![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং দেখা যায় ওহাবী, ইহুদী-নাছারা, বাতিল ফিরকাদের প্রদানকৃত টাকা খেয়ে কিছু কিছু ওলামায়ে’ ছু তারা ফতোয়া জারি করে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী বিদায়াত । তাইলে শত শত বছর ধরে যে পালিত হচ্ছে তা কি ছিল ?
তখন কোন আলেম ছিলনা এর বিরুদ্ধে বলার ? বলেন নাই কেন ? মুলত আমরা যদি ইসলাম এর ইতিহাস দেখি তাহলে দেখতে পাই পুর্বের যামানার যারা মুসলমান ছিলেন উনারা অনেক দ্বীনদার আল্লাওয়ালা ছিলেন । ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করতেন । পরিপুর্নভাবে হালালে মশগুল ছিলেন । তাই উনাদের পক্ষে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালন করতে সমস্যা হয়নি। তাফসির লিখক , হাদিস শরীফ লিখক , ইজমা, ক্বিয়াসে ,হক্কানী আলেম –ওলামা ,হক্কানী ওলিয়াল্লাহ কেউ ই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর বিপক্ষে কিছু বলেন নাই । বরং উনারা পালন করে গেছেন , করতে উৎসাহিত করেছেন ।
অথচ বর্তমানে মুসলনমান হারামে এত মশগুল যে হালাল কি তা ভুলেই গেছে ।দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছুই জানেনা আবার এরাই ধর্ম নিয়ে জ্ঞানী সাজে!! দেখা যায় হারামে মশগুল , ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এইসকল লোকগুলোই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী নিয়ে উল্টা –পালটা ফতোয়া জারি করে ।
তাহলে বুঝা গেল ইসলাম নিয়ে অজ্ঞ , ওলামায়ে’ছু আর বাতিল ফিরকার লোকেরাই ঈদ-ই-মিলাদুন্নবির বিরুদ্ধে বলে । তাই এইসকল বাতিল লোকদের থেকে দূরে থাকতে হইবে। এদের কোন ফতোয়া –ই মানা যাবেনা ।
(সংগৃহিত )
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬
ডাঃ মারুফ বলেছেন: এখাণে কোথাও বলা আছে রাজারবাগে জমা দিতে হইবে ?
আপনি যেখানে খুশি খরছ করে আনন্দে শরীক হোন । আর খরছের ফযিলত ত আল্লাহ পাক এ বলে দিছেন ।
ছাহাবী গন উনারা এই উপলক্ষে খরছ করলে কি ফযিলত তা বলেছেন ।
কোন ফযিলত মানুষ কে জানানো ভুল?
আপনার আকল সমঝ নষ্ট হয়ে গেছে তাই খামোখা বিরোধীতা করতেছেন ।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : নতুন একটা আস্ত বেদিন অহাবির চর ছুন্নি ভাইয়েরা তার কমেন্টের
বিরুধিতার তিব্র নিন্দা জানাই ।
আর নবীজী কে আমান্য করা ইসলাম থেকে খারিজ তথ্য
: নুর অর্থ জ্যুতি বা আলোক
মা আয়েশা সিদ্দিকা রা হইতে বর্ণিত নবী পাক সা যখন আধার রাতে
হুজরা শরিফে প্রবেশ করতেন তখন তার আগমনে সারাটা স্থান
আলোকিত হয়ে যেত যদ্বারা তিনি হারানো সুই বা বস্তু খুজে পেতেন ।
একদিন নবীজীকে কথাচ্ছলে মা আয়েশা রা নিজের ওড়না মোবারক
মাথার উপর দিয়ে নুর নবীজীকে আটকাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু ওড়না
নবীজীর নূরানি দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে ।
অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন তা কি করে সম্ভব , নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত ?
হাদিস সংকলন থেকে ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
ডাঃ মারুফ বলেছেন: বাতিল ফিরকার লোকদের যতই বুঝান বুঝবেনা ।
এরা কান থাকতেও বধীর , চোখ থাকতেও অন্ধ ।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মা আয়েশা সিদ্দিকা রা হইতে বর্ণিত নবী পাক সা যখন আধার রাতে
হুজরা শরিফে প্রবেশ করতেন তখন..................নবীজীর নূরানি দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে ।
অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন তা কি করে সম্ভব , নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত ?
