নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরান দেখিয়ে দিয়েছে ইসলামে ধর্মের আসল মিত্র কারা

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০০

সারা জীবন শুনে আসলাম শিয়ারা আদতে মুসলিম নয়। তাদের আকিদা নাকি সঠিক নয়। তবে ইরানি মুভিগুলো দেখে আমার কখনই মনে হয় নাই যে , শিয়াদের মাঝে ইসলামি বিরোধি কোন বিষয় আছে। সুন্নীদের সাথে শিয়াদের আমার একটাই পার্থক্য ধরা পড়েছে যে, তারা হযরত আলীকে প্রাধান্য বেশি দেয় এবং কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার জন্য বছরের পর বছর শোক পালন করে। ছোটবেলায় মহররম মাসে শিয়াদের তাজিয়া মিছিল অনেক দেখেছি। কান্না কাটি করে মাতমের সাথে নিজেদের রক্তাক্ত করার বিষয়টা খুবই অতিরঞ্জিত মনে হত। ভেবে পেতাম না হাজার বছর ধরে তারা এই প্রথা কেন পালন করছে। কয়েক বছর আগে ইউটিউবে কারবালা সিরিয়াল দেখে কারবালা ঘটনাটার আদ্যপান্ত বুঝতে পেরেছি। কেন বছরের পর বছর শিয়ারা মাতম করে , তার কারনটা ধরতে পেরেছি।

কুফা শব্দটা আমরা ব্যড লাক হিসাবে জানি। শব্দটার অন্তর্নিহিত কারন কারবালা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। ইরাকে কুফা নামে একটা নগর রয়েছে। এই নগরের সন্নিকটে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা ময়দান অবস্থিত। মুসলিম জাহানের চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.) পবিত্র মদিনা থেকে কুফাতে রাজধানী স্থানান্তর করেন। উররাধিকার সুত্রে হজরত মুয়াবিয়া (রা.) সন্তান ইয়াজিদ ৬৮০ সনে ক্ষমতায় আসেন। উত্তরাধিকার সূত্রে খিলাফত লাভকারীদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম খলিফা হন। কুফার জনগন সিরিয়া-ভিত্তিক উমাইয়া খলিফাদের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা আলির বংশধরদের প্রতি গভীর আনুগত্য ও ভালোবাসা প্রদর্শন করে আসছিল। তারা হযরত আলীর ছেলে হোসাইন (রা.কে ইসলামের খলিফা রুপে পেতে চাইছিল। ইয়াজিদের বিরুদ্ধে কুফাবাসীর সাহায্যের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হয়ে হোসাইনের (রা.) স্ত্রী, ছেলে, বোন ও ঘনিষ্ঠ ২০০ অনুচর নিয়ে ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে কুফার উদ্দেশে রওনা হন। ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালা নামক স্থানে পৌঁছালে কুফার গভর্নর ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ তাকে বাধা দেন। রক্তপাত ও খুনাখুনি বন্ধের উদ্দেশে হজরত হোসাইন (রা.) তিনটি প্রস্তাব দেন। ১. তাকে মদিনায় ফিরে যেতে দেয়া হোক। ২. তুর্কি সীমান্তের দুর্গে অবস্থান করতে দেয়া হোক। ৩. ইয়াজিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দামেস্কে পাঠানো হোক। কিন্তু ওবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে তার হাতে আনুগত্যের শপথ নিতে আদেশ দেন। হজরত হোসাইন (রা.) ঘৃণা ভরে তার এ আদেশ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ভেবেছিলেন যে , কুফাবাসী তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে। হোসাইন (রা এর জানা ছিল না যে, কুফাবাসীদের বেশিরভাগই সেই সময়ে ইয়াজিদের ছড়ানো টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে এবং অনেকেই ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেছে। ইয়াজিদ বাহিনী ১০ মুহাররম তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক অসম যুদ্ধে একমাত্র ছেলে হজরত জায়নুল আবেদিন (রহ.) ছাড়া ৭০ থেকে ৭২ জন শহীদ হন। হজরত হোসাইন (রা.) মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যান।

