নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের বহর দেখে অবাক হইনি । দয়ামায়াবীহিন অযোগ্য লোকেরাই এখন সর্বত্র চেয়ার দখল করে বসে আছে। সাধারন মানুষের মাঝ থেকেও দয়া মায়া নামক জিনিষটা ধীরে ধিরে উবে যাচ্ছে। ফেসবুক/ ব্লগে কান্নাকাটি করা প্রার্থীদের ব্যপক সমালোচনা করা হচ্ছে । এমনকি তাদের নিয়ে তামাশা করা কিছু পোস্ট , কমেন্টও দেখলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে।

বিসিএস পরীক্ষার প্রিপারেসন যে, কি জিনিষ তা নিজ চোখে দেখেছি আমার স্টুডেন্ট লাইফে। আমার সহপাঠীদের অনেকেই বিসিএস পাশ করে বিভিন্ন ক্যডারে চাকুরি করছে। তাদেরকে দেখেছি বিসিএস এর প্রিপারেশন নেয়া শুরু করেছিল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া মাত্রই। ফার্স্ট ইয়ারেই এক সহপাঠীর হাতে বিসিএস গাইড দেখে চমকে গিয়েছিলাম। সে জানায় যে '' এখন থেকেই প্রিপারেশন নেয়া শুরু না করলে মাস্টার্সের পর খুব বেশি সময় হাতে থাকে না ''!! ইউনির কঠিন পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের চাকুরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম যে, এই পরীক্ষায় বসা আমার কম্ম নয়!!

দিন রাত এক করে প্রস্তুতি নেয় সরকারী চাকুরি প্রত্যাসী এই পরীক্ষার্থীরা। সরকারী চাকুরি মানেই একটা ধারনা আমাদের মনে পোক্ত হয়ে গেছে যে, এরা সবাই ঘুসখোর। এতটা জেনারেলাইজ না করে নিজের চারপাশে তাকালে টের পাবেন যে, সব সরকারী কর্মকর্তাই ঘুসখোর নয়। সবাই বিবেক , সততা টাকার কাছে বিক্রি করে দেয়নি। ঘুসখোর তারাই যাদের রাজনৈতিক উচ্চমহলের সাথে যোগাযোগ আছে। নেটওয়ার্কের আওতায় না থাকলে ঘুস খাওয়া এত সহজও নয়। এ কারনেই গনহারে সব সরকারী অফিসারদেই এক কাতারে ফেলে দেয়া কোন অবস্থাতেই সমীচিন নয়।

মাত্র কয়েক মিনিট লেট হবার কারনে পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে না দেয়াটা অমানবিকতার উদাহরন। যে দেশে আছি সেখানে বিসিএস পরীক্ষা বলে কিছু নাই। সরকারী চাকুরি ও প্রাইভেট চাকুরির মাঝে পার্থক্য বিশেষ নেই। সরকারী বা প্রাইভেট চাকুরি পেতে হয় এপ্লাই করে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে।এখানে বোর্ড এক্সাম মুলত ও/ এ লেভেল পরীক্ষা। কোন কারনে কেউ যদি লেট হয় তবে সে ক্ষেত্রে কি ধরনের নিয়ম এখানে রয়েছে তা নীচে দেখুন -

What happens if you are late for Olevel exam?
What should you do? Don't panic because even if you are late, you are still allowed to take the exam. Call your school immediately and cab down. You can also head down to the nearest designated secondary school and take your exam there instead! প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে, সিঙ্গাপুর একটি ট্রাফিক জ্যাম মুক্ত শহর। গাড়ী, ট্যক্সি , বাস বা ট্রেন যেটাতেই চরুন, তা আপনাকে ঠিক সময়ে পৌছে দেবে কাংখিত গন্তব্যে। তারপরেও আমরা সবাই মানুষ। কঠিন ডিসিপ্লনের মাঝে থাকলেও মাঝে মাঝে ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে । তার মানে এই নয় যে , নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞানের অভাব!!

