নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত বাবা-মা এবং মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া

০১ লা জুন, ২০২৫ ভোর ৬:২২

কুরবানীর ঈদ আসছে। এ সময় আমরা কেউ কেউ মৃত বাবা-মা এবং মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে কুরবানী করে থাকি। এ সম্বন্ধে ইসলামের বিধান সন্বন্ধে জানতেই এ আলোচনা।

প্রথমত: মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে কুরবানী
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া শরিয়তসম্মত নয়, কারণ সাহাবিদের মধ্যে থেকে কেউ এটি করেননি, যদিও তারা তাঁকে খুব ভালোবাসতেন এবং সওয়াবের কাজ করতে সর্বদা আগ্রহী ছিলেন। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মতকে এই বিষয়ে নির্দেশ দেননি, যদিও তিনি তাঁদেরকে তাঁর প্রতি দরূদ পাঠাতে এবং আযানের পর ওয়াসীলাহ ও ফাদীলাহ প্রার্থনা করতে বলেছেন। যদি এটি উত্তম কিছু হতো, তবে তিনি নিশ্চয়ই তা নির্দেশ দিতেন।

তদ্ব্যতীত, উম্মতের করা প্রতিটি সৎকর্মের প্রতিদান তিনিও পান, কারণ তিনি সেই সৎকর্মের দিকনির্দেশক, শিক্ষক ও আহ্বায়ক ছিলেন। অতএব, কোনো আমলের সওয়াব তাঁকে উৎসর্গ করা কোনো উপকার করে না; বরং এতে আমলকারী নিজের প্রতিদান থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে।

দ্বিতীয়ত: মৃত বাবা-মার পক্ষ থেকে কুরবানী
মৃতদের পক্ষ থেকে কুরবানী করার তিনটি ধরন হতে পারে:

১. জীবিতদের সাথে মৃতদের পক্ষ থেকেও কুরবানী দেয়া: যেমন একজন নিজের ও পরিবারের পক্ষ থেকে কুরবানী করে, যাতে জীবিত ও মৃত উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি বৈধ। এর প্রমাণ হলো—মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ ও নিজের পরিবারের পক্ষ থেকে কুরবানী করতেন, যাতে পূর্বে মারা যাওয়া সদস্যরাও (যেমন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা) অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

২. মৃত ব্যক্তির নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া: যদি কেউ মৃত্যুর আগে কুরবানী দেয়ার ওসিয়ত করে থাকেন, তবে তা পালন করা আবশ্যক, যদি না কেউ অপারগ হয়। আল্লাহ বলেন:
“যে ব্যক্তি কোনো ওসিয়ত শোনার পর তাতে পরিবর্তন আনে, তার পাপ পরিবর্তনকারীর উপর বর্তাবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও জানেন।”
[সূরা আল-বাকারা ২:১৮১]

৩. স্বেচ্ছায় মৃতদের পক্ষ থেকে আলাদা কুরবানী দেয়া: যেমন কেউ আলাদাভাবে নিজের বাবার পক্ষ থেকে বা মায়ের পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়। এটি বৈধ, এবং হান্বালী ফকিহগণ বলেছেন, এ কুরবানীর সওয়াব মৃতের কাছে পৌঁছাবে, অন্যান্য সদাকার মত। তবে এটি না করাই উত্তম, কারণ এর কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোনো নির্দিষ্ট মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করেননি—না তাঁর চাচা হামযা (রাদিয়াল্লাহু আনহু), যিনি তাঁর অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন, না তাঁর জীবিত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী সন্তানদের জন্য, এবং না খাদিজা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)-এর জন্য।
তাঁর জীবদ্দশায় কোনো সাহাবিকেও মৃত স্বজনের পক্ষ থেকে কুরবানী দিতে দেখা যায়নি।

সূত্র: Islam Q&A






মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৮

ফেনিক্স বলেছেন:



আব্রাহাম কি নরবলি দেয়ার চেষ্টা করেছিলো?

২| ০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: পৌতলিকরা পশুবলি দিতো,সেটাকেই এদিক সেদিক করে কুরবানীত্ পরিণত করা হয়।

৩| ০২ রা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ও আচ্ছা। আচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.