![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং লক্ষ্য করছি আমাদের দেশের অনেক মানুষ (বিশেষ করে যুব সমাজ) মোবাইল ক্যামেরা কিংবা হিডেন ক্যামেরায় ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মিলনের ছবি গোপনে কিংবা নারী সঙ্গিকে জানিয়ে ভিডিওতে ধারন করছেন। পরবর্তীতে তা কোন না কোন ভাবে লিক্ হয়ে লাখো মানুষের হাতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা যারা ভিডিওটি দেখছি অথবা বন্ধুবান্ধবের মোবাইলে ব্লু-টুথের মাধ্যমে পাঠাচ্ছি তারা কি নিজের বিবেকের কাছে কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি? কখনো কি ভাবছি আমরা কত বড় একটা অনৈতিক/ঘৃণ্য কাজ করছি?
মানব প্রজাতীর সবছে মাছুম - নিষ্পাপ সম্পর্ক হল যৌনমিলন। শাররীক মিলন হচ্ছে নারী-পুরুষের "একন্ত আপন - একান্ত গোপনীয়" (উল্লেখ্য, আমাদের পেইজে আমরা শুধুমাত্র বৈধ সম্পর্কের কথাই বলি। অবৈধ সম্পর্ক আমাদের বিবেচ্ছ বিষয় নয়)। আমাদের কি অধিকার আছে অন্যের
"গোপনীয় জীবনে" প্রবেশ করার? অন্যের একন্ত গোপন বিষয় কি করে আমরা খারাপ নজরে দেখছি। যে যৌনমিলনের ফলাফলে আজ আপনি আমি পৃথিবীর আলো দেখছি - সে মিলনকে যদি আমরা খারাপ চোখে (নোংরা মনে) দেখি তাহলে কি আমরা আমাদের জন্মকে খারাপ/নোংরা চোখে দেখছি না? যখন এটা কল্পনা করতে জঘন্য মনে হয় - যে নারীটির ভিডিও দেখছি সো আমার নিকটাত্মীয় ও হতে পারতো, তখন কি করে আমি অন্যের কাছ থেকে ভিডিওটি নিচ্ছি? কি করে তা আবার শেয়ার করছি? আনন্দ উপভোগ করার জন্য পৃথিবীতে আরো অনেক মাধ্যম আছে - তহলে কেন সমাজে নোংরামীর কালো থাবা? (অন্য একদিন লিখবো - মোবাইল কোম্পানীগুলো আমাদের নৈতিকতাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে)।
এখানে পুরুষ ফ্যান যারা আছেন, জানি তাদের সবার একই যুক্তি হবে। আপনি বলবেন, "মেয়েটি তুলতে দিল কেন? অথবা এমন কাজ করলো কেন?"
উত্তরে বলি, লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন - বেশির ভাগ ভিডিওতে নারী সঙ্গীটি খুবই সাধারন ভাবে কথা বলছেন - ছেলেকে খুশি করার চেষ্টা করছেন... নারীদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় খুব প্রকট। তারা যখন একজন পুরুষকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে, তখনি শুধু সব কিছু উজাড় করে দেয়। একটা মেয়ে যখন আপনাকে তার জীবনের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করছে - তাহলে আপনি কি করে তার সাথে এত বড় একটি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন?
একজন নারীর ইজ্জত যাওয়া এবং তার জীবন যাওয়া সমান অনুভুতির। যখন কোন নারী কলঙ্কিত হয় - হয়তো আমরা তাকে জিন্দা থাকতে দেখি। কিন্তু সে একটা জিন্দা লাশ হয়ে যায়। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সে দিব্যি চলছে-ঘুরছে-ফিরছে। কাছে গিয়ে দেখুন ওটা শুধু তার দেহ। আত্মা-মন তার দেহ থেকে কোন এক হায়েনা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। (দয়া করে "আমি এত তথ্য পেলাম কি করে?" এ ধরনের যুক্তিহীন কথা জিজ্ঞেস করবেন না। কোন "লিখা" স্বপ্নে পাওয়া যায়না। যে লিখে সে অভিজ্ঞতা থেকেই লিখে। আমার কোন কথা খারাপ লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী। ১৬ কোটি মানুষের ১৬ কোটি মন। ১৬ কোটি মনের ১৬ কোটি মানসিকতা। তাই আমার আপনার মত একই হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই)।
পরিশেষে বিধাতার কাছে এই চাওয়া...
আমার বোনটি থাকুক নিরাপদে। আমার মাকে ভালবাসার শক্তি দিও বিধাতা...
লেখাটি একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে নেওয়া ।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন ।
যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
ডিজিটাল বোকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই >>>
নিজে এড়িয়ে চলে তো হবে না ।
অন্যদেরকেও সচেতন করতে হবে .....
যাতে কেউ নিজের অজানতে এসব না করতে পারে , সে বিষয় সচেতনতা গড়তে হবে
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এর মাঝে তো অনেক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটেছে। তারপরও আধুনিক শিক্ষিত মেয়েদের শিক্ষা হয় না?ছেলেরা চাইলেই মেয়েরা দিয়ে দিবে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৭
দিশার বলেছেন: কিছু ছেলের বদ ইচ্ছা থাকে , পরে সুবিধা নেবার জন্য . আবার অনেক সময় নিজের অজান্তে প্রকাশ হয়ে যায় এগুলা। তাই সব্ভ্হেয়ে ভালো হল কাওকে ভিডিও করতে না দেয়া।