মানুষের প্রতি যদি মানুষের সহমর্মিতা না থাকে, তবে কি আমাদের মানুষ বলা যায়? দরিদ্র এই দেশে পরিবারের একজনের স্থায়ী একটি চাকুরি মানে পুরো পরিবারের চেহারা পালটে যাওয়া। কঠিন জীবন সংগ্রামে লিপ্ত বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা তাই সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়।






মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উন্নত দেশে এসব পরীক্ষায় লেট হওয়া মানেই আপনার জেনুইন কোনো কারণ ছিল বলে ধরা হবে, এবং আপনি যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন, তার জন্য সহায়ক যা কিছু করা দরকার, সেই অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকবে। সভ্যতা সেভাবেই গড়ে উঠেছে ওসব দেশে।

আমাদের দেশেও দেরিতে একজাম হলে আসলে ঢুকতে দেয়া হবে না, আগে এরকম কোনো নিয়ম ছিল বলে মনে হয় না। দেরিতে আসায় পরীক্ষা দিতে দেয়া হয় নি - এসব খবর পড়ছি আমরা খুব বেশিদিন হয় নি। এর পেছনে কারণও রয়েছে অনেক। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানাবিধ দুর্নীতি এড়ানোর জন্য অথোরিটিকে অনেক পলিসি করতে হয়েছে এবং সেইসব পলিসি দিনে দিনে কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে। দেরিতে আসায় বিসিএস দিতে পারলো না - শুধু এবারই যে এমন ঘটনা ঘটলো, মোটেও তা না। প্রতিটা পরীক্ষার সময়ই এমনটা ঘটবার সম্ভাবনা প্রবল, তা শুধু বিসিএস না, অন্যান্য পরীক্ষায়ও হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তাহলে এবারের এ কথাটা আমরা জানতে পারলাম কেন? কারণ, প্রতিদিনই কিছু ইস্যু তৈরি হচ্ছে, সময়মতো কোনো কোনো ইস্যু ক্লিক করছে আর ভাইরাল হচ্ছে। দেখুন, আপনার এ পোস্ট নিয়ে এ বিষয়ে ৪/৫টা পোস্ট হয়ে গেছে, আরো ২/১ দিন এ নিয়ে কথা হতেই থাকবে। কিশোরগঞ্জের আলপনা ডুবে গেছে, বিসিএস পরীক্ষা এসেছে। আবার কাল-পরশুর মধ্যেই এ ইস্যুও তলিয়ে যাবে।

একটা দুর্নীতিমুক্ত সভ্য দেশে একজাম হলে ঢুকতে না-পারার মতো ঘটনা কখনো ঘটবে না। এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবেন আপনি?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঠিকই বলছেন । একটার পর একটা অন্যাায় অনাচার নিয়ে ইস্যূ তৈরী হয় আবার দুই দিনেই তা তলিয়ে যায় প্রতিকারের অভাবে বা ইস্যূূর ভীরে।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের অবস্থা দেখলেই তো বিসিএস ক্যাডারদের কোয়ালিটি বোঝা যায়। এদের বেশীরভাগই অযোগ্য লোকজন। বিসিএস এখন মূলতঃ মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্তদের স্বপ্ন, কারন একবার চাকুরী হয়ে গেলে বড় ধরনের অকাম না করলে মোটামুটিভাবে সারাজীবনের জন্য নিশ্চিত থাকা যায়। বেশীরভাগ প্রার্থীর এই নিশ্চয়তাটুকুই দরকার।

সময় নিয়ে এমন কান্ড করার কোন মানেই নাই, বিশেষ করে জ্যামের শহর ঢাকায়। এসব অযোগ্য লোকজনের কাছ থেকে খুব বেশী কিছু আশা করা যায় না।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ব্যকগ্রাউন্ড থেকে আসা একজন শিক্ষার্থীর স্থায়ী চাকুরি শুধু তার নয়, পুরো পরিবারের স্বপ্ন। মুশকিল হচ্ছে উচ্চপদ দখল করে আছে সব তেলবাজ, অদক্ষ ও অসৎ ব্যক্তিরা। এদের কাছ থেকে আর কি আশা করা যায় !!

