![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বান্দারা যেন হালাল ও পবিত্র রিযিক গ্রহণ করে আর হারাম ও অপবিত্র রিযিক পরিহার করে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যেসব পবিত্র হালাল রিযিক দিয়েছি, তা হতে তোমরা ভক্ষণ কর।” তিনি অন্যত্র আরও ইরশাদ মুবারক করেন, “হালাল বা পবিত্র বস্তু থেকে ভক্ষণ কর এবং নেক কাজ কর।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয।” আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “শরীরের যে গোশতের টুকরাটি হারাম ও অপবিত্র খাদ্যের দ্বারা তৈরি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই যথেষ্ট।”
যারা বলে অ্যালকোহল ৫% অথবা এর চেয়ে কম হলে জায়িয রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের একথা সম্পূর্ণই ভুল। ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হচ্ছে অ্যালকোহল বা মদ এক কাতরা খাওয়াও হারাম। তাতে নেশা হোক বা না হোক। উল্লেখ্য, কেউ যদি এক বোতল মদ খাওয়ার পরও তার নেশা না হয় তাই বলে কি তার জন্য তা জায়িয হবে? কস্মিনকালেও না।
বর্তমানে অভিনব পন্থায় কোমল পানীয়ের বোতলে এছাড়া এনার্জি ড্রিংক ও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক শক্তি বর্ধক পানীয়ের মোড়কে নেশা উপকরণ মিশিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করছে। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় কারখানা তৈরি করে মাদক মিশ্রিত এ সব পানীয় বোতলজাত করছে।
এভাবে কোমল পানীয়ের আড়ালে ভয়াবহ মাদকের বিস্তার ঘটছে সারা দেশে। জীবনী শক্তিবিনাশী এ মাদক শুধু সহজলভ্যই নয় বরং সস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঠিকানাবিহীন কারখানায় চলছে 'এনার্জি ড্রিংকস' উৎপাদন। নানা উদ্দীপক নামের এ পানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথিত সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। জানা গেছে হট ফিলিংস, ট্রিপল এক্স, ফাস্ট ফিলিংস, পাওয়ার, এনার্জি, হর্স পাওয়ার, হর্স ফিলিংস, সুপার পাওয়ার, ফাস্ট হর্স, ম্যান পাওয়ারসহ নানা নামের 'এনার্জি ড্রিংকস' শরীরে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। আফিম থেকে উদ্ভূত উপাদানের মিশ্রণে তৈরি পানীয়গুলো দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণে স্নায়ুবিক দুর্বলতার পাশাপাশি চূড়ান্ত স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে।
এতে উঠতি বয়সের ছেলেরাসহ যুবকরাই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। দেশে এভাবে একটা উপার্জনক্ষম কর্মশক্তি ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ছে। জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ নেশার দ্রব্য অবাধে প্রবেশ করিয়ে এদেশের উপার্জনক্ষম পুরুষ ও যুবশক্তিকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে নষ্ট করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। নাউযুবিল্লাহ!
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খেলাফ কোনো আইন হবে না’-এই ওয়াদাবদ্ধ সরকার থাকতে কী করে বাংলাদেশে শরাব বা মদ চলতে পারে? কাজেই অতি সত্ত্বর বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, শরাব বা মদ তৈরি, আমদানি ও বিক্রি পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: আমিতো রেগুলার ভাই।
আশা করি এইখানে লিখবেন চ্যাঁট ব্লগ ফোরাম