![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ পাক সূরা আ’রাফ-এর ১৭৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এর মধ্যে উলামায়ে সূ’দের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন,
لقد ذرانا لجهنم كثيرا من الجن والانس لهم قلوب لا يفقهون بها ولهم اعين لايبصرون بها ولهم اذان لا يسمعون بها اولئك كالانعام بل هم اضل اولئك هم الغفلون.
অর্থ: “আমি জিন-ইনসানের মধ্য হতে অনেককে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ অনেকেই তাদের বদ আক্বীদা ও বদ আমলের কারণে জাহান্নামী হবে। তাদের অন্তর থাকার পরও তারা বুঝবে না, চক্ষু থাকার পরও তারা দেখবে না এবং কান থাকার পরও তারা শুনবে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো। বরং তার চেয়েও নির্বোধ। এবং তারা হচ্ছে চরম গাফিল অর্থাৎ তারা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে চরম জাহিল। উনাদের যিকির ও ছানা-ছিফত করার ব্যাপারে অমনোযোগী।” (সূরা আ’রাফ, আয়াত শরীফ ১৭৯)
এই যদি হয় উলামায়ে সূ’দের প্রকৃত পরিচয় তাহলে তাদেরকে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা’ ও ক্বিয়াস-এর দলীল দিয়ে যতই বুঝানো হোক, দলীল দেখানো হোক, দলীল শুনানো হোক সেটা তারা কখনোই বুঝবে না, দেখবে না এবং শুনবেও না। যেমনিভাবে বুঝা, দেখা ও শুনা সম্ভব নয় গরু, গাধা ইত্যাদি চতুষ্পদ জন্তুর পক্ষে।
অথচ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থ: হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু- উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দরজা উমুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা তোমাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমাদের মত এরূপ কাজ করবে, তোমাদের মত উনারাও রহমত ও মাগফিরাত লাভ করবে এবং নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)
হাদীছ শরীফ-এ আরো বর্ণিত রয়েছে-
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজ গৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার শানে ছলাত-সালাম (দুরূদ শরীফ) পাঠ করছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন সমবেত লোকজন দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ অভ্যর্থনা বা স্বাগত জানিয়ে আসনে বসালেন।) তিনি লোকজনের মীলাদ শরীফ-এর অনুষ্ঠান এবং বিলাদত শরীফ-এর কারণে খুশি প্রকাশ করতে দেখে উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব। (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা-৩৫৫)
অতএব, যেখানে একাধিক হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মজলিসের আয়োজন করেছেন এবং সে মজলিসে স্বয়ং নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপস্থিত হয়ে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সেখানে কি করে উলামায়ে সূ’রা এ কথা বলতে পারলো যে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ছাহাবায়ে কিরাম পালন করেননি বিধায় সেটা নাজায়িয ও বিদআত। নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত এরাই হলো হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত দাজ্জালে কায্যাব এবং এদেরই জায়-ঠিকানা হচ্ছে জুব্বুল হুযুন। যেই জুব্বুল হুযুনের ভয়াবহ শাস্তি দেখে স্বয়ং জাহান্নাম প্রতিদিন চারশ’ বার পানাহ তলব করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تعوذوا بالله من جب الحزن قالوا يا رسول الله وما جب الحزن قال واد فى جهنم يتعوذ منه جهنم كل يوم اربع مائة مرة قيل يارسول الله ومن يدخلها قال القراء المرائون باعمالهم وفى رواية اخرى وان من ابغض القراء الى الله تعالى الذين يزورون الامراء.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, একবার হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা ‘জুব্বুল হুযন’ হতে আল্লাহ তায়ালার নিকট পানাহ চাও। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘জুব্বুল হুযন কি? হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, জাহান্নামের মধ্যে একটি উপত্যকা যা হতে (জাহান্নামের অধিবাসী তো দূরের কথা) স্বয়ং জাহান্নামও দৈনিক চার শতবার পানাহ চেয়ে থাকে। ছাহাবায়ে কিরামগণ পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাতে কারা প্রবেশ করবে? তিনি বললেন, ক্বারী-হাফিয-মাওলানা যারা লোক দেখানো আমল করে থাকে। এদের মধ্যে আবার তারাই আল্লাহ তায়ালার নিকট সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত, যারা আমীর-উমারাদের সাথে মেলামেশা করে থাকে। (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ)
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
কান্টি টুটুল বলেছেন:
হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী .....এইটা কে লিখছে?
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
সোনালীমাঠ বলেছেন: ঈদ -ই-মিলাদুন্নবী : কেউ পক্ষে কেউ বিপক্ষে তো সঠিক কে ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঈদ মোবারক শুভকামনা