![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন পাসপোর্ট বই নেয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করে ভাবলাম, স্বাচ্ছন্দেই কাজটা সেরে আসতে পারবো। কিন্তু, ছবি তুলতে গিয়ে চরম অব্যবস্থা আর লম্বা লাইনে দীর্ঘ সময় নস্ট করতে হল।
সেনাবাহিনীর উপস্থিতি, এবং অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতায়, চলছে লাইন ভেংগে কিছু মানুষকে অন্যায় সুবিধা দেয়ার দুর্ব্যাবস্থা। কিছু হাই কানেকশন দালাল এবং পিয়ন শ্রেনীর কর্মচারীকে দেখলাম টাকার বিনিময়ে দালালি করতে।
সমস্যা সবচেয়ে জটিল হয়েছে, সবশেষের মানে ছবি তোলার পয়েন্টে গিয়ে। সেখানে লাইনে দাড়ানোর আগেই সিরিয়াল নিতে হয়, অথচ সেই সিরিয়াল অনুযায়ী ছবি তুলতে ডাকা হয় না।
বাইরে লম্বা লাইন, অথচ দালাল এবং গার্ডরা কিছু মানুষকে অবিরত লাইনের বাইরে থেকে ভেতরে নিচ্ছে। ফলে লাইন দীর্ঘতর হচ্ছে কিন্তু এগোনোর কোন লক্ষন নেই। এনিয়ে দুয়েকজন প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করলো সেনাবাহিনির গার্ড। একপর্যায়ে সেনাবাহিনির এক কর্মকর্তা আসলেন ঝগড়া থামাতে। সব শুনে তিনি বললেন, আসলে যারা লাইন ভেন্গে ভেতরে আগে যাচ্ছেন, তারা সরকারি কর্মকর্তা, এবং তাদের জন্য ভেতর আলাদা বুথ আছে। লোকটি যে, ডাহা মিথ্যা কথা বললেন তার প্রমান পেলাম ভেতরে গিয়ে, সেখানে এরকম আলাদা কোন বুথই নেই।
চারটা ছবি তোলার বুথ আছে, ভেতরেও লাইন, তবে লাইনের তোয়াক্কা না করেই কিছু লোক তাদের নিজস্ব ব্যক্তিদের বসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে যেকোন বুথে ছবি তুলতে। তারা যে সবাই সরকারি কর্মকর্তা নন সেটা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। যেই গার্ডের দায়িত্ব লাইনে বজায় রাখা, তার সামনে এসব ঘটছে। আমি ছবি তুলতে বসলে, আমার সামনেই এক দালাল এসে ডাটা এন্ট্রি অপারটরের কাছে ৪/৫ টা পাসপোর্টের কাগজ ধরিয়ে দিতে এল, এবং জোরাজুরি করতে লাগলো কাজটা তখনই করে দেয়ার জন্য।
সিরিয়াল নেয়াই হয়েছে যাতে সবাই সুবিন্যস্ত ভাবে নিয়ম মাফিক ছবি তুলতে পারে। কিন্তু আমরা সেই সহজ ব্যপারটাকে ঘোলাটে করে ফেললাম। যারা নিয়ম তৈরি করেন, তাদের অনিয়মের জন্যে এরকম হয়েছে। আমরা সাধারন মানুষেরা নিয়ম মেনেই লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে আছি, চোখে সামনে অব্যবস্থা দেখতে। ভিআইপি দের জন্য যদি আলাদা সুবিধা দিতেই হয় তবে তাদের আলাদা বুথ করে দিলেইতো হয়।
ভেতরে যারা কাজ করেন, তাদের মধ্যে একরকম ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করলাম। বাইরে এতগুলো মানুষ গাদাগাদি করে এই রোজার দিনের তপ্ত দুপুরে দাড়িয়ে আছে তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই রুমের দেয়ালটা স্বচ্ছ কাচের করে দিলে কি সমস্যা? বিদেশের সব অফিসেই এজাতীয় বুথগুলো খোলা জায়গায় থাকে, ৪/৫ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত পার্টিশান দেয়া। নাহলে কাচের দেয়াল দেয়া। যাতে সবাই দেখতে পায় ভেতরে কি কাজ চলছে। পাসপোর্ট অফিসের মত জনসেবামূলক প্রতিস্ঠানের কাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এর বিকল্প নেই।
পাসপোর্ট অফিসতো নতুন বিল্ডিং, এখানে আধুনিক কাচের দেয়াল না দিয়ে, মান্ধাত্তা আমলের ইটের রুম পার্টিশান দেয়ার কি দরকার, এর কি কোন বিকল্প নেই?
আর পাসপোর্ট করতে গিয়ে একজন ব্যাক্তিকে একবার নিচতলা, তারপর তিনতলায়, আবার নিচতলায়, শেষে চারতলায় দৌড়াতে হয়, এটা কোন প্ল্যানিং হল?
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
ভ্রমন কারী বলেছেন:
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫
আরজু পনি বলেছেন:
সব ক্ষেত্রেই অনিয়ম দেখতে দখেতে আর ভালো লাগে না
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৪
জিপসি মেহেদি বলেছেন: বিদেশের সব অফিসেই এজাতীয় বুথগুলো খোলা জায়গায় থাকে, ৪/৫ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত পার্টিশান দেয়া। নাহলে কাচের দেয়াল দেয়া। যাতে সবাই দেখতে পায় ভেতরে কি কাজ চলছে। পাসপোর্ট অফিসের মত জনসেবামূলক প্রতিস্ঠানের কাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এর বিকল্প নেই।
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
আম্মানসুরা বলেছেন: অরণ্য রোদন
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩
মনে নাই বলেছেন: এত অনিয়মের দেশে নিয়ম মেইনটেন করা খুব কঠিন বিষয়!!!!
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
বাংলা পাইরেট বলেছেন: আমি আগামী হপ্তায় passport করাতে যাব। যা পড়লাম, তাতে তো ভয় লাগতেসে
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০০
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: