![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের গ্রোথ রেট ৬% হারে এবং গণতন্ত্রের মধ্যে মেলবন্ধন করতে পারছে । বিএনপি গ্রোথ রেট বাদ দিয়ে ক্ষমতা দখলের ফুলস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। জামায়াত মধ্যপ্রাচ্যের অর্থে গ্রোথ রেট ভাবতে চাচ্ছে, যা-কি না অবাস্তব ও অলীক। হেফাজতে ইসলামের গ্রোথ রেট ও গণতন্ত্র সম্বন্ধে কোন চিন্তাই নেই। এই হচ্ছে আমাদের রাজনীতির চালচিত্র। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের একটা বক্তৃতা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃতি দিচ্ছি: ‘আমি মনে করি, জনগণের স্বার্থ সবকিছুর উর্দ্ধে। আর দারিদ্র্য-বঞ্চনা বৈষম্য অসমতাসহ জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বলতে আমরা কী বুঝব এবং সেগুলো রাষ্ট্র ও সরকার কিভাবে নিশ্চিত করবে তা তো সংবিধানেই আছে। মানুষ হিসেবে দরিদ্র মানুষ সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার, সমঅংশীদার। আমাদের সংবিধান বিয়াল্লিশ বছর আগে মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার যে দিকদর্শন দিয়েছে সেটা বাস্তবায়িত হলে দারিদ্র্য-বৈষম্য-সমতা নিয়ে আর কোন স্মারক বক্তৃতা দরকার হবে না। জেনারেল জিয়ার বাংলাদেশ বিরোধী সেই “হলো-কস্টের” মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে ঘেরাও করে রেখেছে। এই ঘেরাওর দরুন আমাদের পক্ষে স্বাধীন হওয়া, সৃষ্টিশীল হওয়া ও আত্ম-সমালোচনা-মনস্থ হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত মনে হয় আমাদের শিকল পরিয়ে রেখেছে। সে জন্য মানুষী জীবনের বিশাল বৈচিত্র্যের বিরুদ্ধে হাতকড়া পরাতে উদ্যত হয়েছে হেফাজত, জামায়াত ও বিএনপি। নারীদের বিরোধিতা করা হেফাজত ও জামায়াতের কনসিসটেন্ট পলিসি, বাংলাদেশের উদ্ভবের বিরোধিতা করা বিএনপির কনসিসটেন্ট পলিসি, একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করা বিএনপির, জামায়াতের ও হেফাজতের কনসিসটেন্ট পলিসি। পলিসির এই দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, একসঙ্গে বলতে হবে -- রাজনীতি আত্মমর্যাদা শেখায়।
©somewhere in net ltd.