নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ আগস্টের প্রথম প্রতিরোধ ছিল ০৭ নভেম্বর। আমরা এখনো অনেকে এই দিনটির ভুল ব্যাখ্যা দেই

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন “নষ্ট রাজনীতির জনক”। ১৫ আগস্টের পর দেশে নেতৃত্ব শূন্যতা বিরাজ করছিল। ১৯৭৫ সালের সাত নভেম্বর সামরিক শাসন থেকে দেশকে বাঁচাতে সিপাহীরা কর্নেল তাহেরের কাছে যায়। তিনি সিপাহীদের শান্তিপূর্ণ বিদ্রোহ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই বিদ্রোহের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হলেও জিয়া তাহেরকে খুন করে। অভ্যুত্থানের পর জিয়া দেশে পুনরায় সামরিক শাসন জারি করে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নষ্ট রাজনীতি শুরু করেন। ক্যান্টনমেন্টকে কসাইখানায় পরিণত করেন। বিদ্রোহী সৈনিকদের হত্যা করে খলনায়কে পরিণত হন জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বর ছিল কথিত বিপ্লব। প্রকৃতপক্ষে ঐ দিন সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছিল। এর মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করা হয়। ক্যান্টনমেন্টকে কসাইখানায় পরিণত করা ও সামরিক শাসকের বেড়াজাল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্যই এদিন সিপাহীরা বিদ্রোহ করে। ১৫ আগস্টের প্রথম প্রতিরোধ ছিল সাত নভেম্বর। এখন আমরা অনেকে এই দিনটির ভুল ব্যাখ্যা দেই। এইদিনের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। এ কে খন্দকারের বই লেখা প্রসঙ্গে বলা যায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি বিশাল হাতি। আর এ কে খন্দকার হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের একটি পিঁপড়া মাত্র। পিঁপড়া যখন হাতির বর্ণনা দিবেন তখন ভুল করবেনই। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। অনেকে এই দিনকে কালোদিবস বা বিপ্লব ও সংহতি দিবস বলে। কিন্তু এই দিন ছিল একটি মহৎ অভ্যুত্থানের দিন, যেদিন দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হাজার হাজার সিপাহী রাস্তায় নেমে এসেছিল। তারা খুন করেনি, ধর্ষণ করেনি। শান্তিপূর্ণভাবে বিদ্রোহ করেছিল। এই দিনটিকে মানুষ তিনভাবে অভিহিত করে। বিপ্লব, প্রতি বিপ্লব এবং প্রতি বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বিপ্লব। বিএনপি-জামায়াত এই দিনটিকে বিপ্লবের দিন বলে। কারণ এই দিন রাষ্ট্র দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক ধারায় ধাবিত হয়েছিল। জামায়াতের রাজনীতি করার অবারিত সুযোগ তৈরি করে দেশে পাকি ধারা তৈরি করে দক্ষিণ পন্থী বিএনপির জন্ম হয়েছিল। যাহা এখন মহিরুহে রুপ লাভ করেছে। মক্তিযুদ্ধের আদর্শ স্বপ্ন নির্বাসনে দেওয়া হয়েছিল। হারানো গৌরব উদ্ধারে বর্তমান সরকারকে লড়াই করতে হচ্ছে। অন্যদিকে খুনি মস্তাককে উচ্ছেদ করে বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্র প্রধান করা হয়। খুনি ফারুক রশিদ থাইল্যান্ডে পালিয়ে যায়। কর্নেল তাহের জেনারেল জিয়াকে উপ সেনাপ্রধান নিয়োগ করেন। বিদ্রোহী সৈনিকরা সেনানিবাসে ফিরে এলেই জেনারেল জিয়া তার আসল রুপ প্রকাশ করেন। জাসদের উপর পাল্টা হামলা করে মিরজাফরি কর্মকাণ্ড প্রকাশ করেন। ইতিহাসে জেনারেল জিয়া খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। কর্নেল তাহের ইতিহাসের বীর রুপে আমাদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হলেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

মিতক্ষরা বলেছেন: ফ্লাডিং করছেন কেন? সরকারের অবস্থা বেশী খারাপ বলে?

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ফা হিম বলেছেন: "সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই" এই স্লগান কারা দিয়েছিল বলুন তো? এক রাতেই সামরিক কর্মকর্তাদের মেরে ক্যান্টনমেন্টকে "কসাই খানা" বানিয়েছিল কে? এইসব ফ্লাডিং-এর ধান্দাবাজি বাদ দেন।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

মুকতোআকাশ বলেছেন: দরবেশ সাহেব,দম লন একটু ,দম লন! এক নিশ্বাসে সব বইলা গেলেন যে ? তথ্য প্রমান কই, দলিল? চোখ বন্ধ কইরা অতীত দেখছিলেন নাকি? আমাগো চোখ নাই, আমরা কি দেখেনাই ১৫ আগস্ট আর ৭ই নভেম্বর কি হইছিল। জনগণ কি সব কাঠাল পাতা খায় নাকী? দরবেশ গিরি হিমালয়ের গুহায় গিয়া করেন।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪১

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: খাদ্যমন্ত্রী গতকাল তথ্যমন্ত্রীর দিকে কি যেন বললেন এ বিষয়ে!!!!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.