নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বদেশী বোধ জাগ্রত করুন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭



সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় হিন্দু ধর্মাম্বলীদের ধর্মীয় উৎসব হোলি উদযাপনের বেশ কিছু ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওগুলো দেখে মনে হচ্ছে না যে, এটা বাংলাদেশের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সাত বছর আগে চারুকলায় ঢোকানো হয়েছে এই দোল উৎসব।এই উৎসবে অংশ নেয়া কিছু শিক্ষার্থীর ইন্টারভিউ ভাইরাল হয়েছে। রঙ মেখে ইন্ডিয়ান স্টাইলের নাচ গানে অংশ নেয়া ছাত্র ছাত্রীরা বলেছে, ‘অসাধারন লাগছে এই রঙ এর উৎসবে অংশ নিয়ে!' একজন ছাত্র বলেছে , ‘ রোজা রেখে এই রঙ এর খেলায় অংশ নেয়াতে আমার মনে হয় না যে রোজা হাল্কা হয়ে হয়ে গেছে। Allah will understand this ’!! মূ্ল্যবোধের কতখানি অবক্ষয় ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এভাবে কথা বলতে পারে , তাই ভাবছি। তবে একতরফা এই শিক্ষার্থীদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। এরা বর্তমান প্রজন্ম। কেন এদের মূল্যবোধের অধঃপতন হয়েছে , তা ভেবে দেখার দায় আমাদেরই। নিজের চারপাশে মানুষ যা দেখে তাতেই সে অনুপ্রানিত হয়। বছরের পর বছর আমাদের দেশের বাসা বাড়ীর টিভিতে চলছে স্টার জলসা, জি , সনি, স্টার প্লাস ইত্যাদি ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল , নাচ গানের প্রোগ্রাম। এসব চ্যনেলের প্রভাবে ইন্ডিয়ান সংস্কৃতিই এখন আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। পোষাক আষাক , সাজ সজ্জা সব কিছুতেই এখন ইন্ডিয়ান সংস্কৃতির ছাপ সুস্পষ্ট। বিয়ে স্বাদীর প্রোগ্রামগুলোতেও আজকাল আর আগের মত বাঙ্গালী স্টাইলের হলুদ, বিয়ে - বৌভাতের প্রোগ্রাম হয় না। ইন্ডিয়ান নাচ গানে ভরপুর মেহেদি - সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অর্থাৎ মানুষ যা টিভিতে দেখছে তাই অন্ধ অনুকরন করছে । বাঙ্গালী সংস্কৃতি এখন অনেকটাই বিলুপ্তপ্রায়।

আজ থেকে ২০/২৫ আগে দেশের অবস্থা এমন ছিল না। আশি নব্বই দশকে আমাদের বিনোদনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল বই এবং টিভি। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ নিয়ে আবদুল্লাহ আবু সাইদ গড়ে তুলেছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। স্কুলগুলোতে সপ্তাহে একদিন বই নিয়ে হাজির হত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রামমান লাইব্রেরী। বিশ্ব বিখ্যাত সব লেখকদের অনুবাদকৃত বই পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিল এই ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী। বই পড়ার পাঠক তৈরী্তে আরেক বিশাল অবদান রেখেছিল কাজিদার সেবা প্রকাশনী। এছাড়াও বাংলা সাহিত্যের প্রতিথযশা কবি সাহিত্যকদের পাশাপাশি হুমায়ুন আহমেদও কাপিয়েছে কয়েক দশক । কাপিয়েছে ওপার বাংলার লেখকরাও। মূল্যবোধ ও নীতি নৈ্তিকতার জ্ঞান মানুষ মুলত অর্জন করে বই পড়ে। পরিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষাই কেবল যথেষ্ঠ নয় ভালো-মন্দ, ন্যায়- অন্যায় বিবেচনা বোধ তৈরীতে। ইন্টারনেট ও ইন্ডিয়ান টিভি কালচারের নেশায় আসক্ত বর্তমান প্রজন্ম কি বই পড়ে ? দেশে আমি বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম তারা বই পড়ে কিনা । তারা প্রত্যেকেই বলেছে যে, বই পড়ার সময় নাই !! এদিকে বইমেলা হয় প্রতি বছর। । পাঠকের চাইতে লেখকের সংখ্যাই এখন বেশী বলে মনে হয়। রংচঙ্গে পোষাক পড়ে বইমেলায় বই হাতে নিয়ে ছবি তুলে লেখক / পাঠক । ফেসবুকে সেই পোস্ট ভেসে যায় লাইক কমেন্ট এর বন্যায়। অনুরোধের ঢেকি গিলে কেনা সেই সব বই কজন পাঠক পড়ে, যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে।

মূল্যবোধ সৃষ্টিতে বই এর পাশাপাশি নাটক , সিনেমা ও সঙ্গীতেরও বিশাল ভুমিকা রয়েছে । আশি নব্বই দশক হচ্ছে বাংলা গান ও নাটকের স্বর্নালী যুগ। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে সন্ধার পর সবাই অপেক্ষায় থাকতাম বিটিভির বাংলা নাটকের জন্য। সে সময়ের বাংলা নাটকে ফুটে উঠত চলমান জীবনের বাস্তবতা । মধ্যবিত্ত সমাজ ড্রইংরুমে খুজে পেত তাদের জীবনের প্রতিফলন। গ্রামের খেটে খাওয়া সহজ সরল মানুষ খুজে পেত তাদের জীবনের ছোয়া। গ্রামে গঞ্জে তখন ঘরে ঘরে টিভি ছিল না। কিন্ত এলাকায় যার বাসায় টিভি ছিল সেখানেই বসত নাটক দেখার আসর। নব্বই দশকের শেষ ভাগে আমাদের দেশে ইন্ডিয়ান ডিশ টিভি কালচারের অনুপ্রবেশ ঘটে। পাড়ায় পাড়ায় স্থাপিত হয় cable লাইন সংযোগ দেবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । খুবই অল্প টাকায় এই cable লাইন নিলেই মেলে একশর উপড়ে চ্যানেল দেখার সুযোগ। চোখ ধাধানো সুন্দর সেটে , চড়া মেকাপের রুপসি তম্বী নায়িকাদের অভিনীত সিরিয়াল ও নাচ গানের পাশে বড্ড সাদামাটা হয়ে পড়ে বাংলা নাটক। ধীরে ধীরে দর্শক হারানো শুরু করে বাংলা নাটক। কিন্ত আদতে এসব হিন্দি সিরিয়ালগুলোতে না আছে শিক্ষনীয় কোন বিষয় , না আছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির কোন মিল। বছরের পর বছর এই হিন্দি সংস্কৃতি তরুন প্রজন্মের মূল্যবোধ পাল্টে দিচ্ছে, বিকৃতি ঘটাচ্ছে রুচির । মানুষ এখন বাঙ্গালীয়ানা ভুলে গিয়ে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করছে তাদের দেখে।

খোদ ইন্ডিয়াতেও সব রাজ্যে হিন্দি সংস্কৃতির জয় জয়কার নেই। হিন্দি ভারতের রাস্ট্রীয় ভাষা হলেও মাদ্রাজ, কেরালা, গুজরাট ইত্যাদি আরো বহু রাজ্যের মানুষ হিন্দি বোঝে না। তারা যে যার নিজস্ব ভাষার সংস্কৃতিকেই স্বযত্নে ধরে রেখেছে। আর সেখানে আমরা অন্য দেশের মানুষ হয়ে আরেক দেশের সংস্কৃতিকে লালন পালন করছি!! চলমান স্বদেশি পন্য প্রমোটের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি জরুরী এই বিজাতীয় হিন্দি টিভি চ্যনেল বর্জন। হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী সংষ্কতি ফিরিয়ে আনতে হলে হিন্দি সংষ্কৃতি বর্জন করতে হবে। এই বর্জনে প্রয়োজন শুধু আপনার/ আমার সদিচ্ছা। স্বদেশিবোধ জাগ্রত করুন , স্বদেশি পন্য কিনুন ও স্বদেশি বাংলা সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে বলিষ্ট ভুমিকা রাখুন।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১২

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত যে মানুষ এখন বাঙ্গালীয়ানা ভুলে গিয়ে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করছে, কিছু মানুষ হোলি খেলছে
তার চেয়েও বেশী মানুষ আরবের সংস্কৃতিতে আসক্ত হচ্ছে, যেখানে আরববা বোরখা ছেড়ে দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের মেয়েরা কালো বস্তায় ঢুকছে। এর একটা বিহিত হওয়ার দরকার। প্রথমে বিদেশী ধর্ম ছাড়তে হবে, বাংলাদেশে নতুন দেশী ধর্ম চাই। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আগে বলুন আপনি কোন দেশী ও কোন ধর্মের? বাকি কথার প্রতিউত্তর পরে দিব।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একদম ঠিক কথাই বলেছেন

এতের সম্পর্কে বলার ভাষা নাই :(

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। বাসায় কি হিন্দি চ্যনেলের cable লাইন আছে ?

