নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাফিক্স ডিজাইনার

ভালো কিছু করতে চাই

ঢাকা শহর

ছোট ডিজাইনার

ঢাকা শহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউ ইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জিপের ধাক্কায় এক বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালক নিহত হয়েছেন।





নিহত মীর মনোয়ার হোসেন (৩৫) বিক্রমপুর সদরের উত্তর কাজী কসবার মীর বাড়ির মৃত মীর মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। কুইন্সের এল্মহার্স্টে বাস করতেন মনোয়ার। ১৯৯৬ সালে ডিভি লটারিতে জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি।



স্থানীয় সময় রোববার ভোর রাতে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে ইস্ট ২৬ স্ট্রিটের থার্ড এভিনিউতে বাংলাদেশি একটি দোকানের সামনে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজের ফাঁকে ভোর রাত ২টার দিকে বাংলাদেশি মালিকানার ওই দোকানের সামনে ট্যাক্সি থামান মনোয়ার। দোকানে ঢোকার আগে ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ সময় একটি জিপ দ্রুত গতিতে এসে পিছন থেকে ওই ট্যাক্সিকে ধাক্কা দিলে ট্যাক্সি ভেঙে-চুরে উপরে উঠে যায় এবং মনোয়ার প্রচণ্ড আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আরো দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত একটি কারের চালকও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে নিউইয়র্ক প্রেস-বাইটেরিয়েন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



নিহতের ভাই মীর মোহাম্মদ মোকাররম হোসেন মামুন পূর্ব লন্ডনে থাকেন। বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, ছোট ভাইয়ের লাশ নিতে তিনি নিউ ইয়র্কে আসছেন।



দেশের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে মনোয়ারকে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।



পুলিশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী জিপের চালককে আটক করেছে। গাড়ি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন চালক।



মীর হোসেনের মৃত্যুতে নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ভৈরবী দেশাই শোক প্রকাশ করেছেন।



রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ট্যাক্সি চালকরা নিউইয়র্ক সিটি সচল রাখলেও তাদের নিরাপত্তা ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তেমন আন্তরিকতা নেই। কয়েক মাস আগে এক নেশাগ্রস্তের হামলায় মীর হোসেনের রুমমেট ট্যাক্সিচালক সাজ্জাদ মতিনের একটি পা ভেঙে যায়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দুঃখ জনক বিষয় আল্লাহ তার বিদেহী আত্তাকে বেহেস্ত নছিব করুণ
এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার পরিজনকে জানাই সমবেদনা

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

এস. এম. কামরুল আহসান বলেছেন: প্রতিদিন অভিবাসি ভাইদের এই রকম খবরে আমরা খুবই সংকিত। এইত কদিন আগে বাহরাইনে হয়ে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আল্লাহ মীর মনোয়ার হোসেন ভাইকে জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করুন। আমিন।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। খুব কষ্ট লাগছে। বড় ভাই থাকেন পরিবার নিয়ে, আল্লাহ সকল প্রবাসীদের হেফাজত করুন। আমীন

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

আহসান২০২০ বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রবাসীরা আমাদের ঘরের চাকা, দেশের চাকা, বিদেশের চাকা সচল রাখি। আর দূর্ঘটনায় আমাদের জীবন চাকা থেমে যাচ্ছে। কবে যেন এমন ঘটনা আমার উপর এসে পড়ে সেই চিন্তায় আছি।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

সাইফুল ইসলাম কোয়েল দুই বলেছেন: মীর মনোয়ার হোসেন ভাইকে আল্লাহ তালা যেন জান্নাত নসিক করেন।


দুঃখ পেলাম এই ভাইয়ের সংবাদ শুনে।


এমন আনেক ভাই আছেন যারা দুবাইয়ের আরটিএ নামক সরকারী প্রতিষ্ঠানে কমিশন এর ভিত্তিতে কাজ করেন। মোটামুটি ৭০০০ ড্রাইভার এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। তাদের বেতন আনুমানিক বাংলাদেশী টাকায় ৯০০০০ হাজার টাকা। কিন্তু কোন প্রকার দুর্ঘটনা জনিত কারনে যদি মারা যায় তাহলে তাদের কে ( পরিবার ও কলিগ ) পড়তে হয় বড় সমস্যায়। কারন ড্রাইভাররা কমিশন এর ভিত্তিতে কাজ করে। মারা যাওয়ার পর কোম্পানির লাশ পাঠানো দায়িত্ব নেয় না কারন কোম্পানির সাথে ড্রাইভার দের এই ধরনের কোন চুক্তি নেই। আর মারা যাওয়ার পর বাংলাদেশ এম্বাসিও কোন প্রকার খোজ নেয় না। এম্বাসির গরিমসির কারনে আরও দুই তিন দিন লাশ হিমাগারে থাকতে হয়। এই দেশে হিমাগারে চার্জ খুব বেশী।

শুধু একটি হিসাব করুন ৭০০০ ড্রাইভার যদি মাসে ৭৫০০০ হাজার টাকা পাঠায় তাহলে কত টাকা বাংলাদেশে যায়। কিন্তু সরকার বা এম্বাসি যদি একটু চেষ্টা করে তাহলে কোম্পানি ড্রাইভারদের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য (মারা যাবার পর লাশ দেশে পাঠানো) ।

একবার ও বাংলাদেশ এম্বাসি এ ব্যপারে মাথা গামায় না । সেই সাথে সরকার ও কোন প্রকার সাহায্য করে না।









২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

ঢাকা শহর বলেছেন: ভাই আপনার কথা গুলো খুব ভালো লাগল আমিও আপনার সাথে এক মত।


ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেচারা তার ট্যাক্সির সামনে দাড়িয় ছিল, আর পিছন থেকে মেরে দিল, খুব দুঃখজনক। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.