নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়ার ছায়াতে সে অন্যজন, ভরদুপুরে একলা রাতে অন্যমন

দূর্বা জাহান

আমি একসময় লিখতাম, নিজের জন্যে হাবিজাবি লেখা হলেও।তারপর ছেড়ে দিলাম। এখন কিছুই লিখতে পারিনা বলেই হয়ত এমন হল। তবে আমি একদিন আবার লিখবো, কয়লা থেকে হীরা হবো.।

দূর্বা জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমস্যা আমার শরীরে নয়, তোমার দৃষ্টিভঙ্গিতে!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

আমি খুব বেশি গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা, কিন্তু যখন এই লেখাটা লিখতে বসেছি প্রচণ্ড তাগিদ থেকে লিখছি । হয়তো কিছু করার ইচ্ছে থেকেই বলছি আমি ।



পুরো অনলাইন কমিউনিটিতে ঝড় উঠেছিলো ইদানিং ধর্ষণের ঘটনাগুলো নিয়ে । আমরা দিল্লীর মেয়েটাকে নিয়ে অনেক হৈ চৈ তারপর টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শ্রেনীতে পড়া একটি মেয়ে অথবা ডাঃ সাজিয়া আফরিনের কথাও বলা যায় নইলে সাভারের ধর্ষন বা কয়েকদিন আগের ক্লাস ফাইভের মেয়েটার কথা ।



আমি প্রতিটা দিন দেখছি, আর আমি ঠিক জানিনা এই তালিকায় কবে আমার নামটাও যুক্ত হবে । আমি ইদানিং বের হলে আমার মা বারবার ফোন করে । দামিনী মেয়েটা কোমায় থাকাকালীন অবস্থায় ২বার হার্ট এট্যাক করেছিল, আপনি কি চিন্তা করতে পারেন কত ভয়ংকর একটা স্মৃতি যা তাকে কোমায় থাকা অবস্থায় ও রেহাই দেয় নাই?আমার চোখে পানি এসে পড়েছে এবং আমি আমার বন্ধুকে বলছিলাম যে তোমার সামনে কেউ আমাকে এভাবে ধর্ষণ করে ফেলে রাখলে ১৩পর আমিও মরে যেতাম এটা দিল্লীর দামিনী না হয়ে ঢাকার দূর্বা ও হতে পারতো ।



এবার আসি আমার আসল রূপে । আমার এই বিষয়ক একটা স্ট্যাটাসে আছি, যেখানে আমি নোংরা স্ল্যাং ব্যবহার করেছি এবং আমি কিছুটা পরিমার্জিত করে স্ট্যাটাসের পুরো ব্যাপারটার অংশ নিয়ে কথা বলবো । আর মূল স্ট্যাটাসটা প্রথম কমেন্টে থাকবে ।



ধর্ষন করা কোন মানুষকে আমি ভদ্র ভাষায় কিছু বলতে আগ্রহী নই তবুও যেহেতু এখানে প্রচুর মানুষ পড়বে তাদের কথা ভেবেই ।

কয়দিন আগে একজন বিশিষ্ট স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে, এইযে এত রেপ হচ্ছে তার মূল কারণ মেয়েদের পোশাক বা শরীর দেখিয়ে বেড়ানো । ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠিন আইন প্রণয়নে কিছুই হবেনা বরং মা-বোনকে বলতে হবে ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ করতে তাহলে ধর্ষন কমে যাবে, তারা নিরাপদে থাকবে । সবচে বড় ব্যাপার এসব মডেল বানানো বন্ধ রাখতে হবে ।



সে যে বললো মা বোন কে ইসলামী শিক্ষা দিতে, ঠিক আছে দিলাম । কিন্তু কয়েকদিন আগে যে মারমা মেয়েটা ধর্ষণ হলো সে তো মুসলিম না তার মানে সে ইসলামী শিক্ষা পাবেনা তারমানে মুসলিম বাদে সকল মেয়েদের যারা ইসলামী শিক্ষা পায় নাই তাদের ধর্ষণ করার অধিকার আছে ছেলেদের?

বাংলাদেশে যে অন্যধর্মের মানুষ আর আদিবাসী থাকে তাদের গুরত্ব কি নাই?



বাংলাদেশে আমরা প্রায়ই দেখি স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েগুলোকে রেইপ করছে (ধর্ষন শব্দটি আর না ব্যবহার করি), মেয়েগুলোকে রেইপ করে খুন করছে বা মেয়েগুলা আত্মহত্যা করছে । এই যে এতগুলো রেপ কেইস আপনি কি মনে করেন যে এগুলোর মূল কারণ শুধু শরীর দেখিয়ে বেড়ানো? আমার মনে আছে, আমি যখন সিক্সসেভেনে পড়ি আমার মা আর বোন আমাকে যাত্রাবাড়ী বা গুলিস্তান এলাকায় খুব আগলে আনতো । বাসে উঠার সময় বা পহেলা বৈশাখের ভীড় যেটাই হোক খুব সাবধানে আনতো । আমি ব্যাপারটা জানতাম না, টের পেলাম একদিন যখন যাত্রাবাড়ীতে একটা লোক আমার গায়ে হাত দেয় । আমি এতটা অবাক হয়েছি যে কাউকে বুঝাতে পারবোনা, আমি কেঁদেছিলাম । আমার বোন আমাকে শিখিয়েছিল এরকম কেউ কিছু করলে রাস্তায় কিভাবে পিটাতে হয় ।



বেশিরভাগ মেয়ে লজ্জার কারণে চুপ করে থাকে, কিছু বলেনা । আমি এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্বাস করতাম না যে লজ্জাই নারীর ভূষণ, আমি পিটাতাম যত পারতাম পিটাতাম । এমনো হয়েছে যে মারতে গিয়ে হাত কেটে গেছে, কিন্তু আমি থামতাম না কারণ আমি জানতাম আমিই ঠিক । এসব ব্যাপারে সাপোর্ট তো পাইনি বরং চারপাশের মানুষ জড়ো হয়ে গায়ে হাত দিতে চাইতো, তেড়ে এসে বলতো গায়ে হাত লাগছে তো কী হইছে?

তখন মনেহত রাস্তাঘাটে মেয়েদের শরীর জাতীয় সম্পদ যে যখন ইচ্ছে যেভাবে খুশি হাতানোর অধিকার রাখে । আমার কাছে যেটা মনেহয় যেসব ছেলেরা দেখেনা তাদের সামনে নগ্ন হয়ে দাড়িয়ে থাকুক কোন মেয়ে তবুও তাকাবে না । কিন্তু যারা আসলেই অসুস্থ মানসিকতার তারা যেভাবেই হোক ঘরের মা,বোন অথবা মেয়ে তার শরীরের গঠন নিয়েও চিন্তা করবে ।



আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশের এত এত রেপ কেসের প্রধাণ কারণ শুধু মাত্র পোশাক?তাহলে কেনো বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে গুলো রেপ হচ্ছে?



যাইহোক, আমি মানুষের বিভিন্ন মত দেখেছি ধর্ষণের স্বপক্ষে বা পোশাক নিয়ে । আমি নিচে একটা একটা করে বলছি ।



মত ১ : যারা বলতেছে শিশু আর বোরখা পরিহিতরা কেন রেপ হইছে তাদের উত্তর হল তোমাদের মতো নেংটিরা তাদের ক্ষিধা বাড়ায় আর তারা ক্ষিধা মেটানোর জন্য কাউকে না পেয়ে ওদের ধরে । কি করার বল? তোমরা তো ধর্ম পালন ও করতে দেওনা আবার নেংটাও হইতে চাও। নেংটা হওয়ার প্রতি তোমাদের কেন দুর্বার আকর্ষন!



মত ১ এর উত্তর আমি দিয়েছিলাম, আপনি যখন পর্ণ দেখে উত্তেজিত হন তারমানে আপনি আপনার বাসায় মা বোন যাকেই সামনে পান তার উপরেই চড়াও হন বুঝলাম ।



মত ২: বোরখা না পড়লে যত মেয়ে আছে সব মেয়েকে রেইপ করাই উচিত, ঐসব ** আছেই *** জন্য । মত ২ এর উত্তর আমি আসলে খুঁজে পাইনি । বাংলাদেশে যেসব মেয়েরা বোরখা পড়েনা তাদের রেইপ করার অধিকার আছে একথাটা একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষই বলতে পারে ।হয়তো তার ঘরের প্রত্যেকটা নারীসদস্য বোরখা পড়ে!



মত ৩: এক মেয়ে বাসে ওঠার সময় এক কন্ডাক্টর তার গায়ে হাত দিলো । মেয়েটা কিছু না বলে হাসিমুখে মেনে নিলো । সব দোষ মেয়েদের । মেয়েরাই রেপ করার সুযোগ দেয় ।



মত ৩ এর উত্তর দিয়েছিলাম, একটা মেয়ে মেনে নিয়েছি বলে তাই নয় সব মেয়েরা তাই করবে । ভীড়ের মাঝে কেউ দেখেছেন যে কত মেয়ে নিজেদের প্রটেক্ট করার জন্য ব্যাগ বুকে নিয়ে হাটে ।



মত ৪: আপনারা এমন ড্রেস পড়েন তাই আমরা রেপ করি । পাতলা জামা পড়া সব মেয়েরে রেপ করা উচিত ।



মত ৪এর উত্তর ছিল, ছোট বেলায় বাচ্চাদের গরমের জন্য পাতলা জামা পড়ানো হয় । তারমানে পাতলা জামা পড়ে বলে সেই বাচ্চাগুলোকেও আপনারা রেইপ করার অধিকার রাখেন?



মত ৫: বয়ফ্রেণ্ডের লগে শুইলে দোষ নাই কেউ রেপ করলে দোষ!



মত ৫এর উত্তরে বলেছি, লাভ মেকিং আর রেপের সংজ্ঞা এক নয় ।



সবচে হাস্যকর ব্যাপার সবাই মেয়েদের পর্দা করতে বলছে,বোরখা পড়তে বলছে । কিন্তু এত ধর্মের দোহাই দিয়ে যে বলছেন পর্দা করার কথা, ধর্মে তো বলা আছে ছেলেদের দৃষ্টি নত রাখতে (সূরা নূর: আয়াত ৩১-৩২) সব ক্ষেত্রে কেনো মেয়েটার উপরেই চাপিয়ে দেয়া হবে?বোরখা হিজাব করেও কি ডক্টর সাজিয়া রক্ষা পেয়েছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সবাই উইকি থেকে রেপের পরিসংখ্যান তুলে দেয় ।

অন্য দেশের সামাজিক সমস্যার সাথে তুলনা করতে করতে নিজের দেশের সমস্যাকে সমস্যা বলে মনেই হয়না । নিজের দেশকে আমেরিকার সাথে তুলনা করে শান্তি পাচ্ছি, "ওয়াও! ঐ দেশে আমাদের দেশের চে বেশি অপরাধ হয় । উই আর লাকি!"

কিন্তু আমেরিকা দেশটা আয়তনে যত বড় বাংলাদেশে একটা ছোট দেশ সেই তুলনায় অপরাধ অনেক বেশি ।

সারাজীবন অন্যের দেশের সাথে নিজের তুলনা করছি বলেই আজ এই অবস্থা, সবসময় খারাপটা নিয়েই তুলনা করি ।কিছু বললেই এসে পড়ে একটা পরিসংখ্যান নিয়ে, দেখেন দেখেন ঐ দেশে আমাদের চে কত খুন,ধর্ষন হয় ।



হ্যাঁ আরো অনেকে যুক্তি দেখায় মিষ্টি খুলে রাখলে মাছি তো বসবেই । এখন আপনি জোর করে দোকানে গিয়ে মিষ্টি খেতে যান দোকান ঠ্যাঙ ভেঙে দিবে । একটা মেয়ে পোশাক ঠিকভাবে পড়ছে কি না পড়ছে না তার মানে এই না যে আপনি তাকে ধর্ষণের অধিকার রাখেন ।



ঠিক আছে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক কোন মেয়ে চললে ধর্ষণ কম হবে ।কিন্তু যারা মুসলামান নয় তাদের কি হবে?আমার পরিচিত এমন অনেকে আছে যারা মাদ্রাসায় হুজুর দ্বারা রেইপ হয় । অবশ্য ছেলেরাও হয় । আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম যে, কয়েকজন ছাড়া কেউ অতটা লজ্জিত নয় যে তাদের জাতভাইরা এই কাজ করে বেড়াচ্ছে,বরং তারা অহংকার বোধ করছে এই কারণে এবং বেশ জোর দিয়েই বলছে যে যা হয়েছে ঠিক হয়েছে ।



গতকালের একটি ঘটনা বলি, আমি ফুচকা খেতে একা বের হয়েছি এলাকায় । এম্নি এলাকার আশেপাশে কোথাও যাইনা, এলাকায় বিশাল ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে । আমি কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি কোন প্রকার বিকৃতি না করে,



"ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম অন্য কোন ধর্ম শান্তির না, অন্য ধর্ম ছোটলোকের ধর্ম । বলেন ঠিক কিনা?"



"কয়েকদিন আগে যে ইণ্ডিয়ায় ধর্ষন হইছে ভারতে যদি হিন্দু থেকে সবাই মুসলমান হত তাহলে মেয়েটা ধর্ষন হতো না"



"বাসে যদি মেয়েটা হিজাব বোরখা পড়তো তাইলে আল্লাহর কসম সেই মেয়েকে কেউ ধর্ষন করতো না! কেন করতো না?কারণ সে আল্লাহর পথে আছে হেদায়েতের পথে আছে। রাস্তায় যে ইভটিজিং হয় ধর্ষন হয় তার কারণ বোরখা না পড়া । রাস্তায় দাড়িয়ে মানববন্ধন করে কোন লাভ নাই, আছে ভাই? নাই নাই নাই! "



আমার মাথায় খুন চেপে গিয়েছিল এই কথা শুনে । একে তো অন্য ধর্মকে ছোট করছে, তার উপর মেয়েদের পোশাককে দায়ী করছে আবার বলছে ইভটিজিং বিরোধী মানববন্ধনে কাজ হবেনা বলছে ।

সত্যের পূজারী নামক এক আইডি উত্তর দিলো যে, "গতকালও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে মসজিদের ইমাম। টাইঙ্গাইলের ছাত্রী, ফরিদপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং মারমা মেয়েটি সহ প্রতিদিন ঘটিত প্রতিটি ধর্ষণ কী ইন্ডিয়ার মালাউনরা আইসা কইরা যায় নাকি? রাত্রে ঘর থেকে বের করে যে ধর্ষণ করা হয়, তাতেও কী বোরকা-হিজাবের জন্য নাকি?



এইসব শুয়োরগুলিকেই আগে গুলি কইরা মারা দরকার।"



আমি আসলে ইদানিং ফেবুর বা অনলাইন কমিউনিটির এসব বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ (?) দেখে খুব হতভম্ব । ফেসবুকে একদিকে আমার বাবা সাপোর্ট দিচ্ছে অন্যদিকে মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে যে দেশের অবস্থা খুব খারাপ আমি যেনো এত এটা নিয়ে কথা না বলি কারণ বাসার সবাই বাইরে কাজ করে আমাকে রেপ করে ফেলে রাখলে আমার কিছু করার নেই । আমি ভেবে দেখলাম আসলেই কিছু করার নেই আমার, আমি অসহায় । কারণ আমার শরীর ছিড়েখুড়ে খাওয়ার পর সমাজ আমাকে আবার ছিড়ে খাবে । ধর্ষিতা হিসেবে কোথাও সম্মান তো দূরের কথা কেউ বন্ধু অথবা সঙ্গী হিসেবেও মেনে নিতে পারবেনা, আমি টিকতে পারবো না!