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং বলেছেন: তারেক জিয়ার মতো অযোগ্য ব্যক্তি বিএনপির প্রধান হইয়া বইসা আছে, আপনে আইছেন বিসিএস ক্যাডারগো অযোগ্য কইতে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্ট পড়েছেন কি ?

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ✈ বিমানের ফ্লাইট হলে কিন্তু দুই ঘণ্টা আগে গিয়ে এয়ারপোর্টে বসে থাকা যায়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিমানের ফ্লাইট মিস হবার অজস্র উদাহরন আছে। সেখানে হয়ত মানুষ অর্থনৈ্তিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে উপযুক্ত কারন দেখাতে পারলে অনেক এয়ারলাইনসই পরে আবার সুযোগ দেয়।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: শিরোনামের সাথে সহমত।

এটা ঠিক, এমন ইম্পরট্যান্ট পরীক্ষা দেবার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হওয়া দরকার, জ্যামের কথা বিবেচনা করে হাতে অনেক সময় নিয়ে বের হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে জ্যাম ছাড়াও এমন অনেক অদ্ভুত কারণে দেরি হতে পারে যা অন্য কোন দেশে ভাবাও যায় না।‌ যেমন ধরুন, মিরপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেতে ১৫ মিনিট লাগে মেট্রোরেলে, কোন জ্যামের সুযোগ নেই। ‌ একজন পরীক্ষার্থী দুই ঘন্টা আগে বের হলো কিন্তু মেট্রোরেল ২-৩ ঘন্টা বন্ধ থাকলো (যেটা কয়েকবার হয়েছে)। পরীক্ষার্থী আধাঘন্টা অপেক্ষা করে বাসে করে রওনা হতে পারে কিন্তু তখন জ্যামের কারণে সময় মত পৌঁছাতে পারে না। আরেকজনের ঘটনা শুনেছি গাজীপুর থেকে আসার পথে টঙ্গীতে পুলিশ সবাইকে নামিয়ে দিয়ে বাস রিকুইজিশন করে নিয়ে নিয়েছে। আরেকটা বাস ধরে আসত সময় অনেক খানি নষ্ট হয়। তাই সব রকম প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও একজন দেরি করতে পারে যদি দুর্ভাগ্য হয়।

পরীক্ষা শুরু ২০ মিনিট আগে যে পৌঁছেছে, তাকে ঢুকতে দেয়াই যেত। আপনি যেমন বলেছেন, বিসিএস পরীক্ষায় দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেয়া লাগে, সেটা বিবেচনা করে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়াটা মানবিক হত।

দুঃখিত, আমার পোস্টে আপনার মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে এখানে চলে এলাম। একটা অসুবিধার কারণে আগে উত্তর দিতে পারিনি, এখন আপনার পোস্ট দেখে মনে হলো কিছু বলি।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশি দেরী হলেতো একজন পরীক্ষার্থী নিজে থেকেই আর ঢুকবে না। কিন্ত কয়েক মিনিট লেট হবার জন্য ঢুকতে না দেয়াটা পুরোপুরি অমানবিক। কমেন্টে ডঃ এম আলি যা বলেছেন এরপর আর কিছু বলার নাই। প্রশ্ন ফাশ, সময়মত ফলপ্রকাশ না করা , নিয়োগে ব্যপক দুর্নীতি , প্রশ্নপত্র বিতরনে সময় নষ্ট ইত্যাদি হাজারো অনিয়মের বিষয়ে পিএসসির কোন পদক্ষেপ নাই , কয়েক মিনিট লেট হওয়া নিয়ে চেয়ারম্যান হাজির হয়েছেন নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান দিতে!!

