নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিউরন

সবাই আমরা সকলের তরে ।

ডাঃ মারুফ

যতটুকু সম্ভব ততটুকু সেবা মানুষকে দিতে চাই ।

ডাঃ মারুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের বর্তমান অবস্থা ? দায়ী কি নারী নয় ?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩



পবিত্র দ্বীন ইসলাম একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা; যা সর্বকালে সর্বক্ষেত্রে সকল কাজের পরিপূর্ণতা দানে একমাত্র মাধ্যম। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো তর্জ-তরীক্বা বা নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”



পবিত্র এ হাদীছ শরীফ থেকে বুঝা যায়, যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম তথা পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার বহির্ভূত কোনো কাজ বা আমল করবে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে বা সাময়িক তা ভালো মনে হয়। যেমন- আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, ‘নারী অধিকার’ বা ‘নারী মঞ্চ’ নামে বিভিন্ন মিছিল-মিটিং করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তা যৎসামান্যই হয়তোবা বাস্তবায়িত হয়।



তবে এর দ্বারা দেশ ও জাতি কোনো উপকৃতই হয় না। বরং মিছিল-মিটিংয়ের কারণে দেশে অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর ও দেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। তাই নারী সমস্যার সমাধান না করে শুধু মিছিল-মিটিং করলেই হবে না। প্রত্যেককে বুঝতে হবে নারী সমস্যা কি? কেন হয়? এর কারণগুলো কি কি? এক্ষেত্রে প্রথম বলা যায়, একজন মহিলা যখন সৌন্দর্য প্রদর্শন করে রাস্তায় বের হয়, তখন একজন পুরুষের দৃষ্টি তার উপর পড়ে। ঘটে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। যেমন- পরকীয়া, এসিড নিক্ষেপ, খুন, সম্ভ্রমহরণ ইত্যাদি। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা তোমাদের ইজ্জত আব্রু হিফাজত কর এবং আইয়্যামে জাহিলিয়াতের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করে রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়ো না।”



বেপর্দা মহিলারা মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ অমান্য করে খোলামেলাভাবে রাস্তায় বের হয়; যার কারণে সমাজে এত দুর্ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয়ত বলা যায়, আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা; যেখানে ছেলে-মেয়ে একত্রে পড়াশোনা করে। এখানেও উপরে উল্লেখিত ঘটনা ঘটে এবং সেটা ঘটে পবিত্র দ্বীন ইসলাম বহির্ভূত কাজ করার জন্যই। তৃতীয়ত বলা যায়, আমাদের দেশের অধিকাংশ মাতা-পিতার পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায়, তারা সন্তানদের কথিত উচ্চ শিক্ষিত ও আধুনিক হওয়ার জন্য পাশ্চাত্যের অনুসরণ করায়। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো তর্জ-তরীক্বা, নিয়ম-নীতি গ্রহণ করবে, পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থাৎ জাহান্নামীর অন্তর্ভুক্ত হবে।”



আমাদের দেশের পিতা-মাতারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের সন্তানদের কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করায়, বেপর্দা করায়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে, “দাইয়্যুছ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। দাইয়্যুছ হচ্ছে সে ব্যক্তি যে নিজে পর্দা করে না; অধীনস্থদেরও পর্দা করায় না।” এক্ষেত্রে পিতা-মাতারাই দাইয়্যুছের অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়া একজন মেয়ে যখন জাহান্নামী হবে, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, পিতা-মাতা ও তার স্বামী। হ

যরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা পিতা-মাতা উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন তারা কি তাদের মেয়েকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দান করেছিলো? তখন পিতা-মাতা যদি তাদের সন্তানদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে অবহিত না করায় তাহলে সেই মাতা-পিতাদেরও চুলের মুঠি ধরে তাদের মেয়ের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে। তারপর তার স্বামীকে একই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তার স্ত্রীকে কি সে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সম্পর্কে তা’লীম-তালক্বীন ও ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবতে আসতে দিয়েছিলো? যদি সেই শিক্ষা স্বামী না দিয়ে থাকে তবে তাকেও তার স্ত্রীর সাথে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। এটা খুব চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। একজন নারীর জন্য তিনজন জাহান্নামে যাবে।



অপরদিকে একজন নারীর মাধ্যমে গোটা পরিবারই জান্নাতী হতে পারে। একজন মেয়ে যখন মা হবে এবং তার যদি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকে, ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবতে থাকে, ফায়িজ-তাওয়াজ্জুহ পেতে থাকে তাহলে সে তার সন্তানদের সঠিকভাবে বড় করতে পারবে এবং তার সন্তানরাও আল্লাহওয়ালা হবে ইনশাআল্লাহ।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সঠিক মত পথে ইস্তিকামত থাকার তাওফিক দান করেন।

(আমীন)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

বোকামন বলেছেন: আমীন

আস সালামু আলাইকুম

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০০

ইউক্লিড রনি বলেছেন: নিজের চরকার তেল দাও।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২

ডাঃ মারুফ বলেছেন: কেন ভাই ?
কথাগুলোতো মিথ্যা নয় ।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

দোদূল্যমান বলেছেন: মেয়েরা বেআব্রু চলে আর আমরা পুরুষরাও আমাদের চোখের পর্দা করি না। ফলে একটা দুষ্টচক্রের (vicious cycle) মধ্যে পড়ে আমরা পাপ-পংকিলতা আর সামাজিক বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।

পাশ্চাত্যের বহুত দাওয়াই তো আমরা চেষ্টা করলাম। আল্লাহর দেয়া জীবন-বিধানটা কী একবার ট্রাই করে দেখব না?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩

ডাঃ মারুফ বলেছেন: সঠিক বলেছেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.