![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ১২ জুন। বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস। ১৯৯৯ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ‘শিশু শ্রম নিরসন সনদ ১৮২’ গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর ১২ জুন বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘শিশু শ্রমকে না বলুন, মানসম্মত শিক্ষাকে হ্যাঁ বলুন।’
শিশুশ্রমের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে ব্যাটারিসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক কারখানায় শিশুশ্রম, ট্যানারি শিল্প, যৌনকর্ম, বিড়ি ও তামাক ফ্যাক্টরি, পরিবহন খাত, ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করা, গ্যাস ফ্যাক্টরি, লেদ মেশিন ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ, অটোমোবাইল কারখানা, লবণ কারখানা, রিকশা ও ভ্যানচালনা, কাঠমিস্ত্রির কাজ, জুয়েলারি শিল্পে কারিগরের কাজ, চাল ও মসলার কারখানায় কাজ, ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার কাজ, মাদকদ্রব্য বিক্রি।এসব কাজে নিয়োজিতদের অধিকাংশই পথশিশু। শুধুমাত্র একবেলা খাবার যোগাড় করতে এ পথশিশুরা দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। পথশিশুদের ৬৯ শতাংশই কোন না কোন শিশুশ্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
শিশুশ্রম থাকবে, তবে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নয়:
১২ বছর বয়সী সুমন একটি হোটেলে কাজ করে দুবছর ধরে। বাড়িতে অসুস্থ মা। একটি চারবছরের ছোট বোন। সুমন দিনে দুইবেলা খাওয়াসসহ দেড়শ টাকা পায়। এই দিয়ে সে সংসারের বড় খরচ চালায়। মা বাড়িতে বসে দর্জিও দোকানের বোতামের ও হাতের সেলাইয়ের কাজ করে। সুমন জানায়, সে যদি কাজ না করে তাহলে মা একা দুই ভাইবোনের খরচ চালাতে পারবে না।
শিশু বিষয়ে যারা কাজ করছেন তারা বলেন, এখন আমরা শিশুশ্রম বিলোপের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে কথা বলতে চাই বেশি। আর শ্রমজীবী শিশুদের ওপর যেন কোনও নির্যাতন না হয়, সেদিকে খেয়াল করাটা বেশি জরুরি। হুট করে শিশুশ্রম বন্ধে কড়া নিয়ম করলে অনেক শিশু ও তাদের পরিবার যে সংকটে পড়বে, তা কাটানোর সামর্থ্য আমাদের সমাজের এখনও নেই। অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী ওয়াহিদা বানু বলেন, হুট করে শিশুদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার আগে তাদের পুনর্বাসনের যথাযথ পরিকল্পনা দরকার, যেটা তেমন বড় পরিসরে কখনোই করা হয়নি।
১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
এবং সাইদি বলেছেন: এই জন্য এই দারিদ্র শিশুদের পাশে আমাদের কারো না কারো দাড়ানো উচিত
২| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: সহমত ....
১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
এবং সাইদি বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
সব্যসাচ১ বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত।
১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
এবং সাইদি বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
আলী আকবার লিটন বলেছেন: পারিবারিক সচ্ছলতা যদি এসব শিশুদের থাকতো তবে শিশুরা এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রতি ঝুকে পড়তো না । নিতান্ত বাধ্য হয়েই তারা এই পথে পা বাড়ায় । এসব শিশু শ্রম বন্ধ করার আগে জনগনের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন ।
১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
এবং সাইদি বলেছেন: ভাই আপনার কথার সাথে আমি একমত পোষণ করলাম..!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
জহুরুল কাইয়ুম বলেছেন: হুট করে শিশুশ্রম বন্ধে কড়া নিয়ম করলে অনেক শিশু ও তাদের পরিবার যে সংকটে পড়বে, তা কাটানোর সামর্থ্য আমাদের সমাজের এখনও নেই
কথাটা সত্য বটে।