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি বিশ্ববাসী, মানব ধর্মের।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: এরকম generalized উত্তর দিলেতো হবে না। কারন আপনার মন্তব্যের প্রতিউত্তর নির্ভর করবে আপনার দেশ ও ধর্মীয় পরিচয়ের উপড় ভিত্তি করে।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মে আস্থা নাই। তাই আপনি যে উত্তর চান, আমার কাছে তা নেই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি কেন নিজেকে প্রকাশ করতে চান না, তা বোঝাটা দুস্কর নয়।

যাই হোক আপনি যেটা আরবি সংস্কতি বলছেন, সেটা আসলে মুসলিম সংস্কৃতি। ধর্ম কে কতটুকু মানবে তা ব্যক্তিবিশেষের উপড় নির্ভরশী্ল। আমি যে দেশে থাকি সেখানে পোষাকের স্বাধীনতা আছে। একটি মেয়ের যেমন শর্ট স্কার্ট পড়ার স্বাধীনতা আছে তেমনি বোরখা পড়ার স্বাধীনতাও আছে । একজন সভ্য মানুষ হিসেবে আপনাকে দুইজনকেই সম্মান করতে হবে। অসম্মান করলে জেল জড়িমানা হবার বিধান আছে। মেয়েদের ব্যপারে এতটাই কঠোর এখানকার ল।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৮

Meghna বলেছেন: বাংলাদেশে কি হিন্দু নাই ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে কি হিন্দু নাই?
যদি থাকে তাহলে, হিন্দু ধর্মাম্বলীদের ধর্মীয় উৎসব হোলি উদযাপনের ছবি/ভিডিও দেখে তর , এটাকে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে হচ্ছে না কেনো?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: হিন্দু ধর্মাম্বলীদের ধর্মীয় উৎসব ছাত্রলীগ কেন আয়োজন করছে ? ছাত্রলীগ কি হিন্দুদের কোন সংগঠন ?

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কেউ কেউ দেখেন যে, বাংলাদেশের মেয়েরা কালো বোরখার ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন। ধর্মীয় বোধসম্পন্ন মেয়েরা/নারীরা বোরখা পরছেন, এটা ঠিক। কিন্তু এর বিপরীতে আমাদের অধিক সংখ্যক মেয়েরা/নারীরা পোশাক-আশাকে ক্রমশ অতি-লিবারেল হয়ে যাচ্ছেন, এটাও কি তাদের চোখে পড়ে না? আজকের রাস্তাঘাট, শপিং মল, পার্ক, যানবাহন, ইত্যাদিতে মেয়েদের যে-পোশাকে দেখি, ৮০, ৯০-এর দশকে কি এটা কেউ চিন্তা করতে পারেন? (তার আগের কথা বললাম না) গত ১৫-২০ বছরে আমাদের পোশাক-শিল্পে ফ্যাশন ও ডিজাইনে এক বিরাট বিপ্লব ও পরিবর্তন এসেছে। 'অবুঝ হৃদয়' নামক এক সিনেমায় (৮৯ সালে) জাফর ইকবালের সাথে ববিতা কিংবা চম্পার একটা এক ঝলকের চুম্বনের দৃশ্য ছিল, আর সেই চুম্বনের উপর সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অথচ এখন সিনেমায় আমরা এদেশের এ চুমোর দৃশ্যকে পান্তাভাত মনে করি। আমাদের সিনেমা ও নাটকে যে-সব পোশাকে পাত্রপাত্রীদের দেখি, তাও আগের চাইতে বহুগুণে খোলামেলা। এখানে-সেখানে নিয়মিত ফ্যাশন শো হচ্ছে, যেখানে নারীদের শরীর লোভনীয় ও আকর্ষণীয় করার জন্য পোশাককে বিভিন্নভাবে ডিজাইন করা হয়, এবং নারীর শরীর উন্মুক্ত করাই থাকে মূল লক্ষ্য। ৮০/৯০'র দশকে কি এগুলো ছিল, থাকলেও তা কি এই মানের ছিল?

কাজেই, যারা নারীদের বোরখা দেখে কটাক্ষ করেন, তারা হয় দেশের বাস্তবতা সম্পর্কে জানেন না, ঘর থেকে রাস্তায় বের হন না, অথবা এগুলো দেখেও 'বোরখা' 'বোরখা' বলে শোরগোল তোলেন কেবল 'ইসলাম' বিদ্বেষের কারণে। এই যে হোলি খেলা, রঙের খেলা, খোলাখুলি চুম্বনের দৃশ্য, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের উৎসব - এগুলো কি মেয়েরা বোরখা পরে করেছে? বা বোরখাপরা মেয়েরা কি ওখানে গেছে? ১৪ ফেব্রুয়ারির ভালোবাসা দিবস, বসন্ত দিবস, ১লা বোশেখ- যেখানে ছেলেমেয়েরা উৎসবে উন্মাতাল হয়ে পড়ে, সেখানে কি বোরখার নীচে মেয়েরা ঢাকা পড়ে থাকে? বোরখাপরা মেয়েদের কি চোখে পড়ে সেখানে?

আমাদের কয়েকজন প্রিয় ব্লগারের বোরখা সম্পর্কিত কমেন্টগুলো খুবই আপত্তিকর, এবং বিরক্তিকরও। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব ধর্মকর্ম পালনকারী মানুষ নই, যারা আমাকে জানেন তারা নিশ্চয়ই বোঝেন। তবু, আমি যেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারী, ইসলাম ধর্মকে নিয়ে অহেজতুক কটাক্ষ করলে সেটা আমাকে আহত করে বইকি।

এ ব্লগে কয়েকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্লগার দীর্ঘদিন ধরে পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ-বিদ্বেষ ও ইসলাম-বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছেন।আপনি কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ভারতীয় ব্লগারকে পাবেন না, যারা তার হিন্দু ধর্মকে হেয় বা কটাক্ষ করে কথা বলবেন, কিংবা ভারতের অসম্মান বা অপমান হয়, এমন কোনো কথা বলবেন। অথচ আমাদের এ দেশীয় কিছু ব্লগারকে দেখি, সেই বাংলাদেশ ও ইসলাম-বিদ্বেষী পোস্টে গিয়ে খুশিতে গদ গদ হয়ে হাত মেলাচ্ছেন। একবার এক বাংলাদেশ-বিদ্বেষী পোস্টে যেয়ে আমি প্রতিবাদ করলাম, সাথে সাথেই দেখি অন্য এক ব্লগার যেয়ে খুশিতে তাকে প্রশংসা করা শুরু করেছেন। এক পোস্টে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার উল্লেখ ছিল। আমি আশ্চর্য হলাম, কোনো ব্লগার তো ভারতের নিন্দা করলোই না, উপরন্তু নিহত বাংলাদেশীদের উপরই ক্ষোভ ঝাড়তে লাগলো। আমেরিকার বাল্টিমোরে ভারতীয় জাহাজের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে গেছে, মানুষ নিহত হয়েছে, অনেক জাহাজ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটকা পড়েছে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঐ জাহাজের নাবিকদেরকে বীর আখ্যা দিয়েছে ভারত। চিন্তা করুন, এটা বাংলাদেশী জাহাজ হলে এখন তাদেরকে আমরা কীভাবে ছুঁলে ফেলতাম।

