নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষা পদ্ধতি ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাই এর দ্বিতীয় কোন বিকল্প নাই

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

শিক্ষার্থীদের আনন্দময় পরিবেশে পড়ানোর পাশাপাশি মুখস্থনির্ভরতার পরিবর্তে দক্ষতা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে শেখাতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এক্ষেত্রে উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উদাহরন তুলে ধরা হচ্ছে। তবে কোন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। আমি অন্তত কোন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত নামক গ্রেডিং সিস্টেমের কথা শুনিনি!!

এটা ঠিক যে আমাদের দেশের পড়াশোনা কিছুটা গতানুগতিক মুখস্থ বিদ্যা নির্ভর। ছাত্রছাত্রীরা অধিকাংশ সময়েই না বুঝেই কেবল পড়া মুখস্থ করে। মুখস্থ করার প্রয়োজন অবস্যই আছে , কিন্ত না বুঝে মুখস্থ করলে সেই জ্ঞান এপ্লাই করা সম্ভব হয় না। উন্নত দেশে ক্লাসের পড়াশোনাকে আনন্দময় ও বোধগম্য করার কিছু পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা করছি। যে কোন টপিক পড়ানোর সময় বিভিন্ন টুলস যেমন টপিক রিলেটেড ভিডিও , ছবি , মাইন্ড ম্যপ , ফ্লো চার্ট , ট্রি ম্যপ, প্রপস ইত্যাদি ব্যবহ্রত হয়। এছাড়াও বাস্তব জীবনকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন উদাহরন দিলে সেই টপিক বোঝাটা সহজ হয় শিক্ষার্থীদের জন্য । এরপর শিক্ষক যা পড়িয়েছে তা শিক্ষার্থীরা বুঝেছে কিনা তা চেক করার জন্য ‘’formative assessment ( The purpose of formative assessment is to monitor student learning and provide ongoing feedback ‘’) করা হয় অর্থাৎ ছোট ছোট কুইজ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বোধগম্যতা চেক করা হয়। কুইজের জন্য ব্যবহ্রত হয় Fill in the blank , matching, True/False ইত্যাদি পদ্ধতি। পরীক্ষা পদ্ধতি ছাড়া আসলে ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাই এর দ্বীতিয় কোন বিকল্প নাই। আমার এখানকার স্কুলে বছরে চারবার ‘’ weighted assesment ‘’ এবং বছরের শেষে বার্ষিক পরিক্ষা নেয়া হয়। weighted assesment হচ্ছে কয়েকটি টপিকের ওপড় ক্লাস টেস্ট।

বাংলাদেশের নতুন কারিকুলামের বিরুদ্ধে দেশব্যপী অভিভাবকদের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কারিকুলামের আওতায় বিভিন্ন ক্লাস ও প্রজেক্টে মূল্যায়নের পদ্ধতি দেখে মনে হল এই সিস্টেম উন্নত দেশে মুলত যেসব ছাত্রছাত্রী পড়াশোনায় অমনোযোগী বা যাদের learnng difficulty আছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহ্রত হয়। সিঙ্গাপুরে সেকেন্ডারি স্কুলে ‘’ নরমাল টেকনিকাল’’ একটা শাখা আছে যে শাখার ছাত্রছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে তাদেরকে কারিগরী শিক্ষা দেয়া হলেও বছর শেষে কিন্ত ঠিকই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করা হয়।। স্কুলের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছাত্র ছাত্রীরা এক্সপ্রেস শাখায় পড়ে যারা ক্লাস টেন শেষ করে 'ও' লেভেল পরীক্ষায় বসে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য যে শিক্ষাকমিশন গঠন করা হয় তাতে মুহম্মদ_কুদরাত-এ-খুদা সভাপতি নির্বাচিত হন । তার নাম অনুসারে পরবর্তিকালে রিপোর্টির নাম রাখা হয় ' ড.কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষাকমিশন রিপোর্ট'। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালের মে মাসে ' বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট' নামে। এতে ৩৬ তি অধ্যায় ছিল এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল মোট ৪৩০ যেখানে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী লিপিবদ্ধ করা হয়। ৩৬ টি অধ্যায়ের শিরোনাম হলোঃ
চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন
কর্ম অভিজ্ঞতা
শিক্ষার মাধ্যম
শিক্ষায় বিদেশী ভাষার স্থান
শিক্ষক- শিক্ষার্থীর হার
প্রাক্‌- প্রাথমিক শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষা
মাধ্যমিক শিক্ষা
বৃত্তিমূলক শিক্ষা
ডিপ্লোমা স্তরে প্রকৌশল শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা
মাদ্রাসা শিক্ষা ও টোল শিক্ষা
শিক্ষক শিক্ষণ
উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা
ডিগ্রী স্তরে প্রকৌশল শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা
বিজ্ঞান শিক্ষা
কৃষিশিক্ষা
বাণিজ্যশিক্ষা
আইনশিক্ষা
ললিতকলা
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
শিক্ষকদের দায়িত্ব ও মর্যাদা
নিরক্ষরতা দূরীকরণ
বয়স্ক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা
নারীশিক্ষা
বিশেষ শিক্ষা
শারীরিক ও মানসিক বাধাগ্রস্থদের এবং বিশেষ মেধাবীদের জন্য শিক্ষা
স্বাস্থ্য শিক্ষা
শরীরচর্চা ও সামরিক শিক্ষা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
শিক্ষাগৃহ ও শিক্ষার উপকরন
গ্রন্থাগার
শিক্ষাক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা
ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান
ছাত্রকল্যাণ ও জাতীয় সেবা, শিক্ষার জন্য অর্থসংস্থান এবং পরিশেষ


শিক্ষায় বিশাল অবদানের জন্য একুশে পদক প্রাপ্ত কুদরতি এ খুদার প্রনয়নকৃত শিক্ষাব্যবস্থায় আপনি কি কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছেন ? বরং এত বছর পরেও দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের শিক্ষার ভিতটা ছিল খুবই মজবুত। তাহলে এই ভিতটা ভেঙ্গেচুরে নতুন কারিকুলাম প্রবর্তনের হেতু কি ? সব দেশে এডুকেশন সিস্টেম যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট করা হয় ,ছাত্রীছাত্রীদের গিনিপিগ বানিয়ে নিত্য নতুন কারিকুলাম এক্সপেরিমেন্ট এর বিষয়টা বিগত কয়েক বছর ধরে কেবল আমাদের দেশেই দেখছি!!!!

