![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখাটি কয়েকটি পত্রিকায়ও ছাপানো হয়েছে
রাজধানীতে ব্যাচেলর মানেই বিড়ম্বনার জীবন। মেলে না বাড়ি ভাড়া। বাড়ি ভাড়ার জন্য ঘুরতে ঘুরতে নোটিশ দেখে থমকে দাঁড়াতে হয়। লেখা থাকে ‘ব্যাচেলর ভাড়া দেয়া হয় না’। এই যন্ত্রণা কেবল ব্যাচেলরদের বেলাতেই তা নয়। অনেক সময় ‘বিবাহিত ব্যাচেলর’রাও এর শিকার হন। স্ত্রীকে গ্রামে রেখে ঢাকায় এলেই তারাও বিবেচিত হন ‘ব্যাচেলর’ হিসেবে।
আর অনেক কষ্টে বাড়ি ভাড়া মিললেও যত দোষ বেচারা ব্যাচেলরের! বারান্দায় যায়, উকি মারে, বান্ধবীকে বোন পরিচয়ে বাসায় নিয়ে আসে, রাতে দেরিতে ফেরে, উচ্চ শব্দে গান শোনে এমন শত শত নানা অভিযোগ থাকে আমারমত ব্যাচেলদের বিরুদ্ধে।
অনেক ব্যাচেলরই বলতে বাধ্য হন- ‘ আঙ্কেল মেয়ে বিয়ে দিতে কোনো বিবাহিত ছেলে খোঁজেন না।’
ঢাকা শহরে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে পড়তে হয় নানা প্রশ্নের বিপাকে। প্রথমেই শুনতে হয় পরিবার নিয়ে থাকবো কিনা সেই প্রশ্ন। একা থাকবো শুনলেই বাড়িওয়ালাদের মধ্যে বিরূপ একধরনের মনোভাব দেখা যায়। বিষয়টা যেন একটা খুবই দৃষ্টিকটু ব্যাপার। বাড়িভাড়া জোটে না বলে শেষ-মেষ আত্মীয় বা বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকতে হয় অনেক অবিবাহিত নারী-পুরুষকে।
একটু বেশি বয়সে বিয়ের প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে যেমন বাড়ছে, তেমনি পড়াশোনা শেষ করে বিয়ের বদলে অনেক নারীও আগ্রহী হচ্ছেন পেশার দিকে। তবে সামাজিক রীতেতে এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিড়ম্বনায়ও।
আমাদের যত যোগ্যতাই থাকুক না কেন বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে মিথ্যে বলতে হয়েছে অনেকবার। প্রথমত অনেকেই মিথ্যা বলে বাসা নিয়ে থা্কে। বলে যে, আমার সঙ্গে মা থাকবেন। পরে যখন আমার বাসায় কোনো বন্ধু বা পুরুষ সহকর্মী কাজে আসত তখন খেয়াল করতাম বাড়িওয়ালা বা প্রতিবেশীরা নজর রাখছেন।
ব্যাচেলর বাসায় ভাড়া পাওয়া গেলেও নিয়ম-কানুন, আইনের আর বালাই নেই।বাড়ির বারান্দায় যেতে নিষেধ। ছাদে যেতে মানা। এমনকি জানালা খোলাও নিষেধ থাকে। তাই অফিস শেষ করে বন্ধ ঘরে থাকতে হয়। সেটাই এখানে নিয়ম।
ঢাকার প্রায় সব বাড়িওয়ালাদের কাছে অবিবাহিত মানেই ‘উটকো ব্যাচেলর’ মাত্র।
অবিবাহিত ভাড়াটে নিয়ে মালিকের বেশ আপত্তি কারণ, 'ব্যাচেলররা দেরি করে ঘরে ফেরে। প্রায়ই বান্ধবীদের নিয়ে এসে ফূর্তি-ফার্তা করে থাকে।'
বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে তৈরি হয়েছে অবিশ্বাসের সংস্কৃতি। নিরাপত্তার আশঙ্কা থেকে একটু ভিন্ন ধরনের মানুষের প্রতি তাই নেতিবাচক মনোভাব। সেই মনোভাব না বদলানো পর্যন্ত ‘উটকো ব্যাচেলরের’ কষ্টের আর সীমা থাকবে না!
২| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
এবং সাইদি বলেছেন: ভাইয়া আমি তো বলি নাই যে ব্যাচেলরা ভালো, কিছু দুষ্ট ব্যাচেলদের জন্য আমারা বাসা ভাড়া পাই না................!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
গোধুলী রঙ বলেছেন: উল্টো চিত্রও তো কম নয়, কিছু যায়গায় যেসব বাড়িওয়ালা ব্যাচেলর ভাড়া দেয়, সেসব বাড়ীর বাসিন্দারা অতিষ্ঠ এবং পাশের বাড়ীর পরিবার গুলো জানালাই খুলতে পারে না। তো ব্যাচেলররাই যদি তাদের নিজেদের উদাহরন খারাপ করেন, তবে শুধু একা বাড়ীওয়ালার দোষ দিয়ে কি করবেন!! যতক্ষন দু পক্ষই পজিটিভ না হচ্ছে, ঠেলাঠেলিই চলবে কেউ এক পাও আগাবে না।