![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চোখের অন্তরালে রাখি যে চোখ
তাহার অশ্রু সহে না
নিজের চক্ষু ভিজুক জলে
মরুক সে ডুবে যেয়ে
চোখের অন্তরালে রাখি যে চোখ
তাহার অশ্রু সহে না
নিজ অন্তর জ্বলুক পুড়ুক
মনের অন্তরাক্ষি তে যে মন
তাহার মরম সহে...
ভালো বাসিনা এই অপবাদ দিওনা
চিরতরে তোমাকে বুকের সঙ্গে লাগিয়ে ঘুমাই
ঐ যে আছে মন
আর এইখানে বুকটা পেতে থাকি
বুকে কান পেতে শোনো
তোমারই তরে বাঁচি
কষ্টগুলো খাঁচায় বন্দী
এজন্য তাড়িয়ে বেড়ায়
জীবনটা এলোমেলো
স্বপ্নেরা তাই কাছে নেই
মন খারাপের রাতে
ডুবে যাওয়া চাঁদে
আমি বড়ই নিঃসঙ্গ
ঝিঝি শব্দে কান পেতে শুনি
মৃদু কণ্ঠে ঐন্দ্রিলা গান গাচ্ছে
ঐন্দ্রিলা, আমি যদি আসি
তুমি কি দরজা খুলবে?
কেউ মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করেনি
কত দিনের অনাহারে ক্লান্ত কবি
কেউ আসেনি ছাড়িয়ে দিতে অনাদরের চুলের
জটা
কেউ দেয়নি পথ্য এনে জ্বরে যখন কেঁপেছিলো
শরীর
অনেকে বলে কবি একটা প্রেমপত্র লিখে
দাওনা
তোমার উপাখ্যান থেকে দুটো লাইন...
মেঘাচ্ছন্ন এই নীল রাতে
আমার অবেলার আহার কালে
শোকাতুর হয়ে পড়ি নিঝুম ঝিঝি শব্দে
তোমার আলিঙ্গন আমি কোথা পাবো
তোমার স্নেহ নীড়ে কি করে পাই স্হান
মন বুঝি বেহাগের সুরে কাঁদে
মন সেতো মনই
দিতে চাইনা প্রবোধ...
আমি তোমার চোখের জলের কাব্যগাঁথা নই
ওগো
আমি তোমার উদাস মনের বাউল হয়ে গাই
নাগো
আমি তোমার কানের সোনার দুল নাতো
আমি তোমার নুপুর পায়ের ঝুমুর কিক্কণ
ধ্বনি নই ওগো
আমি তোমার অতুল মনের পাগলা কবি নই
ওতো
আমিতোমার...
সায়াহ্নের সন্ধিক্ষণে এসো
মেলে ধরো পাতার মত যুগল ঠোঁট
ধ্রুব সময়ের গতি কমতে থাকুক
বুকের পরে সমস্ত আবেগ ঢেলে দিয়ে
মাথাটা শক্ত করে চেপে ধরি
বরষার শেষ দিনে
জীবনের শেষ ধাপে এসে
যদি অপেক্ষায় হয় ইতি
তবে নাহয়...
মেঘে মেঘে বেলা শেষ
দিন গ্যাছে ফুরিয়ে
আমার রিক্ত এই হাত থেকে
হাতটি নিয়েছো সরিয়ে
দিন থেকে দিন কষ্ট বাড়ে
চোখ এখনো সইতে শেখেনি
নিষ্পাপ শিশুর মতনই কেঁদেছে
এখন অবশ্য অবসর খোঁজে সে
ব্যাথার নিমিত্তে একটু একটু করে
তিলে...
আমার অস্তিত্বের বাইরে
তোমার মনের ঘরে
কে আলো জ্বালে
সকাল না সন্ধ্যা
অসীম আকাশের নীচে
আমার মনটা কাঁদে
আলো এসে পড়ে চোখে
চিকচিক করে জ্বলে
আবার ফিরে আসবোনা
এই আঁধার বুকে নিয়ে
তুমি ভালো থেক
বৃষ্টি এলে ভিজে
আমার কথা ভেবে
তুমি কেঁদোনা
আমার...
দুখের লাগি মরণ কেন চাহি
আমার অশ্রু সজল চোখে
দুখের বাসর হলো নাকি
অশ্রু কি পারে মুছতে আগুন
আমার সবটাতেই বাড়াবাড়ি
কেন এত সুখের প্রেমে পড়ি
সবাই কি পারে এক নিয়মে বাঁচতে
এই সরোবরে আমার ভেজা কাঁপা...
পুরোনো সেই ছাঁদের কার্নিশে হেলান দিয়ে
কত কবিতা লিখেছি একটার পর একটা
কোনো স্বপ্নময়ী ভুল করে দেখবে বলে
অযাচিত এই আমার মত কবিতাও ছিলো
ছন্নছাড়া
তাইতো স্বপ্নময়ী আমার কোনো স্বপ্নে
সাজেনী
একটা তারা পৃথক ছিলো বলতো সে...
সুখের রূপান্তর ঘটাও কর্পোরেট
বিছানায়
আহ! উহ! শীত্কারের নতুন চমক
কুতসিত মেয়েগুলো রং মেখে সং সাজে
ভালো মানুষ নষ্ট সাজে
নষ্টেরা হয় ভালো
পৃথিবীর কাটাতারে সীমান্তে ঝুলে
দেহ
মানবতা তোদের বুলিতে
ঘরের বউয়ের পীঠে কালসিটে
তোরা আর মানুষ হলি কই
আমি...
ছিলে তুমি বরষার কোনো এক দিনে
মেঘাচ্ছন্ন করে রেখেছিলে সমস্ত জুড়ে
ভেজা পায়ে ছিলো নুপুরের রিমঝিম আওয়াজ
ছিলো জরীর মালা , কাঁচের চুড়ি
খোঁপায় কদম ফুল ছিলো
আমরা কত সুখে ছিলাম
হয়তোবা সেদিন গান গেয়েছিলো গায়েন
আমরা...
আমার একটা সখের তারা ছিলো
কথা ছিলো আমি যেদিন তারা হবো
তার পাশেই আমাকে থাকতে দেবে
এখন লক্ষ তারার ভিড়ে সে নিখোঁজ
দূরই তাহলে ঠিক ছিলো
দূর থেকেই সহজে চেনা যেত
©somewhere in net ltd.