যখন গতকাল হুজুরের কথা শুনলাম যে মানববন্ধনে কিছু হবেনা তখন আমি ঠিক করলাম যে আমি মানববন্ধনে যাবো । প্রত্যেকটা দিন পরীক্ষা বা যাই থাকুক আমি একটা দিন হলেও ফেবুর চিল্লানি বন্ধ করে পথে এসে দাড়াবো ।

আমার একটা ২বছরের ভাগ্নী আছে, আমার একটা মেয়ে বাচ্চার শখ আমি চাইনা ওরা এরকম কোন পরিস্থিতিতে পড়ুক, পত্রিকায় দেখুক ওর মত কাউকে কিছু নরপশু ছিড়ে খাচ্ছে!



রেইপ হওয়া একটা মেয়েরে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে বিলাপ করার আগে

আসুন রাস্তায় দাড়াই!

আমরা প্রতিবাদ করে দেখায় দেই আমরা শুধু নীল ব্যানারের জুকারবার্গের কমিউনিটিতেই না, বা এতশত ব্লগে নয় আমরা রাস্তায় ও প্রতিবাদ করতে পারি কারণ সেই সত্‍সাহস আছে আমাদের!



আপনারা নিজেরা যে যেভাবে পারেন প্রতিবাদ করুন, নিজেরা দরকার হলে ইভেন্ট তৈরি করুন । মানুষকে আসতে আহবান জানান ।



সামনের ১১তারিখ আমরা পথে দাড়াবো চাইলে আপনিও আমাদের সামিল হন, আমরা দাড়াচ্ছি পথে,



তবে শুধু ধর্ষিত মেয়েগুলোর জন্য নয়,

সোচ্চার হোন । ফেলানীর জন্য । ময়নার জন্য । সোনাবরুর জন্য ।

সোচ্চার হোন । কল্পনার জন্য । ডাঃ সাজিয়ার জন্য । বিশ্বজিতের জন্য ।

সোচ্চার হোন । সাগরের জন্য । রুনীর জন্য । আগুনে পুড়ে মরা শ্রমিকগুলোর জন্য ।



একদিনের জন্য হলেও ফেসবুকের অনলাইন দুনিয়া থেকে বাস্তবের অফলাইনে চলে আসুন ।



জয়েন আস । স্প্রেড আস ।



বিস্তারিত এই লিঙ্কে

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

খেক খেক বলেছেন: চমতকার লিখা

রেপিস্ট দের শাস্তি ফাসি ।এটা আমি মানতে পারি না। এদের নপুংসক করে দেয়া উচিত।ওদেরকে খোলা ময়দানে রেখে দেওয়া উচিত যাতে বন্য প্রানীরা ওদের মাংস খুব্লে খুবলে খেতে পারে।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

রুমি হাসান বলেছেন: আসলেই সময় এখন সোচ্চার হবার

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

যাযাব৮৪ বলেছেন: Fb te apnar wall a porecelam ata...asole distri vongi paltano dorkar...r mayedar o aktu songjoto howa ucit....south asia bole kotha.

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

ইউনুস খান বলেছেন: সামাজিকভাবে আমাদের সবাই জেগে উঠতে হবে। আর সেটা এখনি করতে হবে। তা না হলে সামনে অমানিশার অন্ধকার।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪

দূর্বা জাহান বলেছেন: আমার যে স্ট্যাটাসটা,শুধু মাত্র স্ল্যাং এর কারণে পোস্টে দেইনি সেটা কমেন্টে দিচ্ছি,

"এক পেজে ***** স্ট্যাটাস শেয়ার দিসে, স্ট্যাটাসের মূলবক্তব্য ভারতীয় যে মেয়েটা রেইপ হইছে তা নৈতিকতার অভাবে কারণ মেয়েরা এখন বুক,পাছা দেখায় বেড়ায় আর ধর্ষন হয়। কঠিন আইন প্রণয়নে কোন কাজ হবেনামা বোন রে ইসলামী শিক্ষা দিলে তারা এমন শরীর দেখায় বেড়াবে না, সেইফ থাকবে । আর এসব মডেল বানানো বন্ধ রাখতে হবে ।

এবার আসি আমার কথায়, আমি গিয়া প্রথমেই বলছি ***** ছাগুর কোন কথা শুনবোনা । এডমিন জানতে চাইছে ***** যে ছাগু তার প্রমাণ কি?
এখন যাদের কাছে আছে তারা একটু প্রমাণ দিয়েন আমি অন্য কথায় যাই ।

এই ছাগু যে বলতেছে মা বোন রে ইসলামী শিক্ষা দিতে, কয়েকদিন আগে যে মারমা মেয়েটা ধর্ষণ হলো সে তো মুসলিম না তার মানে সে ইসলামী শিক্ষা পাবেনা তারমানে মুসলিম বাদে সকল মেয়েদের যারা ইসলামী শিক্ষা পায় নাই তাদের ধর্ষণ করার অধিকার আছে ছেলেদের?
বাংলাদেশে যে অন্যধর্মের মানুষ আর আদিবাসী থাকে তাদের গুরত্ব কি নাই?

বাংলাদেশে অনেকগুলা মেয়ে রেইপ হইছে, স্কুল পড়ুয়া মেয়েগুলা রেইপ হয়ে সুইসাইড করছে নাইলে রেইপ হওয়ার পর খুন করছে । এই যে এতগুলা মেয়ে রেইপ হইছে তার মানে প্রত্যেকটা মাইয়া বুক পাছা দেখায় বেড়াইছে দেখে আইসা ঐ হারামিগুলা রেইপ করছে?

আমি যখন সিক্সসেভেনে পড়ি আমার মা আর বোন, যাত্রাবাড়ী আর গুলিস্তান এলাকায় আমারে আগলায় আনতো । কারণ টের পাইছি যখন এক লুঙ্গি পড়া পান খাওয়া এক হারামি আমার গায়ে হাত দেয়, আমি অবাক হয়ে গেছিলাম । এখন কোন বাইনচোদ আইসা আমারে বলুক আমি বুক দেখাইয়া পাছা দুলাইয়া আসছি তাই তারা বুকে হাত দেয়ার অধিকার রাখছে?

একটা ফাইভসিক্সে পড়া মেয়ের শরীর কি সানি লিওনের মত নিশ্চয়ই না যা দেখলে ভিতরের যন্ত্র খাড়ায় যাবে?
মুখ খারাপ হয় অনেক, রাস্তায় যখন কোন ছেলেরে ইতরামির জন্য পিটাইছি পাশে কেউ সাপোর্ট দেয় নাই বরং তেড়ে এসে বলছে গায়ে হাত লাগছে তো কি হইছে?

বুঝলাম দেশে শরীর দেখানো অনেক মডেল আসতেছে, যারা লুইস তাদের জিহবায় লোল আইসা পড়ছে আর সেগুলা রাস্তাঘাটে মিটায়তেছে । আর আমরা হইয়া গেছি জাতীয়সম্পদ, সানি লিওন দেইখা উত্তেজনা মিটাইতে রাস্তাঘাটে আমাগো হাতাইতে আসে । যারা কয় এসব সানি লিওন একটা খানকি কিন্তু যখন এই সানি লিওনরে দেইখা হাত মারো তখন এত ভালমানুষগিরি কই যায়? খানকিরে দেইখা হাত মাইরা সেটার বিরুদ্ধে বড় কথা কওয়ার মত হিপোক্রেট পোলাপাইন ভালগিরি চোদাও!

তোমার কয়েকইঞ্চি যন্ত্রের কোন দোষ নাই?সব দোষ আমার উচুনিচু শরীরের?

যেসব ছেলেরা দেখেনা তারা দেখেনা ভদ্রই থাকে, দৃষ্টিতে শ্রদ্ধা থাকে আর যারা দেখে তারা ঘরের মা বোইনের সাইজ চিন্তা কইরাও হাত মারে ।

আমি কালকে সন্ধ্যায় যখন আড্ডা দিয়া ফিরছি বাসে আমারে রেইপ কইরা ফালায় রাখলে সবাই মনেহয় এইটাই কইতো দূর্বা শরীর দেখায় বেড়াইসে বলে রেইপ হইছে । যে মেয়েটা আজকে মারা গেছে কেউ তার প্রিয়মানুষরে ঐখানে চিন্তা কইরা দেইখেন ।

সুশীলদের কথা ছাড়ান দিলাম ।

সমস্যা আমার শরীরে না সমস্যা তোমার দৃষ্টিভঙ্গিতে!"

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

রাজ্‌জাক বলেছেন: ইন্ডিয়ান সিরিয়াল এবং সিনেমার আখাদ্য-
কুখাদ্য দেখে এর সাইড এফেক্টে বাংলাদেশের
ছেলেদের মাঝেও ধর্ষনের
প্রবণতা এবং পরকীয়া বাড়ছে।
অন্যদিকে মেয়েদের মাঝেও
পরপুরুষে আসক্তি এবং টাংকিবাজী বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুতারাং মতিঝিলের চলন্ত
বাসে ছাত্রী গনধর্ষন হবার আগেই এইসব
কুখাদ্য এদেশে নিষিদ্ধ করা হোক

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ভালো লিখছিস ! এইগুলো অবশ্য বইলা লাভ নাই ! যারা পাভার্ট তারা পাভার্ট ই থাকবে, আর যারা ভালোভাবে চিন্তা করতে পারে তাঁরা এমনিতেই ভালো থাকবে !

এর চেয়ে রাষ্ট্রে আইনের শাসন জরুরি , এইটা ছাড়া আমি বিকল্প দেখি না :|

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪

মহম্মদ মহসীন বলেছেন: মর্মস্পর্শী লেখাটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

অকিঞ্চনের বলেছেন: থাম্বস আপ

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯

নতুন বলেছেন: সহমত @ দূর্বা জাহান

কথা গুলি সবার বোঝা উচিত...

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০

শার্লক বলেছেন: সত্যি কথা কি আমাদের দেশে মানব বন্ধন করে আসলেই কিছু হবে না। এ দেশে প্রতিবাদ করতে হবে জ্বালাও পোড়াও করে তাইলে লাভ হবে। রক্ত গরম জাতি তো রক্ত না দেখলে ঘুম থেকে জাগে না।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকলাম। আসলে কি বলব বা কি বলা উচিত বুঝে উঠতে পারছিনা। শুধু বলতে চাই এই সমাজের একজন পুরুষ হিসেবে আমি লজ্জিত।


"আমার কাছে যেটা মনেহয় যেসব ছেলেরা দেখেনা তাদের সামনে নগ্ন হয়ে দাড়িয়ে থাকুক কোন মেয়ে তবুও তাকাবে না । কিন্তু যারা আসলেই অসুস্থ মানসিকতার তারা যেভাবেই হোক ঘরের মা,বোন অথবা মেয়ে তার শরীরের গঠন নিয়েও চিন্তা করবে ।"
আপনার সাথে ১০০% সহমত।

"এইসব শুয়োরগুলিকেই আগে গুলি কইরা মারা দরকার।"
১০০% সহমত।


" তবে শুধু ধর্ষিত মেয়েগুলোর জন্য নয়,
সোচ্চার হোন । ফেলানীর জন্য । ময়নার জন্য । সোনাবরুর জন্য ।
সোচ্চার হোন । কল্পনার জন্য । ডাঃ সাজিয়ার জন্য । বিশ্বজিতের জন্য । সোচ্চার হোন । সাগরের জন্য । রুনীর জন্য । আগুনে পুড়ে মরা শ্রমিকগুলোর জন্য ।"
১০০% সহমত।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের জন্যে।

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২

খাইয়া কামনাই বলেছেন: সমস্যা আমার শরীরে নয়, তোমার দৃষ্টিভঙ্গিতে!

শরীরের ভঙ্গি ঠিক করলে দৃষ্টি এমনিতেই ঠিক হবে

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪

দূর্বা জাহান বলেছেন: এখানে আমি আগেই বলে রাখছি যেহেতু আমি ফোন থেকে ব্লগ ইউজ করি তাই কমেন্টের রিপ্লাই দেয়া পসিবল নয় আমার ।

@খেক খেক, আমি ও তাই ভেবেছি লিঙ্ক কর্তন করে তাদের কে খাওয়ানো যেতে পারে ।

@রুমি হাসান, অনলাইনে আমরা আমাদের ভাষার অনেক ব্যবহার করেছি, সময় এখন পথে নামার ।

@যাযাব৮৪, থ্যাংকস!

@ইউনুস খান, হ্যাঁ । আজ একটা ক্লাস টু এর মেয়ে রেইপ হয়েছে ইদানিং পাভার্ট এতটা বেড়ে গেছে!

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২

জুয়েল বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। তবে আমার যা মনে হল, আপনি বলতে চেয়েছেন, "ছেলেদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে", এটার সাথে একমত হতে পারলাম না। ধর্ষন কমানোর জন্য ছেলেদেরকে যেমন বদলাতে হবে, মেয়েদেরকেও বদলাতে হবে। তবে যত যাই করা হোক না কেন, সব দেশে, সব সমাজেই কিছু খারাপ মানুষ থাকবেই। আর সেজন্যই শালীনতার কথা বলা হয়। "আমাকে শেখাতে আসবেন না কী পরতে হবে, ছেলেদের বলুন ধর্ষন না করতে" এটা অনেকটা এরকম শোনায় "আমাকে শেখাতে আসবেন না কোন নদীতে সাতার কাটতে হবে, কুমিরদের বলুন যেন আমাকে না মারে"।

আমার মনে হয়, ধর্ষন কমানোর জন্য সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে, তা হচ্ছে,
ধর্ষনের জন্য সৌদি আরবের মত কঠিন আইন চালু করা।
ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।
সকল ধরনের অশ্লীল সিনেমা, পর্ণোগ্রাফি কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রন করা।
নারীদের অশ্লীল পোশাক পরিধান, প্রেম ভালবাসার নামে নষ্টামি নিষিদ্ধ করা।
২৫ বছরের মধ্যে ছেলেদের বিয়ে বাধ্যতামূলক করা।

১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪০

একজন আরমান বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন ঘাস।

ধর্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন:
-----------------------


তারিখঃ ১০ই জানুয়ারী, ২০১৩

সময়ঃ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
স্থানঃ বরিশাল ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন।
০৯ তারিখ কর্মসূচির বিস্তারিত জানানো হবে।
০৮ এবং ০৯ তারিখ মিটিং আছে।

বরিশালের ব্লগাররা যোগাযোগ করুনঃ

একজন আরমানঃ ০১৯১৮০৫০৫৮০
নেবুলা মোরশেদঃ ০১৭২৩৩৮৮৫৭১

১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

যাযাব৮৪ বলেছেন: Bhai bia koraile o jar manosik somossa ace se ata korbe...ami ai rokom koikta case investigation korce...ank 45+ purus manus o ata kore...45 year er manus nissoi bia korar por ank year par korco...r ekta problm holo case gulo jusment a jawar por evedanc er ovab a asami khalas paiya jai.

