![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে দেশে আন্তর্জাতিক মানের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপিত হতে যাচ্ছে। পুরান ঢাকার চানখাঁরপুলে বর্তমানে যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে সেখানকার দুই একর জমির ওপর বহুতল ভবন বিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এখনও পোড়া রোগীদের শেষ ভরসাস্থল। বেঁচে থাকার আশায় দগ্ধ রোগীরা প্রতিনিয়ত ভিড় করেন সেখানে। দেশে প্রতিবছর গড়ে ৬ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু বিভিন্নভাবে (বিদ্যুতস্পৃষ্ট, অগ্নিশিখা, রাসায়নিক ও গরম তরল পদার্থে ঝলসে) দগ্ধ হচ্ছে। তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে উচ্চ ডিগ্রীধারী বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। সারাদেশের হাজার হাজার পোড়া রোগীর চিকিৎসার জন্য (এমডি ও এমএস ডিগ্রীধারী) কমপক্ষে ১ হাজার ৫শ’ বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৫২। বর্তমানে সীমিত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিক্যাল কলেজে বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিষয়ে স্নাতকোত্তর এমএস ও মহাখালীর বিসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এ্যান্ড সার্জনস) এ এফসিপিএস কোর্সে প্রতিবছর হাতেগোনা ২ থেকে ৩ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। পৃথক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ জন উচ্চশিক্ষার কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। আধুনিক বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির রোগীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পৃথক ব্লক থাকবে।
©somewhere in net ltd.