আমাদের শিক্ষাবোর্ডে কারা আছেন বর্তমানে আমার জানা নাই। শুধু একটা প্রশ্ন মনে জাগছে যে , তাদের সন্তানেরা কি বাংলা মিডিয়ামে পড়ছে?

তথ্যসুত্র ঃ উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: শিক্ষা ব্যাবস্থা তলাবিহীন ঝুড়ির মতো অবস্থা

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: সবার জোড়ালোভাবে এই কারিকুলাম বাতিলের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে।


২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন কি সম্ভব? যেখানে না আছে কোন অবকাঠামো না আছে মান সম্মত শিক্ষক।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের মানসম্মত শিক্ষক নাই সেটা সবারই জানা । কিন্ত তারপরেও মানসম্পন্ন একটা কারিকুলাম ছিল। মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা নিজের চেষ্টায় বা টিউশনের মাধ্যমে হলেও ভাল রেজাল্ট করে একটা মানসম্মত সার্টিফিকেট অর্জন করত। এখন তারা কারিগরী শিক্ষার সার্টিফিকেট নিয়ে কোথায় যাবে ? উচ্চশিক্ষার দুয়ারতো রুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মেধা থাকলে না যাচাই করার প্রশ্ন আসে।
মেধাই নাই ।
তার আবার যাচাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: মেধা থাকবে না কেন ?

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

আরোগ্য বলেছেন: বাংলা মিডিয়াম, ইংলিশ মিডিয়াম আর আরবি মিডিয়াম যা ই বলেন আমার কোন মাধ্যমের আদৌতে পছন্দ না। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা পঙ্গু করার বিকল্প নেই। এ কথাটাও অস্বীকার করা যায় না, Spare the rod, spoil the child. এবার আপনারা যদি আমাকে মান্ধাতার আমলের মানুষ বলেন তাতে কোন আক্ষেপ নেই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আরোগ্য , কিছুটা দুর্বোদ্ধ আপনার কমেন্ট । আরেকটু সহজ করে লিখুন। ইংলিশ মিডিয়াম নিয়া সমালোচনার কিছু নাই। এটাতে কোন বাংলাদেশীর হাত দেয়ার সাধ্য নাই। O/A level is one of the best internationally recognised curriculum। মাদ্রাসা সিস্টেম নিয়ে আলোচনার অনেক কিছু আছে। আর এতকাল ধরে চলে আসা আমাদের বাংলা মিডিয়ামও মোটামোটি মানের ছিল। প্রশ্নফাশ, অটো পাশ ইত্যাদি প্রতিরোধ করা গেলে মানসম্মনত কারিকুলাম বলা যায়। নতুন কারিকুলাম শিক্ষার ভিতটাই নড়বরে করে দিচ্ছে।


৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: যাদের সন্তান বাংলা মিডিয়ামে পড়ছে , তারা খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবারতো আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর সামর্থ নাই।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

আমি সাজিদ বলেছেন: সবার আগে টিচারদের প্রপার ট্রেনিং করিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তন করলেই ভালো হতো। ঢাকার একটা নামি দামি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যে মানের টিচার পায়, মফস্বলের ওরা সেই একই মানের টিচার পায় না। উদাহরণ আমি নিজেই। ক্লাস নাইন টেনে পড়ার সময় স্কুলে এক থেকে তিনের মধ্যে থেকে গোল্ডেন পাওয়ার পর যখন নটরডেমে এডমিট হলাম তখন ঢাকার ছেলেপেলেদের সাথে তুলনা করে দেখলাম, আমার বেসিক তুলনামূলক কম শক্ত। ওদের কনসেপ্ট বুঝে পড়ার ট্রেনিং টিচাররা দিয়েছে আগেই। বেশ বেগ পেতে হয়েছে আমার ওইসময়।


ম্যাথ, সায়েন্স,কমপিউটার সায়েন্স, ভাষা শিক্ষা, সোসাল সায়েন্স, বেসিক বিজনেস সাথে জিমন্যাস্টিক স্কুলে এইগুলাকেই ফোকাস দেওয়া উচিত। যে ইংরেজি, ম্যাথে আর সায়েন্সে ভালো, যে নৈতিকতার শিক্ষা নৈতিক শিক্ষক থেকে পায়, সে পরে নাচ-গান আর বিরিয়ানি রান্না একবার দেখেই রপ্ত করতে পারবে। আমাদের জেনারেশনের অপ্রাপ্তি থেকে বললাম।


০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি ভাল একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। কুদরত ই খুদা প্রবর্তিত কারিকুলামে হাত দেবার কোন প্রয়োজনই নাই। যেটা দরকার সেটা হচ্ছে শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষনের এর ব্যবস্থা করা বিশেষ করে গ্রামে গঞ্জে ও বিভিন্ন জেলাগুলোতে।

বিভিন্ন সাবজেক্টে পড়াশনার পাশাপাশি সোসাল সায়েন্স, বেসিক বিজনেস সাথে জিমন্যাস্টিক এইগুলোকেও ফোকাস দেওয়ার বিষয়ে একমত। তবে এগুলোতো আগে থেকেই স্কুলগুলোতে ছিল। স্কুল ছেড়েছি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমারতো মনে আছে যে আমাদের স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি , খেলাধুলা , শরীরচর্চা ( পিটি, প্যরেড) , বয় স্কাউট সবই ছিল। নীতি নৈ্তিকতার শিক্ষাদান শুরু হত প্রতিদিন সকালে স্কুলের এসেম্বলি থেকে। সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাসও পড়েছি ক্লাস সিক্স থেকেই ।সব মিলিয়ে আমি বলব স্কুলগুলোতে বেশ ভালই অবকাঠামো ছিল।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: সরকারি সিদ্ধান্তে কোন কথা বলা যাবে না। এইটা রাষ্ট্র বিরুদ্ধ কাজ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: শিক্ষক সমাজতো এ কারনেই মুখ খুলতে পারছে না।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাথে শতভাগ সহমত।

