নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

লকডাউন বাস্তবায়ন করা না হলে করোনা প্রতিরোধ অসম্ভব

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

করোনা সংক্রমনে ভারত ব্রাজিলকে টপকে এখন দ্বীতিয় স্থানে আছে। চলমান করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে নতুন কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে ভারত। গনমাধ্যমে সংবাদ আসছে যে, করোনার কারণে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি। ফলে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েছে সেখানকার শ্মশান এবং চুল্লিগুলো। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডসহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি মর্গগুলোর সামনে শত শত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে বেড এর অভাবে হাসপাতালের গেটেই মরছে প্রচুর মানুষ।

আমাদের দেশেও কি আমরা সেরকম পরিস্থিতির অপেক্ষায় আছি? ফেসবুক খুললেই শুধু মৃত্যূসংবাদ আর হাসপাতালে বেড না পাবার আহাজারির সংবাদ। সরকার কেবল মৌখিক লকডাউনের ঘোষনা দিয়েছে কিন্ত তা কার্যকর করার কোন ব্যবস্থাই নেয় নাই। গনমাধ্যমে দেখছি যে রাস্তাঘাটে মানুষের ভীড় এবং মাস্ক ছাড়া মানুষ ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাহলে এমন লকডাউন দিয়ে গরীবের পেটে লাথি মারার কি দরকার?

উন্নত দেশেই সভ্য মানুষেরা করোনার ভয়াবহতা জেনেও স্বাস্থবিধি মেনে চলতে চায় না । নানা ধরনের আইন কানুন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশের মানুষের কাছ থেকে কি আর আশা করা যায়? লকডাউন কার্যকর করতে হলে মাস্ক ছাড়া এবং কারন ছাড়া ঘর থেকে বের হলে ফাইন/ নাইলে বেতের বাড়ির ব্যবস্থা করলে আপনাতেই সবাই নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য হবে।মুভমেন্ট পাস এর যে কথা বলা হচ্ছে তা কি চেক করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? এছাড়া আমাদের দেশে ইদানিং ভন্ড ধার্মিকের সংখ্যা খুব বেড়ে গেছে। এদের শক্ত হাতে প্রতিহত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। মসজিদে যাওয়ার বাহানা দিয়ে যারা ঘরের বাইরে বের হবে তাদের ক্ষেত্রে বেতের বাড়ি দ্বিগুন করতে হবে। যেখানে ধর্মেই আছে দুর্যোগকালিন সময়ে ঘরে নামাজ পড়তে হবে, সেখানে এই অজুহাত দেখানোর অর্থ কি? ভয়াবহ সংক্রামক আফ্রিকান ভ্যরিয়েন্ট প্রতিহত করার একমাত্র রাস্তাই হচ্ছে এই ভ্যরিয়েন্ট এর চেইন ভাঙ্গা। সেটা করতে হলে যে কোন উপায়ে এই সময়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।

বর্তমানে আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে ধারন ক্ষমতার উপড়ে করোনা রোগী। এই চাপ কমাতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য আরো বেশ কিছু ফিল্ড হাসপাতাল নির্মান করা প্রয়োজন। শহরের খোলা জায়গায় তাবু টানিয়ে তৈরী করা যায় এই ক্ষনস্থায়ী হাসপাতাল।খুব বেশি কিছুর দরকার নাই। এই হাসপাতাল গুলোতে দরকার খালি জনপ্রতি একটা বিছানা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সাপ্লাই আর পর্যাপ্ত মেডিসিন। চিকিৎসা না পেয়ে যেন কোন রোগীর মৃত্যূ না হয় তা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব সরকারের।

ইউরোপ আমেরিকা তাদের আবহাওয়ার কারনেও অনেকটা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সুবিধা করতে পারছে না। কিন্ত আমাদের মত গরম আবহাওয়ার দেশগুলো শুধু সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই করোনাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। এশিয়ার অনেক দেশই এখন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে করোনামুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।সরকারের শুভবোধ জাগ্রত হোক এটাই একমাত্র কামনা। তা নাহলে কেবল আকাশের দিকে তাকিয়ে মৃত্যূর জন্য অপেক্ষায় থাকাকেই নিয়তি বলে মেনে নিতে হবে !!






মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

অধীতি বলেছেন: আইনের লোকেরে কেমনে বিশ্বাস করেন। পিটানোর দ্বায়িত্ব পেলে ভাল মানুষ পিটাবে। বাটপারগুলো ঠিকই বেঁচে যাবে পকেটে ঢেলে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই পরিস্থিতিতে পুলিশ অকারনে পেটাবে না। আর টাকা দিয়ে পার পাওয়ার কথাইতো আমি বলছি যার নাম ফাইন । কতবার ফাইন দেবে মানুষ? বিদেশে আমরাও স্রেফ ফাইনের ভয়ে মাস্ক পড়ে থাকি। ্তানাহলে কতটা মানতাম বলা কঠিন!

