নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরেক ঘরের ঘরণী ধরার ওস্তাদ বিএনপির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা শমশের মবিন চৌধুরী

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১১



শমশের মবিন চৌধুরী বিএনপির শীর্ষ রাজনৈতিক এবং ভাইস চেয়ারম্যান। বেগম খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক হিসাবে যার জুড়ি মেলা ভার। সেই শমশের মবিনের নারী প্রীতি হয়তো অনেকরই অজানা। তিনি এ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বীর সেনানী। নেতৃত্বের গুনাবলীর মধ্যে অন্যতম প্রধান শর্ত, অবশ্যই তাঁকে গুনবান চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের এই নেতার চরিত্র থেকে শেখার কিছু নেই। দেশে এবং বিদেশে প্রচলিত রয়েছে, “সাবধান থেকো- নিজের সুন্দরী বউ রক্ষা করতে শমসের মবিন এর সঙ্গে পরিচয় করিও না।’’ব্যক্তি জীবনে শমশের মবিন চৌধুরী একজন নারী লোভী পুরুষ। সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তাঁর মাথা খারাপ হয়ে যায়। তাঁর জীবনের নানান অনৈতিক দিক আজ প্রমাণিত। প্রথম জীবনে নিজের খালাতো বোন প্রফেসর থাকা ফউজিয়া আলী কে বিয়ে করেন। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে তাঁর চরিত্রের নৈতিক স্খলন দেখে ফউজিয়া অসুখী হয়ে পড়েন। যদিও তাঁদের প্রেমের বিয়ে ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেকে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতার এক স্ত্রী বলেন, ফউজিয়া ছিলেন আপা’র মত। শমশের ও আপারা যখন বিদেশে(রাষ্ট্রদূত থাকাকালীন) থাকতেন- একবার ওনাদের বাড়িতেই উঠেছিলাম। কিন্তু মধ্য রাতেই বিড়ম্বনা। ফউজিয়া আপা ছিলেন ভীষণ অসুস্থ। পাশের গেস্ট রুমে ছিলাম আমি। একটি বই নেয়ার নাম করে শমশের গেস্ট রুমে ঢুকে পড়েন। আমি তখন বিছানায় ম্যাগাজিন পড়ছি। কিন্তু লক্ষ্য করলাম বুক সেলফ এর সামনে শমশের দাড়িয়েই আছে এবং এক সময় আমি নির্বাক হয়ে পড়ি, যখন তাঁর পরিধানের লুঙ্গী ইচ্ছা করে ফেলে পুরো উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন! কোনো ফিডব্যাক না পেয়ে এবং আমি কিছু দেখিনি এমন ভাবে পার করার পর শমশের একসময় চলে যান। শমশের মবিনের এমন অযুত নারী কেলেংকারীর ফসল তাঁদের মধ্যকার একসময় বিবাহ বিচ্ছেদ। শমশের মবিন ২৪ অক্টোবর ২০০১ সাল থেকে ১৭ মার্চ ২০০৫ পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে থাকতেও কর্মরত অফিস সহকর্মীদের স্ত্রী বাগানোয় পটু ছিলেন। কিন্তু তা আরো প্রকট ধারণ করে যখন তিনি রাষ্ট্রদূতের চাকুরী নিয়ে প্রবাসে অবস্থান করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা কালীন অবস্থায় তিনি বিয়ে করে ফেলেন আরেক ঘরের ঘরণীকে। যার নাম শাহেদা ইয়াসমিন রত্না। তিনি ছিলেন উইং কমান্ডার মকবুল হক খান এর স্ত্রী। রত্নার ঐ ঘরে দুই সন্তান থাকলেও পরকীয়ায় বলী হয় ঐ সম্পর্ক। ঠিক তখনই সুদূর আমেরিকায় রব উঠে যায়- “সাবধান সবাই, কেও শমশের(শেরু)এর সাথে কারোর বউ পরিচয় করিও না”। শমশের- রত্নার বিয়েও একসময় ছাড়াছাড়ির মধ্য দিয়ে যবনিকাপাত হয়। কারণ হিসাবে শেরুর বিকৃত যৌন জ্বালা। একসময় দেশে ফিরে আসেন শমশের মবিন চৌধুরী। বাংলাদেশে থাকতেই অবশ্য রাজধানীর এক বিলাস বহুল পার্টিতে পরিচয় হয় দেশের মাফিয়া ডন আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর দীর্ঘ দিন ধরে রক্ষিতা হিসাবে থাকা লিটা সামাদ এর সাথে। প্রথমে লিটা সামাদ এর সাথে প্রেমের অভিনয় –অতঃপর বিয়ে সম্পাদন সম্পন্ন হয় শমশের এর। পরবর্তীতে লিটা সামাদ ও রত্না- কার স্বামী শমশের মবিন তা নিয়েও দেশ- বিদেশে কম হৈ চৈ হয় নাই! রাজধানীর ঢাকা ক্লাবেও শমশের এর বিষয়ে রেড এলার্ট জারি রয়েছে। আজ অব্দি কেও কোনো পর্যায়ের ক্লাব মেম্বার শেরুর সাথে তাঁদের সুন্দরী স্ত্রীর সাক্ষাত কিংবা পরিচয় করান না। শমশের পুনরায় আবার বিয়ে করেছেন। এখনকার স্ত্রীও দেখতে বেশ সুন্দরী, চুল কোঁকড়ানো ও ৪৩ বছর বয়সী। তারপরও অভ্যাসটি কিন্তু এখনও পরিবর্তন হয়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.