আপনার লেখায় যেভাবে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী উল্লেখিত আছে এর বাইরে আসলে বাড়তি কোন কিছুর দরকার নেই।

শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি, তিনি একজন ডাক্তার এবং লইয়ার। লন্ডন থেকে বার (Barrister at law) কোর্স করেছেন, আমেরিকা থেকে পিএইচডি করেছেন। উনি উচ্চশিক্ষিত এই ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই। সমস্যা হল, সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ারের নামে যে সব প্রকল্প হয়েছে/হচ্ছে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারা হচ্ছে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে। শিক্ষান্ত্রী নিজে একক ক্ষমতায় যা করার করে নিয়েছেন। মন্ত্রনালয়ের অন্যরা কতটুকু পেয়েছে।
এমনও হতে পারে শিক্ষা মন্ত্রনালয় এসব মেগা প্রকল্পের আওতায় পড়েনি তাই ওদের জন্যেও কিছু করা দরকারন। তাই এই সব ব্যবস্থা। কিছু একটা করে এখানে ওখানে ফান্ড পাঠানো, এই আর কি।

যাই হোক, গত পনের বছরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার যা হাল হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক জিপিএ-5 দের কোথায় ফিট করবেন প্রথমে সেটা বের করেন। তারপর এই যাদুকরী নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবার জন্য বেঁচে থাকবো কি না কে জানে?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য। প্রথমেই দেখুন যে , ঊচ্চশিক্ষিত একজন ডাক্তারের বায়োডাটা কি কোনভাবেই শিক্ষামন্ত্রী পদের জন্য উপযুক্ত ? আসুন দেখি কুদরত এ খুদার বায়োডাটা । কুদরত এ খুদা কলকাতা মাদ্রাসা থেকে ১৯১৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর তিনি ভর্তি হন বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে।সেখান থেকেই তিনি ১৯২৫ সালে রসায়নে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে এম.এস.সি পাশ করেন। পাশ করার পর তিনি সরকারী বৃত্তি নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান ডক্টরেট করার জন্য। ডক্টর অব সায়েন্স (ডি.এসসি. ডিগ্রী) লাভ করার পর দেশে ফিরে াসেন।১৯৩১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি এ কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক তাকে ইসলামিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং ১৯৪৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ড. কুদরাত-এ-খুদা পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং জনশিক্ষা পরিচালকের দায়িত্ব নেন (১৯৪৭-১৯৪৯)। অতঃপর তিনি পাকিস্তান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োজিত হন (১৯৫০-১৯৫৩)। ১৯৫৩-১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারসমূহের পরিচালক ছিলেন। অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে গড়ে তুলেন বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য যে শিক্ষাকমিশন গঠন করা হয় কুদরাত-এ-খুদা তার সভাপতি নির্বাচিত হন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রণীত হয়। সুত্র ঃ উইকিপিডিয়া

শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে মেগা প্রকল্পের আওতায় এনে কোটি কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারার বানিজ্যে রুপান্তর করাই নতুন কারিকুলামের মুল লক্ষ্য বলে মনে হচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে আরো কিছু অসৎ উদ্দেশ্য।

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৬

আরোগ্য বলেছেন: আমার যতদূর মনে পড়ছে ইংলিশ মিডিয়ামের বইগুলো ইন্ডিয়ান পাবলিকেশনের এবং অধিকাংশ based on indian and foreign culture. এর চেয়ে আমি ইংলিশ ভার্সন স্কুলের পক্ষপাতি। আমি নব্বইয়ের দশকে যেমনটা বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি তাতে অভিযোগ করছি না, কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ যা হচ্ছে তা আমার ভালো লাগছে না, আর এবার তো ভয়াবহ অবস্থা দাড়িয়েছে। আসলে আমি কোন ভাবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতে পারছি না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়াম সিস্টেম আসলে পুরাপুরি লন্ডনের কেমব্রিজ নিয়ন্ত্রিত। বই পত্র হয়ত ইন্ডিয়া থেকে আসতে পারে। ইংলিশ ভার্সন এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যেটা আমি কিছু অভিভাবকদের মুখে শুনেছি। সেই সব সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করা দরকার ছিল। এখনতো নতুন কারিকুলাম নিয়ে অভিভাবকেরা পুরাই দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

আরোগ্য বলেছেন: আবার আসলাম, ঢাবিয়ান ভাই আপনি sphinx এর গল্পটা জানেন। ইডিপাসের মধ্যে ছিল, আধা মানুষ আধা জানোয়ার। একটা রাজ্য দখল করে নিয়েছিলো। অনেক কষ্টে রেহাই মিলে। আর কিছু বললাম না। :P

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: A sphinx is a mythical creature with the head of a human, the body of a lion, and the wings of an eagle. In Greek tradition, the sphinx is a treacherous and merciless being with the head of a woman :(

আমি কই নাই। উইকিপিডিয়া কইসে :)

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই সরকারের প্রধান লক্ষ্য হইলো একটা অশিক্ষা-কুশিক্ষা নির্ভর জাতি গড়ে তোলা। জাতি শিক্ষা-দীক্ষায় যতো দূর্বল হবে, ততোই মেরুদন্ডহীন হবে। তাদেরকে শাসন করা, শোষণ করা ততোই সহজ.........এই সোজা কথাটা আম্লীগ জানে, খালি আপনেই জানেন না; তাই এইসব নিয়া লেখালেখি করেন। :-B

এইসব হইলো হীরক রাণীর দেশের কায়-কারবার। জানেন না.........বিদ্যার কোন শেষ নাই, বিদ্যা শিক্ষা বৃথা তাই। :P

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: সরাসরি কইতে গেলেতো বিপদ। চারজন শিক্ষক শুনলাম নতুন কারিকুলামের সমালোচনা কইরা এখন কারাগারে :(