নিজের দেশ সবার আগে। কোনো একটা বক্তব্য নিজ দেশের বিপরীতে গেল কিনা, তা বুঝতে না পারাটা হলো চরম নির্বুদ্ধিতা। আর ওরকম বাংলাদেশ-বিদ্বেষী পোষ্টে যেয়ে আনন্দে ডগমগ হয়ে হাত মেলানো হলো চরম রাজাকারী কাণ্ড।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। আপনি বর্তমানে ব্লগ ও আমাদের দেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেছেন। ইসলাম বিদ্বেশী বা যারা ইনিয়ে বিনিয়ে প্রগতিশীল সেজে এদের পক্ষালম্বন করে , তারা মুলত এদেশের সুবিধাভোগী শ্রেনী । কোন দেশেই , কোন কালেই এই শ্রেনীর মূল্যবোধ বা বিবেক বলে কিছু থাকে না। এদের দল সবসময় ভারী হয় কারন এর পেছনে থাকে নিজস্ব স্বার্থ। এদের নিয়ে আমার কিছু বলার নাই।

আমার ক্ষোভ তাদের বিরুদ্ধে যারা সত্য দেখেও সত্যের পক্ষ নেয়না। এরা সুবিধাবাদী শ্রেনী। মাঝে মাঝে মনে হয় যে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবাদি শ্রেনীর মাঝে পার্থক্য বিশেষ নাই।

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মোটা-দাগে আপনার পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় যাবার মত নয়। কারণ আপনার পোস্টটি সর্বজনীন নয় একটি একক ডাইমেনশনে চিন্তা করে লেখা।
তাও এই পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় নেয়া হয়েছে শুধুমাত্র স্বদেশী পণ্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উৎসাহ হিসাবে।

সকল ধর্মের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সমন্বয়ে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। ভারতের সংস্কৃতি যেমন বিজাতীয় যেমন আরব সংস্কৃতিও বাংলাদেশের জন্য বিজাতীয়। এটা কি অস্বীকার করবেন?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আলোচিত কিংবা নির্বাচিত পাতায় যাবার উদ্দেশ্য নিয়ে আমি কখনই কিছু লিখি না। ব্লগের মডারেটর হিসেবে একজন ব্লগারকে
''মোটা-দাগে আপনার পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় যাবার মত নয়। কারণ আপনার পোস্টটি সর্বজনীন নয় একটি একক ডাইমেনশনে চিন্তা করে লেখা '' বলাটা যথেষ্ঠই অশোভনীয়। আপনাকেতো কেউ জোড় করেনি পোস্ট নির্বাচিত করতে। আর নির্বাচিত করার পর কৈফয়ত হিসেবে এ ধরনের মন্তব্য যথেষ্ঠই অপমানজনক।এ ক্ষেত্রে আমি বলব আপনি আপনার পদের মর্যাদা ধরে রাখতে পারেননি।

শেষ লাইনে আপনার প্রশ্নের প্রতিউত্তর ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর কমেন্টেই পেয়ে যাবেন আশা করি।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার পোস্টে আমি কোন ধর্মের কাহিনী দেখলাম না। আর কমেন্টে ধর্ম নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বাহ! ভালো। আমরা দেশীয় পন্য ব্যাবহার করবো, এখানে ধর্ম, ভারত, পাকিস্তান ইত্যাদি আনার কি দরকার! কোন নারী যদি বখাটেদের কু-নজর থেকে নিজেকে দেহ কে বাচাতে চায় তাহলে বোরখা পড়ুক। এখানে সমস্যা দেখি না। কারন আমারা এখনো নারীর দেহ কে বখাটের ক-নজর থেকে বাচাতে পারি না।

আর এখানে ভারতীয় পন্য ব্যাবহার না করলে সমস্যা কি? ফ্রেশ কম্পানীর পন্য, বসুন্ধরার পন্য, স্কয়ার এর পন্য, ব্যাবহার করলেও পারেন। এসব কম্পানি যেসব পন্য বাজারজাত করে, সেগুলো পন্য ভারত থেকে আমদানী না করলেও পারেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার সাথে একমত । পোস্টের বিষয়বস্তু হচ্ছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার , ধর্ম নিয়ে ক্যচাল নয়। স্বদেশি পন্য ব্যবহার ও প্রমোট করলে আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলো আরো প্রসারিত হবে ও কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে । এই উপমহাদেশেইতো এর নজির রয়েছে। গান্দীজির ব্রিটিশ-বিরোধী প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখ্য কর্মসূচি ছিল বয়কট । বয়কট অর্থে শুধু মাত্র বিলাতি বস্ত্র বা পণ্যসামগ্রীই নয়, বিলাতি চিন্তাধারা, আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থ্যা, আইন ব্যবস্থা, পৌরসভা, আইনসভা প্রভৃতি সব কিছুই বয়কটের মাধ্যমে বর্জন করার আদর্শ প্রচারিত হয় । প্রথমে বিলাতি পণ্যসম্ভার বিশেষত সুতিবস্ত্র বর্জন করা বয়কট আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল, পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বয়কট করা হয় । এমনকি ইংরেজি নাগরিকদের বিরুদ্ধে সামাজিক বয়কটও শুরু হয় ।১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই জুলাই বাগেরহাটে এক বিশাল জনসভায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে ‘বয়কট প্রস্তাব’ নেওয়া হয় । বয়কট প্রস্তাব বাংলা থেকে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে । বয়কটের প্রভাবে বিলাতি পণ্যসম্ভার বিশেষ করে ম্যাঞ্চেস্টারের সূতিবস্ত্র, বিলাতি লবন, চিনি, কাঁচের চুড়ি, জুতা ও সিগারেটের আমদানি অভাবনীয়ভাবে কমে গিয়েছিল । স্বদেশি আন্দোলনের ফলস্বরূপ দেশের বিভিন্ন স্থানে কুটির শিল্প এবং দেশীয় পরিচালনায় বড়ো বড়ো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে । বাংলায় ডঃ প্রফুল্লচন্দ্র রায় বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানা স্থাপন করেন । ডঃ নীলরতন সরকার জাতীয় সাবান কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন । মাদ্রাজে চিদাম্বরম পিল্লাই স্বদেশি জাহাজ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন । তবে বিদেশি যুগে ভারতে শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল স্যার জামসেদজি টাটা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামসেদপুরের লৌহ ইস্পাত কারখানা । (সুত্র ঃ উইকিপিডিয়া)

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৬

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি স্টার প্লাস সহ বিদেশী সিরিয়াল দেখি না। এখন আমার পারিবারের কেউ বিদেশী চ্যানেল দেখি না। ভারতীয়দের গাজ্ঞাখোর দ্বার লিখিত কাহিনী মান সম্মত না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভারতীয় চ্যনেল নিজে দেখাও বন্ধ করতে হবে এবং অন্যদেরো অনুৎসাহিত করতে হবে। সবাই বাংলা নাটক/ সিনেমায় চোখ ফেরালে এর মানও আস্তে আস্তে আবার বাড়বে।

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: আপনার লেখায় যদি দেশ প্রেম থাকে এবং সেটা ভারতের বিরুদ্ধে যায় তাহলে দেখবেন, এদেশের কিছু ভারতীয় দালাল তথাকতিথ চেতানাবাজরা চেতনাবাজী শুরু করে দেয়, সেখানে ধর্মকে টেনে নিয়ে আসে,

আর ইসলামে কোন নিজেদের মনগড়া সংস্কৃতির স্থান নেই, আল্লাহ সুবঃ যেটা করতে বলেছেন সেটা করতে হবে, যেটা পরিহার করতে বলেছেন সেটা পরিহার করতে হবে। পর্দা করা কোন দেশ থেকে ধার করা সংস্কৃতি নয়, পর্দা আল্লাহ সুবঃ সকল মুসলিম মানুষের জন্য ফরজ করেছেন।
আরবরা কি করলো আর না করলো সেটা দেখার বিষয় না, আরবরা উলঙ্গ হয়ে থাকুক কিংবা হাফ প্যান্ট পরে থাকুক সেটা কোন মুসলিমের দেখার বিষয় না, কারন ইসলাম/মুসলিম কোন মানুষের কথায় চলেনা,