১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

দলছুট শুভ বলেছেন: একজন মেয়ে যখন রাস্তা দিয়ে যায় তখন তার ভেতরে একটা ভয় হয় ঃ এই বুঝি তাকে নিয়ে যাওয়া হবে, রেপ করা হবে। "

আর আমার ভয় হয় ঃ এমন একদিন আসবে না তো যেদিন আমি কিংবা অন্য এর পুরুষ একটা মেয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই সে ভয়ে কাঁপতে থাকবে,শিউরে উঠবে এই বুঝি তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া পুরুষটি তার গায়ে হাত দিবে। পুরুষের উপস্থিতির সাথে সাথে সে চিৎকার করে বলবে " ক্ষমা করে দাও, আমাকে নিয়ে যেও না। আমাকে ছেড়ে দাও

বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দেবেনা আমি পুরুষ বলে।

আশা রাখি ঢাকায় যারা আছেন ১১ তারিখে তারা অবশ্যই ইভেন্টে যোগ দিবেন। আর অলসতা না। শুধু অনলাইনে না। অফলাইনেও প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবেন।

১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আমার মতে কিছু বিশেষ কারণ:
(১) সভ্যতার অগ্রযাত্রা (অপযাত্রা)
(২) সরকারের পদক্ষেপ : টেলিভিশন, ইন্টারনেট, আইন এ সমস্ত বিষয়ে দুর্বলতা
(৩) মানসিকতা, ছেলে-মেয়ে এবং বাবা-মা উভয়
সর্বোপরি কিয়ামতের নিকটবর্তিতা। হলফ করে বলতে পারি এ ধরনের ঘটনা আর কমবেনা, শুধু বাড়বেই, কমে আসার কোন পথই নেই।

কোন বিশেষ জাতের কারও মানসিকতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

দূর্বা জাহান বলেছেন: যাদের লিঙ্কে ক্লিক করতে সমস্যা হচ্ছে তাদের কে ঢাকার ইভেন্ট সম্পর্কে অবগত করছি,

তারিখ : ১১জানুয়ারি, শুক্রবার
সময় : সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা ।
স্থান : সংসদ ভবনের সামনে
ফোন : ০১৭১৪৭৩৭৪৯৯, ০১৬৭৩৫৬১৭১৭, ০১৬৭৬৮৭৫৩২৫, ০১৭৩২০৫৯০১০,

২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫১

রাজন আল মাসুদ বলেছেন: @জুয়েল যদি আরবের কথা বলেন , ঐখানে মেয়েরা অথবা কাজ করতে যাওয়া অভিবাসী মেয়ে রা কিভাবে নির্যাতিত হয় তা একটু গুগল করলেই পাবেন...........আপনি কি জানেন ইন্দোনেশিয়া তার নারী শ্রমিক দের সৌদি তে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে? কারনটা নিশ্চয়ই বুজতে পারছেন? পশ্চিমা দেশগুলো তে রেপ এর সংখা বেশি দেখা যায় এর অন্যতম কারণ হলো সেখানে রেপ হলে সাধারনত কেউ লোক লজ্জার ভয়ে লুকিয়ে থাকে না, পুলিশ কমপ্লেইন করে, যা আমাদের দক্ষিন এশিয়া এর দেশ গুলো তে সামাজিক অবস্থানের কথা ভেবে, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চেপে যাওয়া হয়.......ধর্ষিতা একটা মেয়ে কে আমাদের সমাজে কিভাবে দেখা হয় তা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকার কথা...... যে আইনে ধর্ষণ প্রমান করতে চারজন মানুষের সাক্ষী লাগে, তাদের ধর্ষনের রিপোর্ট কমই হওয়ার কথা ।

২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫১

সিলেটি জামান বলেছেন: ধর্ষন, ইভিটিজং এর পক্ষে কোন যুক্তি থাকতে পারেনা। যারা এগুলার পক্ষে যুক্তি দেখায় সে সমস্থ পাভার্টদের সাথে কোন যুক্তি দেখিয়ে লাভ নাই।


পারিবারিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমাদের মা, বাবা, ভাই বোনদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। আমার ছোট ভাই, বোনকে নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে।

পোস্টে প্লাস।

২৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

বাঘা তেতুল বলেছেন: ভাইরে দেশেতো আইন কম নেই কিন্তু এর বাস্তবায়ন হচ্ছে কয়টা ? প্রভাবশালী মহলের কেউ হলে থানায় মামলা নেয়না...আর নিলেই লাভকি ? বিচারে ফাসি হলেও লাভ নেই।কারন যুগে যুগে জিল্লুর কাকারা তাদের সুসন্তানদের ক্ষমা করে দিবে।কথা একটাই নিজেরা ভালো হই নারীদের সম্নান করি।তারপরও কিছু কুকুর থাকবে যাদের instant মুগুর মারতে হবে।

২৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

খেক খেক বলেছেন: পোশাক নিয়ে অনেক কেই কথা বলতে দেখলাম।খুব হাস্যকর।আমাদের দেশে যেসব মেয়ে রেপ হয় তাদের সামাজিক অবস্থান টা একটু খেয়াল করেছেন কি ? তারা বেশিরভাগ ই মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত।বাঙ্গা্লী মধ্যবিত্তদের পোশাক অরুচিকর নয় ।এরপর ঃ কেনো তারা রেপের শিকার ?

তিন বছরের শিশু তার পোশাক ও অরুচিকর ? কি হাস্যকর! কি হাস্যকর!

যাদের পোশাক নিয়ে আপত্তি তোলা হয় এদের বেশিরভাগ ই সমাজের উচু শ্রেনীর।

অনেকএর কমেন্ট এমন মনে হছে " তোরা অরুচিকর পোশাক পরবি।তোদের শাস্তি রেপ "
কি হাস্যকর! কি হাস্যকর!

সেটার জন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলুন।

২৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

সৈয়দ আব্দুল আহাদ বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গি ???

আপনার এক আমার আরেক।

কে ঠিক করবে দৃষ্টিভঙ্গি কি হওয়া উচিত।

দৃষ্টিভঙ্গি যদি হাজার বুদ্ধিমানরা করে তবে স্বাভাবিক যে দৃষ্টিভঙ্গি হাজার রকমের হবে।

[ এখানে দৃষ্টিভঙ্গি কি?? এর উত্তর দেন তাহলে পরবর্তীতে আমি...।]


পোশাক একাই কখনও রেপ এর জন্য দ্বায়ই না। ( কখনও শুধু সাকিব আল হাসানের জন্য বাংলাদেশ জয় লাভ করে না, আবার শুধু আশরাফুল এর জন্য হারে না )

বুঝার বাকি নাই যে আপনি একজন আদর্শিক মহিলা ( মহিলা তো :P )। তাই বলছি আদর্শিক ভাবে ধর্ম( ইসলাম) কে তোলে ধরেন এবং আর্গুমেন্ট করেন।


আমার আদর্শ নিশ্চয় বুঝে গেছেন।

তাই আমিও সমাধান চাই। যে সমাধান সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করে উপরে ফেলবে। (....................)


সমাধানটা আপনি আর্গুমেন্ট সহকারে উল্লেখ করেন। তারপর ..............


ভালো থাকবেন । টাটা ( আপনার রেসপোনস পর্যন্ত)

২৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮

মাথা খারপ মানুষ বলেছেন: বোরকা পরলে ধর্ষণ হবে না এমন আবালীয় কথা যারা বলে তাদের বলো আগে খবর নিয়া আইতে কত নারী সৌদি বা আফগানিস্তানে ধর্ষিত হয়।

২৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: অসাধারন! আপনার প্রতিবাদী পোষ্টের জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা। পোষাকের দোষ দিয়ে যারা ধর্ষকদের দোষ ঢাকতে যায় তারাও আমার চোখে ধর্ষক। ধর্ষনে এরা পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে। ইসলামের দোহাই দিয়েও ধর্ষকদের দোষ ঢাকতে চাইলে ওরাও ধর্ষক। ধর্মেই দোহাই দিয়ে ফেনা তোলা লোকদেরও চাই কঠিন জবাব দেয়া।

আর ধর্ষন রোধে কঠিন আইনের শাসন ও এর যথাযথ প্রয়োগের কোনো বিকল্প নাই।

২৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: মনে আছে একটা সময়ে প্রেমে বিফল হলেই শুরু করত এসিড নিক্ষেপ। ইমোশন উথাল পাথাল করে উঠত। যখন এসিড নিক্ষেপের শাস্তি করা হল মৃত্যুদন্ড তখন ইমোশন ও কমে আসল। প্রেমে বিফলে নতুন কিছু বের করল কিন্তু এসিড নিক্ষেপ আগের থেকে সিগনিফিকেনটলি কমলো। সেই রকম পোষাক আষাক চলন বলন যাই নিয়ে মনে উথাল পাথাল তৈরী হচ্ছে তাও কমে যাবে। শুধু ধর্ষনের স্ট্রেইট শাস্তি মৃতুদন্ড করা হোক। আর যেসব ফাক ফোকোর দিয়ে রেপিস্ট পার পেয়ে যায় ওগুলা বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হোক।
যেমন আমি দেখেছি রেপ কেস এ ভিকটিম কে প্রথমে যেই মেডিক্যাল টেস্ট এর ভিতর দিয়ে যেতে হয় যেই ভাবে মামলার কথা বারতা সাজাতে হয় নিজ মুখে বলতে হয় এটা আসলে অমানবিক হয়ে যায়। এখানে সিস্টেম কিছুটা পরিবর্তন করতে পারলে মেয়েরা আরো প্রতিবাদি হতে সাহস পাবে এবং যারা পোষাক আষাক আর চলন বলনে উত্তেজিত হয়ে উঠছেন তারাও নিজেকে কন্ট্রল করার যথেষ্ট কারন পাবেন।
আরও একটা কথা যারা রেপ এর পিছনের কারন খুজে বেড়ায় এবং প্রচার করে বেড়ায় তারা অপরাধের উস্কানীদাতা...এদের বিরুদ্ধেও শাস্তিযোগ্য আইন করা উচিত। তাহলে রেপ করার এক্সকিউজ খুজা বন্ধ করবে। এি উস্কানীদাতা গুলা নিজে লুকায়ে লুকায়ে শয়তানী করতে থাকে আর সামনে যারা শয়তানী করে তাদের সাপোর্ট করে.।হারামীগুলান সব। এদেরকেও শাস্তির মধ্যে আনা উচিত।

২৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

ইনকগনিটো বলেছেন: রেপ এর জন্য কোন ধর্ম, অধর্ম, রীতি নীতি, জাতি গোষ্ঠী দায়ী না। রেপ এর জন্য দায়ী মানুষের অ্যাবনরমাল সাইকোলজি। ধর্মীয় অনুশাসন থাকলেই যে রেপ হবেনা, আর না থাকলেই যে রেপ এর চোটে দেশ কম্পমান হইয়া যাবে, এমন ভাবারও কোন কারন নাই। ইউরোপ, আমেরিকা এর মানুষজন অনেক শিক্ষিত, ফ্রি ফ্রাঙ্ক। নারীদের সমঅধিকার ওখানে আমাদের দেশ এর চেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠিত। তাই বলে কি ওখানে রেপ হয়না? আবার কনজারভেটিভ দেশ গুলার দিকে তাকাইলেও দেখা যায় সেইখানে রেপ এর ছড়াছড়ি। ওইখানে তো ধর্মীয় অনুশাসন আছে। তাইলে কেমনে কি? ধর্মীয় অনুশাসন দিয়া রেপ থামানো যায় না।

রেপ থামাইতে হলে আইন ব্যাবস্থাকে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে হবে। আইন ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে, এইসব রেপিস্টরা আরও আস্কারা পাবে। রেপ এর হার আরও বাড়বে। প্রতিবাদ করে সুশীলদের বুঝানো যায়, কিন্তু যাদের বুঝানো দরকার, সেইসব জানোয়ারদের তো বুঝানো যায়না। কাজেই আইন ব্যাবস্থা শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরী বেশি। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর নীতি আরকি।

৩০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
এখনও "তসলিমা নাসরিন" ট্যাগ খান নাই?

