![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সৈন্যদের কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো এবং আইভরি কোস্টের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে আরও সৈন্য চাইবে। অফ্রিকার দেশ দুটিতে বাংলাদেশের যেসব সৈনিক শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত তাদের কর্মদক্ষতা এবং শৃঙ্খলায় মুগ্ধ হয়ে দেশ দুটির ঊর্ধ্বতন সামরিক এবং জাতিসংঘের নিযুক্ত কর্মকর্তারা এমন আশ্বাস দিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধি দল আফ্রিকার দেশ দুটিতে সফরে যায়। ২৩ জুলাই কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে ডিআর কঙ্গো এবং মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপির নেৃতত্বে আইভরি কোস্টে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিনিধি শান্তিরক্ষী মিশনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে যান। তারা দুজনই বাংলাদেশের সৈনিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশিদের প্রতি সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তারা আশ্বস্ত করেন, তাদের যদি আরও সৈন্য প্রয়োজন পড়ে তাহলে তারা প্রথমেই বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নিতে আগ্রহী। তিনটি কারণে জাতিসংঘ এবং আফ্রিকার দেশগুলো আমাদের সৈনিকদের ওপর খুশি। প্রথমত, বাংলাদেশের সৈনিকদের পেশাগত মান খুবই উঁচুমানের। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের সৈনিকরা খুবই সাহসী এবং তৃতীয়ত বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীদের শৃঙ্খলাবোধ খুবই উঁচু মানের। কঙ্গোতে প্রায় ১০টি দেশের ১৮ হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত। ওই পুরো সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশের সৈনিকরা। আফ্রিকার অপর দেশ আইভরি কোস্ট। দেশটির কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সৈনিকদের প্রতি খুবই উচ্চ ধারণা পোষণ করেন এবং তারা বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে ধরে তাদের দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। পৃথিবীর ১০টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত। শান্তিরক্ষী হিসেবে বিশ্বে এখন প্রথম সারিতে আছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরাও রয়েছেন বিশ্ব র্যা ঙ্কিংয়ে এক নাম্বারে। শান্তিরক্ষী মিশন থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
©somewhere in net ltd.