হাদিস সংকলন থেকে ।
@ পরিবেশ বন্ধুঃ হাদিসের রেফারেন্স কই?? পেটমোটা, ভন্ড রাজারবাগী পীরের কথাকে হাদিস কইয়া চালাইয়া দিলেন??
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: তিনি স(স.) বলেন,
তোমরা (ধর্মীয় বিষয়ে) নবআবিস্কৃত বিষয়াদি থেকে খুব সতর্কতার সাথে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নবআবিস্কৃত বিষয় বেদআত। আর প্রত্যেক বেদআত হল গোমরাহি। (আবু দাউদ, তিরমিযী, আহমদ, ইবনে মাযাহ, ইবনে হিব্বান)
৪*প্রিয়নবী(স.) আমাদের যা দিয়েছেন তাতে মুসলমানদের জন্য কয়টি ঈদ পালনের কথা বলা হয়েছে?
=আনাস ইবনে মালিক(রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, জাহিলিয়াতের যুগের অধিবাসীদের জন্য প্রত্যেক বছরে দুইটি দিন ছিল যাতে তারা খেল-তামাষা করত। যখন নবী(স.) মদীনায় আসলেন তখন তিনি বললেন, এই দুইটি দিবস কি? তখন তারা বলল, জাহিলিয়াতের যুগে আমরা সেদিনগুলাতে খেল-তামাশা করতাম। তখন তিনি বললেন, তোমাদের জন্য দুইটি দিন ছিল যাতে তোমরা খেল তামাশা করতে, এখন আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য উক্ত দুই দিনের পরিবর্তে তার চেয়ে অধিকতর উত্তম দুইটি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা (নাসাই, আহমদ, আবু দাউদ)
এই হাদিস থেকে ষ্পষ্ট বুঝা যায়, ইসলামে ঈদ দুইটি। ঈদে মিলাদুন্নবী নামে তৃতীয় কোন ঈদ ইসলামে নেই।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
ডাঃ মারুফ বলেছেন: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে,
তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম’ এ আয়াত শরীফটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিলো সে বলে উঠলো, ‘যদি এই আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ‘ঈদের দিন বলে ঘোষণা করতাম।’
এটা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) জুমুয়ার দিন এবং (২) আরাফার দিন।" (তিরমিযী শরীফ )
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ মোতাবেক জুমুয়ার দিন ঈদের দিন প্রমানিত।
যারা বলে দুই ঈদ ব্যতীত কোন ঈদ নেই তারা হাদীছ শরীফ অস্বীকারকারী।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
ভেজাল* বলেছেন: কই দেখান তো ৪ খলিফার কেউ এটা পালন করেছেন কিনা?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৪
ডাঃ মারুফ বলেছেন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ-এর পর খুলাফায়ে রাশিদীনগণের প্রত্যেকেই উনাদের খিলাফতকালে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব ও উৎসাহ প্রদান করেছেন।
যেমন এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ ‘আন্ নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম‘ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ اَبُوْ بَكْرِنِ الصِّدِِّيْقِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِىْ فِىْ الْجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
وَقَالَ عُمَرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْيَا الاِسْلامَ.
অর্থ: “হযরত উমর ফারূকআলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশেষ মর্যাদা দিল সে মূলত ইসলামকেই পুনরুজ্জীবিত করলো।” সুবহানাল্লাহ!
وَقَالَ عُثْمَانُ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلٰى قِرَائَةِ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَاََنَّمَا شَهِدَ غَزْوَةَ بَدْرٍ وَحُنَيْنٍ.
অর্থ: “হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করলো সে যেন বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!