সকল নাস্তিকদের বলছি তোমরা নাস্তিকতা কর আমাদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু ইসলাম নিয়ে, মুসলিমদের বিষয়ে, তাদের পর্দার বিষয়ে কথা বলতে যেওনা, কারন এর পরিনাম ভাল নয়,

আর একটা কথা নাস্তিক তুমি তোমার মায়ের কাছে জিজ্ঞাসা করো দেখ তোমার বাবা কে, কারন তুমি তো তোমার মাকে তোমার বর্তমান কতিথ বাবার সাথে সেক্স করতে দেখনাই, তাই যেহেতু তুমি দেখনাই তাই তুমি তোমার বর্তামন কথিত বাবাকে বাবা বলে বিশ্বাস করতে পারনা কেমন!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম আমার পোস্টের বিষয়বস্তু না। মুসলিম সংস্কৃতিকে আরবী সংস্কৃতি বলার কোন উপায় নেই। তবে ধর্ম কে কতটূকু মানবে বা মানবে না তা ব্যক্তি বিশেষের উপড় নির্ভরশীল । এই বিষয়ে যে কোন কট্টর অবস্থানই সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

আপনি শেষ প্যরায় মাত্রা ছাড়িয়ে খুবই অশোভন কিছু লাইন লিখেছেন।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২

এস.এম.সাগর বলেছেন: আর একটা কথা - সার্বজনীন কাকে বলে? এমন ভাবে কথা বলতে হবে বা লিখতে হবে যাতে করে কারোর বিরুদ্ধে না যায় তাইনা? এরকম যারা লিখে বা বলে অথবা সমর্থন করে তারা মোনাফেক,শয়তান, ইত্যাদি, ইত্যাদি।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বহু আগেতো বাংলাদেশ বলে কিছু ছিলো না। আমার বাবাও ব্রিটিশ ভারতীয় হয়ে জন্মেছেন, তারপর পাকিস্তানী হলেন দেশ ভাগ হওয়ার পর, এরপর তো যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশী হয়েছেন। বিষয় হলো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন আজকের বাংলাদেশের মানচিত্রের ভেতরে থাকা বেশীরভাগ মানুষই এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলো। এই কথা তেমন কাউকেই বলতে শুনি না, কিন্তু জাত-পাত আর অন্যায় অত্যাচারের কারনে আমাদের পূর্ব-পুরুষরাই একসময় সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে।

ভারতে নিচু জাতের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এখনো "দালিত" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে ধর্মান্তরিত মুসলিম, ক্রিশ্চিয়ান, বৌদ্ধ কিংবা শিখও এই দালিত শ্রেনীর অর্ন্তগত। এইসব জাত-পাতের শ্রেনী-বিভেদ আর অন্যায় অত্যাচার একটা সময় এই অঞ্চলের মানুষদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছে। সনাতনীদের এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই আজকের বাংলাদেশ এক সময় ভারত থেকে ভেঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান হয়েছিলো। যখন মনে হয়েছে তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি তখন বাংলাদেশ হয়েছে।

তথাকথিত অতি প্রগতিশীল দেশীয় লোকজন কেন ভুলে যান যে বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ? ধর্ম মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলে এ দেশতো ভাগ হওয়ার কথাই ছিলো না, এটা বোঝা কি খুব বেশী কষ্টের? এর জন্যেই কিন্তু এই মানচিত্র হয়েছে। সুতরাং "বাঙালীয়ানা" -র ধুলো তুলে হোলি-কে মূলধারার বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে ফেলা ঠিক বুদ্ধিমানের পরিচয় বলে আমার মনে হয় না। যে যার মতো করে তার ধর্মীয় অনুষ্ঠান করুক, কিন্তু মাতামাতি করার কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না। আর এই অঞ্চলের মেয়েরা বোরখা পড়লে এইসব প্রগতিশীলদের জ্বলুনি কেন হয় সেটা বুঝতে পড়াশোনার দরকার নেই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম মূল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলে এ দেশতো ভাগ হওয়ার কথাই ছিলো না।

খুব ভাল পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশেতো মুসলিম কালচারেরই প্রাধান্যই থাকবে। এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কারন কি ? মুসলিম সংস্কৃ্তিকেতো কোনভাবেই আমাদের দেশে আরবী সংস্কৃতি বা বিজাতীয় সংস্কৃতি বলার উপায় নাই। তবে সমাজের মঙ্গলের জন্য যে কোন উগ্র/ কট্টর মতবাদ বা অবস্থান সব সময়েই অগ্রহনযোগ্য।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার শিরোনামের সাথে লেখা বিষয়বস্তুর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে । আপনি পোস্টে স্বদেশীবোধ জাগ্রত করার চেয়েও ভারতীয় সংস্কৃতি ত্যাগের কথা বলেছেন । আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে কেবল ভারতীয় সংস্কৃতিই প্রবেশ ঘটেছে । আপনি আসলে স্বদেশী সংস্কৃত নিয়ে চিন্তিত না, আপনি চিন্তিত ভারতীয় সংস্কৃতি অনুপ্রবেশ নিয়ে। আপনার জানার জন্য বলে রাখি যে বাংলাদেশী সংস্কৃতিতে কেবল ভারতীর সংস্কৃতিই নয়, পশ্চিমা, আরব, পাকি সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে । বর্তমানে ভারতীয় সিরিয়াল থেকেও পাকিস্তানী আর টার্কিস সিরিয়াল গুলো দেশে খুব জনপ্রিয়। এছাড়া বর্তমান প্রজন্মের ভেতরে কোরিয়ান কালচার অনুপ্রবেশ ঘটছে বেশ ভাল ভাবেই ।
আপনার চিন্তা আসলে কোনটা নিয়ে?
বাংলাদেশে বিজায়ীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ নাকি বাংলাদেশে ভারতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: একটা পোস্ট একেকজন একেকভাবে নেবে, এটাই স্বাভাবিক। দেশে কি এখন তার্কিশ , এরাবিক বা কোরিয়ান চ্যানেল আছে ? মানুষজন কি এসব ভাষা বোঝে? আপনি যদি বাংলায় ডাবিং করা কিছু বিদেশী সিরিয়ালের কথা উল্ল্যেখ করেন , তবে এর সাথে এক গাদা হিন্দি চ্যনেলের উপস্থিতির কোন তুলনাই চলে না।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ঊণকৌটী বলেছেন: ভারতের সংস্কৃতি যেমন বিজাতীয় যেমন আরব সংস্কৃতিও বাংলাদেশের জন্য বিজাতীয় একদম ভুল আরব সংস্কৃতিতে প্রথমে বলে আমরা আরবিয় সেকেন্ড মুসলিম ওদের সামাজিক উৎসব বাংলাদেশের মুসলিমদের সামাজিক উৎসব মিলবে না আর রইলো ভারতের কথা মাত্র 75 বছরে কয়েক হাজার বছরের সামাজিকভাবে প্রচলিত জিন কি করে মুছে যাবে এই অঞ্চলের মুসলিম রা তো আর আরব বা তুরস্কের থেকে আসেনি সবই ভারতের থেকে আলাদা হয়েছে তার মধ্যে 90% কনভার্ট এখন যদি ভারতীয় সাংস্কৃতিক লিঙ্ক অস্বীকার করেন তবে আপনারা কে? মনে রাখবেন যেকোন জাতি তার পুরোনো অতীত গৌরব যদি ভুলে যায় তবে সে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার পৃথিবীর 53 মুসলিম দেশের মাত্র দুটো দেশ তার অতীত অস্বীকার করে সে কে? অন্ধকারে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার পরিচয় 1 পাকিস্তান আর দ্বিতীয় আপনারা

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: একটি দেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করে তখন সেই দেশ শুধু তাদের ইতিহাস বা তাদের সংস্কৃতিকেই সব সময় প্রাধান্য দেয়।

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে কী চলছে তা দেশে বসবাস করা মানুষ থেকে বিদেশে বসে থাকা মানুষ বেশি জানে । আপনার মন্তব্য থেকে এটা অন্তত পরিস্কার যে বর্তমান দেশের জেনারেশন সম্পর্কে আসলে আপনার কোন ধারণা নাই ।
ভালা থাকেন । টাটা !