৩১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩২

দ্বান্দিক ছন্দে বলেছেন: পত্রিকার পাতার মন্তব্যের স্থানে, ব্লগে,আড্ডা-আলোচনায় একটা ব্যাপার সব সময়ই লক্ষ্য করি, ধর্ষন/যৌন নির্যাতনের ঘটনায় আমরা নিজেদের দোষ মোচনে সব অবস্থাতেই সকল সময়েই মেয়েদের উপর বিশেষ করে তাদের পোশাকের উপর, তাদের পর্দা না করার উপর দোষ চাপাতে সুকৌশলে চেষ্টা চালাতে থাকি - এখানেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। যারা এসকল খোড়া যুক্তি দিচ্ছেন তাদের কাছে বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করি সারা পৃথিবীতে অতীতকাল থেকে আজ পর্যন্ত শতকরা কতজন নারী অশালীন পোষাকের জন্য ধর্ষন/যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন? আমাদের নিজেদের ঘরে প্রকাশ্যে এবং প্রধানত অপ্রকাশ্যে নিজের কাছের আত্মীয়-স্বজন দ্বারা, বন্ধু দ্বারা, গৃহশিক্ষক দ্বারা নাবালক-সাবালক নির্বিশেষে যারা ধর্ষন/যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের কতজন অশ্লীল পোষাক পরেন? বাসায় কাজের মেয়ের উপর সুযোগ পেলেই যে আমরা পুরুষবিক্রমে ঝাপিয়ে পরি তা কতটা তাদের পোশাকের জন্য আর কতটা নিজের "পাপ-মনের" জন্য?
আমরা পুরুষরা যৌনতার উপরও আমাদের একছত্র অধিকার ঘোষণা করতে চাই, যেন নারীর কোন যৌনতা বোধ নেই। অশোভন/হিজাববিহীন পোশাকের জন্য নারীর উপর পুরুষের আক্রমনকে যদি ন্যায্যতা দিতে চান, তাহলে পুরুষের অশোভন/হিজাববিহীন পোষাকের জন্য নারী কেন পুরুষকে ধর্ষন করে না, তাহলে বোধহয় বলতেই হবে নারীর কোন যৌন চেতনা নেই, আর পুরুষ দেখে নারীরা যেহেতু যৌন-উত্তেজিত হয়ে দল বেধে ধর্ষনে ঝাপিয়ে পরেনা, তাই সকল নারী হিজড়া। আমরা যারা সবসময়ই নিজেদের যৌন উত্তেজনার জন্য উন্মুক্ত নারী দেহের দোহাই পেরে আক্রমনের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চালাই তারা কি একথাটা ভেবে দেখেছি যে, কেন আমরা নিজেদের আপন মা, বোন, মেয়ে, খালা-ফুপুদের পর্দাবিহীন দেখলে, কখনও দেহের কোন অংশ উন্মুক্ত দেখলেও যৌনভাবে উত্তেজিত হইনা বরং বিব্রত বোধ করি --আমাদের যৌন অবদমন ঘটে। নারী হিসেবে তাদের প্রত্যেকের স্তন, যোনী, দেহ বল্লরী থাকা সত্বেও তারা আমার মগজে যৌন প্রতিক্রিয়া না জাগিয়ে বরং আমাদের মস্তিস্কে অবদমন ঘটায় (কেন, কিভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় মানুষের মস্তিস্কে চিন্তা গড়ে উঠে, সে আলোচনা এখানে করছি না)। তো নারীর মস্তিস্কে যৌন চেতনা কিভাবে কাজ করে আর কিভাবেই বা তা নিয়ন্ত্রিত হয় বা নারীরা (এবং সমাজের বিস্তর সংখ্যক পুরুষ) কিভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হোন, নানাভাবে যারা ধর্ষন/নির্যাতনের পক্ষেই লিখছেন আশা করি এর একটা যুক্তিসংগত ঊত্তর দিবেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ নারীসহ সারা পৃথিবীতে এযাবৎ যত যুদ্ধ হয়েছে আর তাতে যে পরিমাণ নারী ধর্ষিত-নির্যাতিত হয়েছেন সেই সংখ্যাটা কী ভয়াবহ পরিমাণ হতে পারে তা কি আমরা অনুমান করতে পারি? তাহলে যুদ্ধে কেন নারীরা ধর্ষিত হয়, তখনও কি তারা অশোভন পোশাক পরে বুক দেখিয়ে পাছা দুলিয়ে বেড়ায়? ১৩/১৪ বছরের চেয়ে কম বয়সী আমাদের ছোট বোন, ভাগ্নী, ভাতিজী, নাতনী যখন ঘরের ভিতরে আপনার আমার মত কঠিন পুরুষ (!) (হিজড়া নয়) দ্বারা ধর্ষিত/যৌন নির্যাতিত হয়, তখন আমাদের মত বীর-পুঙ্গবকে কোন দেহ বল্লরী দেখিয়ে প্রলোভিত করে (দেশে দেশে যৌন-নির্যাতনের শিকার এদের সংখ্যাটাই বেশী যার শতকরা ৯৫ ভাগই প্রকাশ্যে আসেনা, আর এখানে যারা সাহসী পুরুষ আছেন তাদের যদি বুকের পাটা থাকে দেখবেন নাকি একবার জিজ্ঞ্যেস করে, আপনাদের বোন-ভাগ্নী-কাজিনদের কাছে তাদের অবমাননার কথা)? তার কতটা পোশাকের জন্য আর কতটা আমাদের পশুত্বের জন্য? নিজেদের নৈতিক চেতনার দৈন্যতাকে, রিপু নিয়ন্ত্রনের ব্যর্থতাকে অন্যের উপর চালান করার কী সুনিপুণ প্রয়াস।
সমাজে তো প্রলোভনের কোন অভাব নেই, দেহের প্রলোভন, টাকার প্রলোভন, ঘুষের প্রলোভন, ব্যাংক লুটের প্রলোভনের, বন লুটের প্রলোভন, খাম্বার প্রলোভন, বন্দর বিক্রির প্রলোভন, কয়লা-গ্যাস-বিদ্যুৎ চুরির প্রলোভন,পদ্মাসেতুর প্রলোভন, কালো বিড়ালের আহবান, প্রলোভনের কি আর শেষ আছে কত আর বলবো। এখন সভ্য সমাজের দস্তুর কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন আপনারা, যিনি প্রলোভিত হয়ে চুরি-ডাকাতি-লোপাট করছেন তাকে জামাই আদরে রাখা, নাকি সমাজের অন্তরালে, পর্দার অন্তরালে, হিজাবের অন্তরালে, জেলখানার ভিতরে রাখা সমিচীন - কি মনে হয়? কাকে পর্দা/হিজাব পরানো উচিত আক্রমনের শিকারকে না আক্রমনকারীকে? বন্য পশুরা আক্রমন করে বলেই আমরা তাদের সমাজের বাইরে বনেই রাখি অথবা চিড়িয়াখানায় অন্তরীণ করি। তো মেয়েদের প্রতি এসে সমাজের নিয়মটা পালটে যাবার কারণটা কি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষরা সমাজের অধিপতি বলেই তো, তাই নয় কি?
ভাল বা মন্দ কোন মন্তব্য না করেই অন্য একটি বিষয়ে দু'টো লাইন লিখছি, কোন কোন অনগ্রসর(?) গোত্র সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বল্প কাপড় পরিধান করলেও নারীরা বুক দেখিয়ে দুলিয়ে দুলিয়ে বেড়ালেও সেসব সমাজে কোন ধর্ষনের অস্তিত্ব নাই। পাশ্চ্যাতেরও কোন কোন দেশে Naturalist বা Nudist গোষ্ঠীর লোকেরা সমুদ্র পাড়ে বা অন্য কোনখানে পরিবারের বাবা-মা-ছেলে-মেয়ে-দাদা-নানা-ভাই-বোনসহ আরও দশটা ফ্যামিলী সহযোগে ঘুরে বেড়ান, তখন তাদের মগজে যৌন চেতনা কিভাবে ক্রিয়া করে? পুরুষ-পুঙ্গবেরা কি সর্বক্ষণ দন্ড উত্থিয়মান করে ঘুরে বেড়ান আর যখন-তখন যে কোন মেয়ের উপর ঝাপিয়ে পরেন, তাই কি? তাহলে এসব নারী-পুরুষের মাঝে যৌন চেতনার রূপটাই বা কিরকম, তার ব্যাখ্যাই বা কী?
মানব সমাজসহ প্রাণীদের মাঝে বংশবিস্তারের জন্য জনন অঙ্গসহকারে প্রজনন কর্ম থাকলেও জনন ক্রিয়া আর "sex" বা "যৌনতা" একই অর্থ বহন করে না। প্রজননের প্রয়োজন বা কর্মটি মানব সমাজের শুরু থেকে থাকলেও sex বা যৌনতাবোধ শব্দগুচ্ছ দ্বারা আমরা এখন যা বুঝি সেই বোধ সমাজের শুরুতে ছিলনা। সমাজ অগ্রগতির ধারায় সামাজিক কাঠামোর বিশেষ সময়ে অন্য আরও বোধের মত sex-বোধেরও জন্ম মানব সমাজ দিয়েছে, আর সমাজ ব্যবস্থার বিভিন্ন ধাপে ধাপে যৌনতা বোধও একে বেকে নানারূপ গ্রহণ করেছে। ফলে শুধুমাত্র পর্দাবিহীন নারীদেহের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবেনা, বরং কোন্‌ আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠছি, কোন্‌ রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক মতাদর্শ ধারন করছি, উন্নত কোন্‌ নীতি-নৈতিকতার চর্চা করছি আখেরে সেটাই নির্ধারন করবে আমরা কী কান্ড ঘটাব বা প্ত্র-পত্রিকা, আড্ডা-আলচনায়, ব্লগে-ফেসবুকে কতটুকু নিজস্ব ব্যর্থতার সাফাই গাইবো আর অন্যের ঘাড়ে কতটুকু দোষ চাপাব।

৩২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২২

@সুলতান মির্জা ২ বলেছেন: দুর্বা জাহান,
সদা পরিছন্ন লেখায় যার খ্যাতি রয়েছে। আপনার বেশ কয়েকটা স্ট্যাটাস পড়েছিলাম। ঠিক মত ধরে নিতে পারিনি আসলে আপনি কোন ব্লগের নিয়মিত ব্লগার। অফ লাইনে থেকে এই পোস্টটা পড়লাম। আর তাই মন্তব্যটা দিয়ে একটা ধন্যবাদ জানাতে আবার লগইন করলাম। ভ্যাংচি কাটা দুর্বা জাহান, লেখাটাও অসামাজিক পুরুষতান্ত্রিক লেবেলের জন্য যোগ্য উত্তর বলে বিবেচিত। যদি শিক্ষা হয় ভাল, না হলেও ভাল, যেহেতু বলেছেন খুব ভাল করে গুছিয়ে, এখন যদি কেউ বুঝে উঠতে না পারে সেটা হবে এই অসামাজিক পুরুষতন্ত্রের অক্ষমতা।

আপনার পোস্টে আরেকটি কথা যুক্ত করে দিয়ে যাচ্ছি
একাত্তরে কিন্তু এইদেশের নারী সমাজ এখনকার মত ততটা আধুনিক ছিল না, ছিল না কোনও আধুনিক শরীর বের হয়ে থাকা পোশাক, তাহলে তখন কার সময়ে কেন ঘটেছিল গণধর্ষণ ?

প্রশ্নটা এখনকার আধুনিক পোশাক তান্ত্রিক জটিলতায় ভোগা মানসিক প্রতিবন্ধী পুরুষদের জন্য রেখে গেলাম।

ধন্যবাদ।

৩৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++ প্রিয়তে ।

দারুন লিখেছেন । আমরাও কয়েকজন এই একই বিষয়ে একই রকমের পোস্ট দিয়েছিলাম । সময় হলে দেখবেন আশা করি ।

তোমারা যারা পোশাকের দোহাই দিয়ে ধর্ষণকে সমর্থন করো

ব্লগীয় ধর্ষকদের যুক্তি : যত দোষ নন্দ ঘোষ

ব্লগীয় পর্দাবাদী পুরুষের ধর্ষণ সক্ষমতা অথবা পৌরষত্ত্বের জ্বালা/শক্তি

ভালো থাকবেন সবসময় ।

৩৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬

পরীবানু বলেছেন: @ জুয়েল, মন্তব্য ১৫ :

আপনি কি জানেন ; সৌদি আরবে প্রতিরাতে/প্রতিঘরে অসহায় কাজের বুয়ারা চারদেয়ালের নিভৃতে পালাক্রমে নিরব ধর্ষনের শিকার হয়? যে কারনে অনেক দেশ সৌদি আরবে তাদের নারীকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।

আপনার কুমির তত্ব : আপনাকে বুঝতে হবে মানুষ নিরেট কুমির না। মানুষ in fact বিবেক, বোধ এবং নৈতিকতা সম্পন্য rational body. আপনার কুমিরতত্বই যদি সঠিক ধরে নেই তা হলে কুমির হয়ে আপনি কতবার নিজ মা/বোন এবং পাড়া/প্রতিবেসী মেয়েদের উপর চড়াও হয়েছেন????? আপনি তো dangerous লোক ভাই।

৩৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫

সপ্নময় নীলাকাশ বলেছেন: লেখাটা জটিল, তবে নারী বা পুরুষ হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে বোঝার চেষ্টা করতে হবে । পারিবারিক এবং ধমীয় অনুশাসন টা জরুরী ।

৩৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১

প্রান্তিক ০ বলেছেন: এত ত্যানা প্যাঁচানোর কী আছে! খুনির পরিচয় সে খুনি, ধর্ষকের পরিচয় সে ধর্ষক।

এরা ইসলাম নিয়ে পড়ে কেন কে জানে, বেহুদাই মানুষের মনে বিতৃষ্ণা তৈরী করে। এরা সহজ জিনিষ কেন বোঝেনা-

১. ইসলাম ধর্ষণকে যে কোন অবস্থাতেই জঘন্যতম অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। আখিরাত বাদই দেন শরীয়াহ মানলে ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির কথা কেন ভুলে যায় (যদিও শুধু ধর্ষন নয়, সাধারণভাবে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কই এর অন্তর্ভুক্ত)?

২. আদেশ দেয়ার সময় আগে পুরুষের দৃষ্টি নত করতে বলা হয়েছে, পরে মহিলাদের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা মুসলিম বলে নিজেদের দাবী করে তাদের শুধু এই ব্যাপারে কেন সব ব্যাপারেই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা উচিত - এক্ষেত্রে নারী পুরুষের প্রশ্ন টানাই অবান্তর।

একটা ঘৃণ্যতম অপরাধকে অপরাধ হিসাবে মানতে আপত্তি কেন ! তবে হ্যাঁ জাতিগত আগ্রাসনের এই সময়টাতে আমরা যেভাবে নিজেদেরকে স্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছি সেটা ব্যক্তিগতভাবে আমিও সমর্থন করিনা তারমানে এই না যে ওতে এই ধরণের পৈশাচিক আচরণের প্রতি নুন্যতম দুর্বলতা তৈরী হবে। ধর্মপুত্তুর যুধিষ্ঠিরগুলোরে বলি - গুরুদায়িত্ব পালনে যাওয়ার আগে যে গর্তের মধ্যে কোমর পর্যন্ত গেঁড়ে পাথর মেরে পাবলিক তোরে মারবে সি গর্ত খুঁড়ে যাস, আর উইল করে যাস এই পাতর মাইরা হত্যায় তোর কোন আপত্তি নাই।

৩৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

সজীব আকিব বলেছেন: পর্দা করলে ধর্ষণ কমে যাবে এরকম যারা ভাবে তাদের মাথায় গোবর ছাড়া আর কিছুই নেই।

একজন ধর্ষণকারীর জন্য কোন যুক্তিতে একটি মেয়ে বস্তায় আবৃত হবে তা বোধগম্য নয়। বরং মেয়ে দেখলেই যাদের ইয়ে খাড়িয়ে যায় তাদের জন্য এর সাথে ইট বেধে রাখা বাধ্যতামূলক করা উচিত।

৩৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

স্বপ্ন চারিণী বলেছেন: আমরা অপ্রিয় সত্যকে ফেস করতে ভয় পায়; এই ধরনের লেখা কখনও নির্বাচিত পাতায় আসবে না; তাই এখানে এসে লিঙ্কটা দিতে হলোঃ

তোমরা যারা ছোট্ট ছোট্ট টাইট কাপড় পরো

৩৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

মুনসী১৬১২ বলেছেন: প্রতিরোধ প্রতিকার দুটোই রোগ দমনের জন্য জরুরী...তবে গ্যাংগ্রিনে আক্রন্ত হলে আগে অপারেশন প্রয়োজন

আগে কঠোর শাস্তি ............তারপর শালিনতা ...........

লজ্জা স্থানের হেফাজত পুরুষ নারী উভয়ের জন্য ফরয

নৈতিকতা চর্চা প্রয়োজন কিন্তু আগে শাস্তির বাস্তবায়ন জরুরী.....

যারা ধর্মের বিধিবিধানের কথা বলছেন সেই রাষ্ট্রীয় কাঠামো বিদ্যমন থাকলে সে বিধি আপনা হতেই
বাস্কবায়ন হতো আপনার মুখের ফেনা তুলতে হতো না....

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার জন্য আইনের শক্ত প্রয়োগ জরুরী....

এর সঙ্গে অপসংস্কৃতির প্রসার রোধে ও নৈতিকতার শিক্ষায় পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে...



৪০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

অপর্না হালদার বলেছেন: প্রত্যেকটি কথাই আপনি সুন্দর করে বলার চেষ্টা করেছেন ।

প্রধমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগামী ১১ তারিখ আপনাদের সাথে স্বশরীরে থাকতে পারবোনা । তবে অনলাইনে থাকার সর্বাত্তক চেষ্টা করবো । বাস্তবতার জন্য হয়ত পারবোনা রাজপথে থাকতে তবে এমন একটা সময় ছিল রাজপথে ব্যানার বা প্লাকার্ড হাতে প্রায়ই থাকতাম বিবেকের তাগিদে । আজকাল হয়ত তেমনটা পারিনা । তবে সকল ইতিবাকচ আন্দোলনে মন পড়ে সাথে রাজপথে ।

যারা বোরখা, পর্দা, শরীর প্রদর্শনকে ধর্ষনের জন্য দায়ী করে ইসলামের কথা বলে হাই তুলছে, ওয়াজ মাহফিলের নামে বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে বাতাস কম্পিত করছে তাদের প্রতি ঘৃনা রইল যত আমি দিতে পারি তার সবটুকুই । ইদানিং কালের বেশির ভাগ ওয়াজ শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন তারা কি বলতে চাচ্ছেন বা কি বলছেন ।!!!!!!!!!!!!!!

এখনই এর তীব্র প্রতিবাদ করুন । ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করুন । সকল ধর্মকে সম্মান করতে সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে । এর কোন ব্যপতয় হলে আপনি আমি তথা কেহই নিরাপদ নয়....... সকল মা বোন, ভাইয়ারা(ইমাম কতৃক) ধর্ষিত হবে । কোন সন্দেহ নেই ।।।।।।।।।


আসুন রাজপথে, ব্লগে সকলক্ষেত্রে নিজের ধর্ম ব্যবসা থেকে দূরে গিয়ে সকল মানুষের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার কাজ করি ।

৪১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: অনেক আবেগ আর যুক্তির সমন্নয়ে একটা ভাল পোষ্ট হইছে। কিন্তু লেখক এর সাথে কিছু বিষয়ে একমত হতে পারলাম না। আমার মতে কোন ধমই খারাপ কোন কাজে সাপোট করে না । সবাই যদি যে যার ধমের প্রতি অনুরাগী হয় তাহলে এই সমস্যার ৫০% সমাধান হয়ে যাবে। আর কিছু সাইকো মানুষ আছে যারা সকল সমাজে সকল সময়ে ছিল। এই সব মানুষের অ্যাবনরমাল সাইকোলজিই রেপ এর জন্য দায়ী। ধর্মীয় অনুশাসন থাকতে হবে আবার কঠোর আইনও থাকতে হবে তাহলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

৪২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০

২০১৩ বলেছেন: হ্যাঁ আমি ও এই মত কে স্বমর্থন করি, শুধু মাত্র এই কারনে যে কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কি মানুষের ও শোভা পায়। অথবা তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?