وَقَالَ عَلِىٌّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَكَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ سَبَبًا لِِّقِرَائَتِهٖ لايَخْرُجُ مِنَ الدُّنْيَا اِلا بِالاِيْمَانِ وَيَدْخُلُ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ
অর্থ: “হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহুআলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করলো সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
এমনিভাবে পরবর্তী সময়ে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ধারা অব্যাহত বা জারী রেখেছেন ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরামগণ।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : এরা আস্ত বেদিন অহাবির চর ছুন্নি ভাইয়েরা তার কমেন্টের
বিরুধিতার তিব্র নিন্দা জানাই
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভীমরুল দাত ভাঙ্গা জবাব পড়
লেখক বলেছেন: মিলাদ আম্বিয়া আ এর সুন্নত
সুরা বাকারা ১২৯ আয়াত
হে প্রতিপালক আমাদের এবং প্রেরন কর তাদের মধ্য একজন রাছুল তাদেরই মধ্য থেকে ,যিনি তোমার আয়াত সমুহ তাদের নিকট তেলায়াত করবেন এবং তাদেরকে তোমার কিতাব ও পরিপক্ষ জ্ঞান দেবেন এবং তাদেরকে অতি পবিত্র করবেন নিশ্চয় তুমি পরাক্রম শালি , প্রজ্ঞাময় ।
অন্যান্য নবীদের দোয়া এটি
ইব্রাহিম আ এর দোয়া যে দরুদ আমরা নামাযে পাঠ করি
মুসা আ বললেন হে আল্লাহ আহমদ কে , আল্লাহর উত্তর আখেরি যামানার নবী
আমাকে সেই যামানার নবী বানানো হোক
আল্লাহ অসম্ভব সেই আহম্মদ সমস্ত নবীদের সর্দার
তাহলে তার উম্মত হওয়ায় সুযোগ দেওয়া হোক
আনাস রাদিয়াল্লাহু আ হইতে বর্ণীত
ইছা আ বললেন আমিই মনে হয় যামানার বড় প্যগম্বর আল্লাহ বললেন অহংকার ত্যাগ কর মহাম্মাদের উম্মতের একরাতের এবাদত তোমার কউমের সমান হবেনা
ইয়া রাছুলুল্লাহ আমাকে নবী না বানায়ে যদি তার উম্মত বানাতেন বড়ই ভাগ্যবান হইতাম , আল্লাহ তার ফরিয়াদ কবুল
করেছেন এবং আসমানে উটিয়ে রাখলেন আবার আসবেন উম্মত হিসাবে । তবছিরে কবির
আর আমরা উম্মত হয়ে তাকে চিনতে তার শান মান মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলি , নাউযুবিল্লাহ
ফেরেস্তাদের ছুন্নত
দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেস্তা নবীজীর রওজা মোবারকে রহমতের ফাকা বিস্তার করে পালা ক্রমে দরুদ ও ছালাম ভেজে আনন্দের সহিত মিছিল সহকারে , যে ফেরেস্তা গন একবার সুযোগ পায় ২য় বার সে কিয়ামত পর্যন্ত সুযোগ পাবেনা ।
অতপর কিয়ামতের পর আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে তাকে আল্লাহর ডান পাঁশে সম্মানিত আসনে বসানো হবে ।
মেশকাত শরিফ একাদশ জিলদে ৭৬/৭৭ পৃষ্টা ৫৭০৩ এর ১২ ন্নগ হাদিস
মিলাদ শরিফ সাহাবা কেরামের ছুন্নত
আন্নেয়ামুল কুব্রা হাদিস সংকলন থেকে । উপরে সাহাবাদের ছুন্নত ও তাদের মহান বানি সন্নেবেশিত করা হল ।
আল্লাহ হেদায়েত দিন আমিন ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০১
লেখক বলেছেন: ইরুল কুরুন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে ছাহাবী, তাবিয়ী ও তাবি’ তাবিয়ীনগণের যুগ। আর উক্ত তিন যুগের প্রথম যুগই হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের যুগ এবং সে যুগেই ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ পাক- উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যামানাতেই অর্থাৎ খইরুল কুরুনের প্রথম যুগেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ‘ঈদে মীলানদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করেছেন এবং সে মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উদযাপনকারীগণকে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত লাভের সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উপলক্ষে মাহফিল করবে উনাদের জন্যেও একই সুসংবাদ দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, ‘খইরুল কুরুনের মধ্যে কেউ এমন কোন ঈদ, উৎসব পালন করেননি’ উলামায়ে সূ’দের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো এবং সাথে সাথে তাদের জিহালতীও পরিস্ফুটিত হলো।
উল্লেখ্য, কোন আমল খইরুল কুরুনের মধ্যে না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য হবে এ কথা সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও কুরআন-সুন্নাহ’র খিলাফ। বরং কোন আমল গ্রহণীয় কিংবা বর্জনীয় হওয়ার জন্য খইরুল কুরুন শর্ত নয়। শর্ত হচ্ছে সে আমল কুরআন-সুন্নাহ সম্মত কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হয় তাহলে তা গ্রহণীয়। আর যদি কুরআন-সুন্নাহ সম্মত না হয় তবে তা বর্জনীয় বা পরিত্যাজ্য।
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن جرير رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من سن فى الاسلام سنة حسنة فله اجرها واجر من عمل بها من بعده من غيره ان ينقص من اجرهم شىء .
