![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নয়াপল্টন থেকে নিউমার্কেট যাচ্ছিলাম। ইচ্ছে ছিল কিছু কেনাকাটা করব আর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরব।আমি যার রিকশায় উঠেছিলাম তার নাম সামছুল হক। যেতে যেতে তার সঙ্গে আমার অনেক কথা হল।
বাসা শাহজাহানপুর এলজিইডি কলোনিতে। কথা হচ্ছিল তার জীবন-জীবিকা, পরিবার-পরিজন নিয়ে।
জানালেন এক মেয়ে ছাড়া তার আর কেউ নেই।
ঢাকা শহরের অগণিত রিকশাওয়ালাদের একটাই পরিচয়, তারা রিকশাওয়ালা। রিকশার চাকার সাথেই পাক খায় তাদের জীবনের চাওয়া-পাওয়া। রিকশার চাকা ঘুরলে পেট চলে নয়তো অনাহার, অর্ধাহার।
সামছুল হকের নিজের রিকশা নেই। মহাজনের কাছ থেকে রিকশা ভাড়া করে চালান। সারাদিনের আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ তুলে দিতে হয় মহাজনের হাতে। আয় যাই হোক না কেন মহাজনের পাওনা অংশে হেরফের করার কোন জো নেই।
এই ঘেরাটোপ থেকে নিজেকে খানিক আলাদা করে ভাবতে ইচ্ছে করে তার। আলাদা ভাবতে ভালোও লাগে। নিজেকে লেখাপড়া জানা মানুষ ভাবতে ইচ্ছে হয়।
নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি। জানেন এই শহরে তার চেয়েও বেশি লেখাপড়া জানা লোকও রিকশা চালান। তবুও তিনি নিজেকে আলাদা ভাবেন।
আসলেই অন্যদের চেয়ে আলাদা তিনি। অন্যেরা যখন মহাজনের পাওনা পরিশোধ করে ঘরের জন্য চাল-ডাল কেনেন তখন সামসুল হক ছুটে যান নীলক্ষেতের ফুটপাতের বইয়ের দোকানে।
সংসার, চাল-ডাল, নুন-তেলের কথা ভুলে বইয়ের তাক থেকে তুলে নেন পছন্দের বই। পকেটে কত টাকা আছে সেটা ভুলে যান।
এরপর ঘরে ফিরে মেয়ের উপোসী মুখ দেখে মনে পড়ে বই নয়, চাল কেনাটাই জরুরি ছিল।
মাঝে মাঝে ভাবেন, ঢাকা শহরে রিকশা চালিয়ে বাবা মেয়ে অনায়াসে চলতে পারতেন। কিন্তু তিনি এসব হিসাব বোঝেন না। বই পড়ার প্রচণ্ড নেশা তাকে টেনে নিয়ে যায় বইয়ের দোকানে, অন্য এক জগতে।
একটা টিনের বড় বাক্স আছে তার। এই বাক্সটাই তার কাছে ছোট একটা পাঠাগার। ওই বাক্সেই তার বই রাখেন। সময় পেলেই এটাকে ঝেড়েঝুড়ে পরিষ্কার করেন। সেটাই তার আনন্দ বিলাস।
রিকশা চালিয়ে রাতে ঘরে ফিরে আগে বাক্সটা খুলে বসেন তিনি। একটা একটা করে সবগুলো বই নামান। পছন্দমতো একটা বই খুলে পড়তে পড়তেই চোখে শিক্ষিত, সভ্য হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এক সময় ঘুমিয়ে পড়েন।
আমার আজকের প্রতিবেদন...! নিউজটি 'বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডট' কমের হ্যালো কলামে.....প্রাকাশিত হয়েছে.
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
এবং সাইদি বলেছেন: উপন্যাস, সফল ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী....ইত্যাদি।
হুমায়ন আহমেদের বই পড়েন বেশি/..
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ভাই আপনার লেখার ধরনে আমি খুব বিভ্রত।
বাস্তব জীবনের গল্পের লেখার ধরনটা হয়ে গেছে পত্র পত্রিকার সাংবাদিকদের বনিতা করা লেখার মতো।
বাস্তবতাকে বাস্তব ভাবেই ফুটিয়ে তুলা উচিৎ ছিল আপনার।
কেন এতো কাল্পনিকতা যোগ করে বাস্তবতাকে ম্লান করে দিলেন।
খুব কষ্ট লাগলো ভাই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
এবং সাইদি বলেছেন: আমিও দু:খিত! পুরো কাহিনীটা সাজিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো অতি শিগগিরই.।!
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
সুমন কর বলেছেন: সামছুল হকের জন্য রইলো, অনেক অনেক শুভকামনা।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
উদ্ভট ভাবনাবিদ বলেছেন: শুভকামনা রইল তার জন্য...
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: এটা তার একটা ব্যাড হ্যাবিট বলব আমি! তাকে বাহ বাহ বা উৎসাহও দিতে পারছি না।
নিজের মেয়েকে উপোস রেখে বই??
হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে জ্ঞান অর্জন!!! আমি বলি এটা বিনোদন ,হ্যা যে কোন বই পড়েই জ্ঞান নেয়া যায়,ভাল অর খারাপ।
কিন্তু তাজে যে তার মেয়েকে নিয়ে ভাবতে হবে এই জ্ঞানটা কে দিবে???
কোন নেশাই ভালো নয় সেটা যাই হোক।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২০
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো শেয়ার।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭
প্রামানিক বলেছেন: ভাল নেশা। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ লাগলো পড়ে। উনি কী টাইপের বই পছন্দ করেন সে ব্যাপারে কিছু বলেন নি?