মেয়ে যদি নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায় তবে আপনি (পুরুষ) বড়জোর তেল, স্যাম্পু নিয়ে বাথরুমে যেতে পারেন কিন্তু রেপ করতে পারেন না। অবশ্যই অবশ্যই না।

৪৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

নেক্সাস বলেছেন: সেদিন চাঁদপুরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষিত হল।নিশ্চয় সে মিনি স্কার্ট পরে থাকেনা।

ইনফ্যাক্ট ধর্ষনের জন্য আমাদের গোটা সমাজ ব্যাবস্থাই দায়ী।

মূলত আমাদের তথা মানুষের চিরাচরিত স্বভাব হল প্রযুক্তির অপব্যাবহার। প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইটের বিস্তারের ফলে বেড়েছে পর্নোগ্রাফী ও বিজাতিয় সংস্কৃতির বানজ্যিক আধিপত্য। কিন্তু সে বিষয় মাথায় রেখে প্রশাসনিক কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়না। নেই পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রনের শক্ত কোন আইন বা উদ্যেগ।
আর এসব পর্নোগ্রাফীর বিস্তার কিছু মানুষের মানসীক বিকারের জন্ম দেয় এবং বর্ন ধর্ম নির্বিশেষে এরাই হয়ে উঠে ধর্ষক।

কাজেই ধর্ষনের মত মহামারি রুখতে প্রয়োজন কঠিন আইন এবং নৈতিক শিক্ষা। প্রয়োজন যৌনতা বিষয়ে শিক্ষা। কোনভাবেই গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধর্ষনের বিচার করা যাবেনা। ধর্ষনের বিচার করতে হবে আদালতে এবং ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে।


সেই সাথে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বাইরে যে কোন বানিজ্যিক সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে সতর্ক নীতিমালা প্রয়োজন।

৪৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

অদৃশ্য বলেছেন:



গ্লসিয়ার বলেছেন দেশে আইনের শাসন জরুরি...ঠিক, এর কোন বিকল্প নাই...

তারপরেও সুদূর অতীত থেকে আজ অবধি এইসব জঘন্য অপরাধ হয়ে আসছে... এখনো মানুষরা সভ্যতা ও অসভ্যতাকে পাশাপাশি রেখেই চলে..... কেউ কেউ শুধু ভালোটার ব্যবহার করে থাকে... কেউ ভালোখারাপ দু'টোরই... আর কেউ কেউ শুধু খারাপটার...

আমরা পথে দাড়িয়ে বা অনেক আইন তৈরী করেও হয়তো এসব অপরাধকে নির্মূল করতে পারবোনা... এর জন্য আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন... নিজের বিবেককে জাগানো প্রয়োজন...

মানুষের ভেতরের ক্ষুধা লোভ লালসা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা তৈরী না হওয়া পর্যন্ত এসব অনাচার হয়তো চলতেই থাকবে...

তবে তা কতদিন বা কতকাল....

পরিশেষে আপনার মতোকরেই বলি..... দোষ আসলে আমাদের দৃষ্টির... অন্তরদৃষ্টির...

শুভকামনা....

৪৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: তোর প্রতিটা কথার সাথেই একমত।

৪৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

রাফসান রাফী বলেছেন: একটা মেয়েকে একটা ছেলে অশালীন কাপড় পরার জন্য ধর্ষণ করেছে নাকি করে নাই –এটা খুবই অস্বস্তিকর একটা “shallow” আলোচনা । যদি বলা হয়, অশালীন পোষাকই দায়ী, তাহলে ধর্ষক কিছুটা জাস্টিফিকেশন পেয়ে যায়। আবার যদি বলা হয়, “অশালীন পোষাক দায়ী নয়”, সেক্ষেত্রেও মনে হওয়ার কথা, “মানুষ কি ধ্বজ নাকি?”


আর মেয়েদের সমস্যা কেবল তাদের শরীরে নয়, দৃষ্টিভঙ্গিতেও! একটা মেয়ে যখন নিজেকে সম্মান করতে চাইবে, তখন সে পোশাকের ক্ষেত্রে শালীনতা আনবে, চলাফেরার ক্ষেত্রে শালীনতা আনবে! কারন সে কোনভাবেই পুরুষের চোখের কুৎসিত বিনুদন হতে চাইবেনা! পুরুষের ভোগের উপকরন হতে চাইবেনা!

আরেকটা কথা মেয়েদের জন্য, পতিতাবৃত্তি, মডেলিং আর অভিনয়ের নামে অভিজাত পতিতা হওয়া ছাড়া কি আর কোন পথ নেই! সমাজে এতো পেশা থাকতে ঐ শরীরসর্বস্ব পেশাকেই কেন বেছে নিতে হবে---???


আর পুরুষের কথা কি আর বলবো, এরাই ফুসলিয়ে মেয়েদের পতিতা বানায়, এরাই ঠিক করে দেয় মেয়েদের কাপড় ফ্যাশনের আড়ালে কতটুকু ছোট হবে, কতটুকু পাতলা হবে, এরাই কর্পোরেট কালচারের নামে উচ্চ শ্রেণীর অভিজাত পতিতা তৈরি করে, এরাই পর্ণ মুভি বানায়-----

তাই দোষ কেবল মেয়েদের না আর শুধুই ছেলেদের না, দোষ সবার, দোষ এই পুজিবাদের নামে চলা ভোগবাদের!!!

৪৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: মত ৫: বয়ফ্রেণ্ডের লগে শুইলে দোষ নাই কেউ রেপ করলে দোষ!
মত ৫এর উত্তরে বলেছি, লাভ মেকিং আর রেপের সংজ্ঞা এক নয় ।
......এটা আপনার কি ধরনের মতবাদ।

এখন ঢাকা শহরের রাস্তার মধ্যে প্রায় চোখে পড়ে রিকশার মধ্যে ২ জন যুবক যুবতী প্রকাশ্যে একজন আরেকজন কে চুমো খাইতাছে। এক অপরের তাদের বিশেষ অঙ্গগুলো র্স্পশ করতেছে। তাহলে এদের ধর্ষনের মতো অবৈধ কাজ গুলো কে আপনি বৈধ করে দিলেন।

আপনি কি বুঝেন না, আজকে হয়তো আপনি তাকে খারাপ কাজ গুলোর সম্মতি দিয়ে যৌবনের যে সুড়সুড়ি তুলে দিয়েছেন, কালকে বা কিছু দিন পরে সে যখন আপনাকে পাবে না তখন তার যৌবনের সে সুড়সুড়ি মিটানোর জন্য সে অন্য আরেকজন মেয়ে কে ধর্ষন করে বসবে না সেটার সিকিউরিটি আপনি কি দিতে পারবেন...????? আশা করি উত্তর দিবেন।

আর ড্রেসআপ এর কথা টা বললে, আপনারা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। আপনারা এটা ভালো করে বুঝেন যে, একজন পুরুষের কাছে লোভনীয় বিষয় হলো একটি মেয়ে, সে যতো ভালো পুরষ হোক আর যত নোংরা হোক। এটা বুঝা সত্তেও আপনার টাইট প্যান্ট আর টাইট শার্ট পড়েন, যেটা পরলে আপনাদের শরীরের সমস্ত ভাঁজ ফুটে উঠে। এখন বলেন যে পুরুষ সব সময় নারীদের পাওয়ার কামনা করে, তার সামনে দিয়ে এই রকম ড্রেসআফ পড়া একটি মেয়ে হেঁটে গিয়ে তাকে কি ধর্ষন করার আহ্বান করতেছে না.....?????
বা এই ড্রেসআপ পড়ে সে কিসের মহত্ত ফুটিয়ে তুলতেছে.........???? তার শরীরের ভাঁজগুলোর ...?? নাকি তার ওভার র্স্মাটনেসের...?? নাকি তার ভালো ব্যাক্তিতের......??????

আর আপনি একতরফা পুরুষ কে দায় চাপিয়ে দায়িত্ব আদায় করলে তো হবে না। আপনি কি দেখেন না মিড়িয়া গুলোর কাজকাম, যারা মেয়েদের পোডাক্টের মড়েলের আড়ালে পর্ণ এর মড়েল হিসেবে তৈরী করতেছে। আপনি কি দেখেন নি, ইন্ড়িয়ান এক্স বড়ি স্প্রের বিজ্ঞাপন...?? যেখানে মেয়েটি সেক্স এর তাড়নায় তার শশুরের কাপড় পর্যন্ত খুলে ফেলতেছে। এটার জন্য দায়ী কারা....???? ওই মেয়েটি নাকি বিজ্ঞাপন নির্মাতারা...???? নিশ্চয় বিজ্ঞাপনের মেয়েটি অশিক্ষিত ছিলো না বা অবুঝ ও ছিলো না। আরেক টি বিজ্ঞাপনে একটি মেয়ে যে কাপড় টা না পড়লেই হয় না সেই রকম একটি কাপড় পড়ে বলতেছে, "দিস ইজ দ্যা নটি ওয়ার্ল্ড, সো গেট রেড়ী".. এটা কিসের রেড়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিতেছে সে পুরুষ সমাজের প্রতি.....??? যদি ও সে একজন মেয়ে।


একটা কথা মনে রাখতে হবে এক হাতে তালি বাজে না। পুরুষের যেমন নোংরা মানসিকতা আছে মেয়েদের ব্যাপারে, মেয়েদের কেও তেমনি সচেতন হতে হবে, পুরুষের সেই নোংরামির ব্যাপারে।

৪৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

পরীবানু বলেছেন: @ দেখি তো পারি কিনা..... : হাই ছাগু.................................

৪৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

বিভ্রান্ত??? বলেছেন: কিছু দিন আগে একজন তার ব্লগে বিভিন্ন দেশের নাম, রেইপ এর হার এবং বিশেষ করে ঐসব দেশের সমাজ ব্যাবস্থা ও মেয়েদের ড্রেস- আপ সহ একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিলেন। সেখানে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে মেয়েদের পোশাক পরিধানেই মূল সমস্যা। দূর্বা আপুর এই ব্লগ টির প্রতি সেই ব্লগার ভাই এর দৃষ্টি আশা করছি। আসলেই সমস্যা আমাদের পোশাকে নয়, তথাকথিত পুরুষদের দৃষ্টি ভঙ্গিতে। "সর্বোচ্চ শাস্তি" কথাটি বাতিল করতে হবে। ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিৎ "মৃত্যু দণ্ড"।

৫০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

বিভ্রান্ত??? বলেছেন: দেখি তো পারি কিনা.।ঃ ভাই, ভালই তো লিখসেন। :-P

৫১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

আমিনুর রহমান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন +++

সামনের ১১তারিখ আমরা পথে দাড়াবো চাইলে আপনিও আমাদের সামিল হন, আমরা দাড়াচ্ছি পথে

বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে দাড়াচ্ছি আমরা। আসুন একত্রিত হয়ে এগিয়ে যাই।

৫২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

আশমএরশাদ বলেছেন: "মেয়েদের কাপড়ের মাফ না মেপে নিজের নজরের মান মাপবেন এটাই হোক আমাদের ভাইদের অংগিকার।"

যারা ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই সব সমস্যার সমাধান মনে করেন তাদের জন্য:

স্বরূপকাঠিতে ইমাম কর্তৃক ৮ বছরের শিশু ধর্ষিত
Click This Link
সিলেটে পঞ্চাশোর্ধ ইমাম কর্তৃক শিশু ধর্ষণ : লম্পট গ্রেফতার
Click This Link
মসজিদের ইমাম আরবি পড়তে আসা ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে।
https://taiyabs.wordpress.com/2009/06/12/
মঙ্গলবার সকালে কাশিমুর গ্রামে জনৈক শিশু (৮) আরবী পড়ার জন্য মক্তবে গেলে ইমাম নাজমুল ইসলাম কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়।
http://newsbd.net/?p=17752

৫৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১২

দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: পরীবানু .........আপনার কি চুলকায়তেছে।

৫৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

এক্স ফ্যাক্টর বলেছেন: দেখি তো পারি কিনা. er shate ekmot, unar cmnt pore dekhun

৫৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

শামীম আরা সনি বলেছেন: পোস্টে ঝাঝা !! অসাম আপু :)

৫৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

মাথানষ্ট০০৭ বলেছেন: রাফসান রাফী দেখি তো পারি কিনা এই দুইটা ছাগুরে দুইটা লাথ্থি দেন তো আপা। তাইলে বলতে পারবেন দুইটা ধর্ষককে জীবনে লাথি দিতে পারছেন।

৫৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: দেখিতো পারি কিনা ছাগুর বাচ্চা এই পোষ্টে ল্যাদাইতে আসছিস আবার X(

৫৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

মেহেরুন বলেছেন: এক কথায় চমৎকার একটা পোস্ট আপুনি +++++++

৫৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: মাথানষ্ট০০৭ .... দায়িত্ববান নাগরিক.....শুনুন ভাই আপনারা সবসময় ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্ছার মতো আচরন করেন। কোন একটি কমেন্ট বা কোন একটি পোষ্টে নিজের চিন্তা চেতনা কে কাজে লাগিয়ে নিজ থেকে কিছু বের করতে পেরেছেন। পারেন নি। শুধু আরেক জনের সহানুভুতি পাওয়ার জন্য কোন কিছু না বুঝে ছাগলের বাচ্ছার মতো ব্যা ব্যা করতে থাকেন।

কি লাভ এই সব চাটুকারিতা আর চাটামি করে। আমি আমার কমেন্টে অযুক্তিক কোন কথা বলে থাকলে সেটার বিপক্ষে বলে আমার ভুল টা ধরিয়ে দিন। সেটা তো জীবনে ও পারবেন না। পারবেন শুধু অশ্লীল বাক্যালাপ আর গায়ের জোরে কথা বলা।.........। ভালো থাকবেন। আল্লাহ আপনাদের সঠিক বুঝ দান করুক।

৬০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

গ্রহণ কালের অথিতী বলেছেন: চমৎকার একটা পোষ্ট আপু

৬১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

জহির মোর্শেদ বলেছেন: "সমস্যা আমার শরীরে নয়, তোমার দৃষ্টিভঙ্গিতে!"
চমৎকার কথা ! আসলে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টালে সামাজিক এবং ব্যক্তিজীবনে অনেক সমস্যা কমে যায়!

৬২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @দূর্বা , আপনাকে ছোট্ট করে লিঙ্ক দিয়েছিলাম । কয়েকদিন আগে কিছু পর্দাবাদী খেপছিল , এখন দেখি তারা আবার খেপছে । তারা যখন খেপছিল তখন আমরা কয়েকজন কিছু পোস্ট দিছিলাম , তারা একটাও উত্তর দিতে পারে নাই । আপনার পোস্টেও দেখছি তারা একই কাজ করতেছে , তাই আর লিঙ্ক না দিয়ে ওনাদের জন্য পুরো পোস্ট ই কপি পেস্ট করে আপনার এই পোষ্টে দিয়ে দেই ? দেখি তার পরেতেনারা কি বলে ?


