নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হলেও তাদের জাতিসংঘ মিশন বন্ধ হয়নি, অথচ খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

আন্তর্জাতিক বিশ্বের চোখে পাকিস্তান আজ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। তারা তাদের নিজের দেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বছরে আনুমানিক গড়ানুপাতে ৫ হাজারের মতো মানুষ আত্মঘাতি বোমা হামলায় মারা যাচ্ছে। পাকিস্তান সমগ্র বিশ্বের চোখে একটি তালেবানী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। জুলফিকার আলী ভুট্টো, বেনজীর ভুট্টো, মোহাম্মদ জিয়াউল হকের মতো রাষ্ট্রপ্রধানদের আততায়ীর আক্রমণে মৃত্যু বারে বারে ইতিহাসের পূণরাবৃত্তি করে। তারা মুখে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিলেও এখন পর্যন্ত একটি সরকারও সামরিক শাসনের দখলদারীত্ব ছাড়া স্থাপন করতে পারেনি। ২০০১ টুইনটাওয়ারের ঘটনা থেকে শুরু করে আজমল কাসব ও তার বাহিনীর ভারতের তাজমহল হোটেলের উপর আক্রমণ পাকিস্তানের হিংস্রতাই প্রমাণ করে। যে আমেরিকা এক সময় পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছিলো, তাদের দেশেই সবচেয়ে সন্দেহভাজন নাগরিকদের দলে পাকিস্তানীরা। অসংখ্য হলিউড সিনেমা বা সিরিয়ালের দিকে তাকালে দেখা যায়, ইসলামিক রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হিসেবে এক পাকিস্তানী নাগরিকই সেটির ভিলেন চরিত্রের ভূমিকায় রয়েছে। বাংলাদেশের পর জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সারিতে আছে পাকিস্তান। দীর্ঘমেয়াদে অস্থিতিশীলতা থাকলেও পাকিস্তানের কেউ কিন্তু এভাবে বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু আমাদের দেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জাতিসঙ্ঘ মিশন বন্ধে কোমর বেঁধে নেমেছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ব্রিফিংয়ে প্রায় নিয়মিতই প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ নিজে থেকে কিছু বলেনি। বরং প্রতিবারই সাংবাদিকদের প্রশ্নের সূত্রে সংস্থাটি বাংলাদেশ বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার পর গত ২২ জানুয়ারি এবং ৫, ১১, ১২, ১৭, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ তোলা হয়। শনি ও রবিবার বন্ধের পর গত সোমবারের ব্রিফিংয়েও আসে যথারীতি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ। তাঁদের একজন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য মুশফিকুল ফজল, যিনি সাংবাদিক পরিচয়ে প্রকারান্তরে বিএনপির এজেন্ডাগুলোই সামনে আনছেন। অন্যজন আমেরিকান সাংবাদিক ম্যাথু লি। তাঁরা বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলেও প্রতিবারই এর সঙ্গে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে যেভাবে জুড়ে দিচ্ছেন, তাতে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে সরকারি মহলে। কেননা তাঁদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। বিরোধীদল একাধিকবার বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ তুলে এই সংস্থাগুলোর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আবারও এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল ও তাদের প্রতিনিধিরা প্রকাশ্যেই শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বিষয়ে আপত্তি তুলছেন। দৃশ্যত এটি বাংলাদেশের যেসব বাহিনীর সদস্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেন বা অংশ নিতে আগ্রহী, তাঁদের দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তুলে ধরে ওয়াশিংটনকে দিয়ে ঢাকার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কূটনৈতিক তৎপরতার নামে বিভিন্ন দপ্তরে কুৎসা ছড়ানোর মিশনে নেমেছেন খালেদা জিয়ার আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.