অথ: হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলামে কোন উত্তম বিষয় বা আমলের প্রচলন করলো, তার জন্য প্রতিদান বা ছওয়াব রয়েছে এবং তার পরে যারা এই আমল করবে তাদের জন্য ছওয়াব বা প্রতিদান রয়েছে, অথচ এতে তাদের ছওয়াবের কোন কমতি করা হবে না।’ (মুসলিম, মিশকাত)
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৫
ডাঃ মারুফ বলেছেন: বাতিল ফিরকার লোকদের যতই বুঝান বুঝবেনা ।
এরা কান থাকতেও বধীর , চোখ থাকতেও অন্ধ ।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
জিললুর রহমান বলেছেন: @ পরিবেশ বন্ধু, হাদিসের রেফারেন্স দেন।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
জিললুর রহমান বলেছেন: রাসূল (সাঃ) এর জন্ম তারিখ কবে এবং মৃত্যু তারিখ কবে?
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬
ডাঃ মারুফ বলেছেন: রসুলে আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিলাদত মোবারক ১২-ই রবিউল আওয়াল শরিফে হয়েছিল । হযরত জাবের এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বণির্ত হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুনিয়াতে আগমন হস্তি ঘটনার বছর ১২-ই রবিউল আওয়াল শরিফ সোমবারের দিন হয়েছিল । (সিরাতুন নবুবিয়াহ ইবনে কাসির ১ম খন্ড ১৯৯ পৃঃ,আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ২য় খন্ড ২৬০ পৃঃ)
ইমাম ইবনে জারীর তাবরাণী রহমতুল্লাহি আলাইহি মন্তব্যঃ-
ইবনে জারীর তাবরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত রবিউল আওয়াল শরিফ মাসের ১২ তারিখে হস্তির বছর হয়েছিল । (তারিখে তাবারী ২য় খন্ড ১২৫ পৃঃ)
মুহম্মদ বিন ইসহক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম ইবনে হেশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি ও মুহম্মদ ইবনে জওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি মন্তব্যঃ-
মোহাদ্দীস ইবনে জওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন যা ইমাম ইবনে ইসাহক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি বণর্না করেছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াতে আগমন সোমবারের দিন রবিউল আওয়াল শরিফ মাসে হস্তী বছর হয়েছিল ।(আল ওফা ১ম খন্ড ৯০ পৃঃ,সাবলুল হুদা অয়ার রসাদ ১ম খন্ড ৩৩৪ পৃঃ ,আসসিরাতুন নবুবিয়াহ ১ম খন্ড ১৮১ পৃঃ)
ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি-
প্রশিদ্ধ মোহাদ্দেস ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবারের দিনে ১২ ই রবিউল আওয়ালে জন্মগ্রহন করেছিলেন । (দালায়েলুল নবুওত ১ম খন্ড ৭৪ পৃঃ)
ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি-
শারহে মোওয়াহিবের মধ্যে ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বণির্ত হয়েছে যে, অধিকাংশ ওলামার নিকট ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখ ই প্রশিদ্ধ । (সুত্রঃ- আন নেমাতুল কুবরা ২০২ পৃঃ, সিরাতুন নবুবীয়া ৪ থ খন্ড ৩৩ পৃঃ উ উন আল আসার ১ম খন্ড ২৬ পৃঃ সিরাতুল হালাবীয়া ১ম খন্ড ৫৭ পৃঃ)
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
এস্কিমো বলেছেন: বেহুদা ঝগড়া করে সময় নষ্ট।
ভাই শুরুইতো করলেন একটা ফালতু কথা বলে -
ইদানিং দেখা যায় ওহাবী, ইহুদী-নাছারা, বাতিল ফিরকাদের প্রদানকৃত টাকা খেয়ে কিছু কিছু ওলামায়ে’ ছু তারা ফতোয়া জারি করে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী বিদায়াত ।
- কে কার টাকা খায়, কিভাবে জেনেছেন?
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবীজীর জন্ম তারিখ নিয়ে মতভেদ নয় । প্রমান ।
এর জাওয়াব হলোঃ উলামায়ে সূ’দের উক্ত কথা কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খিলাফ হওয়ার কারণে কুফরী হয়েছে। কারণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ হলো যে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন বা আমল করা অবশ্যই ঠিক।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللّهِ وَالرَّسُولِ.