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০১

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে সহমত।

আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর দেই: না, তাদের সন্তানেরা বাংলা মাধ্যমে বা ভার্শণে পড়ে না। আইএসডির ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণীতে শুধু টিউশন ফি বছর ২৮৩৫০ ডলার। এই বেতন দিয়ে অনেকেরই সন্তানরা এখানে পড়ে।

শায়মার জন্য একটা দীর্ঘ মন্তব্য লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে গেলাম। সেটা এখানে কপি করে দিলাম। পারলে পড়বেন।

@ শায়মা,

এই পোস্টে এতো মন্তব্য করেছ, যে বিশাল একটা পোস্ট হয়ে যেত ঠিকমতো লিখলে! মনে হয় তুমি অনেক ভালো লিখতে পারবে এই কারিকুলাম নিয়ে, অনেকের মতো আমিও চাই যে তুমি বিস্তারিত লিখো। সেখানে আবার আলোচনা হতে পারে, এই কারিকুলামে আমার প্রিয় বিষয় গণিত আর বিজ্ঞানের সংকুচিত আকার আর তার পরিণাম নিয়ে।

আমি আনন্দময় লেখাপড়ার বিরোধী নয়, কিন্তু মনে করি লেখাপড়া এমন হওয়া উচিত যেন শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আলোকে আলোকিত হতে পারে, সেটাই বলতে চেয়েছি।

ধরো এলিমেন্টারি ক্লাসে বিভিন্ন রং, বস্তুর আকার ইত্যাদি শেখানো হয়। যার তিনটি কোণ আছে তাকে বলে ত্রিভুজ, চার কোন থাকলে চতুর্ভুজ, গোলাকার হলে চতুর্ভুজ। তুমি বলেছ, শিক্ষাকে আনন্দময় করতে তুমি শেখাও দড়ি দিয়ে, এই কারিকুলামে যেভাবে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রদের দড়ি দিয়ে ত্রিভুজ শেখানো হয় সেভাবে । কিন্তু বলতো, সপ্তম শ্রেণীর যে ছাত্রটি আগের শ্রেণীতে খাতা কলমে জ্যামিতি করেছে, সে এবছর এভাবে নতুন করে ত্রিভুজ শিখে কি অর্জন করবে? তুমি কি সপ্তম শ্রেণীর কিশোরদের এভাবে ত্রিভুজ শেখাও, নাকি এলিমেন্টারি ক্লাসের শিশুদের?

আমি বলেছি তো আমি একসময় শিক্ষকতা করেছি, সেখানে প্রাইমারি লেভেল পর্যন্ত খেলাধুলার মাধ্যমে লেখাপড়া করানো হতো কিন্তু তারপর থেকে লেখাপড়ার চাপ থাকতো। সেটাও কিন্তু আনন্দময় লেখাপড়া। ধরো একদিন ইতিহাস ক্লাসে পড়ানো হলো সপ্তদশ শতকের ইউরোপ নিয়ে। ছাত্রদের এমন কোন প্রশ্ন করা হতো না যে উত্তর মুখস্ত করতে হয়। বরং প্রশ্নটা এমন হতো, সেই সময় রোমে বাসকারী একজন ডাক্তারের একদিনের ডায়রি লিখো। প্রতিটি ছাত্রর উত্তর হতো আলাদা! অঙ্ক বইগুলো ছিল চমৎকার। নিয়মিত পড়াশোনা আর অনুশীলন করতে হতো, সপ্তম শ্রেণীতে। তোমার স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে কি কেমন লেখাপড়া হয়, শুধু খেলাময় লেখাপড়া?

এই যে নতুন কারিকুলাম, এর নাম International Baccalaureate, এটা আধুনিকতম শিক্ষা ব্যবস্থা যা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার, নেতৃত্ব দেবার উপযোগী নাগরিক তৈরি করবে। এজন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষারদানকারী শিক্ষকদের আগে নিবিড় প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়, যেন তারা প্রতিটা ছাত্রের মানসিক শারীরিক এবং জ্ঞানের বিকাশ সঠিকভাবে যাচাই করতে পারেন, তার aptitude অনুযায়ী তাকে গড়ে তুলতে পারেন। এজন্য একজন শিক্ষকের অধীনে বড় জোর ২০ জন শিক্ষার্থী থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে মূলধারার বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে কতজন ছাত্র থাকে সেটা জানো? ছাত্রদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করার উপযোগী প্রশিক্ষণ কি শিক্ষককে দেয়া হয়েছে? এইসব যাচাই করে বলো তো, লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের সঠিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে তোমার?

বাচ্চাদের মাল্টিপল ইন্টেলিজেন্স বিচার করেও লেখাপড়ায় নানা রকমের ওয়ার্কশিট হতে পারে বিভিন্ন বাচ্চার বিভিন্ন ইন্টারেস্ট অনুযায়ী যখন worksheet বা লারনিং যে কোন রিসোর্সের হবে তখন যে বাচ্চা মুখস্ত পারে না কিন্তু ছবি এঁকে দিতে পারে সে সেটাই করবে এবং শিখবে এবং যে বাচ্চা ছবি আঁকতে পারে না কিন্তু খেলনা সেটা করতে পারে সেভাবেই দেখাবে। কিন্তু খেলনা সেটা করতে পারে সেভাবেই দেখাবে এরপর একে অন্যের দেখে সমস্ত ক্লাস নিজেদের ছাড়াও অন্যদের সাথে থট শেয়ারিং করবে।

বড় সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা চিত্র, এসব আমরা তো জানতামই না। ভাবতে খুব ভালো লাগছে, আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলোতে খালি পেটে, খালি পায়ে পড়তে যাওয়া শিশুরাও এমন চমৎকার ভাবে ছবি এঁকে, খেলনা দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করছে!

অভিভাবকেরা না হয় নতুন কিছু দেখে শঙ্কিত হয়েছে কিন্তু এটা দেশের সরকার কেন শিক্ষা বন্ধ করার আয়োজন করবে এটা তো আমি বুঝতে পারছি না আপুনি। সরকারের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি দেশের শিক্ষাবিদদের?