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:০৯

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: দেশে BCS পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তবে সবচেয়ে বড় এবং জীবনের কাঙ্খিত পরীক্ষা বিধায় নিয়ম,রীতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে আরো বেশি সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজন। আমার মেয়ে যে বিষয়ে graduation শেষ করেছে এ দেশে, তার জন্য licensing এক্সাম দিতে হয় চাকরির পূর্বশর্ত হিসাবে, চার ঘণ্টার পরীক্ষা, পরীক্ষা চলাকালীন সময় নিজের চেয়ার থেকে ওঠা যাবে না, এমনকি বাথরুমেও যাওয়া যাবে না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: পরীক্ষা চলাকালীন সময় নিজের চেয়ার থেকে ওঠা যাবে না, এমনকি বাথরুমেও যাওয়া যাবে না।

এমন সিস্টেমের পরীক্ষার কথা কোথাও শুনি নাই। ইমার্জেন্সি বলে একটা বিষয় আছে। বিদেশেতো আর বাথরুমে গিয়ে নকল করার কোন সুযোগ নাই , সেক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে বাথরুমে যেতে না দেবার বিধান থাকাটা বড়ই আশ্চর্যজনক ঠেকছে।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সময়ানুবর্তিতা মেনে চলা সকলের জন্য অবশ্য উচিত ,তাতে কোন দ্বিমত নেই । কিন্ত উপযুক্ত কোন
কারণে সামান্যতম শৈথিল্য দেখানোর বা প্রতিকারের কোন বিধান নেই এমন নজির খুবই কম ।

সবকিছুরই একটা নিয়ম আছে , এবং কোন কারণে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে কি করতে হবে তা সব
নিয়ম কানুনের ডকুমেন্টেই বলা থাকে , বিশেষ করে নিয়ম পালন কার্যকর করার জন্য দায়িত্ব
পালনকারীদের প্রতি একটি গাইড লাইন দেয়া থাকে, যাতে করে উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে
তার জন্য নিয়মের কিছুটা শিথিলতা করা যায় । মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত আসামীর জন্যও দেশে ক্ষমার
বিধান আছে । সেখানে মাত্র ১ মিনিট সময় এর কারণে সৃষ্ট জটিলতা দুর করার কোন বিধান ,
পন্থা বা সুযোগই পাবলিক সার্ভিস কমিশন রাখেন নি, এটা ভাবতেও অবাক লাগে ।

পরী্ক্ষার হলে প্রবেশ এবং সময়মত পরিক্ষা শেষের জন্য যেমন একটি নির্দিষ্ট সময়( Time frame)
থাকে ও তা মেনে না চললে নিয়ম ভঙ্গকারীর বিরোদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রাখা হয়েছে , ঠিক তেমনি
একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে চাকুরিতে নিয়োগের
জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা দরকার , যেমনটি আছে পরিক্ষার্থীদের বেলায় ।
পরিক্ষার্থীদের বেলায় যেমন কোন উজর, আপত্তি, ব্যখ্যা গ্রহনযোগ্য নয়, ঠিক তেমনি সময়মত বিসিএস পরীক্ষার
ফল প্রকাশ ও উত্তীর্ণ সকলকে চাকুরীতে নিয়োগের বেলায় কমিশনের কর্মকর্তাদের সময় মেনে চলতে অপারগতা,
কিংবা সময়মত তাদের কাজ সম্পাদন না করার জন্য কোন উজর আপত্তি খাটানো চলবেনা । পরীক্ষার্থীদের
বেলায় যে নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে ঠিক সে রকম একই ব্যবস্থা তাদের বেলাতেও প্রযুয্য হওয়া উচিত।

