আদর্শগ্রাম সিরিজ, পর্ব-১০(পদক)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

আদর্শগ্রাম পদক

আদর্শগ্রাম কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকরী সভায় মতবিনিময় করছেন। বাঘা বাঘা নেতারা একত্রিত হয়েছেন। তারা তাদের অতীতের কাজের মূল্যায়ন করছেন। বিভিন্ন খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন জন নানাভাবে কল্পনাপুরকে আলোকিত করেছেন। কেউ শিক্ষাখাতে, কেউ কৃষি উন্নয়ন, কেউ সচেতনতা মূলক কাজে এরকম বহুমুখী কাজের মাধ্যমেই মূলতঃ কল্পনাপুর আদর্শগ্রামে উন্নিত হয়ে সমগ্র দেশের জন্য একটি মডেল হয়েছে। ফলে তারা চিন্তা করছেন কিভাবে ঐসমস্ত কর্মী বা মনুষদেরক মূল্যায়ন করা যায়। অথবা সমাজকে অতীত থেকে বহু সেবক তাদের কর্মের মাধ্যমে মানুষের সেবা করেছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কঠোর পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন। অনেক ঐতিহ্যকে সামনে এগিয়ে নিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সমস্ত যশস্বী খ্যাতিমান আদতেই নিঃস্বার্থ সমাজ কর্মী যারা কোনদিন বদলা চাননি। তাঁদের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। যে সমাজ গুনীদের মূল্যায়ন করতে সে সমাজ কখনো চূড়ান্ত বিচারে অগ্রগামী বা আদর্শ নয়। বক্তব্য রাখছিলেন কল্পনাপুর আদর্শগ্রাম শান্তি সংঘের সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট জনাব ইমতিয়াজ আহমেদ।
উপস্থিত সকল সদস্য ও নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত আবেগাপ্লোত হয়ে পড়েন। মূহুর্তেই জনমত গঠন হয় যে, সমাজ উন্নয়নে যাদের বিন্দু মাত্র অবদান থাকবে আদর্শগ্রাম কর্তৃপক্ষ তাঁকে মূল্যায়ন করব। একে একে উপস্থিত সকলেই মতামত ব্যক্ত করেন।
অবশেষে এ মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, প্রতিবছর যে বার্ষিক সম্মেলন হবে তাতে অন্ততঃ শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সামাজিক সুরক্ষা প্রভৃতি খাতে যারা অবদান রাখবেন তাঁদেরকে পদক তথা আদর্শগ্রাম পদক প্রদান করা হবে। অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ডের অবদানের জন্যও পদক বা মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদান করা হবে।
এ লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি পদক কমিটি গঠন করা হয়। অতঃপর শুরু হয় কর্মমূল্যায়ন। প্রথম বছরেই অন্ততঃ চারটি বিষয়ে পদক প্রদানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
এক. শিক্ষা
দুই. কৃষি
তিন. স্বাস্থ্য ও
চার. ক্রীড়া প্রভৃতি।
পদক নির্বাচন কমিটির প্রধান শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞ সুলতান দ্বীন মুহাম্মদ একটি প্রস্তুতি সভা করেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচক মন্ডলী সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উপরোক্ত চারটি বিষয়ে প্রস্তাবনা আহ্বান করেন। দশ কর্ম দিবসের ব্যবধানে দারুণ সারা পড়ে। স্বীকৃত ব্যক্তিগণের নিকট থেকে নির্দিষ্ট তথ্য ফর্মের মাধ্যমে অন্ততঃ পক্ষে ৩৭ টি আবেদন জমা পড়ে। তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য বৈঠক বসে। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সেরা চারজন পদক জয়ীর নাম ঠিক করা হয়। বার্ষিক সম্মেলনের পূর্বেই পদক, স্মারক সনদ ও ঘোষিত অর্থের জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংস্থার নিকট থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। অপেক্ষার প্রহর গুনা শুরু হয় কে হলেন প্রথম আদর্শগ্রাম পদক বিজয়ী।

৪ টি +১/-০