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:




বাংলাদেশের সরকারী লোকজনের দক্ষতা কম; বাহির থেকে কিছু দক্ষ লোকজন আনার দরকার ছিলো। সরকারে প্রশ্নফাঁস জেনারেশনও চাকুরী পেয়েছে ইতিমধ্যে

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাইরের থেকে লোক আনার আসলে দরকার নাই। করোনা প্রতিরোধে কোন রকেট সাইন্স টেকনোলজি ব্যবহ্রত হচ্ছে না। ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই জানা যাবে সিঙ্গাপুর চায়না, জাপান ভিয়েতনাম, কোড়িয়া ইত্যাদি দেশগুলো কিভাবে করোনা মোকাবেলায় সফল হয়েছে। সরকার শুধু সরকারের সদিচ্ছা।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যতক্ষণ দরিদ্র মানুষের খাবার আর চাকুরি জীবিদের চাকুরি ও বেতনের নিশ্চয়তা দেয়া না যাবে ততোক্ষণ কোনো লকডাউনই কাজ করবে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই কথাটা খুব গুরুত্বপুর্ন। কিন্ত বর্তমানে সাউথ আফ্রিকান ভ্যরিয়েন্ট এর করোনা প্রতিরোধ করতে হলে শক্ত লকডাউনের বিকল্প নাই। দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি ঘোষনা করে দরিদ্রদের এক মাসের খাবারের ব্যবস্থা করা দরকার। এটা সরকার চাইলেই করতে পারে। কয়েকদিন আগেও দেখলাম করোনা প্রতিরোধে কয়েক কোটি ডলার ঋন নেয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংক থেকে? সেই টাকা গেল কই?

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: শতভাগ লকডাউন আমাদের দেশে সম্ভব না।


ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকুন। বাইরে গেলে মাস্ক মাস্ট। এবং ঘরে বাইরে সব সময় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাঙ্গালী একটা কাজে বড় পারদর্শী তা হল উপদেশ দিতে এবং তার চাইতেও অধিক পারদর্শী উপদেশ না শুনতে। কাজেই ----

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:



কেউ ভাবতেও পারেনি ওয়েভ ২ এতো ভয়াবহ হবে ।

লকডাউনে যারা ভিক টিম হচ্ছে তাদের ব্যবস্থা সরকারি এবং বেসরকারিভাবে নিশ্চিত করা দরকার ।
তারপর সারাদেশে একটানা কঠিন লকডাউন দেয়া উচিৎ । এটা ছাড়া এই মহামারী থামানো সম্ভব না ।
জনগণের সচেতনা আর সরকারি আইনের কার্যকারিতা দুটোই সমানভাবে দরকার ।
শুধু একটায় কাজ হবে না । মাস্ট কোঅপারেট করতে হবে ।



১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: দরিদ্রদের একমাসের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নেয়ার সক্ষমতা আমাদের দেশের সরকারের খুব ভালভাবে আছে। দরকার শুধু সদিচ্ছা। এছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে যদি ত্রান তহবিল খোলা হয় এবং জনগন যদি নিশ্চিত হয় যে কোন লুটপাট হবে না তাহলে সেখানেও বিড়াট অংকের টাকা জমা হওয়া কোন ব্যপারই না। কিন্ত মুশকিল হচ্ছে যে এদেশে যাদের হাতে ক্ষমতা , তাদের লোভ সীমাহীন। করোনায় মরে যাবে তবুও চরিত্র বদল করবে না।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:

***ভিকটিম****

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভালো নেতৃত্বের অভাব,যার কথা সকলে শুনবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: শুধু শুনবে না, শুনতে বাধ্য হবে। ভারতের অবস্থা দেখে খুব ভয়ে আছি।

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ বলে পেটে ভাত নাই তাই ঘরে আর বাহির হয়ে মরা পার্থক্য নাই

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: চরম অব্যবস্থাপনা। যাদের হাতে ক্ষমতা আছে, হাজার কোটি টাকা আছে , তারা এটা বুঝতে পারছে না যে করোনায় প্রান হারালে এই লুটের টাকা কবরে নেয়া যাবে না।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:০৪

শায়মা বলেছেন: আমিও হতাশ হয়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে যতদিন বেঁচে আছি কখনই আর পৃথিবী করোনা মুক্ত তো হবেই না......বরং করোনার সাথেই লড়াই করে যতদিন বাঁচা যায় বাঁচতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.