নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

আমজনতার শিক্ষা ব্যবস্থা-২; নতুন কারিকুলাম রম্য

বাংলাদেশে নতুন কারিকুলামের শিক্ষাব্যবস্থায় উঠিয়ে দেয়া হয়েছে গ্রেডিং সিস্টেম ।এর বদলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে চিহ্নভিত্তিক মূল্যায়ন! ব্লগার করুনাধারার উপড়ের পোস্টে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার কারিকুলাম। বিভিন্ন ক্লাস থেকে লিখিত পরীক্ষার সিস্টেম তুলে দেয়া হয়েছে। সারা বছর ব্যপী স্কুল থেকে সব সাবজেক্টে বিভিন্ন গ্রুপ প্রজেক্ট করতে দেয়া হয় এবং এসব প্রজেক্ট মূল্যয়ন করা হচ্ছে ত্রিভুজ, বৃত্ত ও চতুর্ভুজ চিহ্নের মাধ্যমে! চতুর্ভুজ পাওয়া মানে ফলাফল প্রাথমিক পর্যায়ে , বৃত্ত মানে মধ্যম পর্যায়ে ও ত্রিভুজ মানে সর্বোত্তম পর্যায়ে !

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম গনমাধ্যমে এ বিষয়ে বলেছেন যে, এটা যোগ্যতাভিত্তিক কারিকুলাম। আন্তর্জাতিকভাবে মিল রেখে ক্লাস সিক্সে আমরা কিছু যোগ্যতা ফিক্সড করে দিয়েছি। সিক্সে এই যোগ্যতাগুলো অর্জন করতেই হবে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেই সে কামিয়াবি হলো। এই যোগ্যতাগুলো আগে পেন্সিল-কলমে নিতাম, এখন বলছি, করে দেখাতে হবে। আগে যেমন ছিল, অজু কীভাবে করতে হয় সেটা লিখে দিতে হতো, এখন বলছি, কেউ যদি করে দেখাতে! কর্মদক্ষতাকে আমরা এখানে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

৯ই নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন। এই দুই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের অংশ হিসেবে কোনো লিখিত পরীক্ষা নিতে পারবে না সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো। মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সামষ্টিক মূল্যায়নের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।


৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বাংলা , ইংরেজি ও গনিত বিষয়ে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের কিছু ইউটিউব ভিডিও দেখুন -






দেশে এখন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের রমরমা ব্যবসা। যাদের সামর্থ আছে তারা সবাই সন্তানদের বাংলা মিডিয়াম স্কুল থেকে সরিয়ে চড়া বেতন দিয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াচ্ছেন। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিখ্যাত Haileybury স্কুলের একটা শাখা খোলা হয়েছে বাংলাদেশের ময়মনসিং ভালুকায়। এটি একটি আবাসিক স্কুল। এই স্কুলে ভর্তি ফি ৮ লাখ টাকা এবং বছরে একজন শিক্ষার্থীর খরচ হবে ৩৭ লাখ টাকা! বিদ্যালয়টি Class VI হতে Class XII পর্যন্ত। এখান থেকে পাশ করা brilliant student দের জন্য থাকবে Higher Education এর জন্য Scholarship এর ব্যাবস্থা। এই দেশে এই স্কুলে পড়ানো শিক্ষার্থীর অভাব হবে না মোটেই। কিন্ত মধ্যববিত্ত ও নিম্নবিত্তরা কোথায় যাবে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিভাবকেরা এই নতুন কারিকুলামের তুমুল সমালোচনা করে প্রতিনিয়ত বক্তব্য রাখছে।




তথ্যসুত্র ঃ ডয়েচ ভেল, প্রথম আলো ও ইউটিউব





মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: স্কুল কলেজের বই ধরি না। তাই কোনো কিছুই জানি না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার মেয়ে কোথায় পড়াশোনা করে ?

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর পরের সিলেবাস যদি ঠিক থাকে তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা না। ক্লাস সিক্স বা সেভেনের ভালো ছাত্র পরে গিয়ে অনেক সময় ডাব্বা মারে আবার উলটাটাও হয়। এসএসসি এবং এইচএসসি বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এইচএসসি পাস করে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যোগ্য হতে পারে সেটা হলেই তো চলে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার সন্তানেরা কি বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করে ? করলেতো আপনার জানার কথা যে সব শ্রেনীতেই পরিবর্তন এসেছে।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের যে অবস্থা ওরা বেশীরভাগ নিজেরাই ভাল করে পড়তে পারে না বাচ্চাদের কি পড়াবে!!!
যেই কারিকুলামই হোক সুবিধার হবে না।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: কারিকুলাম শিক্ষার মেরুদন্ড। শিক্ষকেরা যেমনই হোক, কারিকুলাম ভাল থাকলে ছাত্র ছাত্রীরা নিজ গুনেই পড়াশোনাটা করে নেয়। ভেবে দেখেন যে , আমাদের সময়েও সেটা হয়েছে । আমি নিজের কথাই বলি। ঢাকা শহরের খুব নামকরা স্কুলে পড়েছি। কিন্ত তাতে কি? একটা ক্লাসে পড়ত ৫০-৬০ জন ছাত্র। একজন টিচার যত ভালই হোক না কেন ৫০/৬০ জনের সবাইকে খুব ভালভাবে পড়ানো কখনই সম্ভব নয়। স্কুল মুলত স্টূডেন্টদের ওভারঅল ডেভেলাপমেন্টের জন্যই। পড়াশোনাটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছাত্রদের নিজেদেরই করে নিতে হয়।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে সব বিষয় নিয়ে সমালোচনা বা আন্দোলন হচ্ছে সেগুলির বেশীর ভাগ সম্ভবত ক্লাস সিক্স বা সেভেন পর্যন্ত। যেমন বাসা থেকে বার্গার বানিয়ে নিয়ে যাওয়া, পিকনিক করা, মাঠের মধ্যে ত্রিভুজ আঁকা, কৃষি কাজ করা, রান্না করা। নাইন বা তার পরে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয় না। ছোট মেয়ে নাইনে উঠবে। বাকিরা আরও বড়। তাই এই সমস্যা সম্পর্কে খুব বেশী জানি না। ওরা ইংলিশ ভার্শনে পড়ছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা হবে।২০২৪ সাল থেকে মাধ্যমিকে ৯ম শ্রেণিতে থাকবে না বিভাগ (আর্টস, কমার্স, সায়েন্স) বিভাজন। এরপর ২০২৬ সালের প্রথম এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে। থাকছে না জিপিএ পদ্ধতি । মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে সেটা নিয়ে শিক্ষাক্রম প্রণেতারা কাজ করছেন। !!!!!!
সুত্র ঃ প্রথম আলো