অর্থ: “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ পাক- উনার ইতায়াত করো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর উনাদের ইতায়াত করো। অতঃপর যখন কোন বিষয়ে উলিল আমরগণের মাঝে ইখতিলাফ দেখতে পাবে তখন (সে বিষয়টি ফায়সালার জন্য) তোমরা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করো অর্থাৎ যে উলিল-আমরের কুরআন-সুন্নাহ্র দলীল বেশি হবে উনারটিই গ্রহণ করো।” (সূরা নিসা, আয়াত শরীফ ৫৯)
প্রকাশ থাকে যে, ইখতিলাফ বা মতভেদ দুই রকমের হয়ে থাকে।
(১) শুধু হক্বের জন্য হক্ব তালাশীগণের ইখতিলাফ। যেমন- ঈমানের শর্ত হিসেবে কেউ উল্লেখ করেছেন,
التصديق باالجنان والاقرار باللسان.
অর্থ: “অন্তরে বিশ্বাস ও মৌখিক স্বীকৃতি।”
আবার কেউ উল্লেখিত দু’টি শর্তের সাথে তৃতীয় শর্ত হিসেবে
والعمل بالاركان.
অর্থ: “ফরযসমূহ আমল করা” উল্লেখ করেছেন।
অনুরূপ নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি বিষয় বা আমলের ক্ষেত্রে তার মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনার ব্যাপারে ইখতিলাফ পরিলক্ষিত হয়।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اختلاف العلماء رحمة.
অর্থ: “হক্কানী-রব্বানী আলিমগণের ইখতিলাফ রহমতের কারণ।”
যেমন- হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ ইখতিলাফ করে হানাফী, মালিকী, শাফিয়ী, হাম্বলী- ৪টি মাযহাবকেই হক্ব বলে স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এর উপরই উম্মতের ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(২) হক্ব তালাশীগণের সাথে নাহক্বপন্থীদের ইখতিলাফ বা মতবিরোধ। যেমন- হক্বপন্থীদের আক্বীদা হলো আল্লাহ পাক এক এবং অদ্বিতীয়। নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ নবী ও রসূল। তিনি নূরের সৃষ্টি। তিনি ইলমের গইবের অধিকারী ইত্যাদি। কিন্তু এসবের বিপরীত হলো বাতিলপন্থীদের আক্বীদা। যেমন- তাদের কারো আক্বীদা হলো, আল্লাহ পাক তিনজন অর্থাৎ তারা ত্রিত্ববাদ বা তিন খোদায় বিশ্বাসী। নাঊযুবিল্লাহ! কারো আক্বীদা হলো- আল্লাহ পাক, উনার হাবীব শেষ নবী ও রসূল নন। নাঊযুবিল্লাহ। কারো আক্বীদা হলো, তিনি নূরের সৃষ্টি নন। নাঊযুবিল্লাহ! তিনি ইলমে গইবের অধিকারী নন। নাঊযুবিল্লাহ! ইত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় যদি পালন করা ঠিক না হয় তাহলে কি আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, ঈমান-ইসলাম সব বাদ দিতে হবে? কস্মিনকালেও নয়। বরং আল্লাহ পাক যে নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে মতভেদ হবে সেখানে যে উলিল আমরের স্বপক্ষে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দলীল বেশি হবে, উনারটিই গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং, যে ব্যক্তি বলবে মতভেদপূর্ণ বিষয় পালন করা ঠিক নয়, সে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মুরতাদ ও কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
আর কোন বিষয়ে যখন একাধিক মত থাকবে তখন যেই মতটি অত্যধিক ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য হবে তা আমল করতে হবে। মতভেদ আছে বলে, মূল বিষয়টির আমলই ছেড়ে দিতে হবে এ বক্তব্য চরম শ্রেণীর জাহিলদের উক্তি বৈ কিছুই নয়। এ বক্তব্যও কুরআন-সুন্নাহ’র সম্পূর্ণ বিপরীত ও কুফরীর শামিল।
স্মরণীয় যে, ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর দিন। এটাই সবচেয়ে ছহীহ ও মশহূর মত।
যেমন, এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন-
عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول.
