![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) গ্রাহকদের জন্য ভর্তুকি দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। সাধারণ গ্যাস ব্যহারকারীদের সঙ্গে বৈষম্য দূর ছাড়াও এলপিজিকে জনপ্রিয় করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশে গ্যাস ব্যবহারকারী আবাসিক এবং এলপিজি গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে। পাইপলাইনে সংযোগপ্রাপ্তরা মাসে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বিল দিয়ে অফুরন্ত গ্যাস ব্যবহার সুযোগ পান। অন্যদিকে এলপিজি ব্যবহার করে এমন পরিবারগুলোর মাসিক জ্বালানি ব্যয় অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এতে দুই শ্রেণীর গ্রাহকদের মধ্যে পাথর্ক্য তৈরি হয়। এক শ্রেণী রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভোগ করলেও অন্য শ্রেণী তা থেকে বঞ্চিত হন। সরকার এলপিজি ব্যবসার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে ৩৩টি কোম্পানিকে এলপিজি বটলিং করার অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে কোন কোন কোম্পানি এলপিজি বাজারজাত করা শুরু করেছে। দেশে বর্তমানে এলপিজি’র বার্ষিক চাহিদা তিন লাখ টন। এর মধ্যে সরকারী খাতের সরবরাহ ক্ষমতা মাত্র ২০ হাজার টন। এর বাইরে আরও এক লাখ টন এলপিজি বেসরকারীখাত সরবরাহ করে। ফলে চাহিদার সঙ্গে যোগানের ফারাক থাকায় এলপিজিতে অতি বাণিজ্যের কারণে ক্ষতির শিকার হন গ্রাহক। যদিও সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য জ্বালানির দাম কমেছে। আগে যেখানে এক বোতল ১২ কেজির এলপিজি এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হতো এখন সেখানে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রাহক প্রতিমাসে যত ইউনিট এলপিজি ব্যবহার করবে তার বিপরীতে তাদের ভর্তুকির অর্থ পৌঁছে দেয়া হবে। এতে সারাদেশের মানুষ দেশের সম্পদ ব্যবহারের সুফল পাবেন।
©somewhere in net ltd.