![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হরকত-উল-জিহাদ, জামাতুল মুজাহিদীন, লশ্করে তৈয়বা প্রভৃতি শতাধিক জঙ্গী সংগঠনের মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতার পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াত জোট অবশ্য এসব সংগঠনকে সবসময় ধর্মীয় সংগঠন অথবা স্বাধীনতাকামী সংগঠনের মর্যাদা দিয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিল, শেখ হাসিনা তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী মনে করেন, কিন্তু খালেদা জিয়ার বিবেচনায় তারা স্বাধীনতাকামী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে অবস্থানকারী অনুপ চেটিয়াসহ উলফার কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করে তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ করার পাশাপাশি যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০১ সালে খালেদা-নিজামীরা ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করে অনুপ চেটিয়াদের জেল থেকে ছেড়ে না দিলেও নতুনভাবে বাংলাদেশে তাদের তৎপরতা শুরু হয়েছিল, যা ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ হয়েছে। বিএনপির আমলে উলফার দাপট এতই ছিল যে রাজধানীতেই থাকত তারা। বাংলাদেশের জামায়াত-শিবির, জঙ্গী সংগঠন ও ধর্মভিত্তিক উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলোর কাছেও বিভিন্ন সময়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করেছে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। এখনও প্রায় প্রতি মাসেই বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো অবৈধভাবে আনা শতাধিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দুটি টিলার বাংকার ও গর্ত ভর্তি ১৮৪টি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী রকেট, ১৫৩টি রকেট লঞ্চার উদ্ধারের পর সরকারের সাফল্যে খুবই খুশি দেশের মানুষ। জননিরাপত্তা নিয়ে মহাজোট সরকার যে কঠোর কর্মসূচী নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। এ দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এ সরকারের অবদান অতুলনীয়।
©somewhere in net ltd.