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

এস.এম.সাগর বলেছেন:
আপনি শেষ প্যরায় মাত্রা ছাড়িয়ে খুবই অশোভন কিছু লাইন লিখেছেনঃ ভাই যখন কোন নাস্তিক-আল্লাহ সুবঃ, নবী রাসূল এবং ইসলামকে নিয়ে হাসি তামাশার বিষয় সৃষ্টি করে তখন কি খুব শোভনীয় হয়?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: কুকুরের কাজ কুকুরে করছে কামড় দিয়েছে পায়। তাই বলে কুকুরকে কামড়ানো মানুষরা শোভা পায় !

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-এর কবিতা উত্তম ও অধম এর কথা ভুলে গেলে চলবে কি ?

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কারন কি ? মুসলিম সংস্কৃ্তিকেতো কোনভাবেই আমাদের দেশে আরবী সংস্কৃতি বা বিজাতীয় সংস্কৃতি বলার উপায় নাই। তবে সমাজের মঙ্গলের জন্য যে কোন উগ্র/ কট্টর মতবাদ বা অবস্থান সব সময়েই অগ্রহনযোগ্য।

দেখুন, জাত-পাতের এই বিষয়গুলো আমাদের এ অঞ্চলের মানুষগুলো কখনোই ভালোভাবে নেয় নি। আমরা তথাকথিত উঁচু শ্রেনীর সনাতনীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছি বহু বছর ধরে। আমরা আজও বিভেদ তথা বৈষম্যমূলক শ্রেনীভেদ-কে অপছন্দ করি। তাই ইসলাম যখন এসে আমাদের সমতার কথা বলেছে, তখন আমরা তা আমাদের পূর্ব ইতিহাস ভুলে নিজের বলে গ্রহণ করেছি। দেশভাগের সময় সনাতন ধর্মের বহু জমিদার ও ব্রাহ্মন এজন্যই এ অঞ্চল ছেঁড়ে গিয়ে বেশীরভাগই ওপার বাংলায় নতুন আস্তানা গেঁড়েছে। বুঝতেই পারছেন আমাদের সমতা পাওয়া আর তাদের জমিদারী হারানোর খেদতো কিছু থাকবেই।

আমাদের আজকের মুসলিম সংস্কৃতি অনেকটাই মিক্সড। বলতে পারেন অনেকটাই আজীবন বাংলায় কথা বলা লোকটি নতুন ইংরেজী শিখলে যে অবস্থা হয়, অনেকটাই সেরকম জট পাকানো। এর মাঝে থেকে ধীরে ধীরে ভালো ভাবে ইংরেজীতে কথা বলা শিখতে হবে বাংলা বলার পাশপাশি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ইস্যুতেই সনাতনী প্রথা রয়ে গেছে। মুসলিমদের বিয়েতে "গায়ে হলুদ" বলে কিছু থাকার কথা নয়। বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, পৌষ কিংবা মকর সংক্রান্তি এগুলো মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রথা। আমাদের পূর্ব পুরুষরা এগুলো করে এসেছেন তাই দাদারা এসে আমাদের কে সেটা মাঝে মধ্যে মনে করিয়ে দেন যে ওটাই আমাদের পরিচয়, আমরা যেন সেটা না ভুলে যাই। সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল, আমি এবং আমরা যেটাই করবো সেটাই বাংলাদেশের সংস্কৃতি। অতীত অস্বীকার করার প্রয়োজন নেই, ভবিষ্যতকে গড়তে হবে নিজ পরিচয়ে, পুরনো, নষ্ট অতীতের স্মৃতি আগলে ধরে নয়। বাঙালীয়ানা মানেই কেবল সনাতনী সংস্কৃতি সেটাতো আর সঠিক নয়। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলে ইসলাম ধর্মের সমতায় জাত পাত বিশ্বাষীদের বড়ই এলার্জি। মানুষকে যারা বিভিন্ন জাতে বিভাজন করে, তাদের মুখে কি আর সাম্যের গান শোনা আশা করা যায়? এটা ঠিক যে, আমাদের দেশের সংস্কৃতি কিছুটা মিক্সড প্রকৃ্তির । মুসলিম সংস্কৃতির সাথে এখানে বাঙ্গালী সংস্কৃতি যোগ হয়েছে। গায়ে হলুদ, বর্ষবরণ , পৌষ পার্বন , নবান্ন উৎসব আসলে বাঙ্গালী উৎসব , এগুলো কোন ধর্মীয় উৎসব নয়। এই উৎসবগুলো সার্বজনীন। চারুকলার বর্ষ বরনের মিছিলে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি যোগ করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রুপান্তর করা হয়েছে অনেক পরে। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে এখন আর সার্বজনীন উৎসব বলার উপায় নাই। হোলি , মকর সংক্রান্তি হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব। এগুলোকেও এখন সার্বজনীন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংস্কৃতি যতই পরিবর্তনশীল হোক না কেন , প্রত্যেক জাতিই কিন্তু নিজের সংস্কৃতিকে কোন সময়েই বিষর্যন দেয় না। এই যে আমরা বিদেশে আছি এখানেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে Racial Harmony Day তে শিক্ষার্থীরা নিজ দেশের সংস্কৃতিকেই তুলে ধরে। তবে দুঃখখজনকভাববে আমাদের দেশে হিন্দি আগ্রাসনের কবলে পড়ে বাঙ্গালী সংস্কৃতি বিলুপ্ত হতে চলেছে।

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, ধর্মীয় উগ্রবাদ কে প্রতিহত করতে হবে শক্ত হাতে। এটা কেবল অগ্রহণযোগ্যই নয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধন্যবাদ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত। সমস্যা বাধে যখন বিরুদ্ধমত দমন করতে ধর্মীয় উগ্রবাদের অনায্য ট্যাগিং করা হয়।

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪

ঊণকৌটী বলেছেন: হিন্দি আগ্রাসনের কবলে পড়ে বাঙ্গালী সংস্কৃতি বিলুপ্ত হতে চলেছে। হিন্দি সংস্কৃতি নয় বলুন ভারতীয় সংস্কৃতি আলাদা হয়েছেন মাত্র 75 বছর, কিন্তু তার আগের হাজার বছরের পুরনো অভ্যাস রক্তে আছে যে, আনন্দ পায় সকলে, কি করে ভুলবেন, এইগুলো হিন্দি আগ্রাসন নয় রক্তের টান, জিন গত টান তাইতো বারবার প্রতি বছর প্রতিবাদ করে এই কালচারাল ভালোবাসা বন্ধ করতে পারছেন না পৃথিবীতে অনেক মুসলিম দেশ আছে তারা কিন্তু তাদের ব্যাক গ্রাউন্ড কে অস্বীকার করেনা যেমন Indonesia রামায়ণ তাদের জাতীয় গ্রন্থ airlins প্রাচীন হিন্দু নামে তারা সাদরে বলে তাদের প্রাচীন অতীত ধন্যবাদ

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলা সংস্কৃতি ব্যতীত বিজাতীয় সকল কিছুই ভুইফোড়। আর আরবীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধ বললে ধর্মের বিরুদ্ধাচারন করা হয় এমন ভাবা টা হাস্যকর।

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৮

ঊণকৌটী বলেছেন: বাংলা কোনো আলাদা দেশ ছিলোনা 75 বছর আগে সেইটা ভারতীয় সংস্কৃতি বলেই সবাই জানতো এইটুকু তো ঠিক কিনা বলুন

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৭

নিমো বলেছেন: আপনার কি ধারণা ইন্দোনেশিয়ানরা বাংলাদেশিদের চেয়ে কম মুসলিম ? আর মুসলিম সংস্কৃতিটা কী বস্তু ? সংস্কৃতি হচ্ছে ভাষাগত ব্যাপার, এখানে ধর্ম কোথা থেকে আসে ? ধর্মীয় আাচার হয়, সংস্কৃতি নয়। অপু তানভীর একদম সঠিক বলেছেন দেশে কী চলছে আপনার ন্যুনতম কোন জানা-শোনা নাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: Islamic culture or Muslim culture এর বাংলা অর্থ কি ?

