| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে যেসব মেয়ে ঘরে বা ঘরের বাইরে যৌন হয়রানির শিকার হন, তাদের একটা বিরাট অংশই সেটা মুখ বুঁজে সয়ে যান। কিন্তু অবস্থা পাল্টাচ্ছে। নেক মেয়েই এখন সংকোচ ঝেড়ে ফেলে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের পথ বেছে নিচ্ছেন, এমনকি উত্যক্তকারী পুরুষকে হাতে-নাতে ধরে নাকালও করছেন।
“মেয়েরা কেমন পোশাকে ঘুরছে, সেটা তাদের খেয়াল রাখতে হবে। এটা তো বিদেশ নয়, বাংলাদেশ। তারা কেন বাংলাদেশে এমন পোষাকে ঘুরবে?”
গাড়িতে দুই মহিলার সাথে আলাপকালে তারা জানায়, সমস্যা আমাদের পোষাকে নয়, পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গীতে, জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে বললেন দুই মহিলা যাত্রী। আমি বৃদ্ধ লোককেও দেখেছি মেয়েদেরকে উত্যক্ত করতে, ক্ষোভের সঙ্গে বললেন একজন। “বাসে একটু বেশি ভিড় থাকলেই ইচ্ছে করে এসে ধাক্কা দিয়ে গায়ে পড়ে। তখন বলে যে বাস ব্রেক করায় ধাক্কা লাগছে”
বাসে উঠলেন এক বোরকা পড়া মহিলা। তার কন্ঠে শোনা গেল একেবারেই ভিন্ন ভাষ্য। “আমরা মেয়েরা যদি উচ্ছৃঙ্খল আর খোলামেলা পোষাক পরি, তাহলে ছেলেরা এরকম করতেই পারে। আমরা যদি ধর্মীয় বিধান মেনে পোষাক পরতাম, চলাফেরা করতাম, তাহলে এরকম ঘটতো না।”
আসলেই কি তাই? বোরকাই কি তাহলে যৌন হয়রানি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়?
রাস্তাঘাটে এরকম ঘটনার শিকার যারা হন, তাদের অনেকেই লজ্জায় মুখ বুঁজে সয়ে যান। কিন্তু অবস্থা পাল্টাচ্ছে, অনেক মেয়েই এখন প্রতিবাদ করছেন, প্রতিরোধেও পিছপা হচ্ছেন না ।
শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করছেন তিনি। আমরা কেবল ধর্ষনকেই কেবল যৌন নির্যাতন বলে গণ্য করি। কিন্তু মেয়েরা যে আরও কতরকমের যৌন নির্যাতনের মুখোমুখি হন, টাচিং, ফন্ডলিং, যৌনাঙ্গ দেখানো, যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা----এগুলোও তো যৌন নির্যাতন। কিন্তু কেউই আমরা এগুলো নিয়ে কথা বলি না লোকলজ্জার ভয়ে। মুখ বুঁজে সয়ে গেলে এর কোন সমাধান নেই, প্রতিবাদে সোচ্চার হলেই কেবল এর প্রতিকার সম্ভব।
এ কথা কেও অস্বীকার করতে পারবে না যে, আমরা মোর অর লেস সেলফিস। সবাই আমরা নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভালবাসি। নিজের জন্য কাজ করি। স্নীয় উন্নতি করতে চাই।
বৈজ্ঞানিকরাও বলে থাকেন যে, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ জেনেটিকেলি কিছুটা স্বার্থপর।
নারীর প্রতি সহিংসতা বাংলাদেশে কোন নতুন জিনিস নয়। যুগ যুগ ধরে নারীরা নিষ্পেষিত হচ্ছে। পূর্বে যেহেতু অর্থনৈতিক কাজে নারীর অংশগ্রহণ ছিল কম, তাই সে নির্যাতিত হতে ঘরের ভেতর। আর বর্তমানে গৃহের ভেতর ও বাইরে উভয় স্থানে সমান ভাবে সে নির্যাতিত হচ্ছে। ভারতে যখন নির্ভয়া নির্যাতিত হল তখন সারা দেশ ফুসে উঠেছিল। প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল মুম্বাই থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত।
অথচ প্রায় একি ঘটনা যখন আমাদের দেশে কুড়িলে যমুনা ফিওচার পার্কের সামনে ঘটল তখন প্রতিবাদ যেন দায়সারা। প্রতিবাদ করতে হয় তাই প্রতিবাদ। কারণ ওই যে মানবের চরিত্র।
যখন আমরা শুনেছি যে নির্যাতিতা একজন সেলস গার্ল, গারো, ধর্ম বিশ্বাসে খ্রিস্টান এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সে গরীব। তখন আমরা একটু স্তিমিত হয়ে গেছি। আমাদের প্রতিবাদ সত্তা জেগে উঠেনি। কারণ নির্ভয়ার মত সে ধনীক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে না কিংবা উচ্চশিক্ষিত নয় সে। তাই আমাদের ছাত্রী, কর্মজীবী কিংবা হিন্দি সিরিয়াল দেখা গৃহ বধুরাও প্রতিবাদে ফেটে পড়েনি। একজন গারোর মাঝে আর যাই হোক নিজেকে খুজে পাওয়া যায় না!!!!!আর গার্মেন্টস কর্মী, সেলস গার্লরা নির্যাতিত হতেই পারে। এতে এত হতবাক হবার কি আছে??? যেহেতু সমাজের উচ্চ শ্রেণীর বিশেষ আগ্রহ নেই, তাই ব্রেকিং নিউজ খোজা মিডিয়াও নতুন কোন বাণিজ্যের পরসা খুঁজে পায় নি।
আগেই বলেছিলাম যে আমরা জিনগত ভাবেই স্বার্থপর। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কিছুর মর্মার্থ অনুধাবণ করতে বেরথ হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা শিকারে পরিণত না হই। আমরা অন্যের কষ্ট কে নিজের বলে ভাবতে পারি না। অনুভব করতে চাই না কষ্টের তীব্রতা।
আমি বেচে আছি অথবা নিরাপদে আছি বলে যে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন তাকেই বলছি সত্যিই কি আপনি বেচে আছেন সত্যি ই কি নিরাপদে আছেন???-সংগৃহীত
©somewhere in net ltd.