হোসাইনের (রা. মর্মান্তিক শাহাদত বরনের পর কুফাবাসীর বিবেক জাগ্রত হয়। কুফার জনগণ নিজেদের বিশ্বাসঘাতকতাকে এই মর্মান্তিক ঘটনার অন্যতম কারন হিসাবে চিহ্নিত করে। পরবর্তীতে কুফাবাসীরা এই খুনের বদলা নেয়। সেই সাথে নিজেদের বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিস্বরুপ ১০ই মহররমে তাজিয়া মিছিল, মাতম (নাআহ), মার্সিয়া পাঠ, বুকপেটানো, এমনকি আত্ম-আঘাতের মাধ্যমে শোক পালনের প্রথা শুরু করে। হাজার বছর ধরেই শিয়ারা এই রীতি পালন করে আসছে। সুন্নী মুসলমানরা কারবালার ঘটনাকে একটি মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি এবং ইসলামের ইতিহাসে একটি দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে দেখে। কিন্ত মাতম, তাজিয়া, ও আত্ম-আঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ইসলামবিরোধী বলে মনে করে। শিয়া সুন্নীর মধ্যকার দ্বন্দ এই ঘটনা থেকেই সুত্রপাত।

১৪০০ বছর পরেও আরব ভুমিতে রক্ত ঝড়া বন্ধ হয়নি। আজো ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন ইজরাইলের হাতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যূ বরন করছে। কিন্তু নিজেদের সহি মুসলিম দাবী করা সুন্নিরা কি করছে তাদের জন্য ? বছরের পর বছর হজ্ব করতে দৌড়ানো হাজিরা কি কোনদিন এ নিয়ে ভেবেছে? ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল সৌদি আরবের বছরের পর বছর নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে কি সুন্নী উম্মাহর আওয়াজ তোলার সময় হয়নি ? হজ্ব থেকে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লাভ করে সৌদি সরকার । সেই টাকা কি মুসলিম উম্মাহর জন্য ব্যায় করা হয় ? সৌদি রাজতন্ত্রের কাজকারবারেতো মনে হয় না একটা টাকাও তারা মুসলিম উম্মাহর জন্য খরচ করে। বরং ইজরাইলের অকৃত্রিম বন্ধু সৌদি রাজপরিবার ইজরাইলকে মিসাইল, যুদ্ধাস্ত্র কিনতে টাকা দিলে অবাক হবার কিছু নাই। বছরের পর বছর ইজরাইল যে পরিমান টাকা অত্যাধুনিক মিসাইল, আয়রন ডোম, যুদ্ধাস্ত্র কিনতে ব্যায় করে , সেই টাকার উৎস কি ? আমেরিকা ইজরাইলেকে সমর্থন করতে পারে কিন্ত তাই বলে আমেরিকার জনগনের ট্যক্সের টাকা নিশ্চই ইজরাইলের অস্ত্র কিনতে ব্যায় করবে না।

আজ শিয়াপন্থী ইরান ইসলামের শত্রু ইজরাইলের বিরুদ্ধে একাই লড়াই করে চলছে । ইরানের ক্ষমতাসীন শাষকের বিরুদ্ধে ইরানবাসীর হাজারো ক্ষোভ থাকলেও ইজরাইলের বিরুদ্ধে পুরো জাতি একতাবদ্ধ হয়ে গেছে। ইজরাইল ইরানিদের খোমেনির বিরুদ্ধে সরকারবিরোধি গন অভূত্থ্যানের আহবান জানালে তারা সেটা নাকচ করে তেহরানে ইসরায়েলি ও আমেরিকান পতাকা পোড়াচ্ছে এবং নিহত নেতাদের ছবি প্রদর্শন করছে । জানি না ইরান কতদিন এই যুদ্ধে একা টিকে থাকতে পারবে , কিন্তু ইসলামের জন্য তারা যেভাবে জীবন বাজি রেখেছে তা চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে। প্রতি বছর কয়েক দফা উমরাহ , হজ্ব করা নিজেদের সহি মুসলিম দাবী করা সুন্নীদের চোখের সামনের অজ্ঞতার পর্দাটা যতদিন সরে না যাবে, ততদিন মুসলিমদের রক্ত দেশে দেশে ঝড়বেই।

তথ্য সুত্র ঃ উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সহ মত ।

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আরব রাজাবাদশারা এখন হিজড়া তবে গন্ডায় গন্ডায় বিয়া করতে পারদর্শী।

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: হজ্বের টাকায় গন্ডায় গন্ডায় বিয়া করে, আমোদ ফুর্তি করে আর ইজরাইলরে যুদ্ধাস্ত্র কেনার টাকা সরবরাহ করে ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪

নতুন বলেছেন: ট্রাম্প কিছুদিন আগে তার মাসোয়ারা উঠিয়ে নিয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। কয়েক বিলিওন ডলার ডিল করে গেছে।

ইরান ট্রাম্পকে চান্দা দিলে এই ঝামেলায় পড়তে হতো না।

রাজনিতিকরা ধর্মকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করে। তাদের কাছে ধর্ম মানুষ নিয়ন্ত্রনের একটা ভালো হাতিয়ার মাত্র।মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বড় বড় পরিবারের মানুষেরা দুবাইতে ভ্রমনের সময়। তাদের রুমে এলকোহলের বিল পোস্ট করা যাবেনা বলে দেয়। তারা কিছু খরচা নগদ প্রদান করে থাকে।

দুনিয়াতে ধনীদের কাছে ধর্ম কোন ব্যাপার না। ক্ষমতা আর রাজনিতিই আসল।

ধর্ম শুধুমাত্র দরিদ্রের জন্য।

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আরবের শেখরা একেকটা ইবলিশ শয়তান ছাড়া আর কিছু না। এদের কাছ থেকে বিবেক বুদ্ধি আশা করে লাভ নাই। কিন্তু বাদবাকি দেশের মুসলিম সুন্নী জনগোষ্ঠি যারা নিজেদের সহী মুসলিম দাবী করে গর্ববোধ করে , তাদের মুখোশটাও উন্মোচন জরুরী। হজ্ব ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটা হলেও তা অবস্য পালনীয় কোন কর্তব্য নয়। আপনার আমার হজ্বের টাকা যদি গাজার শিশুদের রক্ত ঝড়াতে ব্যায় হয় , তবে কি সেই ইবাদত মহান রাব্বুল আলামিন কবুল করবেন?

সৌদি আরবকে সম্মিলিতভাবে সকল মুসলিম দেশের বয়কট করা উচিত।

৪| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫

ঊণকৌটী বলেছেন: এই ব্যাপারে আপনি অথবা বাংলাদেশের ধর্ম প্রিয় জনগনের কি ভূমিকা? কিছু করার দরকার নাই ? নাকি শুধুই ব্লগে বক বক!

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের জনগন ইরান ও ফিলিস্তিনের পাশেই আছে। কিন্তু আপনাদের খবর কি ? আপনাদের সরকারতো ইজরাইলের পক্ষে। আপনারাও কি তাই? গাজা বা ইরানে অমানবিক হামলার বিরুদ্ধে দাড়ানোর জন্য কিন্তু মুসলিম হবার দরকার নাই , কেবল মানুষ হবার প্রয়োজন।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮

আমি নই বলেছেন: বিশ্ব মানবতার জন্য সবচাইতে বড় হুমকি ইসরাইল, শুধু এই একটা কারনেই ইরানকে সাপোর্ট করা যৌক্তিক মনে করি।

আর ধর্মীয় দিক বিবেচনায় নিলে আমার মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন মানুষের চাইতে একজন শিক্ষিত নবমুসলিম বেটার।


২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: সৌদিআরব , আরব আমিরাতের জনগনদের আমারতো মুসলিম বলেই মনে হয় না। ফিলিস্তিনের পক্ষে দেশে দেশে মিছিল , প্রতিবাদ হচ্ছে । কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর জনগনকে কোনদিন দেখি নাই ফিলিস্তিনের পক্ষে একটা আওয়াজ তুলতে। অথচ ইরানের জনগন মৃত্যূকে বেছে নিতে রাজী কিন্তু তাও ইজরাইলের সামনে মাথা নত করতে রাজী নয়।

৬| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই যুদ্ধ শেষ হয় নাই। ইসরায়েল কোন একদিন আবার এই যুদ্ধ শুরু করবে। ইরান কে মূলত সামরিক ও ইন্টেলেকচুয়াল ভাবে শেষ করে দেয়া হয়েছে। এসব যুদ্ধবিরতি কচু পাতার পানির মতো টলমলে।

ইরান মধ্যপ্রাচ্যে অনেক সুন্নি মেরেছে। তাই সুন্নি অধ্যুষিত দেশ তাদের সাপোর্ট করবে না।