না, এদের কারোরই মাথা খারাপ হয়নি। ওরা এটা করেছেন আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন বলে। যে কারণে ব্যবসায়ীরা নির্দ্বিধায় খাবারে বিষ মেশাতে পারেন, ঠিক সেই কারণেই উচ্চ পদাধিকারীরা এদেশের সাধারণ মানুষের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে খেলা করতে পারেন। কারণ তাদের সন্তানেরা পড়ে অথবা পড়েছে আইএসডি, আগা খান স্কুল ইত্যাদিতে। (আমি এটা খোঁজ নিয়ে দেখেই বলছি।)

অর্থ কম না মোটেও, কয়েক হাজার কোটি টাকা। শিক্ষা নিয়ে গবেষণা, পরিবর্তন, পরিবর্ধন একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস, এর জন্য বিদেশ থেকে এই অর্থ সহায়তা আসে। সেই টাকায় কর্মকর্তারা বিদেশে যান, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা শিখে আসেন, কিছু গবেষণা হয়, সমস্ত টাকা খরচ করে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়। এমন আগেও বারেবার হয়েছে, প্রতিবারই বলা হয়েছে যে, এটা সর্বোৎকৃষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। এভাবে একসময়কার ফলাফলের ডিভিশন পদ্ধতি বাদ হয়ে এলো জিপিএ এবিসিডি পদ্ধতি শিক্ষা ব্যবস্থা এসেছিল। এখন বলা হচ্ছে জিপিএ ভুল, ফলে এবার চালু হচ্ছে ফলাফলের জন্য পরীক্ষা বিহীন ত্রিভুজ, বৃত্ত , চতুর্ভুজ পদ্ধতি যা বিশ্বে অনন্য। (তুমি যখন এই কারিকুলাম নিয়ে লিখবে, তখন তোমার সেই পোস্টে একটু জানাও তো এই বৃত্ত ত্রিভুজ চতুর্ভুজ পদ্ধতি দুনিয়ার আর কোথায় চালু আছে, আর এর সুফল কী! এটা নিয়েও অভিভাবকেরা আপত্তি করছেন। আমি গুগল করে কোথাও এটা পেলাম না।)

আমরা পরিবর্তন মেনে নিতে পারছি না বলে বড় রুষ্ট হয়েছ তুমি। তুমি হয়তো জানো না, মূলধারার শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় গত কয়েক বছর ধরে কেবল পরিবর্তনের মাঝে দিয়েই যাচ্ছে। জিপিএ প্রবর্তনের পর ক্লাস ফাইভ এবং ক্লাস এইট এর বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দিয়ে প্রাথমিক সমাপনী এবং জেএসসি নামের পাবলিক পরীক্ষা চালু হলো। আট দশ বছর চলার পর বলা হলো যে এটা খারাপ পদ্ধতি, অতএব বাতিল। একই ভাবে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করে বলা হলো এটা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। এটা বাচ্চাদের মুখস্ত বিদ্যার হাত থেকে বাঁচাবে, কোচিং দরকার হবে না, গাইড দরকার হবে না।‌ দেখা গেল এই পদ্ধতিতে এগুলো আরও বেশি দরকার হচ্ছে। এটাও বাতিল হল কয়েক বছরের মধ্যে।

দেখতেই পাচ্ছো মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছুদিন পর পর আমূল পরিবর্তন করা হয় যথাযথ গবেষণা ও প্রস্তুতি ছাড়া, তারপর সেটা বাতিল করে নতুন পদ্ধতি আসে। অথচ এদেশে ও লেভেল এ লেভেল চলছে একই পরিবর্তন ছাড়াই। কেন??

এই যে ডিভাইস নির্ভর কারিকুলাম, সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কিন্তু সামর্থ নেই স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার কিনে দেবার, ইন্টারনেট সংযোগ নেবার, তারপর প্রিন্ট নেবার। আমাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাপকদের উচিত ছিল অভিভাবকদের উপর চাপ না দিয়ে কম্পিউটার সমৃদ্ধ লাইব্রেরি করা, যেখানে বসে শিক্ষর্থীরা প্রয়োজনীয় লেখাপড়া ও প্রিন্ট করতে পারে।

বলেছ বিজ্ঞানে তাপ সঞ্চালন শেখাতে বিরিয়ানি রান্না করেছে!! বিরিয়ানি রান্না করতে কত সময় লাগে বলতো? দুই ঘণ্টা। শুধু তাপ সঞ্চালন শিখতে দুই ঘন্টা লাগালে, তাপের অন্যান্য বিষয় শিখতেই তো বছর চলে যাবে। আলোক, চুম্বক, শক্তি, বিদ্যুত আরো অনেক বিষয় যা এতদিন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ানো হতো, সেসব কখন পড়াবে?

বলেছ, বিরিয়ানি রান্না শেখার সুফল হচ্ছে বিদেশে পড়তে গেলে নিজে রেঁধে বিরিয়ানি খেতে পারবে। আচ্ছা বলতো, বিদেশে পড়তে যাবে কিভাবে? স্যাট, জিআরই টোফেল আইএলটস পাশ না করে বিদেশে পড়তে যাওয়া যায়? কিন্তু এসব পাশ করতে তো পরীক্ষা দিতে হয়, মুখস্ত করতেও হয়। :(

আগামী বছর নবম শ্রেণীতে কোন বিভাগ থাকবে না। এতদিন মানবিক শাখার ছাত্ররা যে সাধারণ বিজ্ঞান বই পড়তো এখন সবাই সেই বই পড়বে। বাদ হয়ে যাবে উচ্চতর গণিত, অথচ গণিত হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষা। তুমি নিশ্চয় জানো ও লেভেলে কত বিস্তারিত গণিত অনুশীলন করতে হয়।‌ তাহলে মূলধারার শিক্ষায় গণিত বাদ দিয়ে বিজ্ঞান পড়া কিভাবে সম্ভব?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু আপনার লেখা হাত অসাধারন। এই ইসূতে আপনি রেগুলার পোস্ট দিন ব্লগে। আমরা কমেন্ট করতে চাই। আমি সিঙ্গাপুরের নরমাল টেকনিকাল স্ট্রীমের সাথে কিছুটা মিল দেখতে পাচ্ছি আমাদের নতুন কারিকুলামের । সবাই Click This Link এই সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন এই শাখার কারিকুলাম ।

