![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আবহমান বাংলা সবসময়ই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল। এই সেদিন পর্যন্ত অর্থাৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার আগেও জঙ্গিবাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর শাসন-কালোত্তর একটানা ১৬ বছর সামরিক শাসকদের মদদের পাশাপাশি বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদের জন্ম হয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ক্ষমতায় এলে পটভূমি পাল্টে যায়। মৌলবাদী গোষ্ঠী মাথা তুলে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়। তবে গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জঙ্গিরা তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসীন হলে জঙ্গিরা গা ঢাকা দেয়। আত্মগোপনে থাকা এসব জঙ্গি ও জঙ্গি সংগঠন মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আবারও মাথা তোলার চেষ্টা করেছিল। বর্তমান সরকারের আমলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় জঙ্গিদের কার্যক্রম প্রায় কঠিন হয়ে পড়েছে। আইন, বিচার ও নিবিড় নজরদারির জন্য বাংলাদেশে জঙ্গিরা সুবিধা করতে পারছে না। সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়মিত জঙ্গিদের কার্যক্রম নজরদারি করাতে তারা পুনরায় সংগঠিত হতে পারছে না। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের জঙ্গী দমনে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখন বিশ্ব দরবারে প্রশংশিত। তাঁর নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকে না। গ্রামে বিদ্যুত সরবরাহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেত, যদি বিএনপি-জামায়াত জোটের অপরাজনীতি এবং জ্বালাওপোড়াও না হতো। বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ও সহিংসতা গণতন্ত্রকামী মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেনি বরং তাদের প্রতি ক্রমাগত ঘৃণা বর্ষিত হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.