আর পর্দা পর্দা করে যারা মাথা কুটে মরে যাচ্ছেন , তারা নিচের কমেন্ট তিনটার উত্তর দিয়ে যাবেন । আর না পারলে অফ যান ।

৬৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:
অনেকে দেখছি একটা ছবির উদাহারন দিয়ে পোশাকের দোহাই দিয়ে ধর্ষণকে একপ্রকার সমর্থনই দিয়ে যাচ্ছে । তাদের সব পোষ্টে কমেন্ট করে করে তাদের বুঝাতে বুঝাতে আমি ক্লান্ত ।

অনেকে সৌদি সৌদি করে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন , তাদের বলিঃধর্মীয় অনুশাসন অস্বীকার করি না । তার প্রয়োজন আছে । কিন্তু সবচে' বেশি প্রয়োজন আইনের অনুশাসন ।ধর্মীয় অনুশাসন আর পোশাকের প্রভাব ৫% হলে আইনের অনুশাসন এর প্রভাব ৯৫ % বিশ্বাস হয় না ? একটা কাজ করে দেখুন তো ভাই , কালকে থেকে সৌদি নীতিতে সবাইকে হিজাব করতে বলে আইনটা একটু তুলে দিয়ে দেখুন , কি হয় । আর পরের দিন এখন যেমন আছে তেমন রেখে ৯০ দিনে ধর্ষকদের ফাঁসী কার্যকর করার নির্দেশ জারি করে দেখেন কি হয় । এক সৌদির উদাহারন দিলে তো হবে না । সৌদিরা তাদের হারেমে কি করে আর বাইরে জুব্বা পড়ে ঘুরে , তা আমরা সবাই জানি । এই বিষয়ে ব্লগার অগ্নির তার পোষ্টে বলেছেন '' পর্দানশীন 'ইসলামী' দেশে ধর্ষন হয়না : সত্য । কারন ধর্ষনের সংজ্ঞা হইল, একজনের মত ছাড়াই তার সাথে জবরদস্তি যৌন সংসর্গ স্থাপন করা । আর যেই দেশে 'মেয়েদের মত' জাতীয় কোন বস্তুরই স্বীকৃতি নাই , সেই দেশে ধর্ষন হবে কিভাবে ? যেই দেশে কেউ ধর্ষনের অভিযোগ করতে গেলে তারে জেনা করার অভিযোগে দোররা মারা হয়, তাদের ধর্ষনের রিপোর্ট কম হবেনা তো কি সুইজারল্যান্ডে হবে ?
যাদের দেশে ধর্ষনের রেকর্ড এত কম, তাদের দেশে ভয়ে অন্যান্য দেশ নিজেদের নারীকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিছে ।
আচ্ছা , মুখতার মাই যেন কে ?
''
এখানে দেখুন http://en.wikipedia.org/wiki/Rape_statistics বিভিন্ন আধুনিক দেশে ধর্ষণের ঘটনা
Switzerland * ৫৪৩
Hungary ২১৪ ( ২০০৮)
Luxembourg ৫৭( ২০০৮ )
Liechtenstein ০ ( ২০০৮ )
Greece ২৩২ ( ২০০৮ )
আর বিভিন্ন দেশ যারা কঠিন পর্দা প্রথা চালায় সেখানে ধর্ষণের ঘটনা
Morocco ১১৩০(২০০৮)
Kuwait ১২০ ( ২০০৮)
Oman ১৩০ (২০০৮)
Turkey ১০৭১ ( ২০০৮ )
এভাবে সাল আর দেশের তুলনামূলক উদাহারন দিয়ে শেষ করা যাবে না । এক সৌদি সৌদি বলে মুখে ফেনা তুলে লাভ কি আপনাদের ? খোদ ইরানেই ২ লক্ষ সরকার স্বীকৃত পতিতা আছে । আর ইদানিং তাদের খদ্দেরদের কাজটা বৈধ করার ব্যবস্হাও করা হয়েছে । ধর্মীয় অনুশাসন আর পোশাকের প্রভাবের তুলনায় আইনের অনুশাসনের প্রয়োজন যে অনেক অনেক বেশি , তার প্রমাণ উপরে উপাত্ত থেকে কিছুটা হলেও বুঝা যাচ্ছে ।
অনেকে আবার রিভার্স ও বলে থাকেন যে , পশ্চিমা দেশগুলাতে তো রেইপ এর হার অনেক বেশি । হাহাহাহা কতোটা মাথামোটা হলে এটা বলে ! প্রথমত পশ্চিমা উন্নত দেশগুলাতে কোন ভুয়া পরিসংখ্যান হয় না । দ্বিতীয়ত , স্বামী যদি জোরপূর্বক স্ত্রীকে বাধ্য করে , তাহলে এখানকার স্ত্রীরা সোজা রেইপ মামলা করে বসে । সেটা আমাদের দেশ কিংবা মধ্যপ্রাচ্চ্যের দেশগুলোতে অকল্পনীয় ওহ ! পর্দাবাদীরা , এটা কি বুঝনে যে স্বামীও তার স্ত্রীকে রেইপ করতে পারে ? না বুঝলে পোস্ট আর পড়ার দরকার নাই । আপনার জন্য শুধুই করুণা থাকল।

যারা অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের ধর্ষণ বিষয়ক পরিসংখ্যান তুলনা করে গদগদ হন , তাদের বলিঃ কোন দেশের ধর্ষণের পরিসংখ্যান কি তা দেখার কোন প্রয়োজন আছে কি ? নিজের দেশের দিকে তাকান । একটা ধর্ষণের ঘটনাও কাম্য নয় । বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ৩০০০ থেকে ৪০০০ ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট হয় । যা সরকার স্বীকার করে । অন্য সুত্রগুলো বলে এই সংখ্যা ১০,০০০ এর কাছাকাছি থাকে গড়পড়তা । আর যে ঘটনা গুলোর রিপোর্ট হয় না সেগুলো যোগ করলে টোটাল সংখ্যা কতো হবে ধারনা করতে পারেন !
অন্য দেশের সাথে তুলনা করে খুশিতে গদগদ হওয়ার কিছু নাই । অন্যায় তুলনা করে যারা খুশি হয় , তাদের মনুষ্যত্ববোধ কতোটুকু ! আমি বুঝি না !

আর যারা শুধুমাত্র শালীনতাই একমাত্র সমাধান বলে মনে করেন তাদের বলিঃ একবার এক নিউজে দেখেছিলাম এক সাংবাদিক ভোলার এক কলেজ শিক্ষককে প্রশ্ন করেছিল '' আপনাদের এখানে চর / দ্বীপ দখলের সময় শুনেছিলাম গতবার ৫০০ ধর্ষণ হয়েছিলো ? '' সেই শিক্ষক বলেছিল '' না , এটা সত্য নয় । মাত্র ১০০ খানেক হয়েছল ! '' খেয়াল করুন সে শিক্ষক (!) এবং বলছে মাত্র ১০০ খানেক ! এই মুহূর্তে লিঙ্ক মনে পড়ছে না । খুঁজলে পেয়ে যাবেন । আর ভাই আমি ইউকে তে থাকি ।( যারা প্রবাসী তারা এই বিষয়গুলো ভালো বুঝতে পারবেন ) মিনি স্কার্ট আর টপস পরা মেয়ে তো হরহামেশাই দেখি । এগুলো এখন নরমাল হয়ে গেছে । তাকানোর প্রয়োজনও মনে করি না । কৈ ? আমার তো মনে হয় না , যে , যাই অমুককে ধর্ষণ করে আসি । আপনার মনে হয় ? যারা ধর্ষক , তারা বোরখাপরা মেয়েদেরকেও ধর্ষণ করে । আমার পূর্বের পোষ্টে অনেক লিঙ্ক আছে দেখুন গিয়ে । ক্লাস ৪ এর মেয়ে কিংবা ৬ বছরের একটা মেয়ে কি এমন যৌন আবেদন প্রকাশ করে ? কি এমন খারাপ পোশাক পরে তারা ? হ্যাঁ ? এদেরকেও ধর্ষণ করে নর পশুরা । আর একবার খবরে এসেছিলো ৭০ বছরের বৃদ্ধাকেও ধর্ষণ করা হয়েছিলো , মাদ্রাসার এক হুজুর ধর্ষণ করেছিলো মাদ্রাসার এক ছাত্রকেও ধর্ষণ করেছিলো , এক পশু ধর্ষণ করেছিলো এক গরুকেও !!!

ভাই বাংলাদেশে তো কেউ মিনিস্কার্ট আর টপস পড়ে ঘুরে না । ৯০% সালোয়ার কামিজ পড়ে । কিছু হয়তো বড়জোর জিন্স টপস পড়ে । তাহলে ? যারা রেপিস্ট তারা স্যাডিস্ট । মেয়েরা যাই পড়ুক না কেন , তারা ধর্ষণ করবেই । বাংলাদেশে থাকতেও তো অনেক মেয়েকে দেখেছি । চোখের ভাললাগায় হয়তো একবারের পর দুইবার তাকিয়েছি , বড় জোর মনে হয়েছিলো তার সাথে যদি একটা সম্পর্ক হত ! হোক বন্ধুত্ব কিংবা ভালোবাসা । কিন্তু কখনও তো মনে হয় নি , যাই রেইপ করে আসি ! আমার অনেক বন্ধুবান্ধব ছিল / আছে , যাদের অনেকেই অনেক উগ্র ( ছেলে ) কিংবা প্লেবয় টাইপের । আমি এখন পর্যন্ত একজনকেও কোন দিনও বলতে শুনিনি '' দোস্ত , ঐ মাইয়ারে ভাল্লাগছে , যাই রেইপ করে আসি ! '' আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন করি , আপনাদেরও তো অনেক বন্ধু বান্ধব আছে , তাদের মধ্যে কয়জনকে বলতে শুনেছেন '' '' দোস্ত , ঐ মাইয়ারে ভাল্লাগছে , যাই রেইপ করে আসি ! '' কয়জনকে রেইপ করার কথা চিন্তাও করতে দেখেছেন ? ''

আরও একটা বিষয় বুঝতে হবে , আকর্ষণীয় ড্রেস পড়া একটা মেয়ের দিকে আগ্রহের দৃষ্টিতে তাকানো , তাকে ভালোলাগা কিংবা তার সাথে সম্পর্ক করার ইচ্ছা আর কাউকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় । কয়েকজন আবার পশ্চিমের অবাধ সেক্সের বিষয়টাও কেন যেন অকারনে তুলে আনছেন । তাদের বলি আগে জানতে শিখুন মিচুয়াল সেক্স , ফ্রি সেক্স আর স্যাডিস্ট , রেপিস্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি । মিচুয়াল সেক্স কিংবা ফ্রি সেক্স বাংলাদেশেও কম হয় না । সেগুলো নিয়ে তো কেউ বলছে না যে ওগুলা ধর্ষণ হচ্ছে । ধর্ষণের সাথে এগুলার কেন তুলনা করা হচ্ছে আমি বুঝিনা । যারা মিচুয়াল সেক্স কিংবা ফ্রি সেক্স করে তাদের রেইপ করার প্রয়োজন হয় না । রেইপ করার প্রয়োজন তাদেরই হয় , যারা স্যাডিস্ট , সাইকো , সিক তাদের ।

এখন যারা পোশাকের দোহাই দিয়ে ধর্ষণকে একরকম ছাড়পত্র দিচ্ছে , তাদের কাছে একটা প্রশ্নঃ আপনাদের কথা অনুযায়ী , আপনারা এরকম অসংখ্য হট (!) মেয়ে নিশ্চয়ই দেখেছেন জীবনে , আর দেখছেন প্রতিনিয়তই । আর আপনাদের কথা অনুযায়ী এইগুলা দেখলেই ধর্ষণ করার জোশ জেগে ওঠে ( যা আমরা সমর্থন করি না ) তাহলে বলেন যে , আজ পর্যন্ত কয়টা ধর্ষণ করছেন ? হ্যাঁ ?

অনেকে আবার দেশভেদে ধর্ষণের সংজ্ঞাও পরিবর্তন করে ফেলছেন , তাদের বলিঃ যে দেশই হোক ধর্ষণের সংজ্ঞা একটাই , ধর্ষণ একপ্রকার যৌন অত্যাচার। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অনুমতি ব্যতিরেকে যৌনাঙ্গের মিলন ঘটিয়ে বা না ঘটিয়ে যৌন সংগমে লিপ্ত হওয়াকে ধর্ষণ বলা হয়।
Rape is a type of sexual assault usually involving sexual intercourse, which is initiated by one or more persons against another person without that person's consent.


ফ্রি সেক্স কিংবা মিচুয়াল সেক্স কে ধর্ষণ বলে না । এই দুইটাই আমাদের দেশেও কিন্তু কম হয় না । কিন্তু দেশভেদে ধর্ষণের সংজ্ঞা আলাদা তা মানতে পারলাম না । পশ্চিমে যেগুলো রেইপ এর রিপোর্ট হয় , তা এই সংজ্ঞাতেই রেইপ হয় । না হলে সেই কেস এদেশের আদালত নেয় না ।

স্নিগ বলেছেন: যখন ক্ষুর নিয়ে ছিনতাই হতে দেখেন তখন তারা সাধারণ মাণুষ। যখন বাসে মধ্যবয়সী মহিলা দাড়িয়ে যায়, তখন তারা সাধারণ মাণুষ। যখন বসুন্ধরা (বাশ ধরা) শপিং কমপ্লেক্সে অ্যাবসার্ড প্রাইজে ফেক্সটেসির চাড্ডি কিনতে হয়, তখনও তারা সাধারণ মাণুষ। কিন্তু যখন কোনো নারীর ওড়না হালকা সরে যায়, সাথে সাথে তারা সক্ষম পুরুষ। এমন তিমিরবিদারী দানবীয় পৌরুষরে আমার সালাম।

ব্লগার @ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি আরও বলেছেন ,
যে সকল বড়লোকের মেয়েরা পশ্চিমা পোশাক পইরা ঘুরে, যাদের পর্দা নিয়া আপনারা চিন্তিত, পারলে তাদের ধর্ষণ কইরা দেখাইয়েন। মাইয়ার প্রতাপশালী বাপে আপনেগোর মত পর্দাবাদীগোর --- দিয়া আইক্কাওয়ালা বাশ ঢুকাইয়া ছিন্নভিন্ন কইরা দিব।
পোড়া কপাল হইল সাধারণ মেয়েদের। এরা সমাজের আর দশজনে যা পরে, তাই পইরা জীবনধারণ করে। এরা রুচিশীল শাড়ি/সেলোয়ার/ফতুয়া পইরাই বাঙ্গালির মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা হিসাবে আমাদের মত শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী পরা বাবা, ভাই, স্বামী, ছেলেদের সাথে চলাফেরা করে। ধর্ষিত হয় এরাই। বিচার পায় না এরাই। এদের মামলা নিয়াই পুলিশে গড়িমাসি করে।
আপনাদের ঐসব ইউরোপ আমেরিকার পোশাক পরা মেয়েদের কেউ ---- ছিড়তে পারে না। কারণ ঐসব মেয়েদের মামা চাচারা পুলিশের ডি আই জি, খালা ফুপা আর্মির কর্ণেল। আপনেগো মত --- ছিড়া পর্দাবাদীগোরে ওরা --- দিয়াও ---- না।
যত পারেন খালি আমাগোর সাধারণ মানুষের লগেই। সাধারণ পোষাক পরা একটা মেয়েরে ধর্ষণ কইরা এখন ঐ মেয়ের উপর পোশাকের দোষ চাপানির মত ----- আপনেরাই পারবেন। আপনেগোর হিসাব মতে যদি মেয়েদের পর্দা করার দোষে ধর্ষণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে থাকে, তাহলে বাংলার প্রতিটা পুরুষ তাদের পৌরষত্ত্বের জ্বালায় এতদিনে অন্তত একবার হইলেও ধর্ষণ করছে।


