![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চতুর্মুখী চাপ থাকার পরও জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ছে না বিএনপি। ভোটের রাজনীতি ও রাজপথে আন্দোলনে শক্তি প্রদর্শনের স্বার্থের কারণে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতকে সবসময় কাছে চায় বিএনপি হাইকমান্ড। বিগত ৫ বছর রাজপথের বিভিন্ন কর্মসূচীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন অংশগ্রহণ না থাকলেও জামায়াতের নেতাকর্মীরাই ছিল বেশি সক্রিয়। এ কারণেই রাজনীতিতে জামায়াতই এখন বিএনপির মূল ভরসা। এদিকে টানা ৯২ দিনের আন্দোলন কর্মসূচী ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে ঘরে বাইরে চাপ সৃষ্টি হলেও দলীয় হাইকমান্ড ছিলেন অনড় অবস্থানে। আর এ বিষয়টি দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ১২ আগস্ট ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ডেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, ২০ দলীয় জোটে জামায়াত আছে এবং থাকবে। সম্প্রতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও বর্তমানে বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে আবার বিএনপিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন দলীয় হাইকমান্ড। কিন্তু বি চৌধুরী জামায়াতকে জোটে রাখলে বিএনপিতে ফিরে আসবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ খবর শুনে বিএনপির ওপর নাখোশ হয় জামায়াত। পরে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ না করার সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, ৭ জুন সোনারগাঁও হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এ সময় নরেন্দ্র মোদি তার দেশ মৌলবাদের পক্ষে নয় উল্লেখ করে খালেদা জিয়াকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করার পরামর্শ দেন। আর এ প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিএনপি আসলেই জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ছে কি না এমন প্রশ্ন দেখা দেয়। অবশ্য এর আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কোন কোন দেশের কূটনীতিকরা বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ভোট ও জোটের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি সে পরামর্শ গ্রহণ করেনি। বেগম জিয়া বুঝতে পেরেছেন এই বাংলার মাটিতে তার নিজ দলের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই তিনি অপরের মাথায় ভর করে চলতে চাইছেন।
©somewhere in net ltd.