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪২

ঊণকৌটী বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: একটি দেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করে তখন সেই দেশ শুধু তাদের ইতিহাস বা তাদের সংস্কৃতিকেই সব সময় প্রাধান্য দেয়। দুঃখিত আপনি ইতিহাস বা সাংস্কৃতিক সম্পর্কে কিছুই জানেন না আপনি আপনার জাতির গৌরবময় পূর্বপুরুষ দের অপমান করছেন, একটা জাতি তখনই উন্নতির শিখরে পৌঁছায় যখন সে তার পূর্ব পুরুষ দের অবদান স্বীকৃতি দেয় এবং তার জন্য proud ফিল করে

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

ঊণকৌটী বলেছেন: আরেকটা কথা আপনি 1947 সালের আগের পুরোটা মুছে দিতে চাইছেন, তাহলে আপনাদের নেক্সট জেনারেশন এর কি হবে,তাদের আদর্শ কি পাকিস্তান আফগানিস্তান Somalia সিরিয়া একটা জিনিস দেখুন আরব দেশে গুলির দিকে তারা কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র একটা জিনিস ইতিহাস পাল্টানো যায় কিন্তু তা সাময়িক

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৮

ঊণকৌটী বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: একটি দেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করে তখন সেই দেশ শুধু তাদের ইতিহাস বা তাদের সংস্কৃতিকেই সব সময় প্রাধান্য দেয় :- তো 1947 এর আগে আপনার ইতিহাস কোনটা আরব তুর্কি ইরান ইরাক না ভারত

২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: আমি আপনার পোস্ট পুরোটাই পড়েছি, প্রথমদিকে অনেকগুলো মন্তব্যসহ। কিন্তু বুয়েট নিয়ে উদ্বেগ, ক্ষোভ আর হতাশা, ব্লগে মিথ্যাচার দেখে রাগ, সব মিলে আমার মনের এমন অবস্থা হয়েছে যে পোস্টের বিষয়বস্তুর উপর কিছু মন্তব্য করতে পারছিনা।

ভারতের প্রভাব থেকে আমরা সহজে বের হতে পারবো না। কয়দিন আগে একজনের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেছি। ৪০ ঊর্ধ্ব বয়সের ভদ্রলোক এমবিএ, একটি বায়িং হাউসে ভালো পদে চাকরি করতেন। কিন্তু তার ঊর্ধ্বতন সকলেই ভারতীয়, (শুনলাম এখন দেশের অধিকাংশ ভালো পদে ভারতীয়রা কাজ করে)। এরা খুব খারাপ ব্যবহার করত তার সাথে প্রথমে কিছুদিন শুক্রবারে লাঞ্চের সময় তাকে অতিরিক্ত কাজ দিয়ে আটকে রাখতে যেন জুমার নামাজ না পড়তে যেতে পারে (বহির্বিশ্বের সাথে কাজ করার জন্য অনেক অফিসেই শুক্রবার খোলা থাকে)। কিছুদিন পর তাকে দাড়ি কাটার জন্য চাপ দিতে থাকে কারণ তাকে দেখে নাকি জঙ্গি মনে হয়। সেই লোক দাড়ি কাটতে রাজি না হওয়ায় তার চাকরি চলে গেছে। আমাদের দেশে অফিসে ভারতীয়দের তাবেদারি না করলে চাকরি থাকে না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু , অন্য একটা পোস্টে আপনি বুয়েটে হালুয়া রুটি ভাগের সন্ধানে ছাত্রলীগ ইন করারনোর বিষয়ে বলেছেন। কিন্ত আসলে এটা কোন কারন না। হালুয়া রুটির ভাগ বাইরে থেকেও পাওয়া সম্ভব। বুয়েটের বিভিন্ন এলামনাইএর পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। এ কথা সবাই জানে যে বুয়েটে আমাদের দেশের সেরা মেধাবীরা পড়ার সুযোগ পায়। গ্রাজুয়েশন শেষ করে পোস্ট গ্র্যজুয়েশন করতে যাওয়া বুয়েটিয়ানদের সাফল্য বিদেশে ঈর্ষনীয়। এটাকে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। ছাত্র রাজনীতি ঢুকিয়ে , পড়াশনার মান কমিয়ে গ্লোবাল র্যাংকিং থেকে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দূরে ঠেলে দেয়ার জোড় চেষ্টা চলছে। ঢাবি , জাবি, রাবি ইত্যাদির ইউনি মান সাফল্যর সাথে কমানো সম্ভব হয়েছে। বাকি ছিল বুয়েট। তাই বুয়েটকেও বাকিদের কাতারের নামানোর চেষ্টা চলছে।

এদেশে কর্মক্ষেত্রে শিক্ষিতদের স্থান ধীরে ধীরে ভারতীয়রা দখল করছে এই অভিযোগ অনেকদিন থেকেই উঠেছে। কয়েক লাখ ভারতীয় এদেশে উচু পদে চাকুরি করে। ভারতবর্ষে ইংরেজ আমলে ইংরেজদের তাবেদারী করা জনগোষ্ঠীর মত জনগন চায় একটা মহল। ব্লগে , বাইরে সর্বত্রই এই তাবেদারী গ্রুপের দেখা পাবেন। সবাইকে এরা এদের মতই দেখতে চায়।

২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

ঊণকৌটী বলেছেন: যা বুঝলাম জাতিগত ইতিহাস সম্পর্কে আপনারা খুবই দুর্বল ধর্মীয় সেন্টিমিট কে প্রাধান্য দিয়ে দিনে শেষে পতনের দিকে যাচ্ছেন

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঊণকৌটী বলেছেন: বাংলা কোনো আলাদা দেশ ছিলোনা 75 বছর আগে সেইটা ভারতীয় সংস্কৃতি বলেই সবাই জানতো এইটুকু তো ঠিক কিনা বলুন[/si

কিছুটা সঠিক অবশ্যই। তবে মনে রাখতে হবে, ভারতীয় ধারনাটা অনেক বেশী ব্যাপক। ভারতে বিভিন্ন ভাষা-ভাষীর (বাঙালী, তামিল, অসমীয়া, পাঞ্জাবী ইত্যাদি) লোকজন বসবাস করেন, যাদের সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, রীতি-নীতি, খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই ভিন্ন। এদের সমষ্টিগত ধারনাকে ভারতীয় সংস্কৃতি বললেও এটা একক কোন বিষয় নয়। বর্তমান ভারতে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিক ভারতীয় হলেও তাদের সবার মাঝেই কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান যা একজন থেকে অন্যজনকে আলাদা করে। এটা অনেকটাই ট্রাইবাল বা উপজাতিগত পরিচয়। ঠিক যেমন সব ইউরোপিয়ান এক নয় যদিও তারা ইউরোপিয়ান তথাপি তাদের দেশ ভিন্ন, ভাষা ভিন্ন, আচার-আচরণ ভিন্ন। সেদিক থেকে চিন্তা করলে নেপালীরাও বৃহত্তর ভারতীয় পরিচয়ের ভেতরেই পড়ে যদিও তাদের ভারতের মতো স্বাধীন দেশ বা মানচিত্র রয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আমার মনে হয় না বাংলাদেশীরা তাদের ভারতীয় অতীত পরিচয়কে অস্বীকার করেন, তবে সেটা ধরে বসে থাকলেতো আর হবে না। এখন আমাদেরও নিজস্ব মানচিত্র রয়েছে, পতাকা রয়েছে ও মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। সেটা ভাষাগত হতে পারে, ধর্মীয় বা অন্য যে কোন বিষয়ে হতে পারে, আর এটাই স্বাভাবিক। সেটা মেনেই সামনের দিকে এগুতে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার ঊণকৌটী ওপার বাংলার। উনাদের স্টার জলসা, স্টার প্লাসের সংস্কৃতিকেই আমাদের ধারন করতে হবে কারন নাকি এ আমাদের রক্তের টান, জিন গত টান !!! এরপর আর ইনার সাথে কি বিতর্কে যাব বলেন ?

