![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কক্সবাজার সৈকতে প্রায়ই পানিতে ডুবে প্রানহানির খবর পাওয়া যায়। কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করলে এই দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। তাছাড়া বিপদে পড়লে কিভাবে বেরিয়ে আসতে হবে সেটা জানাও জরুরী। সম্প্রতি কক্সবাজারে গিয়ে কয়েকজন লাইফগার্ডের সাথে কথা বলে, এ বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করলাম।
১। সকাল আটটা থেকে সূর্যাস্ত অবধি সৈকতে লাইফগার্ডরা উপস্থিত থাকেন।
২। ভাটার সময় লাল পতাকা উড়ানো হয় ওয়াচটওয়ার গুলোর সামনে, এই সময়ে পানিতে সাতার কাটতে নামা উচিত নয়।
৩। দূর্ঘটনা জোয়ারের সময়ও ঘটতে পারে। তাই সতর্কতা সবসময়ই অবলম্বন করা দরকার।
৪। সৈকতে বেশিরভাগ দূর্ঘটনার জন্য দায়ী রিপ কারেন্ট। ছবিতে দেখুন।
বিচের কিছু স্পটে ভাটার টান খুব বেশি। সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ার পর ফিরে যাওয়ার সময় পানির নিচে ডুবন্ত বালিয়ারিতে বাধা পায়। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, সাগরে ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ার আগেই একবার ঢেউ তৈরি করে, এই স্থানেই সেই বালিয়াড়ি অবস্থিত (ছবিতে লাল চিন্হিত স্থান) এবং এই দুই ঢেউয়ের মাঝের পানির গভীরতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, মানে এখানে একটা খালের মত তৈরী হয়।
কিছু স্পটে এই বালিয়াড়িতে ফাকা বা গ্যাপ থাকে, এবং পানি সেই পথে সাগরে ফিরে যায়। নিচের ছবিতে দেখুন:
যেহেতু অনেক বেশি পরিমান পানি এই ছোট গ্যাপের মধ্য দিয়ে যায়, ফলে এই স্থান বরাবর বিচ থেকে ভাটার স্রোত বা টান থাকে অনেক বেশি। একজন দক্ষ সাতারুর পক্ষেও এই স্রোতের বিপরীতে সাতরানো সম্ভব নয়। একেই বলে রিপ কারেন্ট। সমস্যা হল, এই রিপ কারেন্টের স্থানটি নির্দিষ্ট কোন স্থানে স্থির থাকে না, স্রোতের ঢেউের সাথেই অবিরত এর অবস্থান পরিবর্তিত হয়। তবে লাইফগার্ডরা বিচের স্রোতের ধরন দেখলেই বুঝতে পারে কোথায় রিপ কারেন্ট আছে।
৫। কোন কারনে আপনি রিপ কারেন্টে পড়লে কি করবেন?
ভয় পাবেন না। বরং সুস্থিরভাবে হাত উচিয়ে বিচের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করুন। লাইফগার্ড ঠিকই আপনাকে দেখতে পাবে এবং উদ্ধার করতে এগিয়ে আসবে।
ভয় পেয়ে স্রোতের উল্টাদিকে মানে বিচের দিকে আসতে চেষ্টা করবেন না। এতে আপনার দম ফুরিয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি। রিপ কারেন্টে আপনাকে নিচের দিকে টানবে না, সৈকত থেকে কিছুটা দূরে ঠেলে নিয়ে যাবে। তাছাড়া, একসময় ডুবন্ত বালিয়াড়ির গ্যাপ পেরিয়ে গেলে স্রোত কমে আসবে।
৬। দ্বিতীয় যে কাজটি করতে হবে তাহল, স্রোতের আড়াআড়ি সাতরাতে হবে রিপ কারেন্ট থেকে বেরোনোর জন্য। অর্থাৎ বিচের সমান্তরালে কিছুটা আড়াআড়ি ভাবে। একবার রিপ কারেন্টের বাইরে চলে এলে সহজেই সাতরে পাড়ে চলে আসতে পারবেন।
রিপ কারেন্ট যে সবসময় খারাপ তা কিন্তু নয়। অনেক সময় সার্ফার এবং লাইফগার্ডরা রিপ কারেন্ট ব্যবহার করে, দ্রুত বিচ থেকে গভীর পানিতে চলে যাওয়ার জন্যে।
সুতরাং ভয় পাবেন না। বুদ্ধি দিয়ে একে মোকাবেলা করুন।
ছবিগুলো এই ওয়েবসাইট থেকে নেয়া:
Click This Link
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: thank u
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: দিনান্তে,
খুব সচেতনতার সাথে লেখা । মনে রাখা উচিত সবার । এজন্যে ধন্যবাদ ।
তবে একটি ব্যাপারে পরিষ্কার নই । লিখেছেন - " কিছু স্পটে এই বালিয়াড়িতে ফাকা বা গ্যাপ থাকে, এবং পানি সেই পথে সাগরে ফিরে যায়। ........যেহেতু অনেক বেশি পরিমান পানি এই ছোট গ্যাপের মধ্য দিয়ে যায়, ফলে এই স্থানে পানির স্রোত বা টান থাকে অনেক বেশি।"
