![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হরতাল-সহিংসতায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের পোশাকশিল্প। এছাড়া একের পর এক দুর্ঘটনা, আগুন আর শ্রমিক অসন্তোষে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দেশের সবচেয়ে বড় এই শিল্পটি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার পর থেকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় শিল্পকারখানাগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কাজ চলছে পুরোদমে। আর কারখানা মালিকরা এখন ব্যস্ত বিদেশী ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। রানা প্লাজা ধ্বসের মাধ্যমে পোশাক কারখানাগুলো একের পর এক চরম সঙ্কটে পড়ে। শ্রমিক অসন্তোষ আর রাজনৈতিক সহিংসতা এ সঙ্কট আরও বাড়িয়ে তোলে। এ পরিস্থিতিতে আস্থা হারাতে থাকে বিদেশী ক্রেতারা। বাংলাদেশ থেকে অনেক অর্ডার চলে যায় ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়ায়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ক্ষতি কাটিয়ে আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম রপ্তানির এ খাতটি। এখন রাজনৈতিক কোন অস্থিরতা নেই, রোডে ঠিকমতো গাড়ি চলাচল করছে। কর্মময় পরিবেশ ফিরে এসেছে কারখানাগুলোতে। রপ্তানি আয় আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলদের প্রতি আবেদন থাকবে, আপনারা যদি দেশের কল্যাণ কামনা করেন তাহলে হরতাল-সহিংসতা দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে আর অস্থিতিশীল করে তুলবেন না। কোন দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সরকারের সাথে সাথে বিরোধীদলের সহযোগিতাও অপরিহার্য। সুতরাং সংকট না বাড়িয়ে দেশ ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সমুন্নত রাখতে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
©somewhere in net ltd.