![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাস তিনেকের আন্দোলনে পেট্রলবোমা হয়ে ওঠে প্রধান অস্ত্র এবং এর শিকারে পরিণত হয় সাধারণ জনগণ। আন্দোলনে পেট্রলবোমায় পুড়েই মারা গেছে ৭৫ জন। পুড়ে গিয়েও বেঁচে আছে এবং বাকি জীবন এর যন্ত্রণা বয়ে বেড়াবে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০০। আন্দোলনের নামে এই মাত্রার বর্বরতা বাংলাদেশে আগে কখনো ঘটেনি। সাধারণ নাগরিকদের শিকারে পরিণত করা বা তাদের ওপর বর্বরতা চালানোর কৌশল সাধারণত বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনই নিয়ে থাকে। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে এবার তার নজির দেখা গেল। বিএনপির এই গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনকে তাই কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলা যাচ্ছে না। আর এ ধরনের আন্দোলন করে কখনো গণতন্ত্র উদ্ধার করা যায় না। বিএনপির এবারের আন্দোলনের এই ভয়ংকর কৌশল শুধু তাদের আন্দোলনকেই ব্যর্থ করেনি, বরং ভবিষ্যতে গণতন্ত্র উদ্ধারের যেকোনো আন্দোলন বা গণ-আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরিতেও নেতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। অর্থনীতির ক্ষতি হয়তো বাংলাদেশ কোনোভাবে বা কখনো না কখনো কাটিয়ে উঠতে পারবে, কিন্তু আগুনে পুড়ে, সহিংসতায় প্রাণ গেল সেই ক্ষতি পূরণ হবে কীভাবে? গণতন্ত্রের জন্য দুনিয়ায় যুগে যুগে অনেক আত্মত্যাগ হয়েছে, অনেক প্রাণ গেছে, বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে উদ্ধার ও রক্ষা করার যে রাজনীতিতে গণতন্ত্র পরাজিত হলো । আগুনে পুড়ে যারা মারা গেল বা সারা জীবন পোড়ার কষ্ট বয়ে বেড়াবে, তারা কি বিচার পাবে?
©somewhere in net ltd.