আবার কোন কারনে কেউ রিপ কারেন্টে পড়লে কি করবেন তার বর্ণনায় বলেছেন - " তাছাড়া, একসময় ডুবন্ত বালিয়াড়ির গ্যাপের কাছে নিয়ে গেলে স্রোত কমে আসবে।"
কোনটি ঠিক হবে ? সবার স্বার্থেই ব্যাপারটি পরিষ্কার করা দরকার বলে মনে করি ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩
দিনান্তে বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। কিছুটা পরস্পরবিরোধী হয়েছিল, এডিট করলাম।
এই গ্যাপ বরাবর, বিচ থেকেই টান বেশি থাকে। তবে গ্যাপ পেরোলেই স্রোত কমে আসে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে আমার মনে হয় তখন না সাতরিয়ে বালিতে পা ঠেকিয়ে দাড়িয়ে থাকার চেষ্টা করাটাই ভালো, এবং পরবর্তি ঢেওয়ের সাথে তীরের দিকে গা ভাসিয়ে চলে আসার চেষ্টা করা, আবার টানের সময় দাড়িয়ে পড়লে সফলতা পাওয়ার কথা বেশী।
ধন্যবাদ, সবই আমার অনুমান এবং কিছুটা বাস্তব অভিজ্ঞতা।
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৭
দিনান্তে বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় শিক্ষার মাধ্যম আর কিছু নেই। আপনার মন্তব্য পাঠকের উপকারে আসবে আশা করছি।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৭
বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল পোষ্ট
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৯
ধুম্রজ্বাল বলেছেন: ব্লগ এখন কপি পেস্টের বন্যায় প্লাবিত। একারনে জাত লেখকরা মুখ ঘুড়িয়ে নিয়েছেন। এসব দেখার কেউ আছে বলে মনে হয়না।
কমেন্ট করবো বলে লগইন করলাম।
অত্যান্ত প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আমার ধারনা পানির নীচে লুকানো খালই বিপদ ডেকে আনে।
আমার মত ৯০কেজি দেহ কয়েকটা পল্টি খেয়েছিল যাস্ট দেড় ফুট গভীর এই রিপ কারেন্টে।
ভাল থাকুন। লিখুন সতত
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৯
দিনান্তে বলেছেন: আসলেই সত্য। বিচের ঢাল বিবেচনা করে সবাই ভাবে, অনেকদূর পর্যন্ত ঠাই পাওয়া যাবে। কিন্তু হঠাৎ করে খালের অল্প গভীরতাও প্রায়শই বিপদ ডেকে আনে।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৩
গরম কফি বলেছেন: আপনি ব্যাপার টা সহজ করে বুঝিয়ে বলেছেন ।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
অচিন.... বলেছেন: nice post...
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০২
আম্মানসুরা বলেছেন: উপকারী তথ্য। কাজে লাগবে।
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: সচেতনতামুলক পোস্ট । প্রায় সময়ই বীচে এই দুর্ঘটনা ঘটে, তাই এই বিষয়ে সবারই জানা উচিত ।
১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: মাথাটা উপরে রেখে শরীর ছেড়ে দেয়াটা ভাল । সাতরে উপরে আসার চেষ্টাটাই বিপদ ডেকে আনে । সবচেয়ে দরকারী হল দৃঢ় মনোবল। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আরও একটা বিষয়ে সাবধান করতে চাচ্ছি।
সেন্ট মার্টিনের পাশে ছেড়া দ্বীপ বা প্রবাল দ্বীপের মধ্যে পানিতে নামবেন না। জায়গাটা খুব বিপদজনক ।
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩
দিনান্তে বলেছেন: আপনার টিপসের জন্য ধন্যবাদ। বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে নিশ্চয়ই দূর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিচের আশেপাশের হোটেল গুলোতে এরকম সাবধানতাসূচক নির্দেশনা থাকলে অনেক ভিজিটর উপকৃত হতেন।
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: থাইল্যান্ডের পাতায়ার কোরাল আইল্যান্ডে দেখেছি বিশাল এক এরিয়া ঘিরে দেয়া আছে যাতে এরকম দূর্ঘটনা না ঘটে। হাজার হাজার মানুষ পানিতে। কেউ ভেসে গেলেও সমস্যা নেই, ওই এরিয়ার মধ্যেই থাকবে, এছাড়া হাঙরের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। কক্সবাজারেও সেরকম হলে ভালো হতো।
১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১
সাদা কলো বলেছেন: দরকারি পোস্ট