![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতের অমিল হওয়াটা কখনই খারাপ কিছু নয়। মতের অমিল রয়েছে বলেই আলোচনা-সমালোচনার আবির্ভাব ঘটেছে। পৃথিবীর সবাই যদি একই রকম ভাবতো তাহলে পৃথিবীও ঘূর্ণন বন্ধ করে দিত। তবে মতের অমিল যুক্তি দিয়ে খণ্ডানো উচিৎ আর যুক্তি খণ্ডানো সম্ভব না হলে উদারচিত্তে কারো মন্তব্য মেনে নেয়া উচিৎ।
এক কৃষকের সখ বিভিন্ন জাতের ঘোড়া সংগ্রহ করার। তার সংগ্রহ সম্পূর্ণ করতে এখন শুধু এক ধরনের ঘোড়ার প্রয়োজন, যেটা তার প্রতিবেশীর কাছেই রয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী সেটা বিক্রয় করতে ইচ্ছুক নয়। তারপরও সে প্রতিদিন তাকে বিরক্ত করেই যাচ্ছে ঘোড়াটা বিক্রি করার জন্য। শেষ পর্যন্ত সে তার প্রতিবেশীকে রাজী করাতে সক্ষম হয়, কিন্তু তার এই আনন্দও বেশী দিন সইল না। এর এক মাস পরেই ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়ল। পশু ডাক্তার এসে ঘোড়াটিকে দেখে বলল এটি একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ভাইরাসে আক্রান্ত। সে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে বলল এগুলো তিন দিন ধরে খাওয়াতে হবে। এর মধ্যে সুস্থ না হলে তিন দিন পরে ঘোড়াটিকে মেরে ফেলতে হবে।
ডাক্তার আর কৃষকের কথা গুলো এর মধ্যে একটি ছাগল আবার মনোযোগ দিয়ে শুনছিল।
কিছুক্ষন পরে কৃষক এসে ঘোড়াটিকে ওষুধ খাইয়ে আবার নিজের কাজে গেল। তখন ছাগলটি এসে ঘোড়াটিকে বলল, শক্ত হও বন্ধু, তোমাকে সুস্থ হতেই হবে, না হলে ওরা তোমাকে মেরে ফেলবে।
দ্বিতীয় দিনও কৃষক ঘোড়াটিকে ওষুধ খাইয়ে যাওয়ার পর ছাগলটি ঘোড়াটিকে বলল, ওঠো বন্ধু, তোমাকে কষ্ট করে হলেও হাঁটতে হবে, আসো আমি তোমাকে সাহায্য করছি।
তৃতীয় দিন কৃষকের সাথে আবার সেই পশু ডাক্তার আসলো, ওষুধ খাওয়ানোর পরে ডাক্তার বলতে লাগলো, নাহ আর কিছু করার নেই, কালকে ঘোড়াটিকে মেরে ফেলতে হবে, নাহলে তোমার অন্য ঘোড়াগুলোও সংক্রমিত হতে পারে, কোন সুযোগ নেয়া ঠিক হবে না। কৃষকও নিরুপায় হয়ে তাতে সায় দিল। এবার তারা চলে যাওয়ার পর ছাগলটি এসে ঘোড়াটিকে বলল, আজকেই শেষ সুযোগ বন্ধু, উঠে দাঁরাও, তোমাকে পারতেই হবে, দৌড়াতে হবে, এইতো এইতো হচ্ছে, তুমি পেড়েছ, আর একটু, চমৎকার, তুমি পারবেই। অবশেষে ঘোড়াটি দৌড়াতে শুরু করলো। এমন সময় হঠাৎ কৃষক চলে এসে দেখতে পেল ঘোড়াটি দৌড়ুচ্ছে, সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলতে লাগলো,
“অবিশ্বাস্য, আমার ঘোড়া সুস্থ হয়ে গেছে, কোথায় সবাই, এই আনন্দে আজকে পার্টি হবে, এই কে আছিস, ছাগলটাকে জবাই কর।“
গল্পের শিক্ষাঃ আমাদের সমাজেও এরকম হচ্ছে প্রতিনিয়ত, কর্মক্ষেত্রে হোক আর দৈনন্দিন জীবনে হোক। কিছু মানুষ কখনই জানতে পারে না প্রকৃত সাফল্যের পেছনে আসলে কারা থাকে, কারা পুরস্কৃত হয়, আর কারা অন্যের মঙ্গলে নিজেদের উৎসর্গ করে দেয়।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৯
doha057 বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭
মাক্স বলেছেন: সুন্দর গল্প+++
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫০
doha057 বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চমৎকার গল্প। ভালো লাগল। ধন্যবাদ অনুবাদের জন্য।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
doha057 বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫
বোকামন বলেছেন: “তাদের খবর কেউ রাখে না”
ধন্যবাদ
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
doha057 বলেছেন: সহমত
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ++++++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭
doha057 বলেছেন:
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০
তামিম ইবনে আমান বলেছেন:
অসাধারণ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭
doha057 বলেছেন:
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
রীতিমত লিয়া বলেছেন: চমত্কার! +++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭
doha057 বলেছেন:
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯
টিনটিন` বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা। মনে হয় ঈশপের না। ঈশপের পুরো সমগ্র আমি পড়েছি। এই গল্প পড়েছি বলে মনে করতে পারছিনা।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০০
doha057 বলেছেন: ইশপ যেমন পশু পাখি ব্যবহার করে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেন, এই গল্পটি আমার সেরকম মনে হয়েছে। হয়তো আধুনিক ইশপ হবে এই গল্পের প্রণেতা
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
যাযাবরমন বলেছেন: চমৎকার গল্প
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
doha057 বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
আব্দু্ল্লাহ আল নোমান বলেছেন: গল্প পড়ে ভাল লাগল
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
doha057 বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার গল্প। অনেকদিন পর একটা সুন্দর মন ভালো হয়ে যাওয়ার মতো লিখা পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।