বাই দ্যা ওয়ে, ইরান কিন্তু লাস্ট ইলেকশনের আগে শেখ হাসিনার রেজিম কে আমেরিকার এগিনেস্ট রাশিয়ার সাথে মিলে সাপোর্ট দিয়েছে। ভারতের পাশাপাশি রাশিয়া, চীন ও ইরান ও স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়েছিলো। এ ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কি? ;)

২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভুরাজনৈতিক কারনে যে কোন দেশ যে কারো পক্ষ নিতেই পারে। ইরান রাশিয়া, কোরীয়া , চীনের জোটে রয়েছে বলেই বর্তমান যুদ্ধ করতে পারছে। তাদেরকে এত মিসাইল সরবরাহ করছে কারা ? ইজরাইলতো বলেছেই যে , ইরানের ছোড়া মিসাইলের যে ধরন তা চীন , রাসিয়া থেকে পাওয়া। আমাদের এখানে বর্তমান ইন্টারিম সরকারের পেছনে আমেরিকার সাপোর্ট রয়েছে। কিন্তু একটা দেশের জনগনেরতো এর সাথে কোণ সম্পর্ক নাই। ইন্টারিমে সরকারের আমলেই দেখেন যে, গাজার জন্য কত বিশাল প্রতিবাদ , মিছিল হল। শুধু আমাদের দেশেই নয় , পৃ্থীবির বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ বন্ধের জন্য মিছিল হচ্ছে। ইহুদিরাও ( যারা জিওনিস্ট নয়) এইসব মিছিলে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য দেখেন নিশ্চুপ। আর তাই সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উচিত হজ্ব বয়কট করা। হজ্বের টাকা মুলত যাচ্ছে ইজরাইলের পকেটে।

৭| ২৪ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

মেঘনা বলেছেন: ইরানের খামেনীয় শাসন ব্যবস্থা পৃথিবীর জঘন্যতম শাসন ব্যবস্থার উদাহরণ। নিজ দেশে এরা কিরকম দমন পিরণ চালায় তা জিনা মাহ্শা আমিনি সিরিজ দেখলেই বুঝতে পারবেন। আর বহির বিশ্বে এরা তো নর পিচাশ। ইসরাইল ইহুদী জন্য ইরানের শত্রু, ঘটনা শুধু সেটা না। ইরান ইয়েমেন কে ধ্বংস করার জন্য হুতিদের তৈরি করেছে, লেবানন কে ধ্বংস করার জন্য হিজবুল্লা তৈরি করেছে। এই ইয়েমেন লেবানন এরা তো ইহুদী না। তাহলে ইরান এদের ধ্বংস চায় কেন ? আসলে বর্তমান ইরানের শাসকরা হল নরখাদক পিচাশ। তাই মধ্যপ্রাচ্যে কোন দেশেই ইরানের ভালো চায়না।

২৪ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইরানের খোমেনি শাষন খোদ ইরানিরাও পছন্দ করে না । খোমেনিকে যদি উৎখাত করতে হয় , তবে ইরানিরা সেটা নিজেরাই করবে। কিন্তু প্রশ্ন যখন ইজরাইল তখন কিন্তু ইরানিরা একতাবদ্ধ ইজরাইলের বিরুদ্ধে। ইয়েমেন ধংশ করছে সৌদি আরব , ইরান নয়। হুথিরা বরং সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক হস্তক্ষেপকে প্রতিহত করে বর্তমান সরকার গঠন করেছে। যাই হোক আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি মিলবে না।

৮| ২৪ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০০

ফারমার২ বলেছেন:



ইসলামের শত্র হচ্ছে রাজাকার, ইসলামী মোল্লারা, শিয়া মিলিশিয়া, জামাত, ব্রাদারহুড, আলকায়ে্দা, জোস ই মোহাম্মদ, শিবির, আলকায়েদা, হেজবুল্লা ও হামাস।

২৪ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগের কমেন্ট ব্লক অপশন কাজ করে না। আর তাই আপনার কমেন্ট বার বার মুছুতে মুছতে আমি ক্লান্ত

৯| ২৪ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১

ঊণকৌটী বলেছেন: যদি বাস্তব মানি, তবে আপনার জন্য একটা প্রশ্ন, 160 কোটির মুসলিম এর পৃথিবীর জন্য কি অবদান ? আর ইসরাইলের 95 লাখ জনসাধারণের কি ? আজকে যে ডিভাইস দিয়া আপনি এই গ্রুপে আছেন তাতো সবটাই ইসরাইলের সম্পদ আচ্ছা বছর বছর বাচ্চা জন্ম দেওয়া ছাড়া আর কি অবদান রেখেছেন এই পৃথিবীতে ? আজ যদি ইসরাইল না থাকে তা হলে এই পৃথিবী ও থাকবে না ধংস হয়ে যাবে | ইরানের সাপোর্ট করছেন! ভালো কিন্তু ইরান কে আরব ভূমির সবাই ভয় পায় কেন ? ইসরাইল কে এর সাথে সম্পর্ক রাখে কেন তা ভেবেছেন কখনো ? কারণ একটাই সবাই শান্তিতে থাকতে চায় ইরান আরব দুনিয়াতে যত গুলো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আছে তার পৃষ্ঠপোশাক সমগ্র আরব ভূমি কে সে সন্ত্রাস দিয়া অশান্ত করে রেখেছে, তো ইসরাইল আপনার আমার মঙ্গলের জন্যই লড়াই করছে তাকে সাপোর্ট করেন যদি সভ্য পৃথিবীতে থাকতে চান |

২৪ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার মত মানবতার সকল সীমা লংঘন করা ইজরাইলি সাপোর্টারকে অনুরোধ করছি, আমার ব্লগে আর কখনও আসবেন না।

১০| ২৪ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

ঊণকৌটী বলেছেন: আর আসবো না, কিন্তু অন্ধকার থেকে শিক্ষার আলোকিত হোন, বাস্তব টা বুঝতে চেষ্টা করেন, অন্ধ দুনিয়াতে থাকলে আমার কি ! ক্ষতি টা আপ্নার দুনিয়ার ,তবে একটা জিনিষ পরিষ্কার অন্ধ বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের মানুষ এই জায়গাতেই থাকবে কিন্তু আরব দুনিয়া বর্তমানের সাথে এগিয়ে যাবে এবং সারা পৃথিবী তাদের সঙ্গ দেবে |

১১| ২৪ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শিয়া-সুন্নী বা ইসলামের বিভিন্ন ধারা-উপধারা মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে বিভেদ আছে। একই অবস্থা খৃষ্টধর্ম বা ইহুদিধর্মেও বিদ্যমান। তারপরেও তারা কমন থ্রেট এক হয়ে মোকাবেলা করে। অথচ মুসলমানদের মধ্যে এই জিনিসটাই নাই। আজকের এই ভোগান্তির মূলে সেইটাই।

কিছু অর্ধ-শিক্ষিত আর কুশিক্ষিত আবাল দেখি আপনের পোষ্টে সমানে ল্যাদাইতেছে। এইগুলা কি ভদ্রকথা শোনার মতো মানুষ? ডাইরেক্ট ঝাটাপেটা করেন না ক্যান?

১২| ২৪ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের মিত্র না খুঁজে ন্যায়ের মিত্র খুঁজেন।চীন রাশিয়া ইসলামের মিত্র না কিন্ত ইরানের মিত্র।৫৭টা ইসলামি দেশের চেয়ে চীনের মিত্রতা অনেক উপকারী।চাঁনের মিত্রতার জন্য ইরানের মিসাইল কখনো শেষ হবে না।

১৩| ২৪ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:২০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শিয়া-সুন্নিদের মাঝে বড় ধরনের বিভাজন আছে। ভুয়া মফিজ , নতুনসহ আরও কয়েকজন মনে হয় ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন কেন বুঝলাম না।

১৪| ২৪ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৩০

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ইরানের সামনেই গাজা ধ্বংস করা হয়েছে, গাজার মুসলিমদের জন্য ইরান যুদ্ধ করে নি। যখন নিজে আক্রান্ত হয়েছে তখন যুদ্ধ করেছে। অন্যান্য মুসলিমরা যে বলছিল ইরান ইসলামের জন্য কিছু করবে না, খারাপ লাগলেও অস্বীকার করার উপায় আছে কি? ইরানে রাফেজী শিয়ারাই এখন ক্ষমতায় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ, যারা আবু-বকর (রাঃ), উমর (রাঃ), উসমান (রাঃ) কে কাফের বলে এবং আয়েশা (রাঃ) কে কাফের এবং অসতী বলে। বলার অপেক্ষা রাখে না এই আকীদা যারা পোষন করে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। এই যুদ্ধটা কাফের বনাম কাফেরের। তবে শত্রু কমন বলে ইরান জয়যুক্ত হোক এটা মুসলিমরাও চেয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.