![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I know that I am intelligent because I know that I know nothing.
- কালও কি হসপিটালে থাকতে হবে?
- হ্যা, ভাইয়া।
- কাল এই জামাটা পরো আর তোমার মায়ের জন্য এই শাড়ীটা পাঠিয়েছে তোমার রিমি আপু। ও আসতে পারেনি, কাল পরশু এসে তোমার সাথে দেখা করে যাবে।
- ধন্যবাদ ভাইয়া, কিভাবে যে আপনাদের.....................
এই টুকু কথা বলতেই চোখ দুটো ভিজে গেলো সোহানার। মাথা নিচু করে ফেলেছে। আমি ইচ্ছে করেই ওকে সান্তনা দিচ্ছিনা। কারন সান্তনা চোখের পানিকে আরো তরল করে দেয়। তখন আটকানো কঠিন হয়ে পড়ে। ডুকরে কেঁদে ফেলার সম্ভাবনা আছে। যত দ্রুত সম্ভব এখান থেকে আমার সরে যাওয়া উচিত।
প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে আল সামি হসপিটালে মায়ের সেবা যত্ন করছে ১৯/২০ বছরের এই মেয়েটি। আপন মা নয়। সোহানার বয়স যখন বছর তিনেক তখনই সোহানার লালন পালনের ভার পড়ে রক্তের সম্পর্কহীন এই সমিরন নেছার উপর। লম্বা গল্প। এত কিছু বলা সম্ভব নয় আজ। মেয়েকে অনেক কষ্ট করে পড়া লেখা করিয়েছে, তিতুমির কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী এখন সে। বছর চারেক ধরে টিউশনির টাকা দিয়েই নিজের পড়া লেখার খরচ চালাচ্ছে সে। তবে মা - মেয়ের সংসারে বিপত্তি এসে দাড়ালো সমিরন নেছার এই অসুস্থতার জন্য। মেয়েটার গানের কন্ঠ চমৎকার, তবে গান গেয়ে সে রোজগার করতে চায়না, নিজের কন্ঠ বিক্রি করে জাহান্নাম কেনার তার ইচ্ছে নয়। তার পরিচিত দু পাঁচ জনের সাহায্য দিয়ে মায়ের চিকিৎসা চলছে। ঈদের কেনা কাটাতো দুরে থাক, কুরবানীর পশুর মাংসও হয়তো কপালে জুটবে না এ দুজনের।
ঈদুল আযহার প্রধান উদ্দেশ্য যদি কুরবানী হয়ে থাকে তাহলে মায়ের জন্য মেয়ের এই কুরবানীই হয়তো আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দের হবে।
ঈদের দিনটাও হসপিটালে কাটানো এমন হাজারো সোহানাদের পক্ষ থেকে ঈদ মোবারক।
-
©somewhere in net ltd.