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

ঊণকৌটী বলেছেন: সুন্দর উত্তর দিয়েছেন, আমাদের দক্ষিণ এশিয়া তে কয়েক শত ভাষা বা কালচার বা অভ্যাস প্রতিনিয়ত মেনে চলেছি আজ অব্দি এখনও কোনও সমস্যা নেই সবাই সবাইকে মেনে নিয়ে চলেছে তো ধর্ম টাকে personal রাখেন না কেনো

৩০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: @ ব্লগার ঊণকৌটী বলেছেন,
সবই ভারতের থেকে আলাদা হয়েছে তার মধ্যে 90% কনভার্ট এখন যদি ভারতীয় সাংস্কৃতিক লিঙ্ক অস্বীকার করেন তবে আপনারা কে?
সুপ্রিয় ব্লগার এ তথ্যের উৎস কি? এ রকম ঐতিহাসিক তথ্য আপনি কোত্থেকে পেয়েছেন?
***
@ ব্লগার ইফতেখার ভূইয়া
বিষয় হলো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন আজকের বাংলাদেশের মানচিত্রের ভেতরে থাকা বেশীরভাগ মানুষই এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলো। এই কথা তেমন কাউকেই বলতে শুনি না, কিন্তু জাত-পাত আর অন্যায় অত্যাচারের কারনে আমাদের পূর্ব-পুরুষরাই একসময় সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
~ এমন কিছু কথা আমি বা আমরা জন্মলগ্ন থেকে প্রায়াশই শুনে আসছি- আপনি বলবেন কি এই তথ্যের ভিত্তি কি?

দয়া করে নীচের তথ্যটা একটু দেখুন;
বাংলার ১৮৪১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, মুসলমানরা বাংলার জনসংখ্যার একটি খালি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ (৪৮.৫ শতাংশ হিন্দুদের তুলনায় ৫০.২ শতাংশ)। তবে বাংলার পূর্বাঞ্চলে মুসলমানরা মাটিতে পুরু ছিল। রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মুসলমানদের অনুপাত ছিল যথাক্রমে ৬৩.২, ৬৩.৬ এবং ৬৭.৯ শতাংশ। বিতর্কটি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের কিছু লেখকের লেখার উপর আকৃষ্ট হয়, কিন্তু বর্তমান আকারে এটি প্রাথমিকভাবে ১৯৬৩ সালে এম এ রহিম দ্বারা প্রণয়ন করা হয়েছিল। রহিম পরামর্শ দিয়েছিলেন যে বাংলার মুসলমানদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হিন্দু ধর্মান্তরিত নয় বরং তারা মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা 'কুলীন' অভিবাসীদের বংশধর। বিশেষভাবে, তিনি অনুমান করেছিলেন যে ১৭৭০ সালে, বাংলার প্রায় ১০.৬ মিলিয়ন মুসলমানের মধ্যে ৩.৩ মিলিয়ন (প্রায় ৩০ শতাংশ) 'বিদেশী রক্ত' ছিল।
১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে রিচার্ড ইটন, একটি বই এবং কাগজপত্রের একটি সিরিজে, হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার সামাজিক মুক্তি তত্ত্ব সম্পর্কে বিশ্রী প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যেগুলি এখনও সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হয়নি, রহিমের যুক্তিকে আরও সমর্থন করে। ১৯ শতকের শেষের দিকে, যখন (১৮৫২) সালে বাংলা অঞ্চলে প্রথম আদমশুমারি পরিচালিত হয়, তখন দেখা যায় যে হিন্দুদের সংখ্যা (১৪মি) এবং মুসলমানদের সংখ্যা (১৭.৫মি) প্রায় একই ছিল।
১৪৭২ সালের আদমশুমারি অনুসারে বলতে গেলে ২.৬৬% লক্ষ বাঙালি মুসলিম জনসংখ্যা বিদেশী বংশের বলে ধারনা করা হয়।

৩১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার ঢাবিয়ান, আমাদের মন্তব্য কোন কারনে আপনার বিব্রতবোধের কারণ হলে আমরা বিব্রতবোধ করছি। আলোচ্য পোস্টটিতে খুব ক্ষীণ ধারায় স্বদেশী বোধ জাগ্রত করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বপুর্ন হিসাবেই স্বীকার করছি। তবে দুঃখজনকভাবে পুরো পোস্টটি যেখানে স্বস্তা ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের সাগর সেখানে স্বদেশী বোধ জাগ্রতের ব্যাপারটি অনেকটা একটা ছোট দ্বীপ হিসাবে কোন মতে টিকে আছে। আপনাকে বুঝাতে চেয়েছি - এই সকল স্বস্তা ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের কারনে পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় নেয়া হয় নি, পোস্টে লুকায়িত অন্য গুরুত্বপূর্ন বিষয়টিকে মর্যাদা দেয়ার জন্য পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় নেয়া হয়েছে।

সকল নির্বাচিত পোস্ট নিয়ে আমরা ব্যাখ্যা প্রদান করি না। যখন কোন ব্যতিক্রম ঘটে তখন সেই বিষয়ে আমরা ব্যাখ্যা প্রদান করি। আপনার পোস্টের ক্ষেত্রেও তাই। আমরা অবশ্যই চাই আপনি আরো ভালো লিখুন, আপনার কাছে আমাদের প্রত্যাশা রয়েছে। নিজের চিন্তাধারাকে আরো বিকশিত করে লিখুন। আপনার ব্যক্তিগত মতাদর্শের নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

দীর্ঘদিন ব্লগিং এর সাথে জড়িত থাকার কারনে এখানের অধিকাংশ ব্লগারকে আমার চেনা আছে। সোনাবীজ ভাইয়ের ব্যাখ্যা জানার ইচ্ছে আমার নেই। আমি তাঁর ব্যাখ্যা সম্পর্কে যথেষ্ঠ ভালো ধারনা রাখি। আপনার ব্যাখ্যা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম - কারণ আমি দেখতে চেয়েছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর ব্লগ কোনটায় আপনি বেশি বুদ্ধিমান।

ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মন্তব্যে আপনি বিব্রতবোধ করলে আমিও বিব্রত। তবে আমি আমার পদের সম্মান রাখতে পারলাম না - এই সব হাস্যকর কথা অনুগ্রহ করে বলবেন না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: দুঃখজনকভাবে পুরো পোস্টটি যেখানে স্বস্তা ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের সাগর সেখানে স্বদেশী বোধ জাগ্রতের ব্যাপারটি অনেকটা একটা ছোট দ্বীপ হিসাবে কোন মতে টিকে আছে।

আমার পোস্টে হিন্দি চ্যনেলের আগ্রাসনে গিলে খাওয়া বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে পুরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে । পোস্টের ঠিক কোথায় স্বস্তা ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের সাগর বইয়ে দেয়া হয়েছে একটু সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করলে ভাল হত।


০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি কোন ব্লগারকে ভালভাবে চেনেন বা কার ব্যখ্যা সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখেন তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত মতামত। একজন মডারেটরের তা বলা সাজে না। এখানে প্রায় সবাই শখের বশে লেখালেখি করে। মডু যদি কোন লেখাকে নির্বাচিত পেজে যাওয়ার যোগ্য বলে ভাবে তবেই সেই পোস্ট নির্বাচিত হবে । এই বিষয়ে যে কোন ব্যখ্যাই নিস্প্রয়োজন এবং অপ্রীতিকর।

কারো সম্পর্কে পজিটিভ / নেগেটিভ ফিডব্যাক প্রদান খোলা ময়দানে দেয়াটা কোন কতৃপক্ষের শোভা পায় না। ফিডব্যাক জানানোর প্রপার চ্যনেল আছে। দেশের নিয়ম কানুন জানি না ,তবে আমি যে দেশে বসবাস করি তার পরিপ্রেক্ষিতেই কথাগুলো বললাম।

৩২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক আছে ব্লগার ঢাবিয়ান। এই প্রসঙ্গে আমি কথা বাড়াতে চাইছি না। আপনার যদি মনে হয়ে থাকে - বিষয়টি আপনার জন্য বিব্রতকর হয়েছে তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনি দেশের বাইরে থাকেন জেনে আনন্দিত হলাম :)