সিঙ্গাপুরে সেকেন্ডারি স্কুলে তিনটা স্ট্রীম রয়েছে। GCE O-Level, GCE N(A)-Level এবং GCE N(T)-Level । সেকেন্ডারি স্কুল ক্লাস সেভেন থেকে ক্লাস টেন ( এখানে বলা হয় সেকেন্ডারি ওয়ান থেকে সেকেন্ডারি ফোর ) । শিক্ষার্থীদের এবিলিটি অনুযায়ী এই তিন স্ট্রীম করা করেছে। খুব ভাল ছাত্র ছাত্রীরা O-Level স্ট্রীমে যায় , মাঝারী মানের শিক্ষার্থীরা GCE N Level স্ট্রীমে যায় এবং অমনোযোগী , লারনিং ডিফিকাল্টি সহ আরো নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত শিক্ষার্থী যারা প্রচলিত সিস্টেমের পড়াশোনার সাথে কোপ করতে পারে না তারা এই GCE N(T) স্ট্রীমে যায়

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ওয়েল ঢাবিয়ান ভাই, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনি যে হেসে উড়িয়ে দিলেন যে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম আগে থেকেই ভালো ছিল, আমি এই বিষয়ে একমত নই। আমরা বিজ্ঞান পড়েছি, ইতিহাস পড়েছি কিন্তু প্র‍্যাকটিক্যালি পরীক্ষার খাতায় ছাড়া তেমন কোথায় প্রয়োগ করতে পারি নি স্কুলে। বাংলাদেশের কয়টা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে হাতে কলমে ল্যাবে ফিজিক্স কেমেস্ট্রির ব্যবহারিক গুলো করানো হয়? পারসেন্টেজ কতো? যে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যুরোক্রেট ছাড়া বিজ্ঞানী / সত্যিকারের গবেষক বানাতে পারে না সেটার মোডিফাই করার দরকার তো আছেই। কিন্তু তাই বলে ব্যবহারিকের নামে আনন্দ বিনোদন নাচ গানের মোড়কে শিক্ষা নয়।


পিটি এসেম্বলি আর জিমন্যাস্টিকস মোটেও এক নয়।


বলতে গেলে অনেক কথাই তো বলা যায়। করুণাধারা আপুর কমেন্টটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে ভাবেন। আগে স্কুল বিল্ডিং, ল্যাব ইকুপমেন্টস, ডেডিকেটেড ট্রেইন্ড টিচার, এরপর শিক্ষা ব্যবস্থা ট্যবস্থা!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন। আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের শিক্ষার ভিতটা মজবুতই। এটাকে না ভেঙ্গে কিভাবে আরো উন্নতি করা যায় সেটার দিকেই মনোনিবেশ করা উচিত। যেমন আপনি বলছেন আপনার জেলা শহর থেকে নটরডেম কলেজে পড়তে আসার পর ঢাকার ছেলেপেলেদের সাথে তুলনা করে দেখলেন, আপনার বেসিক তুলনামূলক কম শক্ত। সুতরাং আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উচিত এই গ্যাপ নিয়ে কাজ করা। আবার এই মন্তব্যে বলেছেন হাতে কলমে ল্যাবে ফিজিক্স কেমেস্ট্রির ব্যবহারিক কয়টা কলেজে হয় ? এটাও খুবই ভাল একটা পয়েন্ট।এইরকম আরো যত অসঙ্গতি রয়েছে , সেইগুলো নিয়েইতো কাজ করা উচিত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের। কিন্ত তারা সেসব নিয়ে আগে কখনই কাজ করে নাই। নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পুর্ন নিজেদের প্রচেষ্টায় অনেক অসঙ্গতি দূর করার চেষ্টা করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রনালয় বর্তমানে আজব এক কারিকুলাম চাপানোর চেষ্টা করছে শিক্ষার মেরুদন্ডটা ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে। কাগজ কেটে অরিগামি বানানো শেখা , বিরিয়ানি রান্না শেখার জন্য কেউ স্কুলে যায় না। এই কারিকুলামের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থাটি বিশ্বমানের, ফিনল্যান্ডে এই ব্যবস্থা চালু আছে। ইউকে সহ অনেক ইউরোপিয়ান দেশে প্রায় একই। ভারত পাকিস্তানেরও অনেক প্রদেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে।



নতুন কারিকুলাম শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে মূলত তিনটা শ্রেণি।

১: কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্ত শিক্ষকরা।
এরাই সর্বপ্রথম সঙ্গবদ্ধভাবে এর বিরোধিতা শুরু করে। যেহেতু ছোট ক্লাসে পরীক্ষা থাকবে না তাই কোচিংয়েরও প্রয়োজন হবে না। রুটি রুজি বন্ধ হয়ে যাবে তাই বিরোধিতা।

২: আর বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ বিরোধী কিছু শিবির পন্থি ইউটিউবার।
যারা বাংলাদেশ সরকারের সবকিছুর বিরোধিতা করতে হবে, ডিফল্ট।

৩: সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করছে ৮, ৯ পাস কিছু টোকাই,
যারা কোন জ্ঞানই রাখে না, সস্তা স্মার্ট ফোন আর সস্তা ইন্টারনেট পেয়ে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছে, কিছু একটা পেলেই শেয়ার করো আর হাসাহাসি করো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: যুগটা তো এখন গুগলের । গুগলে সার্চ দিলেই বেরিয়ে আসে কোন দেশে কি সিস্টেমের পড়াশোনা চালু। । তারপরেও কিভাবে এই ভাওতাবাজির আশ্রয় নেন যে ফিনল্যান্ডে , ইউকে সহ অনেক ইউরোপিয়ান দেশে এই সিস্টেম চালু আছে ? ফেসবুকে অনেকেই ফিনল্যন্ডের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর বই এর সিলেবাসের ছবি প্রকাশ করছে। কষ্ট করে একটু সার্চ দেন তাহলেই হবে।


ট্যাগিং কালচার করে আর কতকাল মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখবেন ?

