![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখতে দেখতে ঘটনাবহুল ২০১৩ সালটি শেষ হয়ে গেল। নানা কারণে এই সালটি বাংলাদেশের জন্য তাত্পর্যপূর্ণ। একই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান বছর ২০১৪ সাল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অনেক জনকল্যাণকর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধস নামানো নির্বাচনী বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। ২০১৩ সাল বর্তমান সরকারের জন্য ছিল শেষ বছর। ২০০৮ সালের নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিল ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কিন্তু তত্কালীন বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের নানা প্রকারের ছলচাতুরী আর ষড়যন্ত্রের কারণে সেই বহু প্রত্যাশিত নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষকে দু'বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা বেড়ে যায় বহুগুণ, কারণ এখনো দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ মনে করে এবং বিশ্বাস করে, যে দলটি একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে পারে সে দল ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশাই পূরণ করতে পারে। সারাবিশ্বে গত পাঁচ বছরে যে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যদিয়ে গেছে সেই অবস্থায় বাংলাদেশে গড়ে ৬% প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাটা নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন। বিরোধী দল তাদের দাবি আদায়ের নামে দিনের পর দিন অবরোধ আর হরতাল ডেকে দেশের জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় চরম বিপর্যয় ঘটিয়েছে, অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছে আর দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনকে বিপর্যস্ত করেছে। নবম জাতীয় সংসদে বিরোধী দল ৯০% সময় অনুপস্থিত ছিল আর বিরোধী দলের নেতা উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১০ দিন। যে দলটি দেশের গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র জাতীয় সংসদকে তেমন কোন গুরুত্ব দেন না সেখানে গণতন্ত্র টিকে থাকা কঠিন। এই সত্যটা তাদের উপলব্ধি করতে হবে। তাদের উপলব্ধি করতে হবে দেশটি কোন একটি দলের নয়, দেশটি ষোল কোটি জনগণের। দেশে এবং দেশের বাইরে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ব্যক্তি স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ আগামীদিনের একটি উদীয়মান সূর্য। এর সম্ভাবনা অপরিসীম। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন সুশাসন আর সমষ্ঠিগতভাবে যোগ্য নেতৃত্ব। তবে সকলের আগে প্রয়োজন দেশের একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল উভয়েরই।
©somewhere in net ltd.