![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যুগোপযোগী করতে গোলন্দাজ (আর্টিলারি) ও পদাতিক (ইনফ্যান্ট্রি) বাহিনীর হাতে বহু প্রতীক্ষিত সেলফ প্রপেলড (এসপি) গান ও ট্যাংক বিধ্বংসী মেটিস এম-ওয়ান ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র এসপি ইউনিট আর্টিলারি কোরের ১১ এসপি রেজিমেন্ট আর্টিলারিকে সার্বিয়ার তৈরি ১৫৫ মি.মি. নোরা বি-৫২ এসপি গান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কাছে রাশিয়ার তৈরি মেটিস এম-ওয়ান ক্ষেপণাস্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি চীনের তৈরি ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র পিএফ-৯৮ ও তুরস্কের তৈরি হালকা সাঁজোয়া যান ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট এবং সাউন্ড রেঞ্জিং ইকুইপমেন্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি রেজিমেন্টের লোকেটিং উইংয়ের কাছে হস্তান্তর করেন। অত্যাধুনিক কামান, মিসাইল, সাঁজোয়া যান ও সরঞ্জামাদি যুক্ত হওয়ায় গোলন্দাজ ও পদাতিক কোর তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সদস্যের মনোবল অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। একটি সুপ্রশিক্ষিত ও অত্যাধুনিক সরঞ্জামসমৃদ্ধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরো উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, এপিসি, ক্ষেপণাস্ত্র, উইপেন লোকেটিং রাডার এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে। এ ছাড়া মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমসহ আরো অনেক অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা শিগগিরই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে সংযোজিত হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর জন্যও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। এসব অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন ফোর্সেস গোল-২০৩০ অর্জনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে।
©somewhere in net ltd.