নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোভিড নিয়ন্ত্রন - প্রেক্ষাপট দেশ/ বিদেশ

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৩২

বাংলাদেশ থেকে মনে হচ্ছে করোনা মোটামোটি বিদায় নিয়েছে।দেশীয় পত্রিকায় দেখি যে কোভিড আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশ কমে এসেছে। পরিচিতজনদের মাঝেও আর করোনায় আক্রান্ত হবার খবর শুনি না।ফেসবুকে ঢুকলে দেখি যে পুর্বের ব্যস্ত জীবনধারায় ফিরে গেছে মানুষ। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে হার্ড ইমুইনিটি অর্জন হয়ে গেছে। কোভিড সংক্রমনের শুরু থেকেই আমাদের দেশে সরকারি তরফ থেকে কোভিড কন্ট্রোলে তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হাসপাতালগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ। ভ্যক্সিনেশন রেটও খুবই কম। এখন পর্যন্ত ২০% মানূষও ভ্যক্সিন পায়নি। এরপরেও আমাদের দেশে কোভিড নিয়ন্ত্রনে আসাটা বেশ বিস্ময়করই বলা চলে।

সিঙ্গাপুরে কোভিড সংক্রমনের শুরু থেকেই এখানাকার সরকার কোভিড নিয়ন্ত্রনে সকল প্রকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়েছিল ।অত্যন্ত কঠোর লকডাইন, স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন এবং কোয়ারেন্টাইন সিস্টেমের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরে কোভিডকে অত্যন্ত সফলতার সাথে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিল। বর্তমানে ৮৫% এর উপড় জনগন ভ্যক্সিনেটেড হওয়ায় এখন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আর এর পরপরই কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে । প্রতিদিন দুই/তিন হাজারের উপড়ে মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে এবং এত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকার পরও কোভিডে আক্রান্ত দৈনিক ৭/৮ জন মানুষের মৃত্য হচ্ছে। সরকারী তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে মৃতদের বেশিরভাগ আনভক্সিনেটেড বা সিনিয়র সিটিজেন। তবে এখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন কোভিড রোগীর ভীড় উপচে পড়েছে। অক্সিজেন সাপোর্টে আছে প্রচুর মানুষ।

সিঙ্গাপুর সরকার বলছে যে ভ্যক্সিনেশনের পরবর্তী পর্যায়ে হার্ড ইমুইনিটি অর্জন করতে হলে এই প্রসেস এর মধ্য দিয়ে সকল দেশকেই যেতে হবে। অনন্তকালতো আর লকডাইন দেয়া সম্ভব নয়। আমার মনে কিছু প্রশ্ন উঠেছে ভ্যক্সিন এবং মাস্ক নিয়ে। সিঙ্গাপুরে ফাইজার ও মডের্নার ভ্যক্সিন দেয়া হয়েছে জনগনকে। এছাড়া এখানকার মানুষ শতভাগ মাস্ক পড়ে বাসার বাইরে। মাস্ক না পড়লে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। বিশ্বের সেরা ভ্যাকসিন নিয়ে এবং মাস্ক পড়েও কেন এত মানূষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন এই বিষয়টাই বুঝতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে আমাদের দেশে যে বীর বাঙ্গালী মাস্ক না পড়ে ঘুরে বেড়ায় তাতে এমন আর কি ক্ষতি বৃদ্ধি হয়েছে!!

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে ১০% টিকা পেয়েছে, আর দেয়ার দরকার আছে?

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: কি জানি , টিকা ছাড়াইতো দেখছি করোনা নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে ।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭

নাহল তরকারি বলেছেন: আমরা করোনা থেকে শক্তিশালী। করোনার ভয়াবহতা কম। সে জন্য আলহামদুলিল্লাহ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই করোনা কমে গেছে এটাই আসল কথা। আলহামদুলিল্লাহ

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৪

রানার ব্লগ বলেছেন: না, করোনা কমে নাই যারাই আক্রান্ত হচ্ছে তারা চুপ থেকে নিরবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে তার উপরে বাঙ্গালীদের নিজে নিজে ডাক্তারী করারা একটা বাতিক আছে এবং করোনার চিকিৎসা ও তার ঔষাধ মোটামুটি মানুষের হাতেহাতে তারা নিজেরাই নিজের চিকিৎসা করে নিচ্ছে। আর যারা মারা যাচ্ছেন তারা ভয়াবহ কৃটিকাল অবস্থায় পরে মারা যাচ্ছেন এদের বেশিরভাগই দরিদ্র শ্রেনীর। উচ্চবৃত্তরা এখন কম মারা যাচ্ছেন।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:




ঢাবি, আমার কিন্তু মনে হয় বাংলাদেশে এখনও হচ্ছে কিন্তু সেটাতে মানুষ অভ্যস্থ হয়ে যাওয়ায় এখন আর নিউজে আসে না । সবার মাস্ট ভ্যাকসিন নেয়া উচিৎ, কখন আবার কি নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসে, তাই সতর্ক থাকা দরকার ।


৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: কি জানি , টিকা ছাড়াইতো দেখছি করোনা নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে ।

-সরকারও সেটা ভেবেছিলো; এই বেকুবী ভাবনার কারণে মহামারীতে লাখের মতো মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: কি জানি , টিকা ছাড়াইতো দেখছি করোনা নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে ।

-বিদেশে থাকেন, কিছুই শিখলেন না; বাংগালী পাড়ায় থাকেন?

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডেলটা ভেরিয়েনটের কারণে অবস্থা একটু খারাপ হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নিয়ম না মানার কারণে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়েছে একজন থেকে অন্য জনে। ফলে হার্ড ইমিউনিতি তাড়াতাড়ি এসেছে। বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে যারা অনবরত যুদ্ধ করে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি থাকে।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আর লকডাউন চাই না।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৪

সোহানী বলেছেন: এখানে কিছু বিষয় মাথায় ঘুরছে!
এক, খবর না আসা!
দুই, সত্যিই কি কেইস কমেছে, তাই খবরে আসছে না?
তিন, হার্ড ইমিউনিতির ব্যাপারটা কি সত্য?

আমার চারপাশে যে পরিমান রোগীর কথা শুনেছিলাম আগে এখন তেমন শুনিনা কিন্তু। এদিকে ভ্যাক্সিন মাত্র ২০%! তাহলে বিষয়টি বিষয়টি সত্য এবং খবর না আসাটা ও ঠিক!

তবে যাই হোক না কেন দেশ ভালো আছে এটাই সবচেয়ে বড় কথা যেভাবেই ভালো থাকুক না কেন!

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন কেউ আর আমাদের দেশের সরকারী পরিসংখ্যানের উপর আস্থা রাখতে পারছে না, বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিদপ্তরের দেয়া পরিসংখ্যানের উপর। তবে, শহরের অবস্থা দেখে মনে হয়, হার্ড ইমিউনিটি ইতোমধ্যে অনেকটা অর্জিত হয়ে গেছে। এখনও যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই ঘরে বসে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে যাচ্ছে।

ভ্যাক্সিন অবশ্যই "মাস্ট"। ডাবল ডোজ ভ্যাক্সিন নেয়া থাকলে আক্রান্ত হলেও, রিস্ক অনেক কম থাকে- এ কথা সত্য।

১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসম্ভব দুঃখিত যে সময়মত সকল মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সময় পাইনি। আপাতত বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালর দিকে মনে হলেও ভ্যাকসিনের কিন্ত বিকল্প নাই। সামনে শীত আসছে। করোনা পরিস্থিতি যে আবারো খারাপের দিকে টার্ন নেবে না তা বলা যায় না। হার্ড ইউমুইনিটি অর্জনের চেষ্টায় এখন অধিকাংশ দেশই লকডাউন উঠিয়ে নিচ্ছে, বর্ডার খুলে দিয়ে ধীরে ধীরে কোয়ারেন্টাইন সিস্টেমও তুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্ত এসবই করা হচ্ছে ভ্যাকসিনেশন পর্ব সমাধা করে। কারন এটা গবেষনায় প্রমানিত যে ভ্যাকসিন গুরুতর অসুস্থ হওয়াটা অনেকখানি রোধ করতে সক্ষম।আর এ কারনেই নন ভ্যক্সিনেটেড মানুষের জন্য জীবন এখন কঠিন করে ফেলা হচ্ছে। অফিস আদালত, শপিং মল , খাবারের দোকানে নন ভ্যক্সিনেটেড মানুষের প্রবেশাধিকার নাই। কাজেই আমাদের দেশেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম যে কোন মূল্যে চালু রাখতে হবে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.