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আয়া পড়সে বইশাখি ভায়া। ফিনল্যান্ডে বুঝি বিনাভোটে নির্বাচন আর উন্নয়নের নামে ডাকাতির উৎসব হয়? আওয়ামী ধ্যান ধারনার সাথে মিল না হলেই এইট নাইন পাশ / শিবির / আর কোচিং এর শিক্ষক!

আপনার এই আলাপ মানুষ খাবে আপনি নিজে বিশ্বাস করেন?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাক স্বাধীনতা ইনারা এই উপায়েই কেড়ে নিয়ে থাকেন !!

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থাটি বিশ্বমানের, ফিনল্যান্ডে এই ব্যবস্থা চালু আছে। ইউকে সহ অনেক ইউরোপিয়ান দেশে প্রায় একই। ভারত পাকিস্তানেরও অনেক প্রদেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে।


বেকুবের মতোন একটা কথা কয়া দিলেন। এই শিক্ষা-ব্যবস্থা ভারত পাকিস্তানের কোথায় চালু আছে আর তাদের সাফল্যের অবস্থা কি জানান দেখি? ফিনল্যান্ড, ইউকেসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ক্লাশরুমে ছাত্র-শিক্ষকের রেশিও কতো জানেন? শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ স্ট্যান্ডার্ড জানেন? শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে কোন আইডিয়া আছে? আরো কিছু কমু? আম্রিকাতে কি চোখ বন্ধ কইরা চলাফেরা করেন নাকি যে এইসব চোখে পড়ে না!!!

উন্নত বিশ্বে কোন কিছু চালু থাকলেই তা বাংলাদেশে চালু করা যায়? আম্রিকাতে তো অস্ত্র আইন অনেক শিথিল; বাংলাদেশে সেই রকম চালু করলে কেমন হয়?

আপনের মতোন লেখাপড়া জানা শিক্ষিত মানুষরা যদি দলীয় লেজুড়বৃত্তিমূলক কথাবার্তা বলে, আর বিবেক বেইচা খায়, তাইলে বিষয়টা কেমন দেখায়?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আম্রিকাতে চোখ বন্ধ করে চলেন না , কিন্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একেবারেই ব্লগার কালবৈশাখী চোখ বন্ধ। বর্তমান সরকারের সব কিছুই ভাল , এর বিরুদ্ধে যারাই কিছু বলবে তারা সবাই রাজাকার , শিবির!!

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন:

ফিনল্যান্ডের মাধ্যমিকে দুটি লেভেল আছে: লোয়ার সেকেন্ডারি স্কুল ও হায়ার সেকেন্ডারী স্কুল আছে ।লোয়ার সেকেন্ডারি স্কুল হলো সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেনীর জন্য । তাদের সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেনীর রসায়নের সিলেবাস দেখুন ।
সপ্তম শ্রেনীতে রসায়নের জন্য তারা ১২টি অধ্যায় পড়ায় । প্রথম অংশটিতে the world of Chemistry যেখানে ৬টি অধ্যায় আছে । দ্বিতীয় অংশটিতে Water and Air যেখানে ৬টি অধ্যায় আছে
The World of Chemistry
1. Chemistry – the Science of Studying Substances
2. Achievements of Chemistry
3. Laboratory Work Safety
4. Substances Around Us
5. Separating the Components of Mixtures
6. Elements and Compounds
Water and Air
7. Water – the Source of Life
8. Water as a Solvent
9. Acidity and Basicity
10. Slow and Fast Reactions
11. Characteristics of Air
12. Combustion and Fire Safety
অষ্টম শ্রেনীতে রসায়নের জন্য তারা ১৫টি অধ্যায় পড়ায় । প্রথম অংশটিতে From Atoms to Compounds যেখানে ৪টি অধ্যায় আছে । দ্বিতীয় The Chemistry of Carbon অংশটিতে ৪টি অধ্যায় আছে । এবং তৃতীয় অংশটিতে Chemistry at Home ৭টি অধ্যায় আছে ।
From Atoms to Compounds
13. Atom Structure Model
14. The Periodic System
15. Ionic Bonding and Metallic Bonding
16. Covalent Bonding and Molecules
The Chemistry of Carbon
17. Carbon – a Diverse Element
18. Hydrocarbons
19. Alcohols
20. Carboxylic Acids
Chemistry at Home
21. Nutrients
22. Proteins
23. Carbohydrates
24. Fats
25. Chemistry of Cooking
26. Detergents
27. Waste Processing and Recycling
নবম শ্রেনীতে রসায়নের জন্য তারা ১১টি অধ্যায় পড়ায় ।
Salts and Metals
28. Acids and Bases
29. Salts and Neutralisation
30. From Ores to Metals
31. Properties of Metals
32. Galvanic Series of Metals
33. Electrochemistry
Applications of Chemistry
34. Plastics and the Petroleum Industry
35. Paper and Natural Fibres
36. Medicines
37. Cosmetic Substances
38. New Materials
39. Chemistry and the Environment
এখন এই সিলেবাসের সাথে আমাদের সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেনীর রসায়নের সিলেবাস (বিজ্ঞান বইগুলো) মিলিয়ে দেখুন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে শিরোনামে দ্বীতিয় < দ্বিতীয় বানানটি সংশোধন করে নিন।

বাংলাদেশের শিক্ষার কখনই খুব একটা ভালো ছিলো না। অন্তত স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিম্নগামী। বাংলাদেশে শিক্ষা কার্যক্রম আগে ভালো ছিলো না মন্দ ছিলো সেটার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ তা আধুনিক বিশ্বের সাথে মানানসই ছিলো কি না এই প্রশ্ন করা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ বানান ঠিক করে দিয়েছি।

আপনার সাথে একমত যে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিম্নগামী। অথচ ভারতের শিক্ষার মান খুবই উন্নত। এর প্রধান কারন হচ্ছে ব্রিটিশদের তাড়ালেও ইন্ডিয়া ব্রিটিশদের গেড়ে যাওয়া এডুকেশন সিস্টেমে হাত না দিয়ে কেবল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযুগী করেছে। All India Senior School Certificate (CBSE) and Indian School Certificate (ISC) তাই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোয়ালিফিকেশন। আমাদের বাংলা মিডিয়ামের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেতে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীদের বসতে হয় টোফেল, স্যট বা IELTS পরীক্ষায়। মানসম্মত স্কোর পেলেই কেবল স্বীকৃতি মেলে আমাদের সার্টিফিকেটের। তবে বিভিন্ন সাবজেক্টে আমাদের সিলেবাস বাংলায় হলেও তা ছিল বিদেশের সাথে সামঞ্জষ্যপূর্ন। যে কারনে বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র ছাত্রীরা কম্পিটিশনে কখনই পিছিয়ে পড়েনি।