আরো আছে কথা । ২৩শে এপ্রীল সন্ধায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের জারীকৃত পত্রের নির্দেশনা হতে দেখা যায়
( সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্য হতে নেয়া তথ্য ) পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে থাকা পরিক্ষার্থীর কাছে উত্তর
পত্র বিতরণ করা হবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আর পরীক্ষা শুরু হবে ১০ টায় । তার মানে উত্তর পত্র বিতরণে যদি
৩০ মিনিট লেগে যায় তাহলে ১০ টায় প্রশ্ন পত্র বিতরনেও যথেষ্ট সময় লাগবে । এটা কোন দক্ষ পরীক্ষা গ্রহন
ব্যবস্থাপনা হতে পারেনা ।

এখানে প্রসঙ্গক্রমে আরো উল্লেখ্য, বিসিএস পরিক্ষার ফল প্রকাশে অস্বাভাবিক বিলম্ব হয় । গত ৪ আগষ্ট
২০২৩ এ দৈনিক আজকের কাগজে প্রকাশিত একটি ভাষ্যে দেখেছিলাম লেখা হয়েছে;
এক বিসিএসেই শেষ তারুণ্যের চার বছর
সুত্র : Click This Link
৪৬ তম বিসিএস পরীক্ষার ফল কবে প্রকাশ হবে তা বিধাতা্‌ই জানেন ।

একজন পরিক্ষার্থী তাদের পরিক্ষা পরিচালনা থেকে শুরু করে পরিক্ষার ফল প্রকাশ , ও তাদেরকে
নিয়োগকাল পর্যন্ত যাবতীয় খরচের জন্যই বেশ মোটা অংকের ফিস দিয়ে থাকেন । তাই তাদেরকে সময়মত
সেবা দেয়া সরকারী কর্ম কমিশনের দায়িত্ব । পরিক্ষার্থীদেরকে সময় মেনে না চলার জন্য যেমনি করে পরীক্ষা
হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি, ঠিক তেমনিভাবে সময় মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য
কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে জবাবদিহিতার বিষয়ে কঠোরতর আইনের বিধান থাকা ও তার প্রয়োগ
প্রয়োজন, ঠিক যেমন কঠোরতা দেখানো হয়েছে সময়ানুবর্তিতার নিয়ম মানতে না পারা পরীক্ষার্থীকে ।

আরো একটি কথা, যেমন করে অনেক বিষয় বিবেচনা করে, পর্যালোচনা করে , মিটিং করে, তার পরে সিন্ধান্ত
নিয়ে পরিক্ষার্থীদেরকে পুর্বাহ্নেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে সময়ানুবর্তিতার কথা, ঠিক তেমনি ভাবে সকল বিষয়
বিবেচনা করে পর্যালোচনা করে, সকল সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকুলতা বিবেচনা করে বিসিএস পরিক্ষার ফল
প্রকাশ ও উত্তীর্ণদের জন্য নিয়োগপত্র জারী থেকে পদায়ন পর্যন্ত সীমারেখা নির্ধারণ করে সেসময়কাল সুনির্দিষ্টভাবে
সকল আগ্রহী বিসিএস পরিক্ষার্থীকে পুর্বাহ্নেই অবহিত করা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের উচিত। আর তারা তাদের
দায়িত্ব সময়মত সম্পাদনে ব্যর্থ হলে তাদেরকে ডিসিপ্লিনারী একশনের মুখুমুখি হতে হবে মর্মেও আইন থাকা
উচিত যেমনটি আছে পরিক্ষার্থীদের জন্য ।

সংবাদ ভাষ্যে দেখেছি নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে প্রবেশে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙ্গে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়ার
বিষয়ে কমিশনের কর্তাদের ভাষ্য হলো একজনের জন্য যদি নিয়ম ভঙ্গ করা হয় তাহলে তা অন্যদের জন্যও
নিয়ম ভেঙ্গে করতে হবে, একদম খাটি সত্য কথা । ঠিক তেমনি করে কমিশন যদি সময়মত তাদের কর্ম
সম্পাদনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের মত অনেক সরকারী' অফিসই নিয়ম ভেঙ্গে সময়মত তাদের উপর আর্পিত
দায়িত্ব পালন করবেনা। কমিশন তৈরী উদাহরণ অনুসরণ করবে । তাই নিয়ম ও আইন সকলের জন্য
সমভাবে প্রযুয্য হোক ।

