![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত পণ্যের কদর বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটকে ঘিরে অর্থনীতিতে নতুন প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। গতানুগতিক পাটের বস্তা, ব্যাগে সীমাবদ্ধ নেই আগের মতো। ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী তৈরি হচ্ছে পাট থেকে। এর মধ্যে রয়েছে শতরঞ্জি, গায়ের ব্লেজার, জুতা, বাহারি রঙ-বেরঙের ব্যাগ, মেয়েদের হ্যান্ড ব্যাগ, ঝুড়ি, ওড়নার মতো বিচিত্র সব জিনিসপত্র। এটা সম্ভব হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাট থেকে তৈরি সুতার কারণে। পরিবেশবান্ধব এসব পণ্যে নান্দনিকতার ছোঁয়ার কারণে রুচিশীল ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাড়ছে পাটজাত বহুবিধ পণ্যের রফতানিও। আর এভাবেই বাংলাদেশের পাট তার হারানো ঐতিহ্য ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছে। পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে অর্থনীতিতে পাটের অবদান বাড়ছে ক্রমেই। এভাবেই সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের পুরনো গৌরব পুনরুদ্ধার করার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গেছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) তথ্যানুসারে বর্তমানে তোষা পাট থেকে পাটপণ্যের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে চার থেকে পাঁচ ধরনের সুতা ও ফেব্রিক্স তৈরি হচ্ছে। এসব সুতা ও ফেব্রিক্স ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে। বৈচিত্র্যময় এসব পণ্য আজকাল দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদেরও আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এখন বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে ৬শ’ থেকে ৭শ’ কোটি টাকার পাটপণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫ দেশের বাইরেও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। পশ্চিমা বিশ্বসহ এশিয়ার ধনী দেশগুলোতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পলিথিন ও প্ল্যাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার কমে আসছে। ফলশ্রুতিতে পাটজাত শপিং ব্যাগের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে সেখানে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে ৫০০ বিলিয়ন পিস শপিং ব্যাগের চাহিদা রয়েছে। সম্ভাবনাময় আন্তর্জাতিক শপিং ব্যাগের বাজারে পাটজাত শপিং ব্যাগ রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সময়োপযোগী পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন দেশে পাটের রফতানি কয়েকগুণ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
হাসান বিন নজরুল বলেছেন: ভালো খরব