এখন ষষ্ঠ থেকে দশম ও শ্রেনীর সিলেবাস কাটছাট করে যে নতুন সিলেবাস করা হয়েছে , তাতে বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীরা সামনে উচ্চশিক্ষার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে।

১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাদের সন্তান বাংলা মিডিয়ামে পড়ছে , তারা খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবারতো আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোর সামর্থ নাই।

দেখুন সত্যিকথা বলতে কি ইংলিশ মিডীয়ামে লেখাপড়ার মান অনেক ভালো। প্রতিটা ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বাচ্চা বয়স থেকেই সুন্দর ইংরেজি শিখে যায়। আর বাংলা মিডিয়ামের ক্লাশ ৯/১০ এর ছেলেমেয়েরা এক লাইন ইংলিশ বলতে পারে না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: খালি ফটফট ইংরেজি বলতে পারলেই হয় না , পড়াশোনায় ভাল করতে গেলে ইংরেজি ছাড়াও অন্য সব সাবজেক্টেও ভাল করতে হয়। আর তাই একজন স্টুডেন্ট বাংলা মিডিয়াম না ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ছে তা জরুরী নয় , জরুরী বিষয় হচ্ছে তারা কি পড়ছে।

২০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ তার শিক্ষা নিয়ে প্রবন্ধে যা লিখেছেন। সেটাই করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: কোথাকার শিক্ষা নিয়ে লিখেছেন ?

২১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: পুরানো কারিকুলামে তো চলল ৫০ বছর । দেশের অবস্থা কেমন দেখছেন তো? আপনি নিজেও কিন্তু দেশে থাকেন না । বর্তমানে যাদেরই একটু সামর্থ্য আছে তারা পড়তে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে ।
এই কারিকুলাম আসলেই কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না । কিন্তু আগের গুলো যে ধজভঙ্গ সেটার ব্যাপারে তো কারো সন্দেহ থাকার কথা না । সেটা যে বদলানো দরকার সেটা তো আর মিথ্যা না।

২২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ অপু তানভীর , আপনি কিসের ভিত্তিতে বলছেন পুরানো কারিকুলামে খারাপ তা যুক্তিসহকারে বলুন। খালি গায়ের জোরে বললেতো হবে না। পুরানো কারিকুলামে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান , মানবিক ও বানিজ্য শাখা আলাদা ছিল। যেমন আমার শাখা ছিল বিজ্ঞান । তাই আমার সাবজেক্ট কম্বিনেশন ছিল বাংলা , ইংরেজি, ভুগোল , বিজ্ঞান , সাধারন গনিত , উচ্চতর গনিত ও হিসাব বিজ্ঞান। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ছিলাম । সাবজেক্ট কম্বিনেশন ছিল বাংলা , ইংরেজি, কেমিস্ট্রি ( ১ম ও ২য় পত্র ) , ফিজিক্স (১ম ও ২য় পত্র), বায়োলজি ( ১ম ও ২য় পত্র) এবং গনিত ( ১ম ও ২য় পত্র)। ইংলিশ মিডিয়ামেও এই একই ধরনের সাবজেক্ট কম্বিনেশন থাকে। বিদেশে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করবেন তখন তারা আপনার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশীট দেখতে চাইবে। সাইন্স সাবজেক্টে ভর্তি হতে চাইলে আপনার সাইন্সের উপড়ের সাবজেক্টগুলোর গ্রেড বা মার্ক দেখতে চাইবে। একই ভাবে বানিজ্য , আর্টিস সাবজেক্টে ভর্তি হতে চাইলে সে সম্পর্কিত সাবজেক্টের স্কোর দেখতে চাইবে যদি আপনি সাইন্সের ছাত্র না হন। এবার দেখুন নতুন কারিকুলামের সাবজেক্ট কম্বিনেশন।


নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিকে বিজ্ঞান , মানবিক ও বানিজ্য শাখা থাকছে না। সবার একই সাবজেক্ট কম্বিনেশন। এই সাবজেক্ট কম্বিনেশন এবং শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিখা যে অত্যন্ত জটিলতার মধ্যে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নাই। বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়ামের সিলেবাসের মাঝে এতদিন ধরে যে সামঞ্জষ্যতা ছিল তা নষ্ট করে কোন ফায়দা শিক্ষার্থীদের হবে তা যুক্তিসহকারে ব্যখ্যা করুন।

জীবন জীবিকা , স্বাস্থ সুরক্ষা নামক সাবজেক্টের কথা জীবনেও কোথাও শুনি নাই। শিল্প সংস্কৃতি সাবজেক্ট কেন বাধ্যতা্মুলক সাবজেক্ট হবে ? উচ্চতর গনিত কেন বাদ দেয়া হবে ? ভুগোল বাদ দিয়ে ইতিহাস কেন বাধ্যতামুলক হবে ?

আপনি বলেছেন বর্তমানে যাদেরই একটু সামর্থ্য আছে তারা পড়তে চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে । দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপড় বীতশ্রদ্ধ হয়েই মানুষ দেশ ছাড়ছে। তবে আগে যেত উচ্চমাধ্যমিক ও গ্র্র্যজুয়েশন শেষ করার পর। এখনতো সন্তানদের স্কুলে পড়াতেও মানুষ দেশ ছাড়বে বলে মনে হচ্ছে। ইংলিশ মিডিয়ামের ব্যবসা আরো রমরমা হবে। শুনেছি ইংলিশ মিডিয়ামে সিট পাওয়া এখন খুবই কঠিন হয়ে গেছে। প্রচুর টাকা ডোনেশন ও তদবির করেও সীট পাওয়া যাচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.