অর্থ: “হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)
উক্ত হাদীছ শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন,
“তিনি একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাছাতুত্ তাহযীব)
“দ্বিতীয় বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে মীনা। তিনিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাছাহ্,তাক্বরীব)
আর তৃতীয় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ ছাহাবীর বিশুদ্ধ সনদ সহকারে বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হলো যে, “১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস।” এ ছহীহ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ )
উপরোক্ত বিশুদ্ধ বর্ণনা মুতাবিক ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার পবিত্র বিলাদত দিবস। এটাই ছহীহ ও মশহূর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকগণ থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। অতএব, তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
মেলবোর্ন বলেছেন: এইখানে আসেন আপনাদের জন্যই তো এই নাদান কম জানা বান্দার এই পোস্ট
ঈদে মিলাদুন্নবী মানা ফরযে আইন না কি উদ্দেশ্য প্রনোদিত?
Click This Link
আমনাদের জন্য হাদিস সংকলন থেকে শুধু নয় বরং কোরআন থেকেও কোট করা দেখেতে চাইলে আসেন
১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আলতামাশ বলেছেন: paid blogger of rajarbagi
১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১
নতুন বলেছেন: মা আয়েশা সিদ্দিকা রা হইতে বর্ণিত নবী পাক সা যখন আধার রাতে
হুজরা শরিফে প্রবেশ করতেন তখন তার আগমনে সারাটা স্থান
আলোকিত হয়ে যেত যদ্বারা তিনি হারানো সুই বা বস্তু খুজে পেতেন ।
একদিন নবীজীকে কথাচ্ছলে মা আয়েশা রা নিজের ওড়না মোবারক
মাথার উপর দিয়ে নুর নবীজীকে আটকাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু ওড়না
নবীজীর নূরানি দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে ।
অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন তা কি করে সম্ভব , নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত ?
হাদিস সংকলন থেকে ।
মিথ্যা হাদিস প্রচার করেন আর আমি ভুয়া???
এই হাদিসের দলিল দেন? হাদিস সংকলন মানে আপনার ভন্ডবাবার কথা? কোন গ্রন্হ থেকে এই হাদিস পেয়েছেন??? প্রমান দেন..
নবিজির দাত কেন পড়ে গিয়েছিলো যুদ্ধে?
তায়েফে কেন নবী রক্তাক্ত হয়েছিলৈা? উপরের হাদিসের আলকে এই ২টা প্রশ্নের উত্তর দেন?
১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭
জিললুর রহমান বলেছেন: এক লাইনের প্রশ্নের জন্য জবাব দিলেন ৩ পাতা কপিপেস্ট। সোজা এক লাইনে বলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
নতুন বলেছেন: ইদানিং দেখা যায় ওহাবী, ইহুদী-নাছারা, বাতিল ফিরকাদের প্রদানকৃত টাকা খেয়ে কিছু কিছু ওলামায়ে’ ছু তারা ফতোয়া জারি করে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী বিদায়াত ।
টাকা খেয়ে না বরং ভন্ডপীরেরা টাকার ধান্ধায় ঈদেমিলাদুন্নবীকে ঘটা করে পালন করে....
ভন্ডপীরের চেলারা কেন এতো পুস্ট করতাছ? ভন্ডরা কারন ছাড়া কিছু করবে? অবশ্যই না... এর মুল কারন ব্যবসা আর কিছু না...
রাজারবাগী দরবার এতো আয়েজন করে ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী পালন করে.... আর মুরিদের উতসাইত করে দান করার জন্য....
রাজারবাগী্ ওয়েবসাইটে পীরের দরবারে খরচা করার জন্য আবেদন জানানোর প্রমান দেখেন . দান করলে কি কি ফজিলত হবে তাও বলা আছে...
>>> ভন্ডপীরের আবেদন .>>>
=============================================
"" মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওল শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তোমরা খরচ করো।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সখী‘ বা দানশীল হচ্ছে ‘হাবীবুল্লাহ’।’
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যে ব্যক্তি এক দিরহাম খরচ করবে সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে, পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া।
=============================================
এখানে আল্লাহের কথা বলে>>> রিযিকের থেকে খরচা করতে বলতেছে....
রাসুলের কথা বলে>>>>>> দানশীল হচ্ছে হাবিবুল্লাহ>>
যেই ব্যাক্তি ১ দিরহাম দান করবে... সে ‘হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম’ উনার সাথে জান্নাতে থাকবে,
সে >>> পবিত্র বদর ও পবিত্র হুনাইন জিহাদে শরীক থাকার ফযীলত পাবে,
সে >> উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা বা খিদমতের আঞ্জাম দেয়া
এইটা হইলো আসল কথা.... ঈদ - ই- মিলাদুন্নবী হইলো কথার কথা মাত্র....