আরো একটি কথা,সময়মত যারা পরী্ক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারলনা , কমিশনে জমা দেয়া তাদের পরীক্ষা
ফিসের হি হবে । যদি ফেরত দেয়া হয় তাহলে কোন কথা নেই , যদি ফেরত দেয়া না হয় তাহলে কিছু কথা
থেকেই যাবে।

এখন পরীক্ষা হলে ঢুকতে না পারা কোন পরিক্ষার্থী যদি বলে আমি কমিশনের সেবা নিবনা, তাহলেও কি
কমিশন তাকে কোন সেবা না দিয়েই শুধু সময় মত হলে আসতে পারেনি বলে তার কাছ হতে পরিক্ষায়
অংশ গ্রহনকারীর মতই মোটা অংকের ফিসের সকল অর্থ নিয়ে নিবে। ক্ষতিগ্রস্থ বেকার পরিক্ষার্থীদের জন্য
প্রতিকারের কোন রাস্তাই কি কমিশনে খোলা নেই!!!! ।

যহোক, সকলের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল চিন্তা করেই সরকারী কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত । সকল বিষয়ে সকলের
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে । আইনের শাসন সকলের জন্য সমভাবে প্রযুয্য হোক এটাই সময়ের দাবী ।

গুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার তথ্যবহুল কমেন্টের জন্য । পিএসসি সম্পর্কে যা বলার তা আপনি বলে দিয়েছেন। দেশের দুর্নীতির মুল আখড়া হচ্ছে পিএসসি।

আশা করি আপনি সুস্থ ও ভাল আছেন। আপনাদের মত গুনী ব্লগারদের পদচারনায় সামু সর্বদা মুখর থাকুক , এটাই কামনা।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমরা বাংলাদেশের মানুষ সময় নিয়ে কখনোই সিরিয়ান ছিলাম না। এই কারণেই এই দেশে প্রবাদ তৈরী হয়েছে- ৯টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে?
শিক্ষার্থীরাও এটা জানে। কিন্তু শুক্রবারের পরীক্ষায় হঠাৎ কোন অজানা কারণে পরীক্ষা হলের বসরা কোন কারণে এতো কঠিন হয়ে গেল কে জানে?


আজকে আমি বাঁশের পুলে অবস্থিত ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলাম জরুরী একটা দলিল আনতে।
আমি গিয়ে পৌছেছি তখন সকাল ৮টা ৩৫ মিনিট মাত্র।
অফিসের স্টাফরা আসলো সাড়ে নয়টায় ।
আর তাদের ছার ( বাবু মহাশয়) তসরিপ আননয় করিলেন বেলায় সোয়া ১ টায়।
আমার কাজ শেষ করতে পৌনে ১২ টা বেজেছিল।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ৯টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে? :)
আপনে বললেন ট্রেন এর কথা , আমি বলি এবার বাংলাদেশ বিমানের কথা । কোনদিন দেখেছেন বাংলাদেশ বিমান সময়মত প্লেন ছেড়েছে ? যতবার বিমানে চড়েছি ততবারই , এয়ারপোর্টে গিয়ে শুনেছি ফ্লাইট লেট। কত ঘন্টা লেট তাও কাস্টোমার সার্ভিসের লোকেরা বলতে পারে না।রাগে দুঃখে বহু বছর আর দেশীয় এয়ারলাইনসে চড়ি না। বাংলাদেশ বিমানের এই অব্যবস্থাপনার সুযোগে বিদেশী এয়ারলাইন গুলো চুটিয়ে ব্যবসা করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.