবে চিকিৎসার জন্য?
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: সর্বত্র নিয়ম মেনে চললে আতংকের কিছু নাই। কিন্ত নিয়ম কানুন না থাকলে আতংকেরই ব্যপার
২| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ হেফাজত করুন
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমাদের দেশের ডাক্তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কানাডাফেরত এক রোগী। তার রোগ ছিল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল জটিলতা। কিন্তু করোনা সন্দেহে ভীত হয়ে ডাক্তার বা নার্স কেউই তাকে চিকিৎসা দেয়নি।
দেশের সবচেয়ে বড় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয় না। তাদের কোনো কর্মীর নেই নিরাপত্তা স্যুট। সবমিলিয়ে যতক্ষণে তারা চিকিৎসা দিতে এলেন, ততক্ষণে রোগীর শরীরে আর প্রাণ নেই। আবার জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বাহরাইনফেরত আরেক প্রবাসী। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওয়ার্ডে থাকা অন্য রোগীরা। সরে পড়েন দায়িত্বরত নার্সরাও। পরিস্থিতি দেখে হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যান ওই রোগী।
করোনার ভয়ে রোগীকে চিকিৎসা দিতেই অপারগ ডাক্তাররা। এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হলো? করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে আলাদা আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকার কথা অনেক আগে থেকেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারক সে কথা বহুবার বলেছেন। তারপরও সেটা নেই কেন? সুত্রঃ চ্যানেল আই
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক দেরিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পরও আমাদের ডাক্তার সমাজ সচেতন হয়নি। ঠিক যেমন আমাদের ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টম্যান্ট এখনো যুগোপযোগী হয়নি...
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন: দ্বায়িত্বটা কার ? ডাক্তারদের নাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ?
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
আমি সাজিদ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক দেরিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পরও আমাদের ডাক্তার সমাজ সচেতন হয়নি। ঠিক যেমন আমাদের ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টম্যান্ট এখনো যুগোপযোগী হয়নি..
ভাই ,ডাক্তার সচেতন হলেই বা কি না হলেই বা কি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালায় মন্ত্রী সচিবরা, এরা ডাক্তার না। যেখান থেকে বরাদ্দ আসে সেখানেও ডাক্তার না। যে পরিকল্পনার অভাবে ছড়ালো করোনা সেখানেও ডাক্তার নাই। ডাক্তারকে আপনি পাবেন হস্পিটালে। উপরে সদরঘাট করে এসে ভেতরে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারকে দোষ দিলে তো হবে না। আপনার নীতিনির্ধারকরা ডাক্তারদের সুরক্ষায় পোষাক নিয়ে আলোচনা করে নাই। বরাদ্দ দেয় নাই। রোগটায় কমিউনিটি স্প্রেড হওয়ার পর এখন তারা পিপিই এর নামে কম দামী মাস্ক আর স্যানিটাইজার দিচ্ছে। এইখানেও ডাক্তারের দোষ ? আগে এইটা বুঝতে শিখেন কোনটার দায় কাদের?
১৯ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য । '' উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে'' প্রবাদটা আমাদের একটা জাতীয় অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। আমরা তার ওপড়েই দোষ চাপাতে পছন্দ করি যে সহজ টার্গেট।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৯
শের শায়রী বলেছেন: এই মুহুর্তে ডাক্তাররা সব থেকে বেশী ঝুকির মুখে আছে আমার ধারনা কারন বিদেশ ফেরত আসলেও কেউ সেটা স্বীকার করবে না, এবং স্বাভাবিক জ্বর কাশির চিকিৎসা নেবে এবং ডাক্তার ইনফেক্টেড হবে স্বাভাবিক ভাবে, তাদের মিইমাম পিপিই নেই।
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: ডঃ আব্দুল নুর তুষারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন ''যেখানে ইতালি চায়নায় অনেক ডাক্তার প্রটেকশন নিয়েও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে সেখানে দেশের ডাক্তারের জন্য কি ব্যাবস্থা নেয়া হইছে?''
৭| ২০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
শুধু চিকিৎক- নার্সই নয়, করোনা মোকাবেলায় নিয়োজিত ( যদি তেমন কেউ থাকে ) সকলে, যেমন সন্দেহজনক রোগী পরিবহনে নিয়োজিত ড্রাইভার, হেল্পার, রোগী এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া পুলিশ বা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের লোকজন যারা কোয়ারেন্টাইন তদারকী করবেন ইত্যাদি সব ধরনের লোকদেরকে যথার্থ পোষাক সরবরাহ করা উচিৎ অবিলম্বেই।
ঠিকই বলেছেন , এটা রকেট সাইন্সের পেছনে বেহুদা কামে ঢালা ব্যয়বহুলতার মতো কিছু নয়। চাই সদিচ্ছা আর দুরদৃষ্টি........
২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=47UMxYAwr54
আব্দুল নুর তুষারের এই ভিডিও এখন সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এদেশে জনগনের জীবনের কোন মূল্যই নাই। জীবনের মূল্য কেবল ক্ষমতাসীনদের।এদের কারো অসুখ হলে এয়ার এম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্ত জনগনের জন্য সামান্য টাকা খরচ করতেও এদের গায়ে লাগে।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৩
সোহানী বলেছেন: হায় কি বলবো বা বলে কি হবে! যে মাথামোটারা এখনো বসে দিবাস্বপ্ন দেখছে তাদের ঘুম কখন ভাঙ্গবে ব আদৈা ভাঙ্গবে কি?
এটা খুব সহজ হিসেব, এরকম ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য যেকোন ছোয়াছে রোগই মারাত্বক। এতো কিছুর পরও কেউই এতটুকু গুড়ুত্ব দেয়নি। আসলে উনারা সবাই শুধু বিটিভি দেখেতো তাই দুনিয়ার কোন খবর রাখেনি।
২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশে পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সঙ্কটের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এখনো পিপিই অতটা দরকার নেই।
উনি ঠিকই বলেছেন এই দেশের মানুষের আবার কিসের জীবন! বাচঁলেই বা কি মরলেই বা কি যায় আসে! সড়ক দূূর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে, এখন নাহয় করোনায় আর কিছু মরবে!
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন, সময়োপযোগী পোস্ট।
দেশের সব উন্নয়ন কার্যক্রম আপাততঃ ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে স্বাস্থ্য বিভাগে ফান্ড ডাইভার্ট করা হোক, এবং তা দিয়ে অতি দ্রুত করোনা মোকাবিলায় যা যা করণীয়, তা করা হোক! আহমেদ জী এস এর প্রাজ্ঞ সুপারিশ অনুযায়ী সন্দেহজনক রোগী পরিবহনে নিয়োজিত ড্রাইভার, হেল্পার, রোগী এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া পুলিশ বা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের লোকজন যারা কোয়ারেন্টাইন তদারকী করবেন ইত্যাদি সব ধরনের লোকদেরকে যথার্থ পোষাক সরবরাহ করা হোক, অবিলম্বেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যেন আতঙ্কগ্রস্ত না হয় সেদিকে সবার নজর দেওয়া দরকার।