তোরা যারা পুরুষ নেকড়ে , নারী মাংসপিণ্ড কিংবা ছেলেরা গায়ে পেট্রোল নিয়ে ঘুরে আর মেয়েরা আগুন এইসব অযৌক্তিক যুক্তি দিচ্ছিস তাদের বলিঃ X(( X(( X(( X(( X(( হারামজাদারা , তোরা নিজেদেরকে নেকড়ে পশু যা ইচ্ছা তার সাথে তুলনা কর , সব পুরুষকে কেন তুলনা করলি ? তোরা জানোয়ার বলেই তোরা নিজেদেরকে পশুর সাথে তুলনা করতে পারিস । আশরাফুল মাখলুকাত নেকড়ে হতে যাবে কেন বাচ্চা হারামিরা বলে যাবি ।
আর যাদের মেয়েদের আগুন দেখলেই গায়ে আগুন লেগে ধর্ষণের জোশ জেগে ওঠে তোরা ফার্স্ট প্লেসে গায়ে পেট্রোল নিয়ে ঘুরবি ক্যান ? ব্লগীয় ধর্ষক ( যারা ধর্ষণকে পোশাকের দোহাই দিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার চেষ্টা করছে তারাও ধর্ষক ) আর সব তাদের সমর্থক , উত্তর দিয়ে যাবি ।

তোদের এইসব আজাইরা যুক্তি খণ্ডন করে ব্লগার অগ্নির একটা পূর্ণাঙ্গ পোস্ট দিয়েছে । সেখানে আরও বলা আছে , যেই দেশের ৯০ভাগ পুরুষ রাজপথে উলঙ্গ হয়ে প্রশ্রাব করে , যেই দেশে ৯০ভাগ পুরুষ ইন্টারনেটে ঢোকে পর্ণ খুঁজতে, তাদের মুখে শালীনতার কথা মানায়না ।

ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুশাসন যাই বলেন আন কেন , আসুন আমরা তা পরিবার থেকেই গড়ে তুলি ।

যাই হোক ,পোশাক নিয়ে পানি ঘোলা না করে মূল বিষয়ে আমরা নজর দেই । বাংলাদেশে যেন একটা কঠিন আইন করা হয় দ্রুতই । নিচের একটি দাবী যেন সবজায়গাতেই স্পেসিফিকভাবে হাইলাইট হয় , প্লীজ ।

'' ধর্ষকদের জন্য একটাই আইন চাই , ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসী চাই । যাবজ্জীবন কিংবা জরিমানা নয় । কোন প্রকার ক্ষমা / বিশেষ ক্ষমা / সাধারণ ক্ষমা নয় । ''

৬৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ব্লগার অগ্নির লিখেছেন ,
ব্লগীয় ধর্ষকদের যুক্তি : যত দোষ নন্দ ঘোষ


ব্লগার অপূর্ন -র পোস্টে করা কমেন্টটা কিছুটা এডিট করে পোস্ট আকারে রাখার প্রয়োজন মনে করলাম । যারা বেহায়া নারীদের পাল্লায় পড়ে ধর্ষন করতে 'বাধ্য' হইতেছেন , তাদের জন্য এই পোস্ট । আর যারা এইসব নির্লজ্জ বাস্টার্ডদের কথায় হতবাক হয়ে গেছেন , তারাও পড়তে পারেন ।

আমার মনে হইতে শুরু করছিল পুরুষ জাতি পুরাপুরি পার্ভার্টে পরিনত হইছে । তাদের মধ্যে আর আত্মসম্মানবোধ বলে কিছু অবশিষ্ট নাই থাকলে নিজেদের এইভাবে ধর্ষক বলে প্রচার করতে পারতনা । আমার ভাইদের ধন্যবাদ, প্রতিবাদ করে পুরুষজাতির সম্মান রক্ষা করার জন্য । অন্যকে সম্মান দিলেই কেবল নিজে সম্মান পাওয়া যায় ।

এবার কিছু কথা বলি , ওইসব পুরুষ নামধারী বাস্টার্ডদের দেয়া যুক্তির নমুনা ।

অনেক পুরুষই যে কথাটা বলছেন তা হল,
শালীন পোষাক পড়লে সমস্যা কি ? :
কয়েকমাস আগে খবরে পড়ছিলাম, একটা গরুকে রেপ করা হইছে । আমি বলি কি, গরুটাকে নগ্ন রাখার দরকার কি ছিল ? জানি গরুকে কেউ কাপড়-চোপড় পরায় না । কিন্তু পরাইলে সমস্যা কি ? আছে কোন সমস্যা ? পরাইলে হয়ত রেপ হইত না । হয়ত রেপিস্ট ভাবত এইটা কোন স্পেশাল গরু । হয়ত । ট্রাই করতে সমস্যা কি ?

মাদ্রাসার এক হুজুর বাচ্চা ছেলেদের রেপ করেন । বাচ্চা ছেলেগুলাকে বোরখা পরানো হয়না কেন ? জানি ছেলেদের বোরখা পরানো হয়না । কিন্তু হইলে সমস্যা কি ? ছেলেদের বোরখা পরা নিষিদ্ধ তো না ! সমস্যা আছে কোন ?

শালীন পোষাক পরলে কোন সমস্যা নাই । কিন্তু সমস্যাটা হল, ধর্ষকের জন্য সেই পোষাক কখনই যথেষ্ট শালীন হবেনা ।

সমস্যাটা হল, আপনারা আসল সমস্যাটাই ধরতে পারতেছেন না । ভিক্টিমের দোষ আছে কিনা এটা খোঁজার মানেই হইল অপরাধীর অপরাধ জাস্টিফাই করার সুযোগ । এইভাবে যদি হিসাব করেন তাহলে দুনিয়ার যাবতীয় অপরাধকে আপনারা জাস্টিফাই করতে পারবেন । কারন কোন মানুষই নিখুঁত না । ভিক্টিমের কিছু না কিছু দোষ পাওয়া যাবেই । ঠিক কতবড় অপরাধ করলে একটা মানুষকে ধর্ষন করা জায়েজ ?

সমস্যাটা হল, অপরাধীর কাজকর্মকে আপনি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করতেছেন ভিক্টিম কে উপদেশ বা শাস্তি দিয়ে । চুরি করছে কুদ্দুস, আপনি মাইর দিলেন ইউনুসরে, কারন ইউনুস চুরি করার মত জিনিষ পকেটে নিয়ে ঘুরতেছে । সে সাবধান হইলনা কেন ? মজার ব্যাপার ! ইউনুসের জিনিষও চুরি গেল, মাইরও সে খাইল । কুদ্দুসকে সবাই মুখে মুখে ভর্ৎসনা করে ছেড়ে দিল (না না কাজটা খুব খারাপ হইছে কুদ্দুসের শাস্তি হওয়া দরকার, কিন্তু আগে ইউনুসরে মারো ) কুদ্দুস কেন আবার চুরি করবেনা ?



ধর্ষন একটা ক্রাইম । যেমন কাউকে খুন করা । আপনি একটা মানুষকে খুন করতে পারেন কোন যুক্তিতে ? কোন যুক্তি দিয়েই একটা ক্রাইমকে জাস্টিফাই করা যায়না । এমনকি একটা ক্রাইমের পরিবর্তেও আপনি আরেকটা ক্রাইম করতে পারেননা । আপনার প্রতি ক্রাইম হলে আপনি আদালত বা আইনের সাহায্য নেবেন । বদলা নিতে আরেকটা খুন করতে পারবেননা । এটাই সভ্য সমাজের নিয়ম । অশালীন পোষাক পড়া মেয়েরা কার প্রতি ক্রাইম করতেছে ?

আমি অশালীন পোশাক সমর্থন করিনা । কিন্তু এটাকে কুসংস্কৃতি বলা যায়, বড়জোর সামাজিক অনাচার । এটা কোন ক্রাইম নয় । কুসংস্কৃতিকে সচেতনতা আর নৈতিক শিক্ষা দিয়ে ডিফেন্ড করতে হবে । ধর্ষন বা ইভটিজিং করে নয় ।

যারা বলেন, একজায়গায় পর্দাশীল আর বেপর্দা ২ টা মেয়ে থাকলে কুনজর পড়বে বেপর্দা মেয়েটার উপর, তারা জবাব দিয়া যান, সাজিয়া আফরিন একজন হিজাবী মেয়ে ছিলেন । এত বেহায়া মেয়েলোক চারপাশে থাকতে, ধর্ষক তার দিকে দৃষ্টি দিল কেন ?

পর্দানশীন 'ইসলামী' দেশে ধর্ষন হয়না : সত্য । কারন ধর্ষনের সংজ্ঞা হইল, একজনের মত ছাড়াই তার সাথে জবরদস্তি যৌন সংসর্গ স্থাপন করা । আর যেই দেশে 'মেয়েদের মত' জাতীয় কোন বস্তুরই স্বীকৃতি নাই , সেই দেশে ধর্ষন হবে কিভাবে ? যেই দেশে কেউ ধর্ষনের অভিযোগ করতে গেলে তারে জেনা করার অভিযোগে দোররা মারা হয়, তাদের ধর্ষনের রিপোর্ট কম হবেনা তো কি সুইজারল্যান্ডে হবে ?
যাদের দেশে ধর্ষনের রেকর্ড এত কম, তাদের দেশে ভয়ে অন্যান্য দেশ নিজেদের নারীকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিছে ।
আচ্ছা , মুখতার মাই যেন কে ?

অশালীন মেয়েদের কারনে ভদ্র নিরীহ মেয়েরা ধর্ষিত হয় : আহহা ! ধর্ষকরা অত খারাপ না । কিন্তু সারাক্ষন অশ্লীল পোষাক পরা মেয়ে দেখতে বাধ্য হয় । আর তাদেরকে না পেয়ে নিরীহ মেয়েদের উপর হামলা চালায় । ভালো কথা, তো তারা পর্ণ দেখা বন্ধ করেনা কেন ? ধরে নেই, আপনি দেশের যাবতীয় মেয়েকে (২ বছরের বাচ্চাকেও) হিজাব পরায় দিলেন । তবুও ধর্ষকরা এই যুক্তিটি দিতে পারবে । কারন তখনও তারা পর্ণ দেখবে । পর্ণ তো আপনি খুঁজে বের করেই দেখেন, নাকি ? এটা কেউ আপনাকে দেখতে বাধ্য করেনা ।
। আচ্ছা, এত্ত এত্ত বেহায়া বেশরম মেয়ে, যারা কিনা নিজেদের ইজ্জত লুটায় দেওয়ার জন্য অস্থির, তারা থাকতে ধর্ষকদের নিরীহ মেয়েদের উপর ঝুঁকি নিয়ে জবরদস্তি করার দরকারটা কি ? একান্তই যদি এমন বেহায়া মেয়েও না পায়, তাইলে যৌনকর্মীও আছে এই দেশে । ক্রাইম করার দরকার পরে কেন ?

খলের যুক্তির অভাব হয়না ।




একহাতে তালি বাজেনা : বিশেষ করে ইভটিজিং জাতীয় যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে অপরাধীকে বাচাতে এ কুযিক্তিটি দেয়া হয় । একহাতে তালি বাজেনা সত্য । কিন্তু অপরাধ একতরফাভাবে করা যায় । আপনি যখন ছিনতাই করেন একহাতেই তালি বাজে । যখন ডাকাতি করেন, চুরি করেন, খুন করেন, এক হাতেই তালি বাজে । নির্যাতিতর দোষ আছে কিনা এটা খুঁজতে যাবার মানে কি ? মানে হল নির্যাতনকারীর অপরাধ কম করে দেখানো ।

কোন পতিতাকে যৌন নির্যাতন, কিংবা ধর্ষন করা কি জায়েজ ?


আমার ডান্ডা খারায় যায় আমি কি করমু : কয়েকজন ধার্মিক মনোভাবাপন্ন ব্লগার এটি বলেছেন । এটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া । আপনি যদি মেয়েদের সালওয়ার কামিজে দেখে অভ্যস্ত হন তাহলে জিন্সে দেখে আপনার 'খারায়' যেতে পারে । যদি বোরখা দেখে অভ্যস্ত হন, সালওয়ার কামিজে দেখে আপনার 'খাড়ায়' যেতে পারে । আর যদি মেয়েদের না দেখতে অভ্যস্ত হন তবে আশেপাশে কোন মেয়ে আছে এই চিন্তাতেও আপনার 'খারায়' যেতে পারে । এমতাবস্থায় আপনার ধর্ম আপনাকে যে নির্দেশ দিয়েছে তাই করবেন । বাড়ি গিয়ে অজু করে নামাজ পড়বেন ।

কারন বেপর্দা বেহায়া মেয়েলোকের সংখ্যা পৃখিবীতে কমার কোন চান্স নাই । কিন্তু আপনাকে তো বেহেশতে যাইতেই হবে, তাই না ?

ছিলা কলা ও মাছি তত্ব : এইটাও অত্যন্ত ধার্মিক কিছু মানুষের বক্তব্য । কেউ গায়ে পেট্রল লাগায় ঘুরলে আগুনের কি দোষ ? অথবা , ছিলা কলায় মাছি তো বসবেই । আচ্ছা ধরেন, গে-রা বাচ্চা ছেলে দেখলে লোভ সামলাইতে পারতেছেনা । তাদের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠতেছে । কি করবেন ? ছেলেদের বোরখা পরাইতে শুরু করবেন ? ছেলেদেরও তো ফুটা আছে । তো ধর্ষক গে-দের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঠিক কি ধরনের ব্যবস্থা নিবেন আপনারা ?

ভালো কথা , আমাদের দেশের ৯০ ভাগ পুরুষ মাঝরাস্তায় সবার সামনে উলঙ্গ হয়ে যায় । আপনার কি মনে হয় কেন তাদের ছিলা কলায় মাছি বসেনা ?

উত্তেজিত ছেলে বনাম ক্ষুধার্ত হায়না : এ যুক্তিটিও কেউ কেউ দিয়েছেন । তাদের বক্তব্য, ছেলেদের ব্যাপক উত্তেজনা দিয়ে তৈরী করা হইছে । তারা ক্ষুধার্ত হায়না । মেয়েদের চাইতে তাদের উত্তেজনা অনেক বেশী । কাজেই তারা নিজেদের সামলাইতে পারেনা । আর যাদের এমন হয়না তারা নাকি পুরুষই না ।
মজার ব্যাপার হল, মধ্যপ্রাচ্যে এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশে মেয়েদের খৎনা করার কারন হিসেবে ঠিক এর বিপরীত যুক্তি দেয়া হয় । মেয়েদের যৌন উত্তেজনা বেশী বলে তা দমিয়ে রাখতে যৌনাঙ্গের মূল অংশটাই কেটে ফেলা । তো হতেই পারে আমাদের দেশে হয়তো উল্টাটাই সত্যি । সেক্ষেত্রে একই যুক্তি অনুসারে তাদের উচিত হবে নিজেদের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা । আমরা মেয়েরা নাহয় উত্তেজনাহীন ভদ্র সভ্য পুরুষ দিয়াই কাজ চালায় নিব ।

সমস্যাটা আপনার হইলে ব্যবস্থাও তে আপনাকেই নিতে হবে, তাইনা ? অন্যকে গাড়ী চড়তে দেখে আপনের কষ্ট হইলে আপনে তার গাড়ী চুরি করতে পারেননা , তাকে গাড়ী চড়তে বাধা দিতেও পারেননা । নিজে গাড়ি কিনেন । অথবা আপনি নিজেই বাইরে বের হওয়া বন্ধ করেন ।

যেসব পুরুষ মেয়ে দেখলে ধর্ষনের ইচ্ছা (অথবা ইভ টিজিং এর ইচ্ছা) সামলাতে পারেননা , তারা অন্তপুরবাসী হন । কারন বেহায়া মেয়েলোক দুনিয়াতে কমবেনা....ইশশ...কিন্তু আপনাকে তো পরকাল নষ্ট করলে চলবেনা...তাই না ?