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: এই সবের কয়েকটা কারণ থাকতে পারেঃ
- ইংলিশ এর ব্যবসা রমরমা করা, যা বলেছেন।
- কোচিং বন্ধ করে গণ ঘুষের সাপ্লাই দেয়া, কারণ এই চিহ্নগুলার মানে একেক জনের জন্য যেমন একেক, তেমন একই কাজ একেক জনের কাছে একেক। ব্যক্তিভেদে পার্থক্য হবেই। ফলে কেউ চ্যালেন্জ করলে সেটার মূল্যায়ন সম্ভব না।
- একটা অথর্ব জাতি তৈরি হবে। এমনিই ছাত্ররা পরীক্ষার রাত ছাড়া পড়ে না, সেখানে পড়াই না থাকলে, পরীক্ষা অন্য রকম হলে আর কেউ পড়বে বলে মনে হয় না।
মনে রাখা দরকার, অন্যদেশের পরিবেশ আর আমাদের পরিবেশ এক না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: যেসব ভিডিও অনলাইনে শেয়ার হচ্ছে নতুন কারিকুলাম নিয়ে তা কোন দেশের অনুকরনে আমার বোঝার বাইরে। ষষ্ঠ /সপ্রম শ্রেনীতে হাতে কলমে যা করাচ্ছে এর নাম কি প্রজেক্ট ? পরীক্ষা সিস্টেম বাদ দিয়ে এই হাস্যকর প্রজেক্ট সর্বস্ব সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মেয়ে কোথায় পড়াশোনা করে ?

গুলশান এলাকার একটা ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়ছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার মত যাদের সামর্থ আছে তারা সবাই এখন তাই করছে। কিন্ত সাধারন মানুষ কোথায় যাবে ?

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৮

করুণাধারা বলেছেন:
ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম বলে আগে মন্তব্য করতে পারি নি।

আমার খুব অবাক লাগে এটা দেখে যে এই শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কেউ বিন্দুমাত্র ভাবিত হয় নাই। মনে হয় আমরা যেন আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে আছি!!

সারা বিশ্বে এখন বিজ্ঞান শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। অথচ এই শিক্ষা ব্যবস্থায় বিজ্ঞান গণিত এসবকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয় যেমন জীবনে জীবিকা, ডিজিটাল শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে এগুলো মানুষ গড়ার কারিগর। ফলে সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ে পিকনিক শেখায়। গণিত ক্লাসে দড়ি দিয়ে ত্রিভুজ বৃত্ত এসব তৈরি শেখায়!! আগামী বছর থেকে নবম শ্রেণীতে কোন বিভাগ থাকবে না। বিজ্ঞান শিক্ষা কমে যাবে, গণিত বাদ পড়ে যাবে। জীবন ও জীবিকা ক্লাসে সপ্তম শ্রেণীতে শেখানো হচ্ছে ওয়াসরূমে কিভাবে টিস্যু, হারপিক, সাবান সাজাতে হয়। :(

এসবে কারও কিছু যায় আসে না। তাই বলতে ভালো লাগে না।

এই কারিকুলামের একটি বই থেকে ছবি দিলাম।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: রান্নাবান্না, ঘর দুয়ার পরিচর্যা , কাগজ কেটে অরিগামী তৈরী করার নাম কি প্রজেক্ট ? মনেতো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বিদেশে মেইড ও ফরেন ওয়ার্কার উপযোগী করে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্কুল্গুলোতে। ফেসবুকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখছি অভিভাবকেরা প্রতিবাদ করছে। কিন্ত শিক্ষক সমাজ একেবারে চুপ। কারন ------

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: আচ্ছা কোন ছাগলরা এর সাথে জড়িত একটু বলবা??

দেশের বাইরে এতো এতো ঘুরাফিরা করে আর শিক্ষা ব্যাবস্থার সামান্যতম বুদ্ধি নিতে পারে না!!!!!!!!!!!!

আমার মাঝে মাঝে দেশের বাচ্চাদের চিন্তা করে এতো রাগ হয়, দু:খ হয় যে বলার না। ওদের মাথায় গোবর ঢুঁকানোর ব্যাবস্থা করছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: শিক্ষাব্যবস্থাকে ধংশ করার প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে । কেন তা আপনাকে বুঝে নিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.