শুভেচ্ছা জানবেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল ।

৩৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:০৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: অনেক আলাপ আলোচনা হলো, ফলাফল শূন্য। এখন বিশ্বায়নের যুগ।
শুধু নিজের ধর্ম, কমিউনিটির কথা না ভেবে পুরো পৃথিবীর কথা ভাবুন, কালচারাল আদান প্রদান করুন, ভিন্ন ভিন্ন খাদ্যাভাস করতে শেখেন, বিভিন্ন দেশে ঘোরেন, ভালোটা গ্রহন করতে শেখেন। নতুন কিছু শেখার জন্য পুরোনো কিছু ভুলে যান, তবেই
টিকে থাকতে পারবেন। নইলে স্রেফ হারিয়ে যাবেন। ধর্মভয়, জাতীয়তাবাদ এসব দিয়ে হয়ত কিছু মানুষ কিছুদিনের জন্য জড়ো হবে, তারা টিকতে পারবে না। খরা মঙ্গা মহামারিতে কোনো ঈশ্বর আসেনা সাহায্য নিয়ে, মানুষরাই একে অপরের সাহায্য করে।
ঈশ্বর আর বড়জোর একশ বছর বাঁচবে। ইশ্বরের আশায় বসে থাকলে বেঘোরে মরে যাবেন।

৩৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৩

নতুন বলেছেন: বিশ্বায়নের যুগে পরিবর্তন আসবেই। তবে আমাদের দেশে ভারতীয় সংস্কৃিতি এবং আরবীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন খুবই বেশী।

তবে স্বদেশী বোধ হিসাব করলে ভারতীয় কালচারের থেকে আবরীয় সংস্কৃতিই আমাদের জন্য অনেক দুরের।

আমাদের সমাজের অনেক কিছুই ভারতীয় উপমহাদেশের অন্য সমাজের কাছাকাছি।

মানুষ এখন যেমন বিয়ের অনুস্ঠানে হিন্দি গানের তালে নাচে। তেমনি দেখা হলে আরবি ভাষায় সালাম দিয়ে বাংলায় কথা শুরু করে।

স্বদেশী বোধ জাগ্রত করতে হলে এই দুই বিষয়েই ভাবতে হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাই আপনি দুবাইয়ে থাকেন তাই আপনার অন্তত ভাল করে জানার কথা যে আরবি সংস্কৃতি আসলে কি ? আরবি ভাষায় সালাম দেয়া, বোরখা হিজাব পড়াতো মুসলিম সংস্কৃতি। মুসলিম রীতিনীতিকেতো আরবি সংস্কৃতি বলার কোণ উপায় নাই।

৩৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আলাপ বেশ জমে উঠেছে , চলুক আলাপ ।

৩৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাঙালিয়ানার মধ্যেও এখন রকমফের আছে। আবহমান কাল থেকে যেসব চলে আসছে সেসবকে হিন্দুয়ানি কালচার বলছে অনেকেই, এরা আবার আরব্য সংস্কৃতিকে অধিকতর ভালো ভাবছে কেবল ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। সত্যিকার অর্থে বাঙালিয়ানা তো দেখি না কারও মধ্যে। ধর্মীয় চেতনা এ অঞ্চলে সংস্কৃতির ঢাল মনে হয়।

৩৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ব্লগারই আমাদের দেশে আরবি সংস্কৃতির প্রভাবের কথা উল্ল্যেখ করেছেন। নেটে সার্চ দিয়ে কিছু আরব দেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক উৎসব সম্পর্কে যেসব তথ্য পেলাম , তা্র কিছুটা তুলে ধরছি।

সৌদি আরবসহ আরবের বেশ কিছু দেশে মরুভূমির সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বিশাল প্রভাব। সৌদিআরবের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতা নির্মাণে উট একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

সৌদি আরবে জমাদ্রিয়া জাতীয় উৎসব পালিত হয় প্রতি ফেব্রুয়ারিতে রিয়াদ থেকে ত্রিশ মাইল দূরে জমাদ্রিয়া শহরে যেখানে লোকজ নাচ-গানসহ ঘোড়া ও উটের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং স্বরচিত কবিতা পাঠের জন্য দূরদূরান্ত শহর ও গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ একত্রিত হয় টানা দু'সপ্তাহের জন্যে।

বাংলাদেশর কোথাও এই সংস্কৃতি উদযাপন হয় বলে কোনদিন শুনিনি।

ইরানের সংস্কৃতিতে ফার্সি সংস্কৃতির ব্যপক প্রভাব। ‘নওরোজ’ ইরানি সংস্কৃতির সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসবের নাম। ফারসি নতুন বছরের প্রথম দিনকে বলা হয় নওরোজ।এ সময় তাদের সামনে টেবিলে বা দস্তরখানে থাকে পবিত্র কুরআন, তসবিহ এবং ‘হাফতসিন’ নামে খ্যাত সাতটি বিশেষ সামগ্রীসহ আরও কিছু সামগ্রী। ‘হাফতসিন’ অর্থাৎ সাতটি ‘সিন’। ওই সাতটি জিনিসের নামের প্রথম অক্ষর ফারসি বা আরবি বর্ণমালার ‘সিন’ অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়ায় সেগুলোকে এ নাম দেওয়া হয়েছে। এ সাতটি সামগ্রী হলো-‘সাবজে’ বা গম বা ডালের সবুজ চারা, সামানু বা গমের চারা দিয়ে তৈরি করা খাবার, সিব বা আপেল, ‘সেনজেদ’ নামের একটি বিশেষ ফল, ‘সোমাক্ব’ নামক বিশেষ মসলা, সির বা রসুন এবং সের্কে বা সিরকা। এসব সামগ্রী হলো নব-জীবন, প্রবৃদ্ধি, ফলবান হওয়া, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য, সুস্থতা, ভালোবাসা, আনন্দ, ধৈর্য ইত্যাদির প্রতীক। এছাড়াও নওরোজের দস্তরখানে ডিম, আয়না, পানি, লাল রঙের ছোট মাছ ও ধাতব মুদ্রা রাখা হয়। এ সবকিছুরই রয়েছে বিশেষ অর্থ।

আমাদের দেশে এই সংস্কৃতির কোন প্রভাব আছে কি ?

তুরস্কের সংস্কৃতি ব্যাপক বৈচিত্র্যময় ও অনেকগুলো অসমগোত্রীয় উপাদানের মিশ্রণে এই সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছে।পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয়, পশ্চিম এশিয়ান, মধ্য-এশিয়ান অঞ্চল ও কিছুটা পূর্ব-ইউরোপ ও ককেশীয় ঐতিহ্যের সমন্বয়ে বিকাশলাভ করেছে এই সংস্কৃতি। এদের অনেকগুলোই এসেছিল ওসমানীয় খেলাফতের সময়কালীন, যা ছিল একটি বহু-সাংস্কৃতিক ও নানাধর্মের মিশ্রণের সংস্কৃতি। ধর্মীয় উতসব ছাড়াও যে সব উৎসব তুরস্লে পালিত হয় তা হচ্ছে -টুকির গর্ব ও দেশপ্রেমিক দিবস,রুমির সম্মানেঘূর্ণি দরবেশ উৎসব , তেল কুস্তি উৎসব , উট কুস্তি উৎসব,চেরি উৎসব, লণ্ঠন উৎসব, ট্রয় উৎসব ইত্যাডি।

তুরস্কের এই সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক উৎসবের কোন প্রভাব কি আমাদের দেশে আছে বলে মনে হয়?

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ঐতিহ্যবাহি এক সংস্কৃৃতি হচ্ছে এরাবিয়ান বেলি ডান্স। আমাদের দেশে কি এর কোন প্রভাব আছে ?

যাই হোক বিভিন্ন মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে যে আরবি সংস্কৃতি বলতে উনারা ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এবং মুসলিম রীতিনীতিকে বূঝাতে চাচ্ছেন যা মুলত ইসলামিক কালচার হিসেবে পরিচিত। তাই উনাদের জ্ঞাতার্থে উপড়ে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশসহ সহ তুরস্কের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক উৎসবকে তুলে ধরতে চেয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.