নিজের পরকাল বাঁচাতে আকুল ধর্ষকরা দুই চোখ ঢাকা বোরখাও পরতে পারেন ।

নারীরা অশালীন পোশাক পরবে ক্যান: কিছু পুরুষ কোনোভাবেই নারীকে খারাপ পোষাকে দেখতে চাননা । আপনার মনে হতেই পারে, এটা তো খারাপ কথা নয় । তাদের পোস্ট দেখে যে কারো মনে হওয়াটা স্বাভাবিক, আমাদের দেশীয় পুরুষরা অত্যন্ত শালীনতাপ্রিয় । এটি ভালো । আমিও সমর্থন করি । কিন্তু কিছুতেই ভেবে পাইনা, তাইলে তারা খুঁজে খুঁজে পর্ণ দেখে কেন ? রাস্তাঘাটে বেহায়া মেয়েলোক এসে পড়লে না হয় আপনি দেখতে বাধ্য হন, ফলে আপনার ইহকাল পরকাল হুমকীর মুখে পড়ে । কিন্তু নেটে তো একটা ফিল্টার লাগানোই যথেষ্ট । তা দূরে থাক, আপনি আরো সার্চ করে করে খুঁজে বের করেন । বাংলাদেশ থেকে পর্ণ খোঁজার হার কেমন, তা ওয়েবে সার্চ করে দেখতে পারেন । তাও বাদ দেই, এই সামু ব্লগেই হট ভিডিও চেয়ে যারা ইমেইল এর সারি দিয়েছিলেন, তাদের অনেককেই দেখি শালীন পোশাকে মেয়ে দেখতে ভীষন আগ্রহী । হিপোক্রেটস !

যেই দেশের ৯০ভাগ পুরুষ রাজপথে উলঙ্গ হয়ে প্রশ্রাব করে , যেই দেশে ৯০ভাগ পুরুষ ইন্টারনেটে ঢোকে পর্ণ খুঁজতে, তাদের মুখে শালীনতার কথা মানায়না ।


আমাদের দেশের মেয়েরা এখনও অনেক ভদ্রভাবে চলাফেরা করে । প্রচুর মেয়েরা হিজাব , বোরখা পরছে । কিন্তু একতরফা মার খেতে খেতে তারা আর এত ভদ্র থাকবেনা । সেদিন আর দূরে নেই যখন মেয়েরা রাস্তায় ব্লেড হাতে চলাফেরা করবে । মরিয়া হয়ে হয়ত তারা একযোগে আক্রমন করতে শিখে নেবে । সেদিন আপনার সবেধন নীলমনি পুরুষাঙ্গটি বাঁচাতে পারবেন তো ? আপনাদের যে ওই একটিই সম্বল পৃথিবীতে ।

-----------------------------------------------------------------------

যারা বাংলা কথা বুঝেও না বুঝার ভান করে আলোচনাকে অন্যপথে নিতে চায়, তাদের জন্য একটি সংযুক্তি :

আমার পোস্টের উদ্দেশ্য: ভিক্টিমের প্রতি নেগেটিভ মানসিকতার বদল ।

কেন ? : কারন তাতে মানুষ অপরাধীর অপরাধ হালকাভাবে দেখতে শুরু করে । ভিক্টিমের প্রতি নয়, অপরাধীর প্রতি সহানুভূতি জন্মায় ।

ফলে ? : এই সহানুভূতির ফলে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী থেকে সরে আসে । উল্টো ভিক্টিমকে শাস্তি দিতে চায় ।

এবং ? : ভয়ে ভিক্টিম রিপোর্ট করতে চায়না । কথনো সে নিজেও অপরাধবোধে ভুগে এমনকি আত্মহত্যা করে ।

অতএব ? : অপরাধীকে আইনগতভাবে দিতে হবে কঠোর শাস্তি (অর্থাৎ পুরুষত্বহীন করা এবং মৃত্যুদন্ড ) সামাজিকভাবে করতে হবে চরম ঘৃণা এবং বয়কট । তাতে করে পোটেনশিয়াল ধর্ষকামীরাও হবে সাবধান ।

৬৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ব্লগার ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি লিখেছেন ,
ব্লগীয় পর্দাবাদী পুরুষের ধর্ষণ সক্ষমতা অথবা পৌরষত্ত্বের জ্বালা/শক্তি

স্নিগ বলেছেন: যখন ক্ষুর নিয়ে ছিনতাই হতে দেখেন তখন তারা সাধারণ মাণুষ।
যখন বাসে মধ্যবয়সী মহিলা দাড়িয়ে যায়, তখন তারা সাধারণ মাণুষ।
যখন বসুন্ধরা (বাশ ধরা) শপিং কমপ্লেক্সে অ্যাবসার্ড প্রাইজে ফেক্সটেসির চাড্ডি কিনতে হয়, তখনও তারা সাধারণ মাণুষ।

কিন্তু যখন কোনো নারীর ওড়না হালকা সরে যায়, সাথে সাথে তারা সক্ষম পুরুষ।

এমন তিমিরবিদারী দানবীয় পৌরুষরে আমার সালাম।

যে সকল বড়লোকের মেয়েরা পশ্চিমা পোশাক পইরা ঘুরে, যাদের পর্দা নিয়া আপনারা চিন্তিত, পারলে তাদের ধর্ষণ কইরা দেখাইয়েন। মাইয়ার প্রতাপশালী বাপে আপনেগোর মত পর্দাবাদীগোর পিছন দিয়া আইক্কাওয়ালা বাশ ঢুকাইয়া ছিন্নভিন্ন কইরা দিব।

পোড়া কপাল হইল সাধারণ মেয়েদের। এরা সমাজের আর দশজনে যা পরে, তাই পইরা জীবনধারণ করে। এরা রুচিশীল শাড়ি/সেলোয়ার/ফতুয়া পইরাই বাঙ্গালির মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা হিসাবে আমাদের মত শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী পরা বাবা, ভাই, স্বামী, ছেলেদের সাথে চলাফেরা করে। ধর্ষিত হয় এরাই। বিচার পায় না এরাই। এদের মামলা নিয়াই পুলিশে গড়িমাসি করে।

আপনাদের ঐসব ইউরোপ আমেরিকার পোশাক পরা মেয়েদের কেউ *লটাও ছিড়তে পারে না। কারণ ঐসব মেয়েদের মামা চাচারা পুলিশের ডি আই জি, খালা ফুপা আর্মির কর্ণেল। আপনেগো মত *ল ছিড়া পর্দাবাদীগোরে ওরা বাল দিয়াও *দে না।

যত পারেন খালি আমাগোর সাধারণ মানুষের লগেই। সাধারণ পোষাক পরা একটা মেয়েরে ধর্ষণ কইরা এখন ঐ মেয়ের উপর পোশাকের দোষ চাপানির মত চু*নিগীরি আপনেরাই পারবেন। আপনেগোর হিসাব মতে যদি মেয়েদের পর্দা করার দোষে ধর্ষণ অবশ্যম্ভাবী হয়ে থাকে, তাহলে বাংলার প্রতিটা পুরুষ তাদের পৌরষত্ত্বের জ্বালায় এতদিনে অন্তত একবার হইলেও ধর্ষণ করছে।

বা* ছা* অন্য জায়গায় যাইয়া চু*ন, আমাদের সাধারণ মানুষরা শালীনতা কী তা ভাল করেই জানি। আমরা পরিবার থেকেই শালীনতার শিক্ষা পেয়ে থাকি। আমাদের পুরুষরা জাঙ্গিয়া পইরা অথবা আমাদের নারীরা বিকিনি পইরা রাস্তা দিয়া ঘুরে না।

অসহায় একটা সাধারণ মেয়েকে ধর্ষিত হবার পর যদি তার দোষ খোজা হয়, তার পোশাকের খুত খোজা হয়, তার চালচলনের দোষ খোজা হয় এবং যদি এইগুলো সেই মেয়েটার সামনে বলা হয় তাহলে কেমন হবে? এইসব মেয়েগুলো যদি শালীনতা ছাড়া বেহায়াই হত, তাহলে এরা ধর্ষণের অপমানের জ্বালায় আত্মহত্যা করতে যায় কেন? কিসের এদের এত লজ্জ্বা? আপনাদের ভাষায় তো এরা নির্লজ্জ্বের মত অশ্লীল পোষাক পরে, অশ্লীল চালচলন করে ঘোরা মেয়ে। কেন তাহলে এরা অপমানে, লজ্জ্বায় কাদে? কেন এরা অপমানে, লজ্জ্বায় আত্মহত্যা করতে যায়? কিসের এদের এত আত্মসম্মানবোধ? কখনো চিন্তা করছেন এটা? না করেন নাই।

কারণ আপনাদের মনে প্রাণে সারাক্ষণ একটাই কথা ঘোরে, "মেশিন চলবে"। দোষ আসলে আপনাদের না, আপনাদের বাবা মায়ের। আপনাদের বাবা মায়েরে ধইরা চাবকানো দরকার, যে এইরকম কুলাঙ্গার সন্তান তারা সমাজের মধ্যে আনছে। একটা মেয়েরে ধর্ষণ করতে, জোরপূর্বক অত্যাচার করতে যে পাশবিকতা লাগে, তা সবার মধ্যে থাকে না। কারণ আমরা যত খারাপই হই না কেন, যত চুরি চামারিই করি না কেন, একজন মানুষ খুন করা বা একটা মেয়েকে ধর্ষণ করার মত অপরাধিক মানসিকতা আমাদের নাই, এত শক্ত অপরাধী আমরা নই, আমাদের পরিবার কিছুটা হলেও আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। আপনাদের পরিবার সেটা আপনাদের দেয় নাই।

একদলা থুতু দিলাম আপনার বাবা-মায়ের উপর যারা সন্তানকে কোন শিক্ষা দিতে পারে নাই, জানোয়ার বানাইছে।

৬৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অসাধারান পোস্ট, অনেক দারুন লিখেছেন। +++

৬৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩

দস্তার বলেছেন: ধর্ষণের পিছনে অনেক কিছু দায়ী। সিনেমার রেপ সিনগুলো সবচেয়ে বেশি দায়ী। বিকৃত মস্তিষ্কের পুরুষরা দায়ী। আরো দায়ী কিছু নারীর নোংরামি।

সবকিছুই আমলে নিতে হবে। কিন্তু পোস্টে একটি দিককে সম্পূর্ণ ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত।

৬৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯

গাজুরিয়া মাইর বলেছেন: চৌদি থেকে কারা কারা এখানে *টকি মারা খাইতে আসছে দেহি :-B :-B :-B

৬৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২

গাজুরিয়া মাইর বলেছেন: চৌদি বা ফাকিস্হান এ যহন এতো ফাক এবং ফবিত্র লাহে তো এইহানে কি করছ গেলোমানের দল?

৭০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মাথানষ্ট০০৭ বলেছেন: দেখি তো পারি কিনা @

মাদারি তুই চুপ থাক ছাগুর বাচ্চা। আর তোর মা বোনের খেয়াল রাখ।

৭১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

িপকলুচাচা বলেছেন: Shame on me as I am a man! :(

৭২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

িপকলুচাচা বলেছেন: dear Admin pls make the post Sticky!

৭৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা। আর শুভ কামনা রইলো।
আর একটি ঘটনাও যেন না ঘটে সে জন্য সকলের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান করি।

৭৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

সাদেকুর বলেছেন: ২২ নং মন্তব্যের সাথে এক মত।

তবে পোশাক (আবরন) সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে।

পোশাক সম্পর্কে বলার কারনঃ "যে নিজেকে সম্মান করতে জানে না, সে অপরের কাছ থেকে কিভাবে সম্মান আশা করতে পারে??"

মুলতঃ স্বল্প বসনা নারীরা আধুনিকতার নামে স্বল্প পোশাক পরিধান করে নিজেদেরই অসম্মান করে থাকে(আমার দৃষ্টিকোণ থেকে)।

আর সেই উত্তম পুরুষ যে নিজের পৌরুষকে সংরক্ষণ করতে পারে।

৭৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

সর্বহারা:৭১ বলেছেন: চরম!!! প্রিয়তে!!!!!!! :P :P :P :P

৭৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫০

দূর্বা জাহান বলেছেন: এতগুলো কমেন্টের উত্তর দিব কি করে :/

৭৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ২:১০

...নিপুণ কথন... বলেছেন: ভালো লিখেছ । আমার কথাগুলোঃ Click This Link

৭৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৪

বাংলার ঈগল বলেছেন: ধর্ষণ বন্ধ হোক এখনই

কিন্তু লেখকের ভাষা খুবই জঘন্য----- B-)) B-))

---------খানকিরে দেইখা হাত মাইরা সেটার বিরুদ্ধে বড় কথা কওয়ার মত হিপোক্রেট পোলাপাইন ভালগিরি চোদাও!

৭৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

সুমন জেবা বলেছেন: ২২ ও ৭৪ নং মন্তব্যের সাথে এক মত। আর ৬৪ নং এ অপুর্ণা'র লেখা থেকে কিছুটা তুলে না ধরলেই নয় ..

যেই দেশের ৯০ভাগ পুরুষ রাজপথে উলঙ্গ হয়ে প্রশ্রাব করে , যেই দেশে ৯০ভাগ পুরুষ ইন্টারনেটে ঢোকে পর্ণ খুঁজতে, তাদের মুখে শালীনতার কথা মানায়না ।

৮০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: তবে শুধু ধর্ষিত মেয়েগুলোর জন্য নয়,
সোচ্চার হোন । ফেলানীর জন্য । ময়নার জন্য । সোনাবরুর জন্য ।
সোচ্চার হোন । কল্পনার জন্য । ডাঃ সাজিয়ার জন্য । বিশ্বজিতের জন্য ।
সোচ্চার হোন । সাগরের জন্য । রুনীর জন্য । আগুনে পুড়ে মরা শ্রমিকগুলোর জন্য ।

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য। শুধু বোরখা পড়লেই যে ধর্ষণ বন্ধ হবে এটা ঠিক নয়। নারী পুরুষ সবাই যদি ইসলামী নিয়মে চলে তাহলে ধর্ষণ হবে না। মসজিদের ইমাম ধর্ষণ করলে সে ইসলামের নিয়ম মানে নাই। যদি মানতো তাহলে সে কোনদিনও ধর্ষণ করতে পারতো না। ধর্ষণ ইসলামে কোন ভাবেই স্বীকৃত নয়, ইমাম, হুজুর, মুন্সী মোল্লা, সাধারণ মানুষ সে যেই হোক না কেন কারো জন্যেই ধর্ষণ ইসলামে ক্ষমার যোগ্য নয়। ইসলামে অন্য ধর্মের প্রতিও বাড়াবাড়ি করা নিষেধ আছে। অন্য ধর্মের প্রতিও সহনশীল হওয়ার বিধান আছে।

৮১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ধর্ষণের পক্ষে কথা বলার লোক এখনও আছে